নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মাইডাস সেন্টারে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংস্থাকে ঋণ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বেশি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জিসিএফ দুর্নীতিগ্রস্ত এই অর্থে যে তারা নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক কাজ করছে। তারা তাদের পারফরম্যান্সে ফেল করছে। কাজেই ক্ষমতার অপব্যবহার বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আমরা মেনে নেইনি, নেব না। তবে এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্য অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, করা হবে—এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিসিএফে জবাবদিহি করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিসিএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেনদরবারের সুযোগ রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিসিএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিসিএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
গবেষণায় জানানো হয়, জিসিএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়, যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
এতে জানানো হয়, তহবিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিসিএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ সময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনার শিপ নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মাইডাস সেন্টারে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংস্থাকে ঋণ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বেশি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জিসিএফ দুর্নীতিগ্রস্ত এই অর্থে যে তারা নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক কাজ করছে। তারা তাদের পারফরম্যান্সে ফেল করছে। কাজেই ক্ষমতার অপব্যবহার বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আমরা মেনে নেইনি, নেব না। তবে এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্য অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, করা হবে—এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিসিএফে জবাবদিহি করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিসিএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেনদরবারের সুযোগ রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিসিএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিসিএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
গবেষণায় জানানো হয়, জিসিএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়, যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
এতে জানানো হয়, তহবিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিসিএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ সময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনার শিপ নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৫৬ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় বাফুফের সহসভাপতি ও কে স্পোর্টসের মালিক ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম ওরফে ফাহাদ করিমসহ তার স্ত্রী মিসেস নোরা লাহলালির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন অর্থঋণ আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার ৫ নাম্বার অর্থঋণ আদালতের বিচারক...
১১ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার অংশীদারত্ব গভীর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। পুত্রজায়ায় পার্দানা পুত্রা ভবনে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই নেতা। বৈঠকে দুই নেতার উপস্থিতিতে
৩৯ মিনিট আগেআজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১-এ তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে তাঁদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের জলসীমার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চডুবি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ‘ইন এইড টু সিভিল’ পাওয়ারের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। ডিফেন্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) উদ্যোগে প্রতিরক্ষা বিষয়ক
২ ঘণ্টা আগে