অনলাইন ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘৪০০ কোটি টাকার মালিক’ সেই ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি জাহাঙ্গীর আলমের স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তাঁর মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার উদ্দেশ্যে আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা ও জমাকৃত অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
অনুসন্ধানকালে আরও দেখা যায়, মো. জাহাঙ্গীর আলম উপরোক্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে তার নিজ নামীয় ও তায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। তার আটটি ব্যাংকের ২৩ হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা এবং ৬২৪ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে, যা দুদকের অনুসন্ধানে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে তার হিসাবে জমা হওয়ার পর তা বিভিন্ন পন্থায় স্থানান্তর করেছেন। যার মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম তার মালিকানাধীন স্কাই রি এরেঞ্জ নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি চলতি হিসাবে শুধু ২০২৪ সালের (প্রথম ৫ মাসে) ৮৩ দিনে মোট ১৭৮ কোটি টাকা জমা এবং ১৭৮ কোটি ৯৩ টাকা উত্তোলন/ফান্ড ট্রান্সফার করেন।
অন্য একটি মামলায় আসামি করা হয় মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহারকে। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত ১৪ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাসার পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না।’
এ ঘটনায় আলোচনায় আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানী মিরপুরে বাড়িসহ বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায়, বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংকে সোয়া ১ কোটি টাকা, তাঁর নিজের নামে আড়াই কোটি টাকা থাকার কথাও উল্লেখ করেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁর অংশীদার থাকার তথ্য উঠে আসে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘৪০০ কোটি টাকার মালিক’ সেই ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি জাহাঙ্গীর আলমের স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তাঁর মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার উদ্দেশ্যে আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা ও জমাকৃত অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
অনুসন্ধানকালে আরও দেখা যায়, মো. জাহাঙ্গীর আলম উপরোক্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে তার নিজ নামীয় ও তায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। তার আটটি ব্যাংকের ২৩ হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা এবং ৬২৪ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে, যা দুদকের অনুসন্ধানে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে তার হিসাবে জমা হওয়ার পর তা বিভিন্ন পন্থায় স্থানান্তর করেছেন। যার মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম তার মালিকানাধীন স্কাই রি এরেঞ্জ নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি চলতি হিসাবে শুধু ২০২৪ সালের (প্রথম ৫ মাসে) ৮৩ দিনে মোট ১৭৮ কোটি টাকা জমা এবং ১৭৮ কোটি ৯৩ টাকা উত্তোলন/ফান্ড ট্রান্সফার করেন।
অন্য একটি মামলায় আসামি করা হয় মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহারকে। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত ১৪ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাসার পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না।’
এ ঘটনায় আলোচনায় আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানী মিরপুরে বাড়িসহ বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায়, বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংকে সোয়া ১ কোটি টাকা, তাঁর নিজের নামে আড়াই কোটি টাকা থাকার কথাও উল্লেখ করেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁর অংশীদার থাকার তথ্য উঠে আসে।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
২ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৮ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১১ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে