মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন ৭ কোটির বেশি। তাঁদের অনেকেই কাজ করেন রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাসায়নিক কারখানায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রম জরিপ বলছে, দেশে ৬ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আরও ১৮ শতাংশের বেশি শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে বিপজ্জনক সরঞ্জামে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিপে শ্রমিকদের পেশাগত ঝুঁকি ও শ্রমশক্তির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য পরিবেশ আরও উন্নত করা জরুরি।
বিবিএসের তথ্যমতে, দেশে ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন। জরিপের অংশ হিসেবে ১০৭ জন ব্যক্তির মাধ্যমে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা জরিপ করা হয়। জরিপে কর্মজীবী মানুষদের তাঁদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ কর্মজীবী অত্যধিক ঠান্ডা অথবা গরম ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন। কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকির শীর্ষে রয়েছে এ বিষয়টি। এ ছাড়া এরপর ধুলা, ধোঁয়া, শব্দ বা কম্পনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন ২৯ শতাংশ, বিপজ্জনক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন ১৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৬ শতাংশ শ্রমিক।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মালিক ও সরকারপক্ষকে শ্রমিকদের ঝুঁকি থেকে রক্ষায় সচেতনতা ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারখানাগুলোয় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে, বিশেষ করে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকির জায়গায় মানুষ কম ব্যবহার করতে হবে। এ ধরনের কাজে প্রশিক্ষিতরাই নিয়োজিত থাকবেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আবু ইউসুফ আরও বলেন, কর্মপরিবেশ নিরাপদ না হলে শ্রমিকের ঝুঁকি বাড়বে। তাঁরা স্বাস্থ্যগতভাবে ঝুঁকিতে পড়বেন। দীর্ঘ মেয়াদে অসুস্থ হবেন, তার পরিণতি ভোগ করতে হবে পরিবার-পরিজনকে। এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে।
জরিপের তথ্যমতে, কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে পুরুষ শ্রমিকেরা, ৮৫ শতাংশ। নারীরা আছেন ১৫ শতাংশ ঝুঁকিতে। এলাকাভিত্তিক তুলনায় দেখা যায়, শহর এলাকার ২৩ শতাংশ শ্রমিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। গ্রামাঞ্চলে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছেন ৭৭ শতাংশের বেশি শ্রমিক।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে কারখানার শ্রমিকেরা। জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফজলে এহসান শামীম বলেন, একটা সময় ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতেন। কিন্তু রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর কারখানাগুলোয় এ দৃশ্যের পরিবর্তন হয়েছে, মালিকেরা কারখানাগুলোয় নিজেদের স্বার্থে কর্মপরিবেশের উন্নতি করেছেন। তবে অনেক রাসায়নিক কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। দ্রুত পরিবেশের উন্নতি প্রয়োজন।
ঝুঁকি ছাড়াও জরিপে শ্রমিকদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১২ মাসে (২০২৩ সালে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন প্রায় ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ শ্রমিক। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ, ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী। দুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩২ দশমিক ১ শতাংশ এবং তিনবার দুর্ঘটনার শিকার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শ্রমিক। গ্রামাঞ্চলে ৭৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে, শহরাঞ্চলে এ হার ২১ শতাংশ।
দায়িত্ব পালনের সময় শ্রমিকেরা অসুস্থতা বা আঘাতের কারণে বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটি পেয়েছিলেন কি না, তা জরিপের সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ৩০-৬৪ বছর বয়সী বেতনভুক্ত কর্মীদের ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থসহ ছুটি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক, ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
দেশে কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন ৭ কোটির বেশি। তাঁদের অনেকেই কাজ করেন রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাসায়নিক কারখানায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রম জরিপ বলছে, দেশে ৬ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আরও ১৮ শতাংশের বেশি শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে বিপজ্জনক সরঞ্জামে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিপে শ্রমিকদের পেশাগত ঝুঁকি ও শ্রমশক্তির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য পরিবেশ আরও উন্নত করা জরুরি।
বিবিএসের তথ্যমতে, দেশে ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন। জরিপের অংশ হিসেবে ১০৭ জন ব্যক্তির মাধ্যমে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা জরিপ করা হয়। জরিপে কর্মজীবী মানুষদের তাঁদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ কর্মজীবী অত্যধিক ঠান্ডা অথবা গরম ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন। কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকির শীর্ষে রয়েছে এ বিষয়টি। এ ছাড়া এরপর ধুলা, ধোঁয়া, শব্দ বা কম্পনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন ২৯ শতাংশ, বিপজ্জনক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন ১৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৬ শতাংশ শ্রমিক।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মালিক ও সরকারপক্ষকে শ্রমিকদের ঝুঁকি থেকে রক্ষায় সচেতনতা ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারখানাগুলোয় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে, বিশেষ করে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঝুঁকির জায়গায় মানুষ কম ব্যবহার করতে হবে। এ ধরনের কাজে প্রশিক্ষিতরাই নিয়োজিত থাকবেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আবু ইউসুফ আরও বলেন, কর্মপরিবেশ নিরাপদ না হলে শ্রমিকের ঝুঁকি বাড়বে। তাঁরা স্বাস্থ্যগতভাবে ঝুঁকিতে পড়বেন। দীর্ঘ মেয়াদে অসুস্থ হবেন, তার পরিণতি ভোগ করতে হবে পরিবার-পরিজনকে। এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে।
জরিপের তথ্যমতে, কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে পুরুষ শ্রমিকেরা, ৮৫ শতাংশ। নারীরা আছেন ১৫ শতাংশ ঝুঁকিতে। এলাকাভিত্তিক তুলনায় দেখা যায়, শহর এলাকার ২৩ শতাংশ শ্রমিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। গ্রামাঞ্চলে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছেন ৭৭ শতাংশের বেশি শ্রমিক।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে কারখানার শ্রমিকেরা। জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফজলে এহসান শামীম বলেন, একটা সময় ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতেন। কিন্তু রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর কারখানাগুলোয় এ দৃশ্যের পরিবর্তন হয়েছে, মালিকেরা কারখানাগুলোয় নিজেদের স্বার্থে কর্মপরিবেশের উন্নতি করেছেন। তবে অনেক রাসায়নিক কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। দ্রুত পরিবেশের উন্নতি প্রয়োজন।
ঝুঁকি ছাড়াও জরিপে শ্রমিকদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১২ মাসে (২০২৩ সালে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন প্রায় ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ শ্রমিক। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ, ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী। দুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩২ দশমিক ১ শতাংশ এবং তিনবার দুর্ঘটনার শিকার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শ্রমিক। গ্রামাঞ্চলে ৭৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে, শহরাঞ্চলে এ হার ২১ শতাংশ।
দায়িত্ব পালনের সময় শ্রমিকেরা অসুস্থতা বা আঘাতের কারণে বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটি পেয়েছিলেন কি না, তা জরিপের সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ৩০-৬৪ বছর বয়সী বেতনভুক্ত কর্মীদের ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থসহ ছুটি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক, ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৫ ঘণ্টা আগে