শাহজালালে বড় পরিসরে আগামী সপ্তাহে চালু হচ্ছে করোনা ল্যাব

বিমানবন্দরের করোনা পরীক্ষাগারের স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেসরকারি ৬টি প্রতিষ্ঠানে চালু হয় বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা। যাত্রীদের সুবিধা বাড়ানো ও পরীক্ষাগার সম্প্রসারিত করতে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সেগুলো বিমানবন্দরের পার্কিংয়ের নিচ তলায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার পরীক্ষাগারের নতুন স্থান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের দেওয়া শর্তানুযায়ী আমরা তড়িঘড়ি করে কয়েকটি পরীক্ষাগার চালু করেছিলাম। এতে করে যাত্রীদের বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের ভোগান্তির শিকার হতে হতো। তাই আমরা সেটি সরিয়ে ৩৬ হাজার স্কয়ার ফিটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘নতুন এই জায়গায় পরীক্ষাসহ নিবন্ধন, বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এমনকি ভিআইপিদের জন্যও নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করি বিদেশগামী সকল যাত্রীর এত দিন যে পরীক্ষার জায়গার অভাব ছিল, সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল সেটি আর থাকবে না। এখন নির্বিঘ্নে করা যাবে।’

জায়গা বেড়ে যাওয়ায় এখন বিমানবন্দরে পরীক্ষাগারের সংখ্যাও বাড়ানো হবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যাত্রী বেশি হলে অবশ্যই বাড়বে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো বলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া গেছে। আমাদের হাতে এই মুহূর্তে ৪ কোটি ভ্যাকসিন মজুত আছে। সবাইকে তাই টিকা নিতে হবে।’

ওমিক্রন নিয়ে বাংলাদেশ সতর্ক রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন এই ধরন নিয়ে অন্যান্য দেশের ন্যায় আমরা চিন্তিত না হলেও সতর্ক রয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রনকে শতভাগ সংক্রমণশীল বললেও এখনো এটিতে কোথাও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। 

ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন, তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নতুন করে যারা আসবে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে  থাকতে হবে। তবে আগের মতো এবারের কোয়ারেন্টিনে ব্যবস্থা সহজ হবে না। কেউ যাতে পালিয়ে না যায় সে জন্য পাসপোর্ট রাখা হবে। একই সঙ্গে যে হোটেল থেকে পালিয়ে যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বুস্টার ডোজের বিষয়ে আবারও কথা বলেন মন্ত্রী। যাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে তাদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। সেটি হলে দেওয়া শুরু হবে।