আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা আকস্মিক নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ধর্মান্ধদের উত্থান আকস্মিক ছিল না, অপ্রত্যাশিতও ছিল না। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দেখা গেছে, দেশের এক বিরাটসংখ্যক মানুষকে জামায়াত এবং অন্যান্য ধর্মান্ধ দল প্রভাবিত করে রেখেছিল। পাকিস্তান ও আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশের যে মূল স্তম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতা, তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছিল, কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে।
বঙ্গবন্ধু এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় পরিচালনা করার জন্য তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর নির্মম রক্তস্নাত প্রস্থানের মধ্য দিয়ে ধ্বংস করা হয়। দীর্ঘ ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি।
এখানেই আমাদের পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পরে দেশের অনেক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু যে মূল ব্যবস্থাটা বঙ্গবন্ধু চালু করেছিলেন, তা শক্তিশালী করা যায়নি। আজ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বারবার যে উত্থান ঘটেছে, তা রোধ না করা গেলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা যাবে না।
গত অষ্টমী-নবমী-দশমীর দিন হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী, পীরগঞ্জে যে রক্তপাত ঘটেছে, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বারবারই এই ধর্মান্ধ শক্তি কখনো জামায়াতের বেশে, কখনো হেফাজতের বেশে মাথা তুলেছে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। আমরা যদি দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে না পারি, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রই শেষপর্যন্ত সফল হবে এবং আফগানিস্তান থেকে তালেবানের বাংলাদেশে আসার পথ করে দেওয়া হবে।
দেশের অবস্থা শুনে আমি বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে লন্ডনে একটি হাসপাতালে রোগশয্যায় শুয়ে গভীর হতাশা বোধ করছি। এই দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমাদের সব স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি ধর্মান্ধ বাংলাদেশ তৈরি হবে কখনো তা চিন্তা করিনি। তাই রোগশয্যায় শুয়ে দেশের তরুণসমাজের কাছে আহ্বান জানাই দানবের বিরুদ্ধে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। বিদায়ের আগে ডাক দিয়ে যাই, দানবের সঙ্গে সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে।
শেখ হাসিনার কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, সময় থাকতে সঠিক সঙ্গীদের বেছে নিন। সামনে যে ভয়াবহ সংগ্রাম আসছে, তাতে পরীক্ষিত সঙ্গী দরকার। যারা সুবিধাবাদী এসে জুটেছে, তাদের হাত থেকে আওয়ামী লীগকে মুক্ত করুন। দেশের তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখান। দেশকে রক্ষা করুন। বঙ্গবন্ধুর চিহ্নিত পথে চলুন। অন্য পথে গেলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না।
গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা আকস্মিক নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ধর্মান্ধদের উত্থান আকস্মিক ছিল না, অপ্রত্যাশিতও ছিল না। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দেখা গেছে, দেশের এক বিরাটসংখ্যক মানুষকে জামায়াত এবং অন্যান্য ধর্মান্ধ দল প্রভাবিত করে রেখেছিল। পাকিস্তান ও আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশের যে মূল স্তম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতা, তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছিল, কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে।
বঙ্গবন্ধু এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় পরিচালনা করার জন্য তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর নির্মম রক্তস্নাত প্রস্থানের মধ্য দিয়ে ধ্বংস করা হয়। দীর্ঘ ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি।
এখানেই আমাদের পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পরে দেশের অনেক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু যে মূল ব্যবস্থাটা বঙ্গবন্ধু চালু করেছিলেন, তা শক্তিশালী করা যায়নি। আজ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির বারবার যে উত্থান ঘটেছে, তা রোধ না করা গেলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা যাবে না।
গত অষ্টমী-নবমী-দশমীর দিন হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী, পীরগঞ্জে যে রক্তপাত ঘটেছে, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বারবারই এই ধর্মান্ধ শক্তি কখনো জামায়াতের বেশে, কখনো হেফাজতের বেশে মাথা তুলেছে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে। আমরা যদি দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে না পারি, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রই শেষপর্যন্ত সফল হবে এবং আফগানিস্তান থেকে তালেবানের বাংলাদেশে আসার পথ করে দেওয়া হবে।
দেশের অবস্থা শুনে আমি বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে লন্ডনে একটি হাসপাতালে রোগশয্যায় শুয়ে গভীর হতাশা বোধ করছি। এই দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমাদের সব স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি ধর্মান্ধ বাংলাদেশ তৈরি হবে কখনো তা চিন্তা করিনি। তাই রোগশয্যায় শুয়ে দেশের তরুণসমাজের কাছে আহ্বান জানাই দানবের বিরুদ্ধে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। বিদায়ের আগে ডাক দিয়ে যাই, দানবের সঙ্গে সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হও ঘরে ঘরে।
শেখ হাসিনার কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, সময় থাকতে সঠিক সঙ্গীদের বেছে নিন। সামনে যে ভয়াবহ সংগ্রাম আসছে, তাতে পরীক্ষিত সঙ্গী দরকার। যারা সুবিধাবাদী এসে জুটেছে, তাদের হাত থেকে আওয়ামী লীগকে মুক্ত করুন। দেশের তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখান। দেশকে রক্ষা করুন। বঙ্গবন্ধুর চিহ্নিত পথে চলুন। অন্য পথে গেলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগে বাংলাদেশকে ‘যুক্ত’ করায় দেশ দুটি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঝামেলা বাড়বে।
১ ঘণ্টা আগেফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
৭ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
১২ ঘণ্টা আগে