অনলাইন ডেস্ক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘কৃষিকে পানি থেকে বা পানিকে কৃষি থেকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি দেশের মানুষের প্রধান চাহিদাই হচ্ছে খাদ্য। করোনায় মানুষ বা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী স্থান থেকে অস্থিরতা শুরু হলো ধান কাটবে কে, শ্রমিক কোথায় পাওয়া যাবে। এখন যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশন কাজ করছে, তাদের কাছে এ দাবি তুলতে হবে—খাদ্যের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কৃষিখাতে জলবায়ুর প্রভাব ও করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএআরএফ)।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা হাইব্রিড যুগে পৌঁছে গেছি। খাদ্য বলেন আর যা কিছু বলেন আমাদের সবকিছু বেশি করে উৎপাদন করতে হবে। রাষ্ট্রও অধিক পরিমাণ খাদ্য উৎপাদনে পুশ করছে। আমাদের অধিক খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনেও মনোযোগ দিতে হবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে আগে প্রতি হেক্টরে ৮.৫ কেজি কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা হতো বর্তমানে তা ৭০০ কেজিতে পৌঁছেছে। এটি একটি ভয়ংকর অবস্থা। ২০০৫ সালে ১২ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক আমদানি করা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে তা ২৭ হাজারে টনে উন্নীত হয়। অর্থাৎ আমরা দ্বিগুণের বেশি কীটনাশক আমদানি করছি। এসব কীটনাশক আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের প্রতি হেক্টর জমিতে যেখানে ৯৮ টাকার কীটনাশক লাগার কথা থাকলেও বর্তমানে তা লাগছে ৮৮২ টাকার। এর সবকিছু খাদ্যচক্রের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যাচ্ছে। তাই শুধু খাদ্য ফলালাম এটাতে হবে না বরং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোর দিতে হবে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু সহিষ্ণু জাত যেমন ব্রী ধান ৫২, বীনা ১১ ধানের জাত উৎপাদন করা হচ্ছে। স্মার্ট প্রযুক্তি, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এর প্রভাব মোকাবিলা করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজ এত ব্যাপক, সারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের হাতে, তাদের জন্য প্রতি বছর যে বরাদ্দ থাকে সেটা অনেক বড় একক প্রকল্পের চেয়েও কম। এই জায়গায় পরিবর্তন দরকার।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একেক দেশে কৃষি উৎপাদনের প্যাটার্ন একেকরকম। উন্নয়নশীল দেশে উৎপাদনে যারা জড়িত তারা নিজের জন্য খাবার রাখেন। আমাদের দেশেও। বাকিটা বিক্রি করেন। অধিকাংশ ফার্মার শিক্ষিত নন। কৃষিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এটা আবহাওয়া ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে প্রাচীন পদ্ধতিতে তারা চাষাবাদ করেন। নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে চান না। তারা সাহস করেন না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. আলী আফজাল। বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘কৃষিকে পানি থেকে বা পানিকে কৃষি থেকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি দেশের মানুষের প্রধান চাহিদাই হচ্ছে খাদ্য। করোনায় মানুষ বা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী স্থান থেকে অস্থিরতা শুরু হলো ধান কাটবে কে, শ্রমিক কোথায় পাওয়া যাবে। এখন যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশন কাজ করছে, তাদের কাছে এ দাবি তুলতে হবে—খাদ্যের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কৃষিখাতে জলবায়ুর প্রভাব ও করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএআরএফ)।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা হাইব্রিড যুগে পৌঁছে গেছি। খাদ্য বলেন আর যা কিছু বলেন আমাদের সবকিছু বেশি করে উৎপাদন করতে হবে। রাষ্ট্রও অধিক পরিমাণ খাদ্য উৎপাদনে পুশ করছে। আমাদের অধিক খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনেও মনোযোগ দিতে হবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে আগে প্রতি হেক্টরে ৮.৫ কেজি কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা হতো বর্তমানে তা ৭০০ কেজিতে পৌঁছেছে। এটি একটি ভয়ংকর অবস্থা। ২০০৫ সালে ১২ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক আমদানি করা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে তা ২৭ হাজারে টনে উন্নীত হয়। অর্থাৎ আমরা দ্বিগুণের বেশি কীটনাশক আমদানি করছি। এসব কীটনাশক আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের প্রতি হেক্টর জমিতে যেখানে ৯৮ টাকার কীটনাশক লাগার কথা থাকলেও বর্তমানে তা লাগছে ৮৮২ টাকার। এর সবকিছু খাদ্যচক্রের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যাচ্ছে। তাই শুধু খাদ্য ফলালাম এটাতে হবে না বরং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোর দিতে হবে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু সহিষ্ণু জাত যেমন ব্রী ধান ৫২, বীনা ১১ ধানের জাত উৎপাদন করা হচ্ছে। স্মার্ট প্রযুক্তি, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এর প্রভাব মোকাবিলা করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজ এত ব্যাপক, সারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের হাতে, তাদের জন্য প্রতি বছর যে বরাদ্দ থাকে সেটা অনেক বড় একক প্রকল্পের চেয়েও কম। এই জায়গায় পরিবর্তন দরকার।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একেক দেশে কৃষি উৎপাদনের প্যাটার্ন একেকরকম। উন্নয়নশীল দেশে উৎপাদনে যারা জড়িত তারা নিজের জন্য খাবার রাখেন। আমাদের দেশেও। বাকিটা বিক্রি করেন। অধিকাংশ ফার্মার শিক্ষিত নন। কৃষিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এটা আবহাওয়া ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে প্রাচীন পদ্ধতিতে তারা চাষাবাদ করেন। নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে চান না। তারা সাহস করেন না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. আলী আফজাল। বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩০ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে