বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করেছে সরকার। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা (৬) মোতাবেক তাঁকে ১৮ মার্চ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল বুধবার বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন ও বিচার বিভাগ।
অপসারণের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁরা বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে হয়েছে। এটি গোপনীয়। তাই এ বিষয়ে জানার সুযোগ নেই।
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদ্যমান কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত বছরের ৫ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত।
ওই রায়ের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা ফিরে আসে। রায়ের পর থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একপর্যায়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এর ধারাবাহিকতায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। আন্দোলন রূপ নেয় ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে। অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।
আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দিন হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিচারপতিদের অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির লিগ্যাল উইং। এসব কর্মসূচির মুখে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হবে না বলে সেদিন জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তাঁদের আর বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। ওই ১২ জনের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি খিজির হায়াত।
৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং কাউন্সিলের বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগ যাচাই–বাছাই হচ্ছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, কয়েকজন বিচারপতির আচরণের (কনডাক্ট) বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।
বিচারপতি খিজির হায়াত ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করেছে সরকার। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা (৬) মোতাবেক তাঁকে ১৮ মার্চ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল বুধবার বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন ও বিচার বিভাগ।
অপসারণের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁরা বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে হয়েছে। এটি গোপনীয়। তাই এ বিষয়ে জানার সুযোগ নেই।
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদ্যমান কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত বছরের ৫ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত।
ওই রায়ের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা ফিরে আসে। রায়ের পর থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একপর্যায়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এর ধারাবাহিকতায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। আন্দোলন রূপ নেয় ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে। অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।
আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দিন হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিচারপতিদের অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির লিগ্যাল উইং। এসব কর্মসূচির মুখে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হবে না বলে সেদিন জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তাঁদের আর বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। ওই ১২ জনের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি খিজির হায়াত।
৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং কাউন্সিলের বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগ যাচাই–বাছাই হচ্ছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, কয়েকজন বিচারপতির আচরণের (কনডাক্ট) বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।
বিচারপতি খিজির হায়াত ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৫ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
৬ ঘণ্টা আগে