মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১৫ মিনিট আগে
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের নামে থাকা দুটি নৌযান জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
নৌযান দুটি হচ্ছে এমডি সেইলর-১ ও এমডি সেইলর-২; যার মূল্য ১০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
তিনি নিজ নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।
এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আসামি তাঁর সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব সম্পদ জব্দ একান্ত প্রয়োজন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের নামে থাকা দুটি নৌযান জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
নৌযান দুটি হচ্ছে এমডি সেইলর-১ ও এমডি সেইলর-২; যার মূল্য ১০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
তিনি নিজ নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।
এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আসামি তাঁর সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব সম্পদ জব্দ একান্ত প্রয়োজন।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১৫ মিনিট আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক ও ১০৭ কোটি টাকার হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৯টি বিও হিসাবের ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৫ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ২০টি ব্যাংক হিসাবের ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কাজী আনিস আহমেদের এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আদালতের কাছে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, জেমকন গ্রুপের সিইও আসামি কাজী আনিস আহমেদ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক।
আবেদনে বলা হয়, কাজী আনিস আহমেদ নিজের, যৌথ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২০টি হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা তিনি তাঁর ব্যবসায় যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনায় অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়। মানি লন্ডারিং আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে কাজী আনিসের স্থাবর ও অস্থাবর যেসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব সম্পদ তিনি বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন। যদি তা হয়, তাহলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং অবৈধ সম্পদ তিনি অন্যত্র সরিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।
একই তদন্ত কর্মকর্তা আজ কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক ও ১০৭ কোটি টাকার হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৯টি বিও হিসাবের ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৫ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ২০টি ব্যাংক হিসাবের ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কাজী আনিস আহমেদের এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আদালতের কাছে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, জেমকন গ্রুপের সিইও আসামি কাজী আনিস আহমেদ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক।
আবেদনে বলা হয়, কাজী আনিস আহমেদ নিজের, যৌথ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২০টি হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা তিনি তাঁর ব্যবসায় যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনায় অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়। মানি লন্ডারিং আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে কাজী আনিসের স্থাবর ও অস্থাবর যেসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব সম্পদ তিনি বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন। যদি তা হয়, তাহলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং অবৈধ সম্পদ তিনি অন্যত্র সরিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।
একই তদন্ত কর্মকর্তা আজ কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১৫ মিনিট আগে
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ বিকেলে ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে দুদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে ফিরোজের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের বিশেষ পিপি দেলোয়ার জাহান রুমি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক এমডিকে গ্রেপ্তার করে।
এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এমডি ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওকে: জসীম
জাতীয়
ট্যাগ: এক্সিম ব্যাংক, এমডি, কারাগার, আদালত, টাকা আত্মসাৎ, দুদক
মেটা:
ছবি: Firoz (national)
ক্যাপশন:
পজিশন: ৫

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ বিকেলে ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে দুদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে ফিরোজের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের বিশেষ পিপি দেলোয়ার জাহান রুমি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক এমডিকে গ্রেপ্তার করে।
এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এমডি ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওকে: জসীম
জাতীয়
ট্যাগ: এক্সিম ব্যাংক, এমডি, কারাগার, আদালত, টাকা আত্মসাৎ, দুদক
মেটা:
ছবি: Firoz (national)
ক্যাপশন:
পজিশন: ৫

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১৫ মিনিট আগে
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
১ ঘণ্টা আগে