আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী নামে এক তরুণ। সেই তরুণের বাবার স্বীকৃতি পেতে আদালতে নালিশি মামলা করেছেন মোহাম্মদ রিপন নামে এক ব্যক্তি।
মোহাম্মদ রিপনের দাবি, নিহত মেহেদী তাঁর ছেলে। কিন্তু মেহেদীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে পিতা হিসেবে রয়েছে মোহামিন মিয়া নামে এক ব্যক্তির নাম। মোহামিন মিয়া মেহেদীর সৎবাবা। মেহেদী নিহত হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকেই সবাই তাঁর বাবা হিসেবে জানে, রিপন মিয়াকে সরকার বা অন্য কেউ শহীদ ছেলের বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ডাকছেন না। তাই তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী। তাঁর মরদেহ তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। রিপন মিয়া নিজেই উপস্থিত থেকে ছেলের দাফন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার গত ২৮ জুলাই নিহত যে ৩৪ জনকে অর্থ-সহায়তা দেয়, সেই তালিকায় মেহেদীর নামও ছিল। তবে মেহেদীর মা কুলসুম বেগম সেখানে তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়াকেই মেহেদীর বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়েও ক্ষিপ্ত রিপন শহীদ ছেলের পিতার স্বীকৃতি পেতে গত সেপ্টেম্বরে আদালতে নালিশি মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মেহেদীর শৈশবে তাঁর বাবা মোহাম্মদ রিপনের সঙ্গে মা কুলসুম বেগমের বিচ্ছেদ হয়। বাবা-মা দুজনেই দ্বিতীয় বিয়ে করে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আলাদা সংসার করছেন। মেহেদী কখনো টাঙ্গাইলে তাঁর দাদা-দাদির সঙ্গে, আবার কখনো মায়ের সঙ্গে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে থাকতেন। বাবার কাছেও আসতেন মাঝে মাঝে। তবে মেহেদীর মৃত্যুর পর তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম মো. মোহামিন মিয়া। যিনি কুলসুম বেগমের বর্তমান স্বামী; অর্থাৎ মেহেদীর সৎবাবা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কুলসুম বেগম, তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়া, কুলসুমের বড় ভাই মো. রফিক, বড় বোন সাথী এবং সাথীর স্বামী চাঁন মিয়া জালিয়াতি করে তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন। তাঁর ছেলে মেহেদী গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
গাড়িচালক রিপনের মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের এসআই রবিউল ইসলাম। ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগির আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
পিবিআই সূত্রটি বলছে, ২০০২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিয়ে হয়। ২০০৬ সালে এই দম্পতির কোলে আসে মেহেদী। তবে ২০১২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিচ্ছেদ হয়। তাঁরা দুজনেই বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামীর নাম মোহামিন মিয়া। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোট্ট মেহেদী দাদা-দাদি, খালা, বাবা ও মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় থেকেছে। তবে বেশির ভাগ সময় থেকেছে মায়ের সঙ্গে। ২০২৩ সালে মেহেদী যে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন, সেখানে বাবার নাম দেন সৎবাবা মোহামিন মিয়ার। ওই এনআইডি কার্ড দিয়ে তিনি পাসপোর্টও তৈরি করেন। তাই পাসপোর্টেও তাঁর বাবার নাম মোহামিন মিয়া।
এ বিষয়ে কুলসুম বেগম বলেন, রিপন কখনো ছেলের খোঁজখবর নিতেন না। ভরণপোষণ দিতেন না। তাই আমার ছেলে তাঁর পরিচয় দিত না। আমার বর্তমান স্বামীকেই সে বাবা বলে জানত। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম মোহামিন মিয়া।
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী নামে এক তরুণ। সেই তরুণের বাবার স্বীকৃতি পেতে আদালতে নালিশি মামলা করেছেন মোহাম্মদ রিপন নামে এক ব্যক্তি।
মোহাম্মদ রিপনের দাবি, নিহত মেহেদী তাঁর ছেলে। কিন্তু মেহেদীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে পিতা হিসেবে রয়েছে মোহামিন মিয়া নামে এক ব্যক্তির নাম। মোহামিন মিয়া মেহেদীর সৎবাবা। মেহেদী নিহত হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকেই সবাই তাঁর বাবা হিসেবে জানে, রিপন মিয়াকে সরকার বা অন্য কেউ শহীদ ছেলের বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ডাকছেন না। তাই তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী। তাঁর মরদেহ তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। রিপন মিয়া নিজেই উপস্থিত থেকে ছেলের দাফন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার গত ২৮ জুলাই নিহত যে ৩৪ জনকে অর্থ-সহায়তা দেয়, সেই তালিকায় মেহেদীর নামও ছিল। তবে মেহেদীর মা কুলসুম বেগম সেখানে তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়াকেই মেহেদীর বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়েও ক্ষিপ্ত রিপন শহীদ ছেলের পিতার স্বীকৃতি পেতে গত সেপ্টেম্বরে আদালতে নালিশি মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মেহেদীর শৈশবে তাঁর বাবা মোহাম্মদ রিপনের সঙ্গে মা কুলসুম বেগমের বিচ্ছেদ হয়। বাবা-মা দুজনেই দ্বিতীয় বিয়ে করে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আলাদা সংসার করছেন। মেহেদী কখনো টাঙ্গাইলে তাঁর দাদা-দাদির সঙ্গে, আবার কখনো মায়ের সঙ্গে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে থাকতেন। বাবার কাছেও আসতেন মাঝে মাঝে। তবে মেহেদীর মৃত্যুর পর তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম মো. মোহামিন মিয়া। যিনি কুলসুম বেগমের বর্তমান স্বামী; অর্থাৎ মেহেদীর সৎবাবা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কুলসুম বেগম, তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়া, কুলসুমের বড় ভাই মো. রফিক, বড় বোন সাথী এবং সাথীর স্বামী চাঁন মিয়া জালিয়াতি করে তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন। তাঁর ছেলে মেহেদী গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
গাড়িচালক রিপনের মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের এসআই রবিউল ইসলাম। ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগির আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
পিবিআই সূত্রটি বলছে, ২০০২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিয়ে হয়। ২০০৬ সালে এই দম্পতির কোলে আসে মেহেদী। তবে ২০১২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিচ্ছেদ হয়। তাঁরা দুজনেই বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামীর নাম মোহামিন মিয়া। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোট্ট মেহেদী দাদা-দাদি, খালা, বাবা ও মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় থেকেছে। তবে বেশির ভাগ সময় থেকেছে মায়ের সঙ্গে। ২০২৩ সালে মেহেদী যে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন, সেখানে বাবার নাম দেন সৎবাবা মোহামিন মিয়ার। ওই এনআইডি কার্ড দিয়ে তিনি পাসপোর্টও তৈরি করেন। তাই পাসপোর্টেও তাঁর বাবার নাম মোহামিন মিয়া।
এ বিষয়ে কুলসুম বেগম বলেন, রিপন কখনো ছেলের খোঁজখবর নিতেন না। ভরণপোষণ দিতেন না। তাই আমার ছেলে তাঁর পরিচয় দিত না। আমার বর্তমান স্বামীকেই সে বাবা বলে জানত। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম মোহামিন মিয়া।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৩ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে