তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
১ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে থানা-পুলিশ ১৩ জন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ৩ জন এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯ জন। তবে দুপুরের ব্রিফিংয়ে ডিএমপি গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৭ বলে নিশ্চিত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায়। সন্ত্রাসীরা কার্যালয় দুটিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়। একই রাতে ধানমন্ডিতে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনেও হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে এই মামলাটি করা হয়। মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে থানা-পুলিশ ১৩ জন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ৩ জন এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯ জন। তবে দুপুরের ব্রিফিংয়ে ডিএমপি গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৭ বলে নিশ্চিত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায়। সন্ত্রাসীরা কার্যালয় দুটিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়। একই রাতে ধানমন্ডিতে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনেও হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে এই মামলাটি করা হয়। মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
১ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্সের’ প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
সভায় সূচনা বক্তব্যে নূরুল কবীর বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছে, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দমকল বাহিনী আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীটি চেয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন চারপাশ থেকে লাগিয়ে যাদের সঙ্গে তাদের মতান্তর, তাদের পুড়িয়ে মারতে।’
নূরুল কবীর বলেম, ‘এটা পৃথিবীর কোনো সমাজ যদি সহ্য করে, যদি সেটা এগিয়ে যেতে দেয়, তার বিরুদ্ধে যদি মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়, তাহলে শুধু সংগঠনগুলো ধ্বংস হবে তা নয়, গোটা সমাজব্যবস্থা, সমাজের উন্নতির সমস্ত সম্ভাবনা রুদ্ধ হবে।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আজকে যে বাংলাদেশ দেখছি, এই বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনো দিন দেখিনি। আজকে ডেইলি স্টার নয়, প্রথম আলো নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে সেই জায়গায় আঘাত এসেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক চিন্তা, দল, সংগঠন নয়, সকল গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসেছে। আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই।’
সভা সঞ্চালনা করছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। আরও উপস্থিত আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্সের’ প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
সভায় সূচনা বক্তব্যে নূরুল কবীর বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছে, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দমকল বাহিনী আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীটি চেয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন চারপাশ থেকে লাগিয়ে যাদের সঙ্গে তাদের মতান্তর, তাদের পুড়িয়ে মারতে।’
নূরুল কবীর বলেম, ‘এটা পৃথিবীর কোনো সমাজ যদি সহ্য করে, যদি সেটা এগিয়ে যেতে দেয়, তার বিরুদ্ধে যদি মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়, তাহলে শুধু সংগঠনগুলো ধ্বংস হবে তা নয়, গোটা সমাজব্যবস্থা, সমাজের উন্নতির সমস্ত সম্ভাবনা রুদ্ধ হবে।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আজকে যে বাংলাদেশ দেখছি, এই বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনো দিন দেখিনি। আজকে ডেইলি স্টার নয়, প্রথম আলো নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে সেই জায়গায় আঘাত এসেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক চিন্তা, দল, সংগঠন নয়, সকল গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসেছে। আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই।’
সভা সঞ্চালনা করছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। আরও উপস্থিত আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। নাইম লুট করা টাকা দিয়ে টিভি ও ফ্রিজ কিনেছিলেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন। এগুলোও অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় নাইমের কাছ থেকে লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
তবে ১ লাখ ২৩ টাকা কোন ভবন থেকে লুট করেন নাইম এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার রাকিব হোসেনকে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি ফেসবুকে তাঁর আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে বাকি দু’জনের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবন এবং ছায়ানট ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর তোপখানায় উদীচী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে এর পরদিন ১৯ ডিসেম্বর।

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। নাইম লুট করা টাকা দিয়ে টিভি ও ফ্রিজ কিনেছিলেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন। এগুলোও অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় নাইমের কাছ থেকে লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
তবে ১ লাখ ২৩ টাকা কোন ভবন থেকে লুট করেন নাইম এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার রাকিব হোসেনকে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি ফেসবুকে তাঁর আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে বাকি দু’জনের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবন এবং ছায়ানট ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর তোপখানায় উদীচী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে এর পরদিন ১৯ ডিসেম্বর।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কার্যালয়।
এর পরপরই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কার্যালয়।
এর পরপরই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৯ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
১ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে