ডা. ফারজানা রহমান
প্রশ্ন: আমার দুটি সন্তান, একজনের বয়স ১৬, অন্যজনের ৫ বছর। আমি গৃহিণী। সারা দিন সন্তানদের নিয়েই কাটে। আমার বড় মেয়ে ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলতে নিষেধ করলেও সে লুকিয়ে আইডি খুলেছে। আমি জানতে পারার পর তাকে বলেছি, আমাকে দেখিয়ে তার ছবি আপলোড করতে। কিন্তু অনেক সময়ই সে নিজের ইচ্ছেমতো ছবি আপলোড করে। ওকে কখনো বকাবকি, কখনো বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি, হচ্ছেও না। নিজেকে অনেক অসহায় লাগে। আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে ওকে বোঝাব। সামনে তার এসএসসি পরীক্ষা। আমি চাই, সে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ দিক।
তিন্নি আফরোজ, বরিশাল
উত্তর: আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। এ রকম সমস্যা এখন প্রায়ই দেখা যায়। করোনাকালে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের পর অনেকে এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা একটু মুশকিল। এ জন্য প্রথমে আপনার মেয়েটির আগ্রহ থাকতে হবে।
আপনারা হয়তো জানেন, মাদকাসক্তি ও ইন্টারনেট আসক্তির কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা একই রকম। যেকোনো আসক্তির মতো সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তিও কিন্তু বারবার ফিরে আসা মানসিক একটি রোগ, যা মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে। মস্তিষ্কে কিছু বিশেষ ধরনের রস বা নিউরো ট্রান্সমিটার আছে, যেমন ডোপামিন। এটির নিঃসরণ আমাদের মনে আনন্দ বা সুখের অনুভূতি তৈরি করে। যেকোনো আসক্তিতেই মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ হয়। যার জন্য তাদের মধ্যে তীব্র আনন্দের সৃষ্টি হয়। এরপর সৃষ্টি হয় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। চাইলেও আসক্তির প্রভাব থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায়। তবে চেষ্টা করলে সম্ভব। সঠিক রুটিন মেনে চলতে হবে। মনস্তত্ত্ববিদের কাছে গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা ও ফলো আপে আসতে হবে। এই সমস্যার জন্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে এসে মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
হতাশ হবেন না, চিকিৎসার মাধ্যমে এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
প্রশ্ন: আমার দুটি সন্তান, একজনের বয়স ১৬, অন্যজনের ৫ বছর। আমি গৃহিণী। সারা দিন সন্তানদের নিয়েই কাটে। আমার বড় মেয়ে ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলতে নিষেধ করলেও সে লুকিয়ে আইডি খুলেছে। আমি জানতে পারার পর তাকে বলেছি, আমাকে দেখিয়ে তার ছবি আপলোড করতে। কিন্তু অনেক সময়ই সে নিজের ইচ্ছেমতো ছবি আপলোড করে। ওকে কখনো বকাবকি, কখনো বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি, হচ্ছেও না। নিজেকে অনেক অসহায় লাগে। আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে ওকে বোঝাব। সামনে তার এসএসসি পরীক্ষা। আমি চাই, সে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ দিক।
তিন্নি আফরোজ, বরিশাল
উত্তর: আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। এ রকম সমস্যা এখন প্রায়ই দেখা যায়। করোনাকালে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের পর অনেকে এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা একটু মুশকিল। এ জন্য প্রথমে আপনার মেয়েটির আগ্রহ থাকতে হবে।
আপনারা হয়তো জানেন, মাদকাসক্তি ও ইন্টারনেট আসক্তির কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা একই রকম। যেকোনো আসক্তির মতো সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তিও কিন্তু বারবার ফিরে আসা মানসিক একটি রোগ, যা মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে। মস্তিষ্কে কিছু বিশেষ ধরনের রস বা নিউরো ট্রান্সমিটার আছে, যেমন ডোপামিন। এটির নিঃসরণ আমাদের মনে আনন্দ বা সুখের অনুভূতি তৈরি করে। যেকোনো আসক্তিতেই মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ হয়। যার জন্য তাদের মধ্যে তীব্র আনন্দের সৃষ্টি হয়। এরপর সৃষ্টি হয় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। চাইলেও আসক্তির প্রভাব থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায়। তবে চেষ্টা করলে সম্ভব। সঠিক রুটিন মেনে চলতে হবে। মনস্তত্ত্ববিদের কাছে গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা ও ফলো আপে আসতে হবে। এই সমস্যার জন্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে এসে মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
হতাশ হবেন না, চিকিৎসার মাধ্যমে এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
৪ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
১৪ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১৫ ঘণ্টা আগে