মানবতাবিরোধী অপরাধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আন্দোলনকারীদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জঙ্গি কার্ড খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শেখ হাসিনা ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করার কথা বলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল বুধবার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনুসহ বিভিন্নজনের কথোপকথনের অডিওতে এসব কথা শোনা গেছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তানভীর হাসান জোহা ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার পর এসব অডিও শোনানো হয়। ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া জোহা এই মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর।
জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালকে পাঁচটি অডিও দেন তানভীর হাসান জোহা। এর মধ্যে চারটি শোনানো হয়, যার দুটি অডিও শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের। বাকি দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনের। ট্রাইব্যুনালের গতকালের বিচারিক কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পরে জোহাকে জেরা করেন পলাতক দুই আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দিতে বলেন, ‘তদন্তকালে আমি বিটিআরসি, এনটিএমসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর হতে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ, ভিডিও ফুটেজ, সিডিআর, আইপিডিআর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয় বিধি মোতাবেক বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর বিধি মোতাবেক জব্দ করি। এসব ফোনালাপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা লেথাল উইপন ব্যবহার করে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছেন এবং ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করা, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করাসহ আন্দোলনকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন।’
শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের অডিওতে শোনা যায়, ইনু শেখ হাসিনাকে বলতে পরামর্শ দেন, দুটি ভাগ। একটি হচ্ছে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনকারী, একটি হচ্ছে উৎখাতকারী। উৎখাতকারীরা জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলায় চলে গিয়েছে। ‘কোটা সংস্কারকারীর ব্যাপারে আপনার আমার সরকারে যারা আছি, সমবেদনা আছে। উৎখাতকারীকে আমি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কোনো ছাত্র যদি উৎখাতকারীর সঙ্গে জড়িত হয়, সে দায়িত্ব আমি নিব না।’ শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘এটা আপনারা বলেন না কেন? আমি তো শো, আপনারা বললে তখন মনে করবে যে অন্যান্য অ্যাঙ্গেল থেকে বলা হয়েছে।’
ইনু বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা সাজিয়ে আপনাকে দিব। গরিব মানুষই তো। প্রোপাগান্ডা হবে ঘর থেকে বেরোলেই গুলি হবে। গুলি শব্দ বলব না, আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে কঠোর। কেউ ঘরের বাইরে বেরোবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে। আকাশ থেকে নামবে। হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে, র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।’ ইনু ইন্টারনেট চালু করার পরামর্শ দিলে হাসিনা বলেন, ‘জীবনে আমি তো আর আনব না। যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে।’ তখন ইনু বলেন, ‘অন্য সরকার বাংলাদেশে আসবে না।’
শেখ হাসিনা ইনুকে বলেন, ‘জামায়াতকে শায়েস্তা করে রেখে যেতে হবে। আপনার যেখানে যেখানে লোক আছে, তালিকাগুলি আপনারা করান, আমরাও করাচ্ছি।’ ইনু বলেন, ‘আপনি এই জামায়াত-শিবিরের মেরুদণ্ডটা আবার ভেঙে দেন ঢাকা শহরে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘একেবারে।’
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব জায়গায় আগুন। বিআরটি, বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে। এখন তো ইন্টারনেট বন্ধ, সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কীভাবে?’ অপর প্রান্ত থেকে তাপস বলেন, ‘জি, এটা ভালো হয়েছে।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে..., ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে। আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি। এখন লেথাল উইপেন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আন্দোলনকারীদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জঙ্গি কার্ড খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শেখ হাসিনা ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করার কথা বলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল বুধবার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনুসহ বিভিন্নজনের কথোপকথনের অডিওতে এসব কথা শোনা গেছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তানভীর হাসান জোহা ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার পর এসব অডিও শোনানো হয়। ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া জোহা এই মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর।
জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালকে পাঁচটি অডিও দেন তানভীর হাসান জোহা। এর মধ্যে চারটি শোনানো হয়, যার দুটি অডিও শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের। বাকি দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনের। ট্রাইব্যুনালের গতকালের বিচারিক কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পরে জোহাকে জেরা করেন পলাতক দুই আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দিতে বলেন, ‘তদন্তকালে আমি বিটিআরসি, এনটিএমসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর হতে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ, ভিডিও ফুটেজ, সিডিআর, আইপিডিআর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয় বিধি মোতাবেক বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর বিধি মোতাবেক জব্দ করি। এসব ফোনালাপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা লেথাল উইপন ব্যবহার করে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছেন এবং ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করা, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করাসহ আন্দোলনকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন।’
শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের অডিওতে শোনা যায়, ইনু শেখ হাসিনাকে বলতে পরামর্শ দেন, দুটি ভাগ। একটি হচ্ছে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনকারী, একটি হচ্ছে উৎখাতকারী। উৎখাতকারীরা জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলায় চলে গিয়েছে। ‘কোটা সংস্কারকারীর ব্যাপারে আপনার আমার সরকারে যারা আছি, সমবেদনা আছে। উৎখাতকারীকে আমি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কোনো ছাত্র যদি উৎখাতকারীর সঙ্গে জড়িত হয়, সে দায়িত্ব আমি নিব না।’ শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘এটা আপনারা বলেন না কেন? আমি তো শো, আপনারা বললে তখন মনে করবে যে অন্যান্য অ্যাঙ্গেল থেকে বলা হয়েছে।’
ইনু বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা সাজিয়ে আপনাকে দিব। গরিব মানুষই তো। প্রোপাগান্ডা হবে ঘর থেকে বেরোলেই গুলি হবে। গুলি শব্দ বলব না, আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে কঠোর। কেউ ঘরের বাইরে বেরোবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে। আকাশ থেকে নামবে। হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে, র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।’ ইনু ইন্টারনেট চালু করার পরামর্শ দিলে হাসিনা বলেন, ‘জীবনে আমি তো আর আনব না। যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে।’ তখন ইনু বলেন, ‘অন্য সরকার বাংলাদেশে আসবে না।’
শেখ হাসিনা ইনুকে বলেন, ‘জামায়াতকে শায়েস্তা করে রেখে যেতে হবে। আপনার যেখানে যেখানে লোক আছে, তালিকাগুলি আপনারা করান, আমরাও করাচ্ছি।’ ইনু বলেন, ‘আপনি এই জামায়াত-শিবিরের মেরুদণ্ডটা আবার ভেঙে দেন ঢাকা শহরে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘একেবারে।’
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব জায়গায় আগুন। বিআরটি, বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে। এখন তো ইন্টারনেট বন্ধ, সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কীভাবে?’ অপর প্রান্ত থেকে তাপস বলেন, ‘জি, এটা ভালো হয়েছে।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে..., ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে। আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি। এখন লেথাল উইপেন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটদানের আগ্রহ কিছুটা কমেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি এখনও সর্বাধিক সমর্থন ধরে রেখেছে। ইনোভিশন কনসালটিং পরিচালিত ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে’ (PEPS)-এর দ্বিতীয় দফার ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর আলমের চট্টগ্রামের হালিশহরের একটি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ টাকা উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামে সাইফুজ্জামানের সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর আলমের...
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম, ইনান, শয়ন–তাঁদের নিজের বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনাকে ফোনে বলেন, ‘ওরা (ছাত্রলীগ নেতারা) আমার বাসায় ছিল সন্ধ্যা থেকে।
৩ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য ১১৫টি প্রতীকের তালিকাসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাহিদার প্রতীক...
৩ ঘণ্টা আগে