নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আমরা আজীবন পড়েছি এবং জেনেছি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু কেউ হয়তো জানে না যে শুধু বিচারের বাণী নয়, বরং বিচারকও অনেক সময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিভৃতে কাঁদে। কারণ, বিচারকের বলার জায়গা এবং সুযোগ কোনোটাই থাকে না। ধারণা করা হয়, বিচারকের মুখ বন্ধ থাকবে। কান দিয়ে শুনবে এবং হাত দিয়ে লিখবে। আমাদের অভিভাবক মহোদয়কে জানাতে চাই বিচারকেরাও অবিচারের শিকার হয়।’
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন।
সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালার অভাবে অনেক বিচারক দিনের পর দিন বাড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে কখনো বা দুর্গম জায়গায় মনের কষ্ট নিয়ে বিচারের মতো স্বর্গীয় কাজ করে চলেছেন। অনেক বিচারক এমন জায়গায় এজলাস–চেম্বার করেন যে ভয় হয় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে কোনো সংবাদ শিরোনামের কারণ না হয়! এজলাস দিয়ে পানি পড়ে, টিনশেডের এজলাসে গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবদাহের সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। আবার কোথাও কোথাও দুই–তিনজন মিলে ছোট্ট একটা চেম্বারে বসে। কখনো এমন হয় যে বিচারকের চেম্বার এক জায়গায়, এজলাস আরেক জায়গায়। বিচারকদের এজলাস ও চেম্বারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও সিজিএমের সরকারি বাসভবন প্রয়োজন। মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম এবং সিজিএমের নিজস্ব বাংলো না থাকায় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে থাকতে বাধ্য হন। যা তাঁদের জন্য বিব্রতকর এবং অনেক সময় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া ত্বরিত করার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীনে ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং প্রসিকিউশন বিভাগ থাকা অতি জরুরি। তা না হলে অন্যের দায়ভার বিচার বিভাগকে গ্রহণ করে কলঙ্কিত হতে হয়।’
এই বিচারক আরও বলেন, অনেক সময় সেনসিটিভ মামলার বিচারকার্য করে বিচারককে হেঁটে কিংবা রিকশায় করে ঘরে ফিরতে হয়। অনেক সার্ভিসে গাড়ি সুবিধা পেলেও বিচারকের জন্য সেই দ্বার অবরুদ্ধ। বিচারকের সম্মান রক্ষার্থে গণপরিবহনে, ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য হয়ে মামলার পক্ষদের সঙ্গে যাতায়াত করার মতো বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি নগদায়ন সুবিধা দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিচারকদের যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ রক্ষার্থে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক ডেস্ক এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে আলাদা মিডিয়া উইং করার দাবিও জানান এই বিচারক।
নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণের আজন্ম লালিত একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে। স্বাধীন বিচার বিভাগই পারে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের দুঃখ–দুর্দশা লাঘব করতে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগ থেকে যে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মাত্র কয়েকটি পরিবর্তিত আকারে বাস্তবায়িত হলেও অধিকাংশই অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন ও স্বকীয় বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার আবশ্যক।
এ সময় ১১ দফা দাবি জানান নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল। তাঁর দাবিগুলো হচ্ছে—
১. জেলা পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন ও বদলির ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
২. বিভিন্ন আইনে উল্লেখিত আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীর পদসহ পৃথক আদালত সৃষ্টি। দেশের জনসংখ্যা ও মামলার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা যুক্তিসংগত হারে বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব পরিহার।
৩. সব পর্যায়ের বিচারকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা সুবিধাসহ পৃথক আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. জেলা আদালতগুলোতে মামলা পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস (সরকারি আইন কর্মকর্তা) প্রবর্তন এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
৫. দেশের মোট বাজেটে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ০.৩ শতাংশ, যা অত্যন্ত অপ্রতুল। বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিটি আদালতের বিপরীতে পৃথক বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
৬. ফৌজদারি মামলার স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্ত ও কম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে বিশেষায়িত তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের নিরাপত্তাসহ আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য বিচার বিভাগের অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন।
৭. ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ও জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলার জন্য পৃথক পৃথক আদালত নিশ্চিত করতে হবে। নতুন উপজেলা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ একটি করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন।
৮. বিচারকদের কাজের ধরন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের বিচারকদের জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
৯. বিচারকদের বেতনবৈষম্য দূরীকরণে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে বিচারিক ভাতা প্রদান।
১০. বিচারকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি।
১১. শত বছরের পুরোনো আইনগুলো বর্তমান সময়ের নিরিখে সংস্কার করে যুগোপযোগী করা।
আরও খবর পড়ুন:

‘আমরা আজীবন পড়েছি এবং জেনেছি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু কেউ হয়তো জানে না যে শুধু বিচারের বাণী নয়, বরং বিচারকও অনেক সময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিভৃতে কাঁদে। কারণ, বিচারকের বলার জায়গা এবং সুযোগ কোনোটাই থাকে না। ধারণা করা হয়, বিচারকের মুখ বন্ধ থাকবে। কান দিয়ে শুনবে এবং হাত দিয়ে লিখবে। আমাদের অভিভাবক মহোদয়কে জানাতে চাই বিচারকেরাও অবিচারের শিকার হয়।’
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন।
সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালার অভাবে অনেক বিচারক দিনের পর দিন বাড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে কখনো বা দুর্গম জায়গায় মনের কষ্ট নিয়ে বিচারের মতো স্বর্গীয় কাজ করে চলেছেন। অনেক বিচারক এমন জায়গায় এজলাস–চেম্বার করেন যে ভয় হয় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে কোনো সংবাদ শিরোনামের কারণ না হয়! এজলাস দিয়ে পানি পড়ে, টিনশেডের এজলাসে গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবদাহের সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। আবার কোথাও কোথাও দুই–তিনজন মিলে ছোট্ট একটা চেম্বারে বসে। কখনো এমন হয় যে বিচারকের চেম্বার এক জায়গায়, এজলাস আরেক জায়গায়। বিচারকদের এজলাস ও চেম্বারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও সিজিএমের সরকারি বাসভবন প্রয়োজন। মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম এবং সিজিএমের নিজস্ব বাংলো না থাকায় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে থাকতে বাধ্য হন। যা তাঁদের জন্য বিব্রতকর এবং অনেক সময় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া ত্বরিত করার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীনে ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং প্রসিকিউশন বিভাগ থাকা অতি জরুরি। তা না হলে অন্যের দায়ভার বিচার বিভাগকে গ্রহণ করে কলঙ্কিত হতে হয়।’
এই বিচারক আরও বলেন, অনেক সময় সেনসিটিভ মামলার বিচারকার্য করে বিচারককে হেঁটে কিংবা রিকশায় করে ঘরে ফিরতে হয়। অনেক সার্ভিসে গাড়ি সুবিধা পেলেও বিচারকের জন্য সেই দ্বার অবরুদ্ধ। বিচারকের সম্মান রক্ষার্থে গণপরিবহনে, ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য হয়ে মামলার পক্ষদের সঙ্গে যাতায়াত করার মতো বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি নগদায়ন সুবিধা দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিচারকদের যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ রক্ষার্থে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক ডেস্ক এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে আলাদা মিডিয়া উইং করার দাবিও জানান এই বিচারক।
নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণের আজন্ম লালিত একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে। স্বাধীন বিচার বিভাগই পারে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের দুঃখ–দুর্দশা লাঘব করতে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগ থেকে যে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মাত্র কয়েকটি পরিবর্তিত আকারে বাস্তবায়িত হলেও অধিকাংশই অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন ও স্বকীয় বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার আবশ্যক।
এ সময় ১১ দফা দাবি জানান নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল। তাঁর দাবিগুলো হচ্ছে—
১. জেলা পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন ও বদলির ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
২. বিভিন্ন আইনে উল্লেখিত আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীর পদসহ পৃথক আদালত সৃষ্টি। দেশের জনসংখ্যা ও মামলার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা যুক্তিসংগত হারে বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব পরিহার।
৩. সব পর্যায়ের বিচারকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা সুবিধাসহ পৃথক আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. জেলা আদালতগুলোতে মামলা পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস (সরকারি আইন কর্মকর্তা) প্রবর্তন এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
৫. দেশের মোট বাজেটে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ০.৩ শতাংশ, যা অত্যন্ত অপ্রতুল। বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিটি আদালতের বিপরীতে পৃথক বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
৬. ফৌজদারি মামলার স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্ত ও কম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে বিশেষায়িত তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের নিরাপত্তাসহ আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য বিচার বিভাগের অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন।
৭. ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ও জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলার জন্য পৃথক পৃথক আদালত নিশ্চিত করতে হবে। নতুন উপজেলা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ একটি করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন।
৮. বিচারকদের কাজের ধরন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের বিচারকদের জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
৯. বিচারকদের বেতনবৈষম্য দূরীকরণে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে বিচারিক ভাতা প্রদান।
১০. বিচারকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি।
১১. শত বছরের পুরোনো আইনগুলো বর্তমান সময়ের নিরিখে সংস্কার করে যুগোপযোগী করা।
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আমরা আজীবন পড়েছি এবং জেনেছি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু কেউ হয়তো জানে না যে শুধু বিচারের বাণী নয়, বরং বিচারকও অনেক সময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিভৃতে কাঁদে। কারণ, বিচারকের বলার জায়গা এবং সুযোগ কোনোটাই থাকে না। ধারণা করা হয়, বিচারকের মুখ বন্ধ থাকবে। কান দিয়ে শুনবে এবং হাত দিয়ে লিখবে। আমাদের অভিভাবক মহোদয়কে জানাতে চাই বিচারকেরাও অবিচারের শিকার হয়।’
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন।
সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালার অভাবে অনেক বিচারক দিনের পর দিন বাড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে কখনো বা দুর্গম জায়গায় মনের কষ্ট নিয়ে বিচারের মতো স্বর্গীয় কাজ করে চলেছেন। অনেক বিচারক এমন জায়গায় এজলাস–চেম্বার করেন যে ভয় হয় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে কোনো সংবাদ শিরোনামের কারণ না হয়! এজলাস দিয়ে পানি পড়ে, টিনশেডের এজলাসে গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবদাহের সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। আবার কোথাও কোথাও দুই–তিনজন মিলে ছোট্ট একটা চেম্বারে বসে। কখনো এমন হয় যে বিচারকের চেম্বার এক জায়গায়, এজলাস আরেক জায়গায়। বিচারকদের এজলাস ও চেম্বারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও সিজিএমের সরকারি বাসভবন প্রয়োজন। মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম এবং সিজিএমের নিজস্ব বাংলো না থাকায় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে থাকতে বাধ্য হন। যা তাঁদের জন্য বিব্রতকর এবং অনেক সময় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া ত্বরিত করার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীনে ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং প্রসিকিউশন বিভাগ থাকা অতি জরুরি। তা না হলে অন্যের দায়ভার বিচার বিভাগকে গ্রহণ করে কলঙ্কিত হতে হয়।’
এই বিচারক আরও বলেন, অনেক সময় সেনসিটিভ মামলার বিচারকার্য করে বিচারককে হেঁটে কিংবা রিকশায় করে ঘরে ফিরতে হয়। অনেক সার্ভিসে গাড়ি সুবিধা পেলেও বিচারকের জন্য সেই দ্বার অবরুদ্ধ। বিচারকের সম্মান রক্ষার্থে গণপরিবহনে, ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য হয়ে মামলার পক্ষদের সঙ্গে যাতায়াত করার মতো বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি নগদায়ন সুবিধা দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিচারকদের যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ রক্ষার্থে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক ডেস্ক এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে আলাদা মিডিয়া উইং করার দাবিও জানান এই বিচারক।
নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণের আজন্ম লালিত একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে। স্বাধীন বিচার বিভাগই পারে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের দুঃখ–দুর্দশা লাঘব করতে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগ থেকে যে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মাত্র কয়েকটি পরিবর্তিত আকারে বাস্তবায়িত হলেও অধিকাংশই অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন ও স্বকীয় বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার আবশ্যক।
এ সময় ১১ দফা দাবি জানান নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল। তাঁর দাবিগুলো হচ্ছে—
১. জেলা পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন ও বদলির ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
২. বিভিন্ন আইনে উল্লেখিত আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীর পদসহ পৃথক আদালত সৃষ্টি। দেশের জনসংখ্যা ও মামলার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা যুক্তিসংগত হারে বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব পরিহার।
৩. সব পর্যায়ের বিচারকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা সুবিধাসহ পৃথক আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. জেলা আদালতগুলোতে মামলা পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস (সরকারি আইন কর্মকর্তা) প্রবর্তন এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
৫. দেশের মোট বাজেটে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ০.৩ শতাংশ, যা অত্যন্ত অপ্রতুল। বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিটি আদালতের বিপরীতে পৃথক বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
৬. ফৌজদারি মামলার স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্ত ও কম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে বিশেষায়িত তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের নিরাপত্তাসহ আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য বিচার বিভাগের অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন।
৭. ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ও জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলার জন্য পৃথক পৃথক আদালত নিশ্চিত করতে হবে। নতুন উপজেলা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ একটি করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন।
৮. বিচারকদের কাজের ধরন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের বিচারকদের জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
৯. বিচারকদের বেতনবৈষম্য দূরীকরণে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে বিচারিক ভাতা প্রদান।
১০. বিচারকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি।
১১. শত বছরের পুরোনো আইনগুলো বর্তমান সময়ের নিরিখে সংস্কার করে যুগোপযোগী করা।
আরও খবর পড়ুন:

‘আমরা আজীবন পড়েছি এবং জেনেছি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু কেউ হয়তো জানে না যে শুধু বিচারের বাণী নয়, বরং বিচারকও অনেক সময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিভৃতে কাঁদে। কারণ, বিচারকের বলার জায়গা এবং সুযোগ কোনোটাই থাকে না। ধারণা করা হয়, বিচারকের মুখ বন্ধ থাকবে। কান দিয়ে শুনবে এবং হাত দিয়ে লিখবে। আমাদের অভিভাবক মহোদয়কে জানাতে চাই বিচারকেরাও অবিচারের শিকার হয়।’
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন।
সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালার অভাবে অনেক বিচারক দিনের পর দিন বাড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে কখনো বা দুর্গম জায়গায় মনের কষ্ট নিয়ে বিচারের মতো স্বর্গীয় কাজ করে চলেছেন। অনেক বিচারক এমন জায়গায় এজলাস–চেম্বার করেন যে ভয় হয় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে কোনো সংবাদ শিরোনামের কারণ না হয়! এজলাস দিয়ে পানি পড়ে, টিনশেডের এজলাসে গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবদাহের সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। আবার কোথাও কোথাও দুই–তিনজন মিলে ছোট্ট একটা চেম্বারে বসে। কখনো এমন হয় যে বিচারকের চেম্বার এক জায়গায়, এজলাস আরেক জায়গায়। বিচারকদের এজলাস ও চেম্বারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম ও সিজিএমের সরকারি বাসভবন প্রয়োজন। মহানগর দায়রা জজ, সিএমএম এবং সিজিএমের নিজস্ব বাংলো না থাকায় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে থাকতে বাধ্য হন। যা তাঁদের জন্য বিব্রতকর এবং অনেক সময় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া ত্বরিত করার জন্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীনে ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং প্রসিকিউশন বিভাগ থাকা অতি জরুরি। তা না হলে অন্যের দায়ভার বিচার বিভাগকে গ্রহণ করে কলঙ্কিত হতে হয়।’
এই বিচারক আরও বলেন, অনেক সময় সেনসিটিভ মামলার বিচারকার্য করে বিচারককে হেঁটে কিংবা রিকশায় করে ঘরে ফিরতে হয়। অনেক সার্ভিসে গাড়ি সুবিধা পেলেও বিচারকের জন্য সেই দ্বার অবরুদ্ধ। বিচারকের সম্মান রক্ষার্থে গণপরিবহনে, ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য হয়ে মামলার পক্ষদের সঙ্গে যাতায়াত করার মতো বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি নগদায়ন সুবিধা দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিচারকদের যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ রক্ষার্থে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক ডেস্ক এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে আলাদা মিডিয়া উইং করার দাবিও জানান এই বিচারক।
নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণের আজন্ম লালিত একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে। স্বাধীন বিচার বিভাগই পারে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের দুঃখ–দুর্দশা লাঘব করতে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগ থেকে যে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মাত্র কয়েকটি পরিবর্তিত আকারে বাস্তবায়িত হলেও অধিকাংশই অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন ও স্বকীয় বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার আবশ্যক।
এ সময় ১১ দফা দাবি জানান নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডল। তাঁর দাবিগুলো হচ্ছে—
১. জেলা পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন ও বদলির ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
২. বিভিন্ন আইনে উল্লেখিত আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীর পদসহ পৃথক আদালত সৃষ্টি। দেশের জনসংখ্যা ও মামলার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা যুক্তিসংগত হারে বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব পরিহার।
৩. সব পর্যায়ের বিচারকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা সুবিধাসহ পৃথক আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. জেলা আদালতগুলোতে মামলা পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস (সরকারি আইন কর্মকর্তা) প্রবর্তন এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
৫. দেশের মোট বাজেটে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ০.৩ শতাংশ, যা অত্যন্ত অপ্রতুল। বিচার বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিটি আদালতের বিপরীতে পৃথক বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
৬. ফৌজদারি মামলার স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্ত ও কম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে বিশেষায়িত তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের নিরাপত্তাসহ আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য বিচার বিভাগের অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন।
৭. ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সহজীকরণ ও জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলার জন্য পৃথক পৃথক আদালত নিশ্চিত করতে হবে। নতুন উপজেলা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ একটি করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন।
৮. বিচারকদের কাজের ধরন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের বিচারকদের জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
৯. বিচারকদের বেতনবৈষম্য দূরীকরণে মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে বিচারিক ভাতা প্রদান।
১০. বিচারকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি।
১১. শত বছরের পুরোনো আইনগুলো বর্তমান সময়ের নিরিখে সংস্কার করে যুগোপযোগী করা।
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৮ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৮ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৮ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়। এ সময় সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারক ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৮ ঘণ্টা আগে