আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
দাঁত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ব্রাশ করার বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো শুধু দাঁত ব্রাশ করে দূর করা সম্ভব নয়।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের টুকরো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জন এবং বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকলিন টমসিক বলেন, মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার না করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা খাই, তা খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও যদি ডেন্টাল ফ্লস না করা হয়, তাহলে সেই খাবার পচে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক (জমাট ব্যাকটেরিয়া) ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য একটি বিশেষ সূক্ষ্ম সুতা হলো ডেন্টাল ফ্লস।
ডা. জ্যাকলিন প্রতিদিন অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ সুতার ফ্লসকে বেশি কার্যকর মনে করেন, তবে ফ্লস পিকস বা ওয়াটার ফ্লোসারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ফ্লস পিক হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের হ্যান্ডেল, যার এক প্রান্তে টানটান করে বাঁধা থাকে ছোট একটি ফ্লস বা সুতা। আর ওয়াটার ফ্লোসার হলো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এটি প্রচুর গতিতে পানি ছিটিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়।
জিহ্বা ও গলার পেছনে ব্যাকটেরিয়া জমা
ডেন্টিস্ট এবং প্রোবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্র্যান্ড রিভেন ওরাল কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. ফাতিমা খান জানিয়েছেন, মুখের দুর্গন্ধের মূল কারণ হতে পারে সালফার উৎপাদক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো জিহ্বার পৃষ্ঠে এবং গলার পেছনে বসবাস করে। তারা খাবারের প্রোটিন ভেঙে দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের নাম ভোলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড। গ্যাসটির গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো।
জিহ্বা পরিষ্কার না করা এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করা
ডেন্টিস্ট ডা. জেনা চিমন বলেন, অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন ঠিকই, তবে জিহ্বা পরিষ্কার করেন না বা দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করেন না। ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যতই মিন্টি (পুদিনার গন্ধযুক্ত) পেস্ট ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে লাভ হবে না।
তাঁর মতে, দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। চাইলে জিহ্বায় স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পার। এটি হাতের কাছে না থাকলে ব্রাশ দিয়েও জিহবা পরিষ্কার করা যায়। একই সঙ্গে প্রতিদিন ফ্লস করা জরুরি।
মুখ শুকিয়ে যাওয়া ও লালাস্বল্পতা
ডা. খান জানান, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা ‘ড্রাই মাউথ’ও মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া অথবা অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহারের ফলে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অথচ লালা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার রাখে।
ডা. চিমন বলেন, পানিশূন্যতাও এর কারণ হতে পারে। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আবার নিয়মিত কফি পান করলে লালা উৎপাদন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যায়, ফলে মুখ শুকিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
খাবার, ধূমপান ও অন্যান্য অভ্যাস
রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবার রক্তে শোষিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায় এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে মুখে ও গলায় ধোঁয়ার কণা রেখে যায়, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ধূমপান মুখের লালা শুকিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
মাড়ির রোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ডা. চিমন বলেন, ‘মাড়িতে ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়, যার ফলে দুর্গন্ধ হয়।’
ডা. খান বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এটি প্রদাহ কমায় ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়।
সাইনাস ও হজমজনিত সমস্যা
সাইনাস সমস্যা বা পোস্ট-নাজাল ড্রিপ, এমনকি গ্যাস্ট্রিক রিফ্ল্যাক্স (যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসে) মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ডা. খান বলেন, ‘এসব সমস্যা নাক ও সাইনাসকে প্রভাবিত করে এবং নিশ্বাসে গন্ধ তৈরি করে।’
ডায়াবেটিস এবং বিশেষ গন্ধ
ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন, তবে ‘কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হতে পারে। এ অবস্থায় শরীর গ্লুকোজের বদলে চর্বি পোড়াতে শুরু করে, যার ফলে নিশ্বাসে একধরনের ফলের মতো গন্ধ ছড়ায়।
মুখের গন্ধ দূর করার কিছু পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
দুর্গাপূজার আগমনী সুর বেজে গেছে। চারদিকে খুশির রোশনাই। পূজা মানেই আনন্দ, পূজা মানেই ছুটি। পূজা মানেই সাজগোজের আতিশয্য়। বাড়ির পূজা হলে তো কথাই নেই। ভিড়ভাট্টা আর যানজটপূর্ণ শহরেও যখন পূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে, তখনো নারী ট্রেন্ডি ঘরানার পোশাক ছেড়ে পাটভাঙা শাড়িতেই নিজেকে সাজাতে ভালোবাসে।
১ ঘণ্টা আগেপূজায় বাড়িতে মিষ্টি থাকবে না, তা কি হয়? কয়েক ধরনের মিষ্টির অর্ডার করার কথা নিশ্চয়ই ভাবছেন? এবার পূজায় জলখাবারের জন্য রসগোল্লাটা না হয় নিজেই তৈরি করে চমকে দিলেন পরিবারের সবাইকে। আপনাদের জন্য রসগোল্লার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগেস্বস্তিকা মুখার্জি। অনেকের কাছে স্বস্তিকা মানে প্রাণের মানুষ। আবার কারও কাছে তিনি জীবনীশক্তির উৎস। তাঁকে দেখে যেন মেলে আত্মবিশ্বাসের পথ। দৃঢ় হয় মনোবল। নায়িকা বলতে আমাদের কল্পনায় যে চিরাচরিত প্রতিমা ভেসে ওঠে, তা থেকে অনেকটাই আলাদা এই লাস্যময়ী।
৭ ঘণ্টা আগেসময়টা ১৯৫৩ সালের জুন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের অটোয়া শহরের অ্যালান বল নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন। তাঁর গন্তব্য পুয়ের্তো রিকো। সেখানে খালা মেরির কফি বাগানে গ্রীষ্মকালের ছুটি কাটাবেন। সেই ভ্রমণের জন্য তাঁকে নিজে টাকা জোগাড় করতে হয়েছিল কয়েক বছর ধরে বাড়তি
৯ ঘণ্টা আগে