Ajker Patrika

পাইপলাইনে তেল সরবরাহ

জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত খুলছে আজ

  • অয়েল ট্যাংকারের পরিবর্তে পাইপলাইনেই নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা ডিপোতে যাবে জ্বালানি তেল।
  • গত ২২ জুন পরীক্ষামূলকভাবে এই পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার। উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পের (সিডিপিএল) পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, তেল পরিবহনে শতাধিক কোস্টাল ট্যাংকারে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন ১২ ঘণ্টায় জ্বালানি তেল নারায়ণগঞ্জের ডিপোতে পৌঁছাবে। খারাপ আবহাওয়ার কারণেও নৌপথে ট্যাংকারে তেল পরিবহন বিঘ্নিত হতো এবং ঝুঁকির সৃষ্টি হতো। এই পাইপলাইন সেই সমস্যার সমাধান করে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনের পর নদীপথে অয়েল ট্যাংকারের পরিবর্তে পাইপলাইনেই নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা ডিপোতে জ্বালানি তেল পাঠানো হবে। ২৪২ কিলোমিটার পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন ডিজেল যাবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে।

এর আগে গত ২২ জুন পরীক্ষামূলকভাবে এই পাইপলাইনে তেল পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একজন কর্মকর্তা জানান, গত ২২ জুন পতেঙ্গা গুপ্তখাল থেকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির দুই ট্যাংকের ১৮-২০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর মেঘনা অয়েল কোম্পানির দুটি ট্যাংকের ১৬-১৮ হাজার টন ডিজেল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সবকিছু স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনে মনিটরিং করা হয়েছে, পাইপলাইনে তেল পাঠাতে কোনো জটিলতা হয়নি। এ লাইনে ঘণ্টায় ৩২০ টন জ্বালানি পাঠানোর সক্ষমতা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন পাঠানো হয়েছে। পদ্মা, মেঘনার পর পাইপলাইনে তেল যায় যমুনার ডিপোতে। পাইপলাইনে তেল গেছে কুমিল্লার ডিপোতেও। পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি পিএলসি (পিটিসিপিএলসি) ও প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এই জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি তদারকি করেছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, বছরে ৫০ লাখ টন জ্বালানি তেল সরবরাহের সক্ষমতাসহ জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত, সিস্টেম লস কমানো, নৌপথে তেল পরিবহনের বিপুল খরচ সাশ্রয়, পরিবেশ সুরক্ষা, ঝুঁকিমুক্তভাবে দ্রুততম সময়ে তেল পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা পাইপলাইন প্রকল্পে বছরে আয় হবে ৩২৬ কোটি। পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন খাতে খরচ হবে ৯০ কোটি টাকা।

প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গুপ্তখাল থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ২৪১ দশমিক ২৮ কিলোমিটার পাইপলাইন। ভূগর্ভে স্থাপন করা এসব পাইপলাইনের ব্যাস ১৬ ইঞ্চি। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার পাইপলাইন। এসব পাইপলাইনের ব্যাস ১৬ ইঞ্চির পরিবর্তে ১০ ইঞ্চি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত