ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ইতিহাসবিদ ড. টিমোথি সি. উইনগার্ড বলেছেন, ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী শিকারি আসলে মশা।’ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে এক মিলিয়নের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে, যেখানে হাঙরের আক্রমণে মারা যায় বছরে ১০ জনের কম মানুষ। গ্রীষ্ম বা বর্ষা এলে গ্রাম থেকে শহর—সবার অন্যতম আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠে মশা।
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস—সবই ছড়ায় মশার মাধ্যমে। শুধু ম্যালেরিয়াতেই প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি প্রাণ ঝরে যায়। ইতিহাসে বহু যুদ্ধ, অভিবাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ অনেক কিছুর ওপরই প্রভাব ফেলেছে মশার ছড়ানো রোগ। উত্তর গোলার্ধের অনেক দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত। অনেকে তার আংশিক কারণ হিসেবে বলে থাকেন, সেখানে ম্যালেরিয়া নেই, ফলে তারা স্বাস্থ্যসংকটে ভুগে পিছিয়ে পড়েনি।
ড. উইনগার্ডের মতে, মশা কাকে বেশি কামড়াবে, তার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। তবে বাকি অংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। তিনি গ্রীষ্মকালে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায় জানিয়েছেন।
মদ পান এড়িয়ে চলুন
মশা মানুষের শরীর চিহ্নিত করে প্রধানত তাপ ও গন্ধের মাধ্যমে। অ্যালকোহল পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে মশা মানুষের অবস্থান সহজে শনাক্ত করতে পারে। তা ছাড়া অ্যালকোহল রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে ত্বকের তাপমাত্রা আরও বাড়ায়, যা মশার কাছে একধরনের সংকেত হিসেবে কাজ করে। তাই গরমের দিনে ঠান্ডা পানি বা লেবুর শরবত পান করলে ভালো উপকার পাবেন।
শরীর ঠান্ডা রাখুন এবং হালকা রঙের পোশাক পরুন
মশা ৬০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত গন্ধ শনাক্ত করতে পারে। আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস থেকে বের হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড তাদের জন্য বড় সংকেত। ব্যায়াম করলে বা ভারী শ্বাস নিলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় মশা দ্রুত খুঁজে পায় মানুষকে। তাই শরীর ঠান্ডা রাখা জরুরি। পোশাক নির্বাচনও এ ক্ষেত্রে জরুরি। গাঢ় রঙের কাপড় তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ ধরে রাখে, ফলে মশা সহজে আপনাকে খুঁজে পাবে। তাই হালকা রঙের, লম্বা হাতা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
সঠিক নিয়মে মশারোধক ব্যবহার করুন
মশারোধক স্প্রে বা লোশন ব্যবহারে অসতর্ক হলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। অনেক সময় আমরা কিছু জায়গা বাদ দিয়ে লোশন লাগাই, যেমন হাঁটু বা পায়ের পেছনের অংশ। আর সেখানেই মশা কামড়ায়। তাই অবশ্যই পুরো শরীরে সমানভাবে লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। ডিইইটি সমৃদ্ধ মশারোধক সবচেয়ে কার্যকর।
জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলুন
মশার প্রজননের জন্য পানি অপরিহার্য। একটি ছোট বোতলে যতটুকু পানি ধরে, তাতেই মশা ডিম পাড়তে পারে। তাই বাড়ির আঙিনা বা ছাদে জমে থাকা পানি, পুরোনো টায়ার, খেলনা, ফুলের টব, পাত্র বা ভেজা মাটিও মশার আদর্শ প্রজননক্ষেত্র। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এসব জায়গা পরিষ্কার করে ফেলুন।
শরীরের গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করুন
মানুষের শরীরে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বেশি থাকলে অনেক সময় মশা কম আকৃষ্ট হয়। তবে সুগন্ধি সাবান, ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম মশার জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সুগন্ধি পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। আর পা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের পায়ে থাকা বিশেষ একধরনের ব্যাকটেরিয়ার গন্ধ মশার অত্যন্ত পছন্দের জিনিস। এ জন্যই অনেক সময় গোড়ালি ও পায়ের কাছে মশা বেশি কামড়ায়।
রক্তের গ্রুপের প্রভাব
গায়ের রং, লিঙ্গ বা চুলের রং মশার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে রক্তের গ্রুপ এখানে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের গ্রুপ ‘ও’ হলে তাদের মশা কামড়ায় বেশি। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের মানুষের ঝুঁকি সবচেয়ে কম, আর রক্তের গ্রুপ ‘বি’ এর মানুষেরা রয়েছে মাঝামাঝি পর্যায়ে।
মশা মানুষের হাজার বছরের পুরোনো শত্রু। তাদের পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক এই সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে মশার কামড় এবং মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
সূত্র: সিএনএন
ইতিহাসবিদ ড. টিমোথি সি. উইনগার্ড বলেছেন, ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী শিকারি আসলে মশা।’ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে এক মিলিয়নের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে, যেখানে হাঙরের আক্রমণে মারা যায় বছরে ১০ জনের কম মানুষ। গ্রীষ্ম বা বর্ষা এলে গ্রাম থেকে শহর—সবার অন্যতম আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠে মশা।
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস—সবই ছড়ায় মশার মাধ্যমে। শুধু ম্যালেরিয়াতেই প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি প্রাণ ঝরে যায়। ইতিহাসে বহু যুদ্ধ, অভিবাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ অনেক কিছুর ওপরই প্রভাব ফেলেছে মশার ছড়ানো রোগ। উত্তর গোলার্ধের অনেক দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত। অনেকে তার আংশিক কারণ হিসেবে বলে থাকেন, সেখানে ম্যালেরিয়া নেই, ফলে তারা স্বাস্থ্যসংকটে ভুগে পিছিয়ে পড়েনি।
ড. উইনগার্ডের মতে, মশা কাকে বেশি কামড়াবে, তার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। তবে বাকি অংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। তিনি গ্রীষ্মকালে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায় জানিয়েছেন।
মদ পান এড়িয়ে চলুন
মশা মানুষের শরীর চিহ্নিত করে প্রধানত তাপ ও গন্ধের মাধ্যমে। অ্যালকোহল পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে মশা মানুষের অবস্থান সহজে শনাক্ত করতে পারে। তা ছাড়া অ্যালকোহল রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে ত্বকের তাপমাত্রা আরও বাড়ায়, যা মশার কাছে একধরনের সংকেত হিসেবে কাজ করে। তাই গরমের দিনে ঠান্ডা পানি বা লেবুর শরবত পান করলে ভালো উপকার পাবেন।
শরীর ঠান্ডা রাখুন এবং হালকা রঙের পোশাক পরুন
মশা ৬০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত গন্ধ শনাক্ত করতে পারে। আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস থেকে বের হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড তাদের জন্য বড় সংকেত। ব্যায়াম করলে বা ভারী শ্বাস নিলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় মশা দ্রুত খুঁজে পায় মানুষকে। তাই শরীর ঠান্ডা রাখা জরুরি। পোশাক নির্বাচনও এ ক্ষেত্রে জরুরি। গাঢ় রঙের কাপড় তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ ধরে রাখে, ফলে মশা সহজে আপনাকে খুঁজে পাবে। তাই হালকা রঙের, লম্বা হাতা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
সঠিক নিয়মে মশারোধক ব্যবহার করুন
মশারোধক স্প্রে বা লোশন ব্যবহারে অসতর্ক হলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। অনেক সময় আমরা কিছু জায়গা বাদ দিয়ে লোশন লাগাই, যেমন হাঁটু বা পায়ের পেছনের অংশ। আর সেখানেই মশা কামড়ায়। তাই অবশ্যই পুরো শরীরে সমানভাবে লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। ডিইইটি সমৃদ্ধ মশারোধক সবচেয়ে কার্যকর।
জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলুন
মশার প্রজননের জন্য পানি অপরিহার্য। একটি ছোট বোতলে যতটুকু পানি ধরে, তাতেই মশা ডিম পাড়তে পারে। তাই বাড়ির আঙিনা বা ছাদে জমে থাকা পানি, পুরোনো টায়ার, খেলনা, ফুলের টব, পাত্র বা ভেজা মাটিও মশার আদর্শ প্রজননক্ষেত্র। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এসব জায়গা পরিষ্কার করে ফেলুন।
শরীরের গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করুন
মানুষের শরীরে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বেশি থাকলে অনেক সময় মশা কম আকৃষ্ট হয়। তবে সুগন্ধি সাবান, ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম মশার জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সুগন্ধি পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। আর পা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের পায়ে থাকা বিশেষ একধরনের ব্যাকটেরিয়ার গন্ধ মশার অত্যন্ত পছন্দের জিনিস। এ জন্যই অনেক সময় গোড়ালি ও পায়ের কাছে মশা বেশি কামড়ায়।
রক্তের গ্রুপের প্রভাব
গায়ের রং, লিঙ্গ বা চুলের রং মশার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে রক্তের গ্রুপ এখানে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের গ্রুপ ‘ও’ হলে তাদের মশা কামড়ায় বেশি। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের মানুষের ঝুঁকি সবচেয়ে কম, আর রক্তের গ্রুপ ‘বি’ এর মানুষেরা রয়েছে মাঝামাঝি পর্যায়ে।
মশা মানুষের হাজার বছরের পুরোনো শত্রু। তাদের পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক এই সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে মশার কামড় এবং মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
সূত্র: সিএনএন
নবম থেকে এগারো শতকের জাপানে ছাতা ছিল কেবল ক্ষমতাবানদের ব্যবহার্য জিনিস। তখন শাসক বা ধর্মীয় নেতাদের মাথার ওপর সম্মান ও আধ্যাত্মিক ছায়ার প্রতীক হিসেবে দীর্ঘ হাতলযুক্ত বড় ছাতা ধরা হতো। বারো শতকের পর সাধারণ মানুষও ছাতা ব্যবহার শুরু করে।
৫ ঘণ্টা আগেরান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রং ও স্বাদ—দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন, তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেশ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
১৮ ঘণ্টা আগে‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১ দিন আগে