Ajker Patrika

রেটিনল ব্যবহারের আগে যা জানতে হবে

ফারিয়া রহমান খান 
ছবি: মঞ্জু আলম
ছবি: মঞ্জু আলম

অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার জগতে রেটিনল ভীষণ জনপ্রিয় নাম। অনেকে এটিকে ‘ভিটামিন এ’ নামেও চেনেন। বলিরেখা কমিয়ে ত্বক মসৃণ করতে এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আভা আনতে রেটিনল খুবই কার্যকর।

তবে এই উপাদান যে সবার ত্বকের উপযুক্ত, তা নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে রেটিনল ব্যবহার করলে ত্বকে লালচে ভাব, চামড়া ওঠা, ত্বক জ্বালা করা বা অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রেটিনল ব্যবহার শুরুর আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো।

সবার ত্বকে রেটিনল কেন সহ্য হয় না

সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিরা রেটিনল ব্যবহারের প র ত্বকে লালচে ভাব, শুষ্কতা কিংবা ব্রণ দেখা দিতে পারে। যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, একজিমা আছে অথবা ত্বকের বাইরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে রেটিনল ব্যবহার করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে রেটিনল ব্যবহার না করাই ভালো।

কার্যকর বিকল্প কী

রেটিনলের পরিবর্তে বাকুচিওল রয়েছে এমন সেরাম, তেল, ক্রিম কিংবা ফেস মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাকুচিওল হলো প্রাকৃতিক, উদ্ভিদভিত্তিক একটি উপাদান, যা সোরালিয়া কোরিলিফোলিয়া প্রজাতির গাছের পাতা ও বীজ থেকে পাওয়া যায়। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। বাকুচিওলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও কোলাজেন উৎপাদনকারী বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি রেটিনলের মতোই ত্বকের বলিরেখা ও পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বকে মসৃণতা আনে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এবং গর্ভাবস্থায় রেটিনলের পরিবর্তে বাকুচিওল ব্যবহার বেশি নিরাপদ। তাই ভালো ফল পেতে যেসব সেরাম বা ক্রিমে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশ বাকুচিওল আছে, সেগুলো দেখে কেনা ভালো।

আরও কিছু বিকল্প

ত্বকের সমস্যার ধরন অনুযায়ী রেটিনলের বিকল্প হিসেবে আরও যেসব উপাদান ব্যবহার করা যায়—

  • নিয়াসিনামাইড: এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, পোরস কমায় এবং ত্বক রক্ষা করে।
  • অ্যাজেলেইক অ্যাসিড: এটি ত্বকের অসম রং, লাল ভাব এবং দাগ কমাতে বেশ কার্যকর।
  • ভিটামিন সি: এটি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলো এবং সুরক্ষা দেয়।

কোরিয়া ও পশ্চিমের তুলনা

দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে রেটিনলের ব্যবহার বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু কোরীয়দের ত্বকচর্চার ধারণা গড়ে উঠেছে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগানোর ওপরই। ফলে তারা ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে পুষ্টিকর খাবারের ওপর জোর দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দূষণ থেকে ত্বকের সুরক্ষায় নিয়াসিনামাইড ও সিরামাইডের মতো কিছু উপাদান ব্যবহার করে।

রেটিনল ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম

হুট করে ইচ্ছেমতো রেটিনল ব্যবহার করা যায় না। তাতে ভালোর চেয়ে খারাপই হবে বেশি। রেটিনল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে ত্বকের সহ্যক্ষমতা বাড়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে ‘১-২-৩ নিয়ম’ অনুসরণ করলে ভালো ফল মিলবে। এই নিয়ম অনুসারে প্রথম সপ্তাহে এক দিন, তার পরের সপ্তাহে দুই দিন এবং এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে রেটিনল ব্যবহার করুন।

সূত্র: ওম্যান’স হেলথ ম্যাগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত