আদালতে মামলাজট
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সর্বোচ্চ থেকে অধস্তন; সব আদালতেই বেড়েছে মামলাজট। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯ মাসে সারা দেশের আদালতগুলোতে মামলা বেড়েছে ২ লাখের বেশি। মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণে ভোগান্তি ও হয়রানি বাড়ছে বিচারপ্রার্থীদের।
আইনজীবীরা বলছেন, মামলা দায়েরের অনুপাতে বিচারকের অপ্রতুলতার কারণে নিষ্পত্তির সংখ্যা কম। বিভিন্ন আদালতের অবকাঠামোগত সংকট থাকার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা এবং সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের প্রবণতাও মামলাজটের জন্য দায়ী। মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করেনি সরকার। অবশ্য মামলা নিষ্পত্তিতে গতি আনতে সম্প্রতি সরকার ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত পৃথক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে (সর্বোচ্চ আদালত) ২৮ হাজার ৯০১টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০টি এবং অধস্তন আদালতে ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩২৯টি মামলা বিচারাধীন ছিল।
তবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৫২ হাজার ২৬০টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ৩৭ হাজার ২টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৫৩টি এবং অধস্তন আদালতে ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৫টি। অর্থাৎ গত ৯ মাসে মামলা বেড়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে বেড়েছে ৮ হাজার ১০১টি মামলা। এ ছাড়া তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩১টি মামলা।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। জেলা আদালতের মামলা নিষ্পত্তির জন্য মনিটরিং টিম করেছেন। অনেক জেলা আদালতে তিনি নিজে গেছেন। আশা করি মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে। আপিল বিভাগে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মামলা বেশি। ওসব মামলায় অনেক সময় লাগে। এ কারণে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি কম হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, অনেক মামলা হচ্ছে। মিথ্যা মামলাও হচ্ছে। মামলা দায়েরের অনুপাতে নিষ্পত্তি কম হচ্ছে বলে জট বাড়ছে। নিষ্পত্তি কম হওয়ার কারণ হলো—বিচারকের সংখ্যা কম, লজিস্টিক সাপোর্ট কম এবং জেলা আদালতে প্রয়োজন অনুযায়ী এজলাস না থাকা। এখন বিচারপ্রার্থীরা জেলা আদালতের পরে উচ্চ আদালতে রিভিউ পর্যন্ত দেখতে চান। আগে ১০ শতাংশ মামলা রিভিউ পর্যন্ত আসত। এখন ৯০ শতাংশই রিভিউ পর্যন্ত আসে। সুশাসন না হলে মামলা বাড়তে থাকবে। তাই মামলা নিষ্পত্তির জন্য মহাপরিকল্পনা করা উচিত।
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ধীরগতি
মামলাজট নিরসনসহ বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়, জেলা আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, বিচারপতি নিয়োগ আইন, ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, বিচারক ও আদালতের নিরাপত্তায় মার্শাল সার্ভিস, বিচারকদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আদালত ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার অন্যতম। এর মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলেও বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। এসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে মামলাজট নিরসন ও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন হয়েছে। লিগ্যাল এইড আইন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের কার্যবিধিতে কিছু সংস্কার হয়েছে। পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা এতে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, এটা হবে। ফৌজদারি মামলা তদন্তে পৃথক তদন্ত সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। অবকাঠামোগত বিষয়টি সমাধান করা দীর্ঘমেয়াদি কাজ। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু কাজ সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। এর মধ্যে রয়েছে, আদালত ব্যবস্থাপনা, আপিল বিভাগে আইনজীবী এনরোলমেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী এনরোলমেন্ট, আদালতের সময় বাঁচাতে অনলাইনে মেনশন স্লিপ নেওয়া ইত্যাদি।
সর্বোচ্চ থেকে অধস্তন; সব আদালতেই বেড়েছে মামলাজট। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯ মাসে সারা দেশের আদালতগুলোতে মামলা বেড়েছে ২ লাখের বেশি। মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণে ভোগান্তি ও হয়রানি বাড়ছে বিচারপ্রার্থীদের।
আইনজীবীরা বলছেন, মামলা দায়েরের অনুপাতে বিচারকের অপ্রতুলতার কারণে নিষ্পত্তির সংখ্যা কম। বিভিন্ন আদালতের অবকাঠামোগত সংকট থাকার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা এবং সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের প্রবণতাও মামলাজটের জন্য দায়ী। মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করেনি সরকার। অবশ্য মামলা নিষ্পত্তিতে গতি আনতে সম্প্রতি সরকার ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত পৃথক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে (সর্বোচ্চ আদালত) ২৮ হাজার ৯০১টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০টি এবং অধস্তন আদালতে ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩২৯টি মামলা বিচারাধীন ছিল।
তবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৫২ হাজার ২৬০টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ৩৭ হাজার ২টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৫৩টি এবং অধস্তন আদালতে ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৫টি। অর্থাৎ গত ৯ মাসে মামলা বেড়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে বেড়েছে ৮ হাজার ১০১টি মামলা। এ ছাড়া তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩১টি মামলা।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। জেলা আদালতের মামলা নিষ্পত্তির জন্য মনিটরিং টিম করেছেন। অনেক জেলা আদালতে তিনি নিজে গেছেন। আশা করি মামলা নিষ্পত্তি বাড়বে। আপিল বিভাগে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মামলা বেশি। ওসব মামলায় অনেক সময় লাগে। এ কারণে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি কম হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, অনেক মামলা হচ্ছে। মিথ্যা মামলাও হচ্ছে। মামলা দায়েরের অনুপাতে নিষ্পত্তি কম হচ্ছে বলে জট বাড়ছে। নিষ্পত্তি কম হওয়ার কারণ হলো—বিচারকের সংখ্যা কম, লজিস্টিক সাপোর্ট কম এবং জেলা আদালতে প্রয়োজন অনুযায়ী এজলাস না থাকা। এখন বিচারপ্রার্থীরা জেলা আদালতের পরে উচ্চ আদালতে রিভিউ পর্যন্ত দেখতে চান। আগে ১০ শতাংশ মামলা রিভিউ পর্যন্ত আসত। এখন ৯০ শতাংশই রিভিউ পর্যন্ত আসে। সুশাসন না হলে মামলা বাড়তে থাকবে। তাই মামলা নিষ্পত্তির জন্য মহাপরিকল্পনা করা উচিত।
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ধীরগতি
মামলাজট নিরসনসহ বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়, জেলা আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, বিচারপতি নিয়োগ আইন, ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, বিচারক ও আদালতের নিরাপত্তায় মার্শাল সার্ভিস, বিচারকদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আদালত ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার অন্যতম। এর মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলেও বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। এসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে মামলাজট নিরসন ও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন হয়েছে। লিগ্যাল এইড আইন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের কার্যবিধিতে কিছু সংস্কার হয়েছে। পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা এতে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, এটা হবে। ফৌজদারি মামলা তদন্তে পৃথক তদন্ত সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। অবকাঠামোগত বিষয়টি সমাধান করা দীর্ঘমেয়াদি কাজ। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু কাজ সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। এর মধ্যে রয়েছে, আদালত ব্যবস্থাপনা, আপিল বিভাগে আইনজীবী এনরোলমেন্ট ও সিনিয়র আইনজীবী এনরোলমেন্ট, আদালতের সময় বাঁচাতে অনলাইনে মেনশন স্লিপ নেওয়া ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ছয়জন প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন একই ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
৫ ঘণ্টা আগেআগামী শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে বোর্ডের নতুন বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভার পর সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা একথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রদূত করেছে সরকার। এই দুই সেনা কর্মকর্তার চাকরি প্রেষণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে