শারমিন কচি
আর কদিন পর পয়লা বৈশাখ। প্রচণ্ড গরম থাকলেও সাজগোজ তো খানিকটা করবেনই। কিন্তু মেকআপ করলেই সুন্দর দেখায় না। এর জন্য ত্বক প্রস্তুত করা চাই। চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, ব্রণ না কমলে সুন্দর পোশাক বা দামি মেকআপেও ভালো দেখাবে না। তাই নববর্ষের আগের এ কদিন ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিতে পারেন, যাতে হালকা মেকআপেই আপনাকে দেখায় তরতাজা।
স্বাভাবিক ত্বক
আর্দ্রতা থাকার কারণে শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয় না বলে স্বাভাবিক ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর হয়। তবে এ ধরনের ত্বক বয়সের সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করে। সাবান বা ফেসওয়াশ নরম ব্রাশে নিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়। তা ছাড়া চোখের চারপাশে কাঠবাদামের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকেও কাঠবাদামসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করুন। পাকা পেঁপে এ ধরনের ত্বকে খুব উপকারী। একটুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে মুখে ও গলায় ঘষে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। কমলা লেবুর খোসা বাটা, কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। তারপর স্বাভাবিক পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। মসুর ডালের বাটা, মধু, কাঁচা দুধ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর মুখে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ কাজে দেবে। গোলাপজলের সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। পরে হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্রাবিং করুন। এ জন্য চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। হালকা ভেজা ত্বকে বৃত্তাকারভাবে স্ক্রাব মালিশ করুন। সপ্তাহে দুবার এভাবে স্ক্রাব ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমে যাবে। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্রাব না করাই ভালো। ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্রাবিং করুন।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। এ ধরনের ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিন। আলাদা কোনো আভা না থাকায় এ ধরনের ত্বক প্রাণহীন দেখায়। তাই ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ এবং কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে বৃত্তাকারে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে আসবে। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের গরমে সমস্যা হতে পারে। খাদ্যতালিকায় পানির সঙ্গে রাখুন তরল খাবার। ফলের রস পান করবেন। ভিটামিন এ, ই রয়েছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
লেখক: রূপ বিশেষজ্ঞ, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
আর কদিন পর পয়লা বৈশাখ। প্রচণ্ড গরম থাকলেও সাজগোজ তো খানিকটা করবেনই। কিন্তু মেকআপ করলেই সুন্দর দেখায় না। এর জন্য ত্বক প্রস্তুত করা চাই। চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, ব্রণ না কমলে সুন্দর পোশাক বা দামি মেকআপেও ভালো দেখাবে না। তাই নববর্ষের আগের এ কদিন ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিতে পারেন, যাতে হালকা মেকআপেই আপনাকে দেখায় তরতাজা।
স্বাভাবিক ত্বক
আর্দ্রতা থাকার কারণে শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয় না বলে স্বাভাবিক ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর হয়। তবে এ ধরনের ত্বক বয়সের সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করে। সাবান বা ফেসওয়াশ নরম ব্রাশে নিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়। তা ছাড়া চোখের চারপাশে কাঠবাদামের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকেও কাঠবাদামসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করুন। পাকা পেঁপে এ ধরনের ত্বকে খুব উপকারী। একটুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে মুখে ও গলায় ঘষে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। কমলা লেবুর খোসা বাটা, কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। তারপর স্বাভাবিক পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। মসুর ডালের বাটা, মধু, কাঁচা দুধ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর মুখে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ কাজে দেবে। গোলাপজলের সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। পরে হালকা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্রাবিং করুন। এ জন্য চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। হালকা ভেজা ত্বকে বৃত্তাকারভাবে স্ক্রাব মালিশ করুন। সপ্তাহে দুবার এভাবে স্ক্রাব ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমে যাবে। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্রাব না করাই ভালো। ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্রাবিং করুন।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। এ ধরনের ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিন। আলাদা কোনো আভা না থাকায় এ ধরনের ত্বক প্রাণহীন দেখায়। তাই ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ এবং কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে বৃত্তাকারে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে আসবে। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের গরমে সমস্যা হতে পারে। খাদ্যতালিকায় পানির সঙ্গে রাখুন তরল খাবার। ফলের রস পান করবেন। ভিটামিন এ, ই রয়েছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
লেখক: রূপ বিশেষজ্ঞ, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
৬ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগে