নিজস্ব প্রতিবেদক, মাওয়া থেকে
উদ্বোধন ঘোষণার পর সেতুর মাওয়া প্রান্তে নির্ধারিত টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে তিনি এই সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন এবং মোনাজাতে অংশ নেবেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ শনিবার উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আয়োজন করা হয় সুধী সমাবেশের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর উদ্বোধন দেখতে লাখো মানুষ ভিড় করেছে মাওয়া প্রান্তে। সবার মধ্যে এক অন্যরকম আবেগ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও জানান তাঁর আবেগের কথা।
সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার-কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়; এই সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের।’
এই সেতু বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রতীক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা। ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু আমরা হতোদ্যম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ “দাবায়ে রাখতে পারবে না”, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার পঙ্ক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি জাতি কখনো মাথা নোয়ায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাথা নোয়াননি। তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তাঁরই নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছি। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেতুটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমাবেশ মঞ্চে ছবি তোলেন। এই আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী যাত্রা করেন সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজার দিকে। মোনাজাতের পর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন তিনি। পরে তাঁকে বহনকারী গাড়িবহর পদ্মা সেতুতে ওঠে। মাওয়া থেকে জাজিরাগামী এই গাড়িবহরই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পার হওয়া কোনো গাড়িবহর। তাঁর এই যাত্রার মধ্য দিয়েই পদ্মার বিচ্ছিন্ন দুই পাড় আজ এক হলো।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন। সেখানে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন। সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। এরপর কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভা শেষে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২-এর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। পরে জাজিরা প্রান্ত থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
উদ্বোধন ঘোষণার পর সেতুর মাওয়া প্রান্তে নির্ধারিত টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে তিনি এই সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন এবং মোনাজাতে অংশ নেবেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ শনিবার উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আয়োজন করা হয় সুধী সমাবেশের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর উদ্বোধন দেখতে লাখো মানুষ ভিড় করেছে মাওয়া প্রান্তে। সবার মধ্যে এক অন্যরকম আবেগ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও জানান তাঁর আবেগের কথা।
সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার-কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়; এই সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের।’
এই সেতু বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রতীক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা। ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু আমরা হতোদ্যম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ “দাবায়ে রাখতে পারবে না”, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার পঙ্ক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি জাতি কখনো মাথা নোয়ায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাথা নোয়াননি। তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তাঁরই নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছি। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেতুটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমাবেশ মঞ্চে ছবি তোলেন। এই আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী যাত্রা করেন সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজার দিকে। মোনাজাতের পর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন তিনি। পরে তাঁকে বহনকারী গাড়িবহর পদ্মা সেতুতে ওঠে। মাওয়া থেকে জাজিরাগামী এই গাড়িবহরই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পার হওয়া কোনো গাড়িবহর। তাঁর এই যাত্রার মধ্য দিয়েই পদ্মার বিচ্ছিন্ন দুই পাড় আজ এক হলো।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন। সেখানে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন। সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। এরপর কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভা শেষে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২-এর উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। পরে জাজিরা প্রান্ত থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আপাতত পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়াই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার শর্তে সিরাজগঞ্জের ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফেরার পরদিন রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক।
৪ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ ১২২ জন নাগরিক। তাঁরা মনে করেন, আবুল বারকাতকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানান তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে