জীবনধারা ডেস্ক
‘গ্রীষ্মকালের দুপুর রোদে গাছের ডালে উঠি।
আয় রে সবাই হল্লা ক’রে হরেক মজা লুটি’
সুকুমার রায়ের ‘ছুটি’ ছড়ার এ দুটি লাইন পৃথিবীর যেকোনো গ্রীষ্মের ছুটির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে গ্রীষ্মের ছুটিতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ঘুরতে বের হন। কিন্তু ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ছুটির ওপর কালো থাবা বসিয়েছে তাপমাত্রা। ফলে বদলে যাচ্ছে ভ্রমণের গন্তব্য। জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে প্রতিবছর কমছে পর্যটকের সংখ্যা।
ইউরোপিয়ান ট্রাভেল কমিশনের (ইটিসি) সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট জানিয়েছে, জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের দেশগুলো ছিল ইউরোপীয়দের জনপ্রিয় গন্তব্য। তবে গত বছরের তুলনায় সে অঞ্চলের দেশগুলোতে ইউরোপীয় পর্যটকদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমে গেছে। অনেক ভ্রমণকারী এরই মধ্যে ছুটির তারিখ বদল করে বেছে নিচ্ছেন অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকে।
ইতালির পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিসি ট্রাভেলকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সে দেশে ৯২ লাখ ৫৫ হাজার বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পর্যটকদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯০ লাখ ৬৪ হাজারে। আর ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ ইতালিতে পর্যটকের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় ৮৭ লাখ ৪৮ হাজারে। নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত সিস্টেম বিশ্লেষণের সহকারী অধ্যাপক বাস আমেলুং জানান, ‘ভূমধ্যসাগরে গ্রীষ্মকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’ গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কোনো কোনো দেশে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৬ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।
শুধু কার্বন নিঃসরণ ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে গরমের একমাত্র কারণ নয়। এ বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে গ্রিসসহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, স্পেন ও পর্তুগালের বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে দক্ষিণ ইউরোপে তাপপ্রবাহ, খরা, দাবানল, উপকূলীয় ঝড়, বন্যা এবং প্রবল বৃষ্টি হতে থাকবে।
এ বছরের জুলাই মাসে টানা ৮ দিনের তাপপ্রবাহে স্পেনে প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা যায়। ইউরোপে এ বছর গ্রীষ্মে হিটওয়েভের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা এখন পর্যন্ত গণনা করা না হলেও ২০২২ সালে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ফলে গ্রীষ্মকালে ভ্রমণকারীরা চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ডেনমার্কের দেশগুলোকে বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে।
ভিজিট কর্নওয়ালের নির্বাহী চেয়ার ম্যালকম বেলের মতে, কর্নওয়ালের উপকূলীয় ব্রিটিশ অঞ্চল, সৈকত এবং সি বিচের জন্য বিখ্যাত জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর গ্রীষ্মের তাপমাত্রার কারণে ভ্রমণকারীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, জলবায়ু উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে গ্রীষ্মে ১০ শতাংশ পর্যটক কমে যাবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিক লোনিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বার্ষিক ৯ শতাংশ পর্যটক কমে যাবে। একই জলবায়ু পরিস্থিতিতে পশ্চিম ওয়েলসে বার্ষিক পর্যটন বৃদ্ধি পাবে ১৬ শতাংশ।
‘গ্রীষ্মকালের দুপুর রোদে গাছের ডালে উঠি।
আয় রে সবাই হল্লা ক’রে হরেক মজা লুটি’
সুকুমার রায়ের ‘ছুটি’ ছড়ার এ দুটি লাইন পৃথিবীর যেকোনো গ্রীষ্মের ছুটির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে গ্রীষ্মের ছুটিতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ঘুরতে বের হন। কিন্তু ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ছুটির ওপর কালো থাবা বসিয়েছে তাপমাত্রা। ফলে বদলে যাচ্ছে ভ্রমণের গন্তব্য। জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে প্রতিবছর কমছে পর্যটকের সংখ্যা।
ইউরোপিয়ান ট্রাভেল কমিশনের (ইটিসি) সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট জানিয়েছে, জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের দেশগুলো ছিল ইউরোপীয়দের জনপ্রিয় গন্তব্য। তবে গত বছরের তুলনায় সে অঞ্চলের দেশগুলোতে ইউরোপীয় পর্যটকদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমে গেছে। অনেক ভ্রমণকারী এরই মধ্যে ছুটির তারিখ বদল করে বেছে নিচ্ছেন অক্টোবর ও নভেম্বর মাসকে।
ইতালির পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিসি ট্রাভেলকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সে দেশে ৯২ লাখ ৫৫ হাজার বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পর্যটকদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯০ লাখ ৬৪ হাজারে। আর ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ ইতালিতে পর্যটকের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় ৮৭ লাখ ৪৮ হাজারে। নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত সিস্টেম বিশ্লেষণের সহকারী অধ্যাপক বাস আমেলুং জানান, ‘ভূমধ্যসাগরে গ্রীষ্মকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’ গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কোনো কোনো দেশে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৬ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।
শুধু কার্বন নিঃসরণ ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে গরমের একমাত্র কারণ নয়। এ বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে গ্রিসসহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, স্পেন ও পর্তুগালের বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে দক্ষিণ ইউরোপে তাপপ্রবাহ, খরা, দাবানল, উপকূলীয় ঝড়, বন্যা এবং প্রবল বৃষ্টি হতে থাকবে।
এ বছরের জুলাই মাসে টানা ৮ দিনের তাপপ্রবাহে স্পেনে প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা যায়। ইউরোপে এ বছর গ্রীষ্মে হিটওয়েভের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা এখন পর্যন্ত গণনা করা না হলেও ২০২২ সালে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ফলে গ্রীষ্মকালে ভ্রমণকারীরা চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ডেনমার্কের দেশগুলোকে বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে।
ভিজিট কর্নওয়ালের নির্বাহী চেয়ার ম্যালকম বেলের মতে, কর্নওয়ালের উপকূলীয় ব্রিটিশ অঞ্চল, সৈকত এবং সি বিচের জন্য বিখ্যাত জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর গ্রীষ্মের তাপমাত্রার কারণে ভ্রমণকারীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, জলবায়ু উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে গ্রীষ্মে ১০ শতাংশ পর্যটক কমে যাবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিক লোনিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বার্ষিক ৯ শতাংশ পর্যটক কমে যাবে। একই জলবায়ু পরিস্থিতিতে পশ্চিম ওয়েলসে বার্ষিক পর্যটন বৃদ্ধি পাবে ১৬ শতাংশ।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১৪ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
১৯ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
২০ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
২ দিন আগে