সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াতের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়ক উন্নয়নের টাকা দিয়ে নিজের বাড়ির সড়ক মেরামত ও পাকা করার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। অনিয়মের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানান দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কটি মেরামত ও কার্পেটিং করার জন্য দুটি প্যাকেজে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে না করে বিচারপতি খিজির হায়াত প্রভাব খাঁটিয়ে নিজের বাড়ির ভেতরের প্রবেশপথের প্রায় ৬৫ মিটার রাস্তা পাকা করান, যার আনুমানিক ব্যয় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৬ টাকা।
সূত্রটি জানায়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগে বর্ণিত প্রকল্পসহ কয়েকটি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের প্রমাণ পায়।
দুদক সূত্রটি জানায়, প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াত বাড়ির ভেতরে প্রবেশের সড়ক মেরামত ও পাকা করিয়ে নেন, যা সরকারি প্রকল্প উন্নয়নকাজের নীতি ও নিয়মবহির্ভূত বিষয়।
রাস্তার কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব সরেজমিনে কম পাওয়া যায়। ঠিকাদার ওই রাস্তার মান খারাপ করলেও সাবেক বিচারপতির বাসভবনের সামনে নির্মিত অংশে মান ঠিক রেখে কাজ করা হয়েছে। সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা করিয়ে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে বলে জানায় দুদক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিচারপতির জমির ওপর রাস্তা পড়ায় অনেকাংশে কার্পেটিং করতে দেওয়া হয়নি। ফলে জনগণের চলাচলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।
এসব বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা দুদক কার্যালয় থেকে কমিশনের কাছে তথ্য-উপাত্তসহ অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছি সূত্রটি। এসব অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সুপারিশ করবে বলেও জানায়।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, কাজ সম্পন্ন না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি এলজিইডি অফিসে আজকে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চলতি বছরের ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী সে সময় রাষ্ট্রপতি তাঁকে অপসারণ করেন।
আরও খবর পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াতের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়ক উন্নয়নের টাকা দিয়ে নিজের বাড়ির সড়ক মেরামত ও পাকা করার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। অনিয়মের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানান দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কটি মেরামত ও কার্পেটিং করার জন্য দুটি প্যাকেজে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে না করে বিচারপতি খিজির হায়াত প্রভাব খাঁটিয়ে নিজের বাড়ির ভেতরের প্রবেশপথের প্রায় ৬৫ মিটার রাস্তা পাকা করান, যার আনুমানিক ব্যয় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৬ টাকা।
সূত্রটি জানায়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগে বর্ণিত প্রকল্পসহ কয়েকটি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের প্রমাণ পায়।
দুদক সূত্রটি জানায়, প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াত বাড়ির ভেতরে প্রবেশের সড়ক মেরামত ও পাকা করিয়ে নেন, যা সরকারি প্রকল্প উন্নয়নকাজের নীতি ও নিয়মবহির্ভূত বিষয়।
রাস্তার কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব সরেজমিনে কম পাওয়া যায়। ঠিকাদার ওই রাস্তার মান খারাপ করলেও সাবেক বিচারপতির বাসভবনের সামনে নির্মিত অংশে মান ঠিক রেখে কাজ করা হয়েছে। সাবেক বিচারপতি খিজির হায়াত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা করিয়ে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে বলে জানায় দুদক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিচারপতির জমির ওপর রাস্তা পড়ায় অনেকাংশে কার্পেটিং করতে দেওয়া হয়নি। ফলে জনগণের চলাচলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।
এসব বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা দুদক কার্যালয় থেকে কমিশনের কাছে তথ্য-উপাত্তসহ অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছি সূত্রটি। এসব অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সুপারিশ করবে বলেও জানায়।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, কাজ সম্পন্ন না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি এলজিইডি অফিসে আজকে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চলতি বছরের ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী সে সময় রাষ্ট্রপতি তাঁকে অপসারণ করেন।
আরও খবর পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৮ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে