নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘জঙ্গি আল আমিন কারাগারের মতো সুরক্ষিত জায়গায় থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাশিমপুর কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিনের সহায়তায় পলাতক আসামি আনোয়ার আলী হৃদয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করত।’ পুলিশ সদর দপ্তরে গত ২৫ এপ্রিল পাঠানো ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এই তালিকায় যেমন জঙ্গিদের নাম আছে, তেমনি আছেন এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনির মালিক রফিকুল আমীনেরা।
আর প্রভাবশালী বন্দীরা মূলত বিপুল অর্থের বিনিময়ে কারাগারের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই কাজে লাগিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণে ওই হাইপ্রোফাইল বন্দীদের কারাগারে আটক রাখার মূল্য উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও কারা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে কারাগার ও প্রিজন্স সেলের কারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তা উঠে এসেছে। যদিও তাঁদের তেমন কোনো শাস্তির কথা এখনো শোনা যায়নি।
বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশিমপুর কারাগারে বন্দী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতা আল আমিন, নাহিদ তাসনিম, আবু সাঈদ ও ফয়সাল বাইরে থাকা জঙ্গি আসিফুর রহমান আসিফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। কারাবন্দী জঙ্গিদের নির্দেশনায় আনোয়ার আলী, হাফিজুল শেখ, আবু সালেহ, সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করত। অর্থ সংগ্রহ করত।
সেই অর্থের অংশ কাশিমপুর কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিন, মিন্টু মিয়া, কয়েদি সামিউল, শরিফুল, শাহীন এবং কারাগারের খাদ্য সরবরাহের ভ্যানচালক আলালের সহযোগিতায় জেএমবির শীর্ষ নেতা নাহিদ তাসনীম, আল আমিন, আবু সাঈদ ও ফয়সালের কাছে পাঠাত। বাইরে থাকা জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পর তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপসের কথোপকথন, খুদে বার্তা, ভয়েস বার্তা ও অন্যান্য এসএমএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তা ছিল কারাবন্দী জঙ্গিদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে মূলত জড়িত থাকে কারারক্ষীরা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব টাকার ভাগ পান। বড় থেকে ছোট–সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। হাইসিকিউরিটি জেলে বসে জঙ্গিরা যদি এমন সুবিধা পায়, তাহলে ভয়ানক আতঙ্কের বিষয়।
যদিও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারাগারের ভেতর নিয়মিত তল্লাশি চালানো হয়। অনেক আগে ২-১ বার মোবাইল কিংবা মাদক পাওয়া গেছে। তখন বন্দীরা আদালতে যেত। কিন্তু এখন তো কোর্ট বন্ধ। আদালতে না যাওয়ায় এগুলোর সুযোগও নেই। ফলে এ ধরনের ঘটনা নাই বললেই চলে।’ সব জায়গায় কিছু দুষ্ট লোক থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারাগারে জ্যামার আছে। কিন্তু জ্যামার তো মোবাইলের নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় না। জ্যামার বিঘ্ন ঘটনায়। তারপরও আমরা নিজেদের কর্মচারীদের তল্লাশি করেই ভেতরে ঢোকাই। এরপর কারাগারের ভেতরেও মাঝেমধ্যে ঝটিকা অভিযান চালাই।’ কারাগারের ভেতরে থেকে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। গাজীপুরের পুলিশও তদন্ত করে দেখছে। আমরা কারাগারে বিধিবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ড চলতে দেব না। তার কোনো সুযোগও নেই।’
এদিকে, রফিকুল আমীন কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির কাছে বলেছেন, তিনি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ৫-১০ মিনিটের কয়েকটি অডিও কলে সংযুক্ত ছিলেন। সেখানে রাষ্ট্র কিংবা সমাজবিরোধী কোনো বক্তব্য ছিল না। রফিকুল আমীন বলেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন তাঁর কোম্পানির সাবেক সচিব মিজানুর রহমান ও আরও কিছু পথভ্রষ্ট বিনিয়োগকারী। মোবাইল ফোন সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি বলেন, আউটডোরে রেগুলার চেকআপের সময় শাহীন নামে এক বিনিয়োগকারী স্যামসাং বাটন ফোনটি তাঁকে দেন। মোবাইল নিয়ে প্রবেশের সময় প্রিজন্স সেলের কোনো কর্মচারী তাঁকে তল্লাশি করেননি। এ ছাড়া বিশ্বনাথ পোদ্দার নামে একজন ব্যক্তি তাঁর কাছে আসতেন। তিনি ওষুধপথ্য নিয়ে আসতেন।’
কারাগারে বসে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলেন উল্লেখ করে রফিকুল আমীন বলেছেন, ‘তাঁকে বিশেষ কারাগারে রেখে ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া, ফোনে মিটিং করা, ব্যবসায়িক মিটিং, রেজল্যুশন সই করার অনুমতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন পাঠিয়েছিলেন। আবেদনপত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে অপেক্ষমাণ। তাই সরল বিশ্বাসে করা তাঁর মোবাইল ফোনে মিটিং করা আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে কখনো মনে হয়নি।’
প্রিজন্স সেলে বসে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের জুম মিটিংয়ের ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে এসব অপকর্ম হয়। কারাগারে বসেও যদি একজন অপরাধী বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালাতে পারে, তাহলে কারাগারের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। শুধু কারারক্ষীদের মধ্যে শাস্তি সীমাবন্ধ না রেখে সর্বস্তরের অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারাবন্দী ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের দুই মাসে পাঁচবার জুমে মিটিং করার ঘটনায় ১২ কারারক্ষীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। চারজন ডেপুটি জেলার ও একজন প্রধান কারারক্ষীকে ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রিজন্স সেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কারাগারে লোকবল বৃদ্ধিসহ তদন্ত কমিটি ১৯ দফা পরামর্শ দেয়।
‘জঙ্গি আল আমিন কারাগারের মতো সুরক্ষিত জায়গায় থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাশিমপুর কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিনের সহায়তায় পলাতক আসামি আনোয়ার আলী হৃদয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করত।’ পুলিশ সদর দপ্তরে গত ২৫ এপ্রিল পাঠানো ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এই তালিকায় যেমন জঙ্গিদের নাম আছে, তেমনি আছেন এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনির মালিক রফিকুল আমীনেরা।
আর প্রভাবশালী বন্দীরা মূলত বিপুল অর্থের বিনিময়ে কারাগারের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই কাজে লাগিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণে ওই হাইপ্রোফাইল বন্দীদের কারাগারে আটক রাখার মূল্য উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও কারা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে কারাগার ও প্রিজন্স সেলের কারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তা উঠে এসেছে। যদিও তাঁদের তেমন কোনো শাস্তির কথা এখনো শোনা যায়নি।
বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশিমপুর কারাগারে বন্দী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতা আল আমিন, নাহিদ তাসনিম, আবু সাঈদ ও ফয়সাল বাইরে থাকা জঙ্গি আসিফুর রহমান আসিফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। কারাবন্দী জঙ্গিদের নির্দেশনায় আনোয়ার আলী, হাফিজুল শেখ, আবু সালেহ, সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করত। অর্থ সংগ্রহ করত।
সেই অর্থের অংশ কাশিমপুর কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিন, মিন্টু মিয়া, কয়েদি সামিউল, শরিফুল, শাহীন এবং কারাগারের খাদ্য সরবরাহের ভ্যানচালক আলালের সহযোগিতায় জেএমবির শীর্ষ নেতা নাহিদ তাসনীম, আল আমিন, আবু সাঈদ ও ফয়সালের কাছে পাঠাত। বাইরে থাকা জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পর তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপসের কথোপকথন, খুদে বার্তা, ভয়েস বার্তা ও অন্যান্য এসএমএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তা ছিল কারাবন্দী জঙ্গিদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে মূলত জড়িত থাকে কারারক্ষীরা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব টাকার ভাগ পান। বড় থেকে ছোট–সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। হাইসিকিউরিটি জেলে বসে জঙ্গিরা যদি এমন সুবিধা পায়, তাহলে ভয়ানক আতঙ্কের বিষয়।
যদিও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারাগারের ভেতর নিয়মিত তল্লাশি চালানো হয়। অনেক আগে ২-১ বার মোবাইল কিংবা মাদক পাওয়া গেছে। তখন বন্দীরা আদালতে যেত। কিন্তু এখন তো কোর্ট বন্ধ। আদালতে না যাওয়ায় এগুলোর সুযোগও নেই। ফলে এ ধরনের ঘটনা নাই বললেই চলে।’ সব জায়গায় কিছু দুষ্ট লোক থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারাগারে জ্যামার আছে। কিন্তু জ্যামার তো মোবাইলের নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় না। জ্যামার বিঘ্ন ঘটনায়। তারপরও আমরা নিজেদের কর্মচারীদের তল্লাশি করেই ভেতরে ঢোকাই। এরপর কারাগারের ভেতরেও মাঝেমধ্যে ঝটিকা অভিযান চালাই।’ কারাগারের ভেতরে থেকে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। গাজীপুরের পুলিশও তদন্ত করে দেখছে। আমরা কারাগারে বিধিবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ড চলতে দেব না। তার কোনো সুযোগও নেই।’
এদিকে, রফিকুল আমীন কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির কাছে বলেছেন, তিনি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ৫-১০ মিনিটের কয়েকটি অডিও কলে সংযুক্ত ছিলেন। সেখানে রাষ্ট্র কিংবা সমাজবিরোধী কোনো বক্তব্য ছিল না। রফিকুল আমীন বলেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন তাঁর কোম্পানির সাবেক সচিব মিজানুর রহমান ও আরও কিছু পথভ্রষ্ট বিনিয়োগকারী। মোবাইল ফোন সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি বলেন, আউটডোরে রেগুলার চেকআপের সময় শাহীন নামে এক বিনিয়োগকারী স্যামসাং বাটন ফোনটি তাঁকে দেন। মোবাইল নিয়ে প্রবেশের সময় প্রিজন্স সেলের কোনো কর্মচারী তাঁকে তল্লাশি করেননি। এ ছাড়া বিশ্বনাথ পোদ্দার নামে একজন ব্যক্তি তাঁর কাছে আসতেন। তিনি ওষুধপথ্য নিয়ে আসতেন।’
কারাগারে বসে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলেন উল্লেখ করে রফিকুল আমীন বলেছেন, ‘তাঁকে বিশেষ কারাগারে রেখে ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া, ফোনে মিটিং করা, ব্যবসায়িক মিটিং, রেজল্যুশন সই করার অনুমতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন পাঠিয়েছিলেন। আবেদনপত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে অপেক্ষমাণ। তাই সরল বিশ্বাসে করা তাঁর মোবাইল ফোনে মিটিং করা আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে কখনো মনে হয়নি।’
প্রিজন্স সেলে বসে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের জুম মিটিংয়ের ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে এসব অপকর্ম হয়। কারাগারে বসেও যদি একজন অপরাধী বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালাতে পারে, তাহলে কারাগারের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। শুধু কারারক্ষীদের মধ্যে শাস্তি সীমাবন্ধ না রেখে সর্বস্তরের অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারাবন্দী ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের দুই মাসে পাঁচবার জুমে মিটিং করার ঘটনায় ১২ কারারক্ষীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। চারজন ডেপুটি জেলার ও একজন প্রধান কারারক্ষীকে ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রিজন্স সেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কারাগারে লোকবল বৃদ্ধিসহ তদন্ত কমিটি ১৯ দফা পরামর্শ দেয়।
হজ পারমিট বা অনুমোদন ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে বিশাল অঙ্কের জরিমানা। শুধু তাই নয়, এভাবে হজ পালনে যাঁরা সহায়তা করবেন, তাদের গুনতে হবে কয়েক গুণ জরিমানা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
৬ মিনিট আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৬৬৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৬৮ জন। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ জনকে।
১৩ ঘণ্টা আগেপুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে১৮৬১ সালের পুলিশ আইনেই গন্ডগোল আছে উল্লেখ করে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, সংস্কার কমিশন পুলিশের বিষয়ে বলছে অনেক বিষয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি দরকার হয়, তাহলে এই সংস্কার কমিশনের কী দরকার। অথচ গন্ডগোল ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনে। তা নিয়ে সংস্কার কমিশন কিছু বলছে না।
১৬ ঘণ্টা আগে