নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: গ্যাস বিতরণের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)-কে ভেঙে আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান। আজ শনিবার এক অনলাইন আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
পাক্ষিক এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার–এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনিছুর রহমান বলেন, বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম বিস্তৃত। একদিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে শেরপুর, আরেকদিকে ভৈরব থেকে কেরানীগঞ্জ। এত বিশাল এলাকা কোনোভাবেই বর্তমান কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এ কারণেই আমরা তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করতে চাই।
আলোচনা সভায় কীভাবে তিতাসকে বিভক্ত করা যায়, তা জানতে খাত বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান জ্বালানি সচিব। এ সময় উপস্থিত পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক খোন্দকার সালেক সুফি জ্বালানি সচিবকে জানান, ২০০২ সালে পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসকে তিন ভাগে---ঢাকা মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী, ময়মনসিংহ---বিভক্ত করার একটি সুপারিশ তারা করেছিলেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চাইলে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি। জবাবে জ্বালানি সচিব জানান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগও অন্তত তিন ভাগে তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জ্বালানি সচিব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব আরও জানান, তিতাস গ্যাসের আওতায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সবচেয়ে বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চলছে। যেহেতু বৈধ-অবৈধ সংযোগ মিলে গেছে, আমরা এখন উৎসে লাইন কেটে দিচ্ছি। এতে বৈধ গ্রাহকের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। এ ক্ষেত্রে গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। শুধু বদলি না, বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ কঠিন, তবুও আমরা করছি। যেকোনো উপায়ে আমরা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করব। আর কেরানীগঞ্জে গ্যাসের লাইনের ওপর স্থাপনা অপসারণেও আমরা ব্যবস্থা নেব। যেহেতু এটা জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। এ ক্ষেত্রে আমরা তার সহায়তা নেব।
এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান আনিছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোঃ নাসির উদ্দিন, বিইআরসির সাবেক সদস্য আবদুল আজিজ খান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান।
ঢাকা: গ্যাস বিতরণের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)-কে ভেঙে আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান। আজ শনিবার এক অনলাইন আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
পাক্ষিক এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার–এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনিছুর রহমান বলেন, বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম বিস্তৃত। একদিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে শেরপুর, আরেকদিকে ভৈরব থেকে কেরানীগঞ্জ। এত বিশাল এলাকা কোনোভাবেই বর্তমান কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এ কারণেই আমরা তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করতে চাই।
আলোচনা সভায় কীভাবে তিতাসকে বিভক্ত করা যায়, তা জানতে খাত বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান জ্বালানি সচিব। এ সময় উপস্থিত পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক খোন্দকার সালেক সুফি জ্বালানি সচিবকে জানান, ২০০২ সালে পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসকে তিন ভাগে---ঢাকা মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী, ময়মনসিংহ---বিভক্ত করার একটি সুপারিশ তারা করেছিলেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চাইলে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি। জবাবে জ্বালানি সচিব জানান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগও অন্তত তিন ভাগে তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জ্বালানি সচিব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব আরও জানান, তিতাস গ্যাসের আওতায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সবচেয়ে বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চলছে। যেহেতু বৈধ-অবৈধ সংযোগ মিলে গেছে, আমরা এখন উৎসে লাইন কেটে দিচ্ছি। এতে বৈধ গ্রাহকের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। এ ক্ষেত্রে গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। শুধু বদলি না, বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ কঠিন, তবুও আমরা করছি। যেকোনো উপায়ে আমরা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করব। আর কেরানীগঞ্জে গ্যাসের লাইনের ওপর স্থাপনা অপসারণেও আমরা ব্যবস্থা নেব। যেহেতু এটা জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। এ ক্ষেত্রে আমরা তার সহায়তা নেব।
এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান আনিছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোঃ নাসির উদ্দিন, বিইআরসির সাবেক সদস্য আবদুল আজিজ খান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান।
জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭৬১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় পুলিশের ১ হাজার ১৬৮ সদস্যও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পদের সদস্যরা রয়েছেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর কিংবা গুলি...
৫ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর যে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পথে শুরু থেকে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবহন খাতের প্রভাবশালী মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। এখন পরিবহননেতারা আইন সংশোধনের সুপারিশ করে শাস্তি ও জরিমানার হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করার...
৫ ঘণ্টা আগেছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুখবর। আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। কারণ আগামী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি। আর আগের দুদিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ জুলাই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
৮ ঘণ্টা আগেমহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারী ও শিশুরা পরিবার, কর্মক্ষেত্র, পাবলিক স্পেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনলাইন, সাইবার স্পেসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানা ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরনের ক্ষেত্র ও মাত্রা...
৯ ঘণ্টা আগে