Ajker Patrika

বিদ্যুৎ–জ্বালানির ৪ সচিবের কবজায় ২৫ কোম্পানি

আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০: ৩৭
বিদ্যুৎ–জ্বালানির ৪ সচিবের কবজায় ২৫ কোম্পানি

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন যাতে গতিশীল থাকে, সে জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অনেক কোম্পানির মাধ্যমে এ খাতের কার্যক্রমের বড় অংশ পরিচালনা করে থাকে সরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কোম্পানিগুলোর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই এসব কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে বসে আছেন। এতে সরকারের নিয়মিত কাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কোম্পানির নানা অনিয়ম–দুর্নীতিও।

বিদ্যুৎ খাতের ১৫টি ও জ্বালানি খাতের ১৬টি কোম্পানির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিদ্যুৎ খাতের আটটি কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান। জ্বালানি খাতের সাতটি কোম্পানির চেয়ারম্যান জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব মো. আমিন উল আহসানের ভাগে আছে ছয়টি কোম্পানির চেয়ারম্যানের পদ। আর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার আছেন চারটি কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর কাজের যে ধরন, তাতে এ খাতের কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের থাকা উচিত বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, সরকারের সচিব হিসেবে শীর্ষ আমলাদের দায়িত্ব হলো, তাঁদের অধীনে থাকা কোম্পানিগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা। কিন্তু সচিবেরা যদি কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে বসে থাকেন, তাতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তা হিসেবে (আপ স্ট্রিম রেগুলেটরি বডি) সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের পক্ষে কঠোর হওয়া সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, সচিবদের বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে আইনে কোনো বাধা নেই। আইন মেনেই তাঁরা বোর্ড পরিচালনা করছেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান যে আটটি কোম্পানির চেয়ারম্যান, সেগুলো হলো পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), নর্থ–ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল), কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল), বাংলাদেশ–ভারত ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি লিমিটেড (বিআইপিসিএল), বাংলাদেশ–চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) ও বাংলাদেশ–চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড (বিসিআরইসিএল)।

এগুলোর মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রয়েছে পিজিসিবিতে, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিসিপিসিএল, এপিএসসিএলেও উল্লেখযোগ্য কেনাকাটা রয়েছে। এ ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান বিআইপিসিএলে প্রতিবছর কয়লা কেনা ও পরিবহনে হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা হয়। এসব দরপত্রে বোর্ড চেয়ারম্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানির বোর্ড পরিচালকেরা একবার পর্ষদ সভায় হাজির হলেই ১২ হাজার টাকা সম্মানী পান। বছরে একটি কোম্পানি পরিচালকদের নিয়ে ১৫ থেকে ২০টি বৈঠক হয়। এ হিসাবে বছরে একটি কোম্পানি থেকে বোর্ড সভার বৈঠক বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা সম্মানী পান একজন পরিচালক। সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান যেহেতু আটটি কোম্পানির চেয়ারম্যান, সে হিসেবে বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা সম্মানী ভাতা পাওয়ার কথা তাঁর, যা তাঁর মূল বেতনের দ্বিগুণের বেশি। উল্লেখ্য, একজন সিনিয়র বিদ্যুৎসচিবের বছরে মূল বেতন মাসে ৮২ হাজার টাকা, বছরে ৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

একাই আটটি কোম্পানির চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

জ্বালানিসচিব মো. নূরুল আলম সরকারের সাতটি কোম্পানি এবং একটি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান। এগুলো হলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট। 

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, বিজিএফসিএলের মালিকানাধীন ৬টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। দেশের সব থেকে বড় গ্যাসক্ষেত্র তিতাসের মালিকানাও বিজিএফসিএলের। এসব প্রতিষ্ঠান বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা করে, যার দরপত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া এসব কোম্পানির পর্ষদ বৈঠক থেকেও তিনি বড় অঙ্কের সম্মানী পেয়ে থাকেন।

সরকারের সচিব পদমর্যাদায় মাসে মূল বেতন পান ৭৮ হাজার টাকা এবং বছরে ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা মূল বেতন পান মো. নূরুল আলম। অন্যদিকে ইনস্টিটিউট ও কোম্পানির পরিচালক বোর্ডের মিটিংয়ে পান প্রতিটির জন্য ১২ হাজার টাকা। বছরে ১৫ থেকে ২০টি বৈঠক করে ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা সম্মানী পান তিনিও।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে জ্বালানিসচিব নূরুল আলমকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রশ্ন জানাতে বলেন। এসএমএসে প্রশ্ন জানানো হলে আর সাড়া দেননি তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব মো. আমিন উল আহসান আছেন পাঁচটি কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে। এগুলো হলো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, এলপিজি লিমিটেড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল), জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। মো. আমিন উল আহসান বছরে মূল বেতন পান ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আর কোম্পানিগুলোর বোর্ড সভায় হাজিরা দিয়ে তার চেয়েও বেশি পান, প্রায় ১২ লাখ টাকা। এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যানকে ফোন ও ম্যাসেজ পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার চারটি সরকারি কোম্পানির চেয়ারম্যান। এগুলো হলো বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার দায়িত্বে থাকা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল), বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল), মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ও জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দ্বিতীয় গ্রেডে জনেন্দ্র নাথ সরকার মাসে মূল বেতন পান ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা, বছরে তিনি বেতন পান প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে চারটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে বোর্ডে হাজিরা দিয়ে বছরে পান প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে থাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরপিজিসিএল বিদেশ থেকে এলএনজি কিনে থাকে বছরে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকার। বিষয়টি নিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আছে আরও অনেক সুযোগ
সরকারের যেসব কোম্পানি লাভে রয়েছে এবং যারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত, সেসব কোম্পানি ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। তবে এই অর্থ কোনো হিসাবে থাকে না। তিতাস গ্যাস গত অর্থবছরে এ রকম ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জ্বালানি সচিবকে। আর জ্বালানি সচিব লাভজনক প্রতিটি কোম্পানি থেকে নগদ পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা করে।

তিতাস গ্যাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কোনো নতুন শিল্প–সংযোগ ও চাপ বৃদ্ধির আবেদন মোটা অঙ্কের অর্থ ছাড়া বোর্ড সভায় পাস হয় না। এ ক্ষেত্রে একটি নতুন শিল্প–সংযোগের জন্য বোর্ড সভার অনুমোদনের জন্য ঘুষ দিতে হয় ৩ থেকে ৪ কোটি, আর চাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দিতে হয় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব সরকারের দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করেন। এরপরও বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর ব্যবহার করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দেওয়া পাজেরো। আর জ্বালানিসচিব নূরুল আলম ব্যবহার করেন তিতাসের দেওয়া পাজেরো।

কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করেন যুগ্ম সচিব
সরকারি কোম্পানি বি–আর পাওয়ারজেন লিমিটেডের পরিচালক সরকারের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি ওই কোম্পানি থেকে নিয়েছেন দামি পাজেরো গাড়ি। নাম–পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন শীর্ষ আমলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল বিদ্যুৎ বিভাগের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রধান হিসেবে বহুদিন রয়েছেন। আর বি–আর পাওয়ারজেন জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যু প্রকল্পের অনুমতিও নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের শাখা থেকে হয়েছে। এমনকি চীনা কোম্পানি সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবলকে ৭০ শতাংশ মালিকানা দিয়ে এই কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়, এটা ছিল নজিরবিহীন। এর আগে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের সব বিদেশি কোম্পানিকে মালিকানা দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ। এসবের প্রভাবে তিনি বি–আর পাওয়ারজেন থেকে নিয়েছেন দামি পাজেরো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোম্পানি করা হয়েছিল মূলত এটা পেশাদারেরা চালাবেন, তাতে গতি আসবে, দুর্নীতি কমবে; স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। অথচ প্রতিটি কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেন সচিবেরা। তাঁরা এখানে দুর্নীতি করে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আবার নিজের কোম্পানিকে রক্ষা করেন। এ রকম একটি দুর্নীতির খবর আমরা পত্রিকায় পড়েছিলাম। সেটি ছিল এপিএসসিএলের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেনের। প্রতিটি কেনাকাটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এ রকম দুর্নীতি ও অপশাসন বেরিয়ে আসবে।

শামসুল আলম আরও বলেন, একেকটি কোম্পানি থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা তাঁরা বোর্ড মিটিংয়ের নামে নেন, গাড়ি নেন, বছর শেষে গোপনে লভ্যাংশ নেন। আবার ওই কোম্পানির হয়ে বিদেশ সফর করেন। অথচ সচিবদের দায়িত্ব ছিল কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

নজির আছে চেয়ারম্যানদের দুর্নীতির
২০১৫ সালের মে মাসে এপিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আলমের বিরুদ্ধে ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। এপিএসসিএলের ৪৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে স্পেনের দুটি কোম্পানি টেকনিকাস রিইউনিডাস ও টিএসকের কাছ থেকে এই ঘুষ নেন তাঁরা। ঘুষের টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় কেনা হয়েছে দুটি বাড়ি, একটি ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি। গড়ে তোলা হয়েছে দুটি কোম্পানি।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাওয়া দুই স্প্যানিশ কোম্পানি ২০১৪ সালের মার্চে ঘুষের অর্থ স্পেনের মাদ্রিদ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো শহরের ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে পাঠায়। সুনির্দিষ্ট এই অভিযোগের পর বিদ্যুৎ বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি করে। ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেই অর্থ ফেরতও আনেনি সরকার। উল্টো আনোয়ার হোসেনকে সরকার দেশের সব থেকে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পাবনার রূপপুরের দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব বানান, পরে তিনি এই পদ থেকে অবসরে যান। আর নূরুল আলমকে পলাতক দেখায় তদন্ত কমিটি। 

অতিরিক্ত দামে কেনাকাটাসহ সুনির্দিষ্ট ৮টি অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি ছিল অস্বাভাবিক দামে নাট–বল্টু কেনা। ভারত থেকে ৬৮ কেজি নাট, বল্টু ও ওয়াশার আমদানি করেছে পিজিসিবিএল। এর দাম হওয়ার কথা ছিল ১৪৮ ডলার বা ১৬ হাজার টাকা। সেটা তারা কিনেছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৫ ডলার বা ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দিয়ে। পিজিসিবিএলের চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড ভারতের স্কিপার লিমিটেড থেকে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ১ হাজার ৬১৯ গুণ বেশি দামে আমদানি করেছে এগুলো। এই কোম্পানির বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড. ইউনূসকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্য পরিপন্থী’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৯
ড. ইউনূসকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্য পরিপন্থী’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’

ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।

সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।

এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’

মাহবুবুল আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।

সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আদায় এক মাসের জন্য স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এক মাসের জন্য মাশুল আদায় স্থগিত করে রুল জারি করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবায় আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

এই মাশুল কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, তা জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সার্কুলার দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে ওই সার্কুলার ও প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটির পক্ষ থেকে রিট করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১২০০ কোটি টাকা পাচার: ১৭ মামলায় সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযোগপত্র

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৩২
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

বিদেশে বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জন বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আজ রোববার বিকেলে সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, এসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঞ্চপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।

তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল শাখা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত না এনে বিদেশে পাচার করা হয়। অর্থগুলো দুবাইভিত্তিক আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।

আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি দেখানো হলেও সেই অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি। এভাবে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা করে।

এসব মামলায় আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করে সিআইডি।

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি ও স্থাপনা, গুলশানের ‘দ্য এনভয়’ ভবনের ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান ৬৮/এ সড়কের ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।

এ ছাড়া আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।

১৭টি মামলায় মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেন সিআইডির প্রধান। সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এসব মামলায় এরই মধ্যে জেলহাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমানকে চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

রাষ্ট্রের অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যের সংখ্যা কমছে না।

আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক কোর কমিটির সভা হয়েছিল। ওই সভার সূত্র ধরেই কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত