আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে
২ ঘণ্টা আগে
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে
২ ঘণ্টা আগে
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে
২ ঘণ্টা আগে
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রথম পরিপত্রে এ কথা বলা হয়েছে।
ইসির পরিপত্রে বলা হয়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন। কেউ তিনটির বেশি আসনে প্রার্থী হলে তাঁর সব কটি মনোনয়নপত্রই বাতিল হবে। নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের নিজে অথবা তাঁর প্রস্তাবক বা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আইনের বিধান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাঁরা মনোনয়নপত্র পাননি। তাঁদের সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে মনোনয়নপত্র সরবরাহ করা হবে বলে ইসি জানিয়েছে।
পরিপত্রে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণ প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, বিমা ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারী পাওয়া না গেলে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
পরিপত্রে সংবিধানের ৬৬ (১) (২) ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিওর ১২ (১) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ ছাড়া বিধান অনুযায়ী প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য অন্যদের মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত আদালত থেকে অপ্রকৃতিস্থ (মানসিক ভারসাম্যহীন) বা দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন বা আনুগত্য ঘোষণাকারী ব্যক্তি এবং নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে অন্তত দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি যার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পার হয়নি।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর পার না হলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া দুর্নীতির কারণে প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারিত বা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর পাঁচ বছর পার না হলে এবং ব্যাংক ঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবার বিল খেলাপিরাও প্রার্থী হতে পারবেন না।

আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রথম পরিপত্রে এ কথা বলা হয়েছে।
ইসির পরিপত্রে বলা হয়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন। কেউ তিনটির বেশি আসনে প্রার্থী হলে তাঁর সব কটি মনোনয়নপত্রই বাতিল হবে। নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের নিজে অথবা তাঁর প্রস্তাবক বা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আইনের বিধান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাঁরা মনোনয়নপত্র পাননি। তাঁদের সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে মনোনয়নপত্র সরবরাহ করা হবে বলে ইসি জানিয়েছে।
পরিপত্রে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণ প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, বিমা ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারী পাওয়া না গেলে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
পরিপত্রে সংবিধানের ৬৬ (১) (২) ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিওর ১২ (১) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ ছাড়া বিধান অনুযায়ী প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য অন্যদের মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত আদালত থেকে অপ্রকৃতিস্থ (মানসিক ভারসাম্যহীন) বা দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন বা আনুগত্য ঘোষণাকারী ব্যক্তি এবং নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে অন্তত দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি যার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পার হয়নি।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর পার না হলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া দুর্নীতির কারণে প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারিত বা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর পাঁচ বছর পার না হলে এবং ব্যাংক ঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবার বিল খেলাপিরাও প্রার্থী হতে পারবেন না।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকা-কক্সবাজার রুটে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৪ ও ২৭ ডিসেম্বর এক জোড়া বিরতিহীন ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট সম্পন্ন হবে কক্সবাজার রেলস্টেশনে।
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ৮টায় ঢাকা পৌঁছাবে। একই দিনে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে।
২৭ ডিসেম্বর ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন কক্সবাজার থেকে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে রাত ৮টায় ঢাকা পৌঁছাবে। আর চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেনটি সেদিন ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকা-কক্সবাজার রুটে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৪ ও ২৭ ডিসেম্বর এক জোড়া বিরতিহীন ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনগুলো অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলবে। এতে দিনে ৮৩৪টি এবং রাতে ৭৮৯টি আসন থাকবে। ট্রেনের ক্যাটারিং সেবা পরিচালনা করবে বিআরটিসি আর স্টুয়ার্ড/অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগসহ অন্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলকে। স্পেশাল ট্রেনগুলোর ওয়াশ পিট সম্পন্ন হবে কক্সবাজার রেলস্টেশনে।
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ৮টায় ঢাকা পৌঁছাবে। একই দিনে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে।
২৭ ডিসেম্বর ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন কক্সবাজার থেকে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে রাত ৮টায় ঢাকা পৌঁছাবে। আর চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেনটি সেদিন ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
আদালত কাউকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ না করে ভোটে
২ ঘণ্টা আগে