Ajker Patrika

ড. ইউনূসের তৈরি গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধা পাওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উনার কি নিজস্ব? আপনি দেখেন যে এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা ভূমিকা আছে কি না। সরকারের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না।’

আজ সোমবার (১২ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্ন শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘গ্রামীণের যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন, সেইগুলোতে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত কিছু আছে কি না? এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তাঁর কোনো শেয়ার আছে? এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনো সুবিধা পান? আসলে কি এগুলো ড. ইউনূসের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান? গ্রামীণ নামটা না হয় ড. ইউনূস দিয়েছেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের একটা শেয়ারের মালিক কি না? উনার ব্যক্তিগত কোনো সম্পত্তি আছে কোথায়? কেউ দেখাতে পারবে?’

প্রেস সচিব বলেন, ‘আপনারা বের করে দেখান যে এসব প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বা সরকার কোনো ভূমিকা রেখেছে কি না। আমি সবাইকে এসব বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ২০০৯ সালে আবেদন করেছিল। ওই সময়ে ড. ইউনূস সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে সৌদি ও জার্মানের একটা হাসপাতালের চেইন তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি নার্স ও হাসপাতালের স্টাফ পাঠান।’ তারা বাংলাদেশের নিয়মিত কর্মী পাঠানো এজেন্সির মাধ্যমে নেবে না। কারণ ড. ইউনূসের মাধ্যমে নিলে খরচ একদম সীমিত পর্যায়ে থাকবে। সেই আলোকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এখন ২০২৪ সালের পর যদি লাইসেন্সের অনুমোদন পায়, তাহলে দোষ কি? বাংলাদেশে এই রকম সাড়ে ৩ হাজার এজেন্সি আছে।’

শফিকুল আলম বলেন, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন ২০১২ সালের দিকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে ২–৩ শ বিঘা জমি ক্রয় করেছিলেন। তখন যতবারই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, ততবারই তারা বলেছিল, ‘আবেদন জমা দিয়েন না। আমরা অনুমতি দিতে পারব না।’ এখন গত ৬ মাস অডিট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

শফিকুল আলম বলেন, তিনি পুরো বিশ্বের বিখ্যাত অধ্যাপকদের আনতে চেয়েছিলেন, যেটা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত