নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন সামনে রেখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অরাজকতার জন্যই পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু না পেয়ে বইয়ের ওপর সওয়ার করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো কিছু কখনো করেনি। কোনো দিন করবে না, করতে পারে না। দেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার যতটুকু হয়েছে, তার অধিকাংশ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হয়েছে।’
যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ভুল সংশোধন নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো, তাহলে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভুল সংশোধনের পরামর্শ দিতেন। ফটোশপ করে, এডিট করে এই ধরনের মিথ্যাচার করতেন না।’
নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না, এ কারণে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দীপু মনি।
পাঠ্যপুস্তক বিতর্কের সিংহভাগই অসত্য উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা বিতর্ক শোনা যাচ্ছে। এই প্রচারণার সিংহভাগই অসত্য, অপপ্রচার। বিভিন্ন বইয়ের ছবি ফটোশপ করে, লেখা এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্রমের নয় যা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় না, সেগুলোকে আমাদের বই হিসেবে উল্লেখ করে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাদের বইয়ে নেই এমন কল্পিত বিষয় ও ছবি ব্যবহার করে বইয়ের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হচ্ছে। ভুয়া ও আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
‘বইয়ের লেখকদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী সম্পর্কে কদর্য ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বরেণ্য শিক্ষাবিদ যাঁরা পাঠ্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করা হচ্ছে। কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে।’
যাঁরা আক্রমণ করছেন, তাঁদের কোনো প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের বই পড়ানো হয় না বলে দাবি করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যাঁদের প্রতিষ্ঠানে বই পড়ানো হচ্ছে, তাঁরা কিন্তু কোনো অপপ্রচার করছেন না। যাঁদের প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়, তাঁদের মতামত নিয়েই পরীক্ষামূলক বইগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হচ্ছে এবং হবে।’ এ বিষয়ে দুটি কমিটি গঠন করার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন কারিকুলাম সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাইলটিংয়ের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গিয়েছিল। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না।’
সংসদ সদস্যদের বই পড়ে দেখার অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী। বই পড়ে যাঁরা ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে সরকার কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি।
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ধর্ম, ধর্মবোধ, ধর্মের মর্মবাণী ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বিশ্বাস রেখে এই কদর্য বক্তব্যদাতাদের যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেদায়েত দান করেন, এই প্রার্থনা করি। তাঁদের সত্য বলার, মিথ্যাকে পরিহার করার, দেশকে অস্থিতিশীলতা করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। এই প্রার্থনা করি।’
সংসদে বিরোধী দলের দুজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরে স্পিকারকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলেন বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য। এর ৭ মাস পর জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অসত্য, আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্পিকারকে অনুরোধ করেন যেন টিপুর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হয়।’
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের তত্ত্ব রয়েছে বলে দাবি করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। সংসদে তিনি বলেন, ‘বানর থেকে মানুষ হয়। এটা আমাদের ধর্মবিরোধী প্রচার। আমরা মুসলমান। বিশ্বাস করি আমরা আদমের সন্তান। এখানে বানর থেকে মানুষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরা ইসলামের প্রতি আঘাত করেছে। এই দেশে ব্লাসফেমি আইন করা উচিত।’
নির্বাচন সামনে রেখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অরাজকতার জন্যই পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু না পেয়ে বইয়ের ওপর সওয়ার করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো কিছু কখনো করেনি। কোনো দিন করবে না, করতে পারে না। দেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার যতটুকু হয়েছে, তার অধিকাংশ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হয়েছে।’
যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ভুল সংশোধন নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো, তাহলে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভুল সংশোধনের পরামর্শ দিতেন। ফটোশপ করে, এডিট করে এই ধরনের মিথ্যাচার করতেন না।’
নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না, এ কারণে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দীপু মনি।
পাঠ্যপুস্তক বিতর্কের সিংহভাগই অসত্য উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা বিতর্ক শোনা যাচ্ছে। এই প্রচারণার সিংহভাগই অসত্য, অপপ্রচার। বিভিন্ন বইয়ের ছবি ফটোশপ করে, লেখা এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্রমের নয় যা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় না, সেগুলোকে আমাদের বই হিসেবে উল্লেখ করে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাদের বইয়ে নেই এমন কল্পিত বিষয় ও ছবি ব্যবহার করে বইয়ের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হচ্ছে। ভুয়া ও আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
‘বইয়ের লেখকদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী সম্পর্কে কদর্য ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বরেণ্য শিক্ষাবিদ যাঁরা পাঠ্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করা হচ্ছে। কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে।’
যাঁরা আক্রমণ করছেন, তাঁদের কোনো প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের বই পড়ানো হয় না বলে দাবি করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যাঁদের প্রতিষ্ঠানে বই পড়ানো হচ্ছে, তাঁরা কিন্তু কোনো অপপ্রচার করছেন না। যাঁদের প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়, তাঁদের মতামত নিয়েই পরীক্ষামূলক বইগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হচ্ছে এবং হবে।’ এ বিষয়ে দুটি কমিটি গঠন করার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন কারিকুলাম সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাইলটিংয়ের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গিয়েছিল। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না।’
সংসদ সদস্যদের বই পড়ে দেখার অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী। বই পড়ে যাঁরা ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে সরকার কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি।
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ধর্ম, ধর্মবোধ, ধর্মের মর্মবাণী ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বিশ্বাস রেখে এই কদর্য বক্তব্যদাতাদের যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেদায়েত দান করেন, এই প্রার্থনা করি। তাঁদের সত্য বলার, মিথ্যাকে পরিহার করার, দেশকে অস্থিতিশীলতা করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। এই প্রার্থনা করি।’
সংসদে বিরোধী দলের দুজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরে স্পিকারকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলেন বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য। এর ৭ মাস পর জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অসত্য, আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্পিকারকে অনুরোধ করেন যেন টিপুর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হয়।’
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের তত্ত্ব রয়েছে বলে দাবি করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। সংসদে তিনি বলেন, ‘বানর থেকে মানুষ হয়। এটা আমাদের ধর্মবিরোধী প্রচার। আমরা মুসলমান। বিশ্বাস করি আমরা আদমের সন্তান। এখানে বানর থেকে মানুষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরা ইসলামের প্রতি আঘাত করেছে। এই দেশে ব্লাসফেমি আইন করা উচিত।’
রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা শাস্তি দেওয়ার বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর গতকাল শনিবার লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ জারি করে। আজ রোববার অধ্যাদেশটি প্রকাশ করা হয়েছে...
৩৮ মিনিট আগেসিইসি বলেন, ‘আমাদের কাজকর্ম দলের নিবন্ধন নিয়ে। সরকারের আদেশটি পেয়ে নিই। গেজেট হোক। এখন তো মিডিয়ায় দেখছি, আপনাদের কথা শুনছি। একজাক্টলি কোন ধারায়, কোন ল্যাঙ্গুয়েজে তারা কি করে, না করে। এটি তো সরকারি গেজেট পাওয়ার পর আমরা জানতে পারব। তখন আমরা বসে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আমি তো একা কোনো সিদ্ধান্ত...
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আজ রোববার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের করা এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে বিশ্বের কোনো দেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় তাতে দুঃখ প্রকাশ করবে।’
১ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাসে সড়কে ঘটে যাওয়া ৫৯৩টি দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা ১১২৪ জন। এ হিসাব অনুযায়ী এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ১৯ দশমিক ৬ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনটি বলছে, সড়কে প্রাণহানি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে