Ajker Patrika

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

  • সমুদ্র থেকে ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইনে জ্বালানি আসবে চট্টগ্রামে
  • পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা
  • দামি যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ১০: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাসে ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে (জিটুজি) চুক্তির ভিত্তিতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি প্রায় ১০ মাস আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বুঝে নেয়। কিন্তু ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ (এসপিএম) নামের এ প্রকল্প পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কার মাধ্যমে এ কাজ করা হবে, এটি ঠিক না হওয়ায় এক বছর ধরে অলস পড়ে রয়েছে বড় বাজেটের প্রকল্পটি। এতে দামি যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হচ্ছে।

বড় জাহাজ থেকে প্রথাগত লাইটারেজ (ছোট) জাহাজের জ্বালানি সরবরাহের বদলে এ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছে পাইপলাইন। আমদানি করা জ্বালানি তেল গভীর সমুদ্র থেকে ১১০ কিলোমিটার করে দুটি সমান্তরাল পাইপলাইনের মাধ্যমে যাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। এতে পরিবহনের সময় ১০-১২ দিনের বদলে নেমে আসবে ৪৮ ঘণ্টায়। বছরে সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা।

২০১৫ সালে ডিপিপি তৈরির পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এসপিএম বাস্তবায়নের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকলেও পরে দফায় দফায় বাড়ে প্রকল্পের মেয়াদ; ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

প্রথম দফায় ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর জাহাজ থেকে সাগরের তলদেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়ায় ট্যাংক টার্মিনালে নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সাগরের তলদেশে ও স্থলপথে ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হয়। প্রথম দফায় ৪০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনা হয় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। এর আগে ১ মার্চ আরেকটি পাইপলাইনে ৩০ হাজার টন ডিজেল পরিবহন করে পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আনা হয়েছিল।

গত বছরের মার্চে সফলভাবে সম্পন্ন হয় এসপিএমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ও কমিশনিং। আগস্টে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রকল্পটি বুঝে নেয় বিপিসি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বিদেশি অপারেটর নিয়োগে দেরির কারণেই এখনো অধরা এসপিএমের সুফল।

চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং নির্মাণকাজ শেষ করলেও চুক্তিতে অপারেশনাল প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সাধারণত যে কোম্পানি এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, তারাই এটি পরিচালনা করে ও স্থানীয় জনবলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মাসুদ করিম বলেন, মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহন করা হয়েছে। অর্থাৎ দুটি পাইপলাইনে তেল পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হয়েছে।

প্রকৌশলী মাসুদ করিম বলেন, কমিশনিংয়ের বছর পার হলেও শুরু হয়নি এসপিএমের বাণিজ্যিক ব্যবহার। কারণ প্রকল্পে অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স কে করবেন, তা ছিল না। ফলে নির্মাণকাজ শেষ হলেও বাণিজ্যিক অপারেশনে যাওয়া যাচ্ছে না। এতে এক বছর ধরে অলস পড়ে রয়েছে গোটা প্রকল্প। ফলে প্রতি মাসেই রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মাসুদ করিম বলেন, যাঁরা আগে এ কাজটি করেছেন, বিশেষ আইনে তাঁদের দিয়েই করানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে বিশেষ আইন যেহেতু এখন আর নেই, তাই নতুন করে আবার টেন্ডার করতে হচ্ছে। গত ৩০ এপ্রিল টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এতে কিছুটা সময় লাগছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগস্টের দিকে চুক্তি হলে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক অপারেশনে যাওয়া যাবে।

এসপিএম প্রকল্পের আওতায় বছরে সঞ্চালন করা যাবে ৪৫ লাখ টন ডিজেল, আর একই পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। বিপরীতে দেশে এখন বার্ষিক পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে কেবল ১৫ লাখ টনের।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড. ইউনূসকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্য পরিপন্থী’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৯
ড. ইউনূসকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্য পরিপন্থী’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’

ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।

সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।

এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’

মাহবুবুল আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।

সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আদায় এক মাসের জন্য স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এক মাসের জন্য মাশুল আদায় স্থগিত করে রুল জারি করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবায় আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

এই মাশুল কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, তা জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সার্কুলার দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে ওই সার্কুলার ও প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটির পক্ষ থেকে রিট করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১২০০ কোটি টাকা পাচার: ১৭ মামলায় সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযোগপত্র

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৩২
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

বিদেশে বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জন বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আজ রোববার বিকেলে সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, এসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঞ্চপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।

তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল শাখা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত না এনে বিদেশে পাচার করা হয়। অর্থগুলো দুবাইভিত্তিক আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।

আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি দেখানো হলেও সেই অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি। এভাবে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা করে।

এসব মামলায় আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করে সিআইডি।

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি ও স্থাপনা, গুলশানের ‘দ্য এনভয়’ ভবনের ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান ৬৮/এ সড়কের ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।

এ ছাড়া আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।

১৭টি মামলায় মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেন সিআইডির প্রধান। সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এসব মামলায় এরই মধ্যে জেলহাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমানকে চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

রাষ্ট্রের অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যের সংখ্যা কমছে না।

আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক কোর কমিটির সভা হয়েছিল। ওই সভার সূত্র ধরেই কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত