অনলাইন ডেস্ক
আপনার কি মাঝে মাঝেই মনে হয়, আপনি সেরা? আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁদের তুলনায় আপনি অনেক উন্নত বা আরও অনেক ভালো কিছু আপনার প্রাপ্য?
যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে চলুন, আজ সেদিকেই একটু মনোযোগ দিই। কারণ, নিজেকে অন্যদের তুলনায় রুচিতে, শিক্ষায়, যোগ্যতায় উন্নত ভাবাকে বলা হয় ইগো বা অহম। আর আজ ‘ইগো সচেতনতা দিবস’। ইগো সচেতনতা দিবস হলো আত্মপর্যালোচনার একটি বিশেষ দিন, যা আমাদের অহম বা ‘ইগো’ নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। এই দিবস মানুষকে তার আচরণ, সম্পর্ক ও সিদ্ধান্তে ইগোর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে। অহম কমিয়ে সহানুভূতি, ধৈর্যশীল শ্রোতা হওয়া এবং আত্ম-উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়াই এ দিবসের লক্ষ্য।
বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবসের ইতিহাস
ইগো সচেতনতা দিবসের ইতিহাস খুব বেশি পুরোনো নয়। ২০১৮ সালে মনোবিজ্ঞানী ও লেখক ড. জ্যোতিকা ছিব্বর দিনটির প্রচলন করেন। এই দিবস চালু করার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল—ইগো কীভাবে মানুষের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে, সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
জ্যোতিকা জানান, দিবসটি চালুর পেছনে মূল প্রেরণা ছিল—অতিরিক্ত অহংবোধে আক্রান্ত মানুষের মানসিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ড. জ্যোতিকা ও তাঁর দল বুঝতে পারেন, ইগোর লাগামহীন প্রভাব অনেক সময় সম্পর্ক নষ্টের কারণ হয়, মানুষের মধ্যে সহানুভূতির অভাব তৈরি করে এবং বাস্তবতা বোঝার সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
কেন পালন করব বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই আমাদের আচরণ, সিদ্ধান্ত কিংবা সম্পর্কের পেছনের কারণ আসলে কী। আমরা কি সচেতনভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, নাকি প্রভাব আছে ইগো বা অহংবোধের? ঠিক এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি করতেই প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস, যা মানুষকে নিজের ভেতরে উঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। এই দিবস পালনের লক্ষ্য একটাই—নিজে কতটা ইগো বা অহংবোধের অধীন হয়ে পড়েছি, তা বুঝতে পারা এবং সেই সঙ্গে আরও সংবেদনশীল, সচেতন ও মানবিক হয়ে ওঠা।
ইগো সচেতনতা মানুষকে তার মনস্তত্ত্বের গভীরে পৌঁছাতে সহায়তা করে। ইগোর অতিরিক্ত প্রভাব শুধু সম্পর্কের অবনতিই ঘটায় না, ব্যক্তিগত বিকাশের পথেও বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস আমাদের শেখায়, কৃতজ্ঞতা, বিনয় ও সহানুভূতির চর্চা করে কীভাবে সৎ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ জীবন গড়ে তোলা সম্ভব। নিজেকে জানার এই যাত্রায় প্রথম পদক্ষেপ হলো, নিজের অহংবোধকে চিহ্নিত করা এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ইগো সচেতনতা দিবস উদ্যাপন করবেন কীভাবে
আত্মপর্যালোচনা করুন ও লিখে রাখুন: বিশেষ এই দিনে নিজের আচরণ, চিন্তা-ভাবনা নিয়ে একটু ভাবুন। চিন্তা করুন দৈনন্দিন জীবনে ইগো কীভাবে প্রকাশ পায়। আপনি কি তখন নিজের ইগোর প্রভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নাকি সত্যিই মন দিয়ে অন্যের কথা শুনেছেন এবং সহানুভূতিশীল ছিলেন? এরপর নিজের সম্পর্কে আপনার পর্যালোচনা একটা ডায়েরি বা কোনো অ্যাপে লিখে ফেলুন। কথায় আছে, কোনো সমস্যা যদি সুনির্দিষ্টভাবে লিখে ফেলা যায়, তাহলে সমাধানের পথও বেরিয়ে যায়।
আরও বেশি শুনুন
আজকের দিনে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব আশপাশের মানুষের কথা বেশি শুনতে। প্রতিটি কথোপকথনে প্রতিপক্ষকে বলার সুযোগ দিন। পুরোপুরি না শুনে কথার মাঝে থামিয়ে দিয়ে কিছু বলবেন না। শোনার অভ্যাস অন্যকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ তৈরি করে এবং আপনার ইগো যেন অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করে। এটি ছোট্ট একটি পদক্ষেপ হলেও কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তোলার পথে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এই ছোট্ট অভ্যাস।
অন্যের প্রশংসা করুন
আজ অন্তত তিনজনের আন্তরিকভাবে প্রশংসা করুন। কিন্তু শুধুই ‘তোমার জামাটি সুন্দর’ বা ‘তোমাকে সুন্দর লাগছে’ এ ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট নয়। যদি আপনি সত্যিই কারও স্টাইল বা ফ্যাশনের প্রশংসা করতে চান, তাহলে বিশদভাবে করুন। এ ছাড়া কারও গুণ বা সাফল্য আপনার জীবনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তা বলুন। আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে অন্যের ভালো দিক যদি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলে ইগোকেও সহজে জয় করতে পারবেন।
মেডিটেশন করুন
আজ কিছু সময় মেডিটেশনে ব্যয় করুন। এসব অভ্যাস ইগো বা অহমকে ভেঙে নিজের ভালো গুণ সম্বন্ধে আমাদের সচেতন করে। এ চর্চা এমন এক মানসিক অবস্থার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ বা আত্মকেন্দ্রিকতা থাকে না, মানুষ বর্তমানে বিরাজ করে এবং নিজের প্রতি সচেতন থাকে। মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি মেডিটেশনও আপনার দিনটিকে আরও ইগো-সচেতন করে তুলতে পারে।
আপনার কি মাঝে মাঝেই মনে হয়, আপনি সেরা? আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁদের তুলনায় আপনি অনেক উন্নত বা আরও অনেক ভালো কিছু আপনার প্রাপ্য?
যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে চলুন, আজ সেদিকেই একটু মনোযোগ দিই। কারণ, নিজেকে অন্যদের তুলনায় রুচিতে, শিক্ষায়, যোগ্যতায় উন্নত ভাবাকে বলা হয় ইগো বা অহম। আর আজ ‘ইগো সচেতনতা দিবস’। ইগো সচেতনতা দিবস হলো আত্মপর্যালোচনার একটি বিশেষ দিন, যা আমাদের অহম বা ‘ইগো’ নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। এই দিবস মানুষকে তার আচরণ, সম্পর্ক ও সিদ্ধান্তে ইগোর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে। অহম কমিয়ে সহানুভূতি, ধৈর্যশীল শ্রোতা হওয়া এবং আত্ম-উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়াই এ দিবসের লক্ষ্য।
বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবসের ইতিহাস
ইগো সচেতনতা দিবসের ইতিহাস খুব বেশি পুরোনো নয়। ২০১৮ সালে মনোবিজ্ঞানী ও লেখক ড. জ্যোতিকা ছিব্বর দিনটির প্রচলন করেন। এই দিবস চালু করার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল—ইগো কীভাবে মানুষের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে, সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
জ্যোতিকা জানান, দিবসটি চালুর পেছনে মূল প্রেরণা ছিল—অতিরিক্ত অহংবোধে আক্রান্ত মানুষের মানসিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ড. জ্যোতিকা ও তাঁর দল বুঝতে পারেন, ইগোর লাগামহীন প্রভাব অনেক সময় সম্পর্ক নষ্টের কারণ হয়, মানুষের মধ্যে সহানুভূতির অভাব তৈরি করে এবং বাস্তবতা বোঝার সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
কেন পালন করব বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই আমাদের আচরণ, সিদ্ধান্ত কিংবা সম্পর্কের পেছনের কারণ আসলে কী। আমরা কি সচেতনভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, নাকি প্রভাব আছে ইগো বা অহংবোধের? ঠিক এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি করতেই প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস, যা মানুষকে নিজের ভেতরে উঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। এই দিবস পালনের লক্ষ্য একটাই—নিজে কতটা ইগো বা অহংবোধের অধীন হয়ে পড়েছি, তা বুঝতে পারা এবং সেই সঙ্গে আরও সংবেদনশীল, সচেতন ও মানবিক হয়ে ওঠা।
ইগো সচেতনতা মানুষকে তার মনস্তত্ত্বের গভীরে পৌঁছাতে সহায়তা করে। ইগোর অতিরিক্ত প্রভাব শুধু সম্পর্কের অবনতিই ঘটায় না, ব্যক্তিগত বিকাশের পথেও বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবস আমাদের শেখায়, কৃতজ্ঞতা, বিনয় ও সহানুভূতির চর্চা করে কীভাবে সৎ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ জীবন গড়ে তোলা সম্ভব। নিজেকে জানার এই যাত্রায় প্রথম পদক্ষেপ হলো, নিজের অহংবোধকে চিহ্নিত করা এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ইগো সচেতনতা দিবস উদ্যাপন করবেন কীভাবে
আত্মপর্যালোচনা করুন ও লিখে রাখুন: বিশেষ এই দিনে নিজের আচরণ, চিন্তা-ভাবনা নিয়ে একটু ভাবুন। চিন্তা করুন দৈনন্দিন জীবনে ইগো কীভাবে প্রকাশ পায়। আপনি কি তখন নিজের ইগোর প্রভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নাকি সত্যিই মন দিয়ে অন্যের কথা শুনেছেন এবং সহানুভূতিশীল ছিলেন? এরপর নিজের সম্পর্কে আপনার পর্যালোচনা একটা ডায়েরি বা কোনো অ্যাপে লিখে ফেলুন। কথায় আছে, কোনো সমস্যা যদি সুনির্দিষ্টভাবে লিখে ফেলা যায়, তাহলে সমাধানের পথও বেরিয়ে যায়।
আরও বেশি শুনুন
আজকের দিনে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব আশপাশের মানুষের কথা বেশি শুনতে। প্রতিটি কথোপকথনে প্রতিপক্ষকে বলার সুযোগ দিন। পুরোপুরি না শুনে কথার মাঝে থামিয়ে দিয়ে কিছু বলবেন না। শোনার অভ্যাস অন্যকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ তৈরি করে এবং আপনার ইগো যেন অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করে। এটি ছোট্ট একটি পদক্ষেপ হলেও কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তোলার পথে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এই ছোট্ট অভ্যাস।
অন্যের প্রশংসা করুন
আজ অন্তত তিনজনের আন্তরিকভাবে প্রশংসা করুন। কিন্তু শুধুই ‘তোমার জামাটি সুন্দর’ বা ‘তোমাকে সুন্দর লাগছে’ এ ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট নয়। যদি আপনি সত্যিই কারও স্টাইল বা ফ্যাশনের প্রশংসা করতে চান, তাহলে বিশদভাবে করুন। এ ছাড়া কারও গুণ বা সাফল্য আপনার জীবনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তা বলুন। আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে অন্যের ভালো দিক যদি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলে ইগোকেও সহজে জয় করতে পারবেন।
মেডিটেশন করুন
আজ কিছু সময় মেডিটেশনে ব্যয় করুন। এসব অভ্যাস ইগো বা অহমকে ভেঙে নিজের ভালো গুণ সম্বন্ধে আমাদের সচেতন করে। এ চর্চা এমন এক মানসিক অবস্থার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ বা আত্মকেন্দ্রিকতা থাকে না, মানুষ বর্তমানে বিরাজ করে এবং নিজের প্রতি সচেতন থাকে। মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি মেডিটেশনও আপনার দিনটিকে আরও ইগো-সচেতন করে তুলতে পারে।
নারীরা সৌন্দর্যচর্চায় যতটা সিদ্ধহস্ত, পুরুষেরা ততটা নন। আবার যেসব সচেতন পুরুষ সপ্তাহে মনে করে এক দিন প্যাক ব্যবহার করেন, নিয়মিত স্যালনে গিয়ে ত্বক পরিচর্যা করান, তাঁরা হাসিঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। প্রশ্ন হলো, সৌন্দর্যচর্চা কি কেবল নারীর জন্য? পত্রপত্রিকায় ছাপানো ছবি, সৌন্দর্যবিষয়ক পণ্যের...
৩ ঘণ্টা আগেসাজতে ভালোবাসেন যাঁরা, গরমকালকে তাঁরা তোয়াক্কাই করেন না! তেতে ওঠা গ্রীষ্মও তাঁদের কাছে দারুণ সময় রংচঙে পোশাক পরার জন্য। ট্রেন্ড সেটাররা শীতকালকে ফ্যাশনেবল মানেন যেমন, তেমনি গরমকালও তাঁদের জন্য ধরাবাঁধা স্টাইল থেকে বেরোনোর মোক্ষম সময়। নান্দনিকতা, স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিমিতিবোধ রেখেই ছক থেকে বেরিয়ে...
৩ ঘণ্টা আগেআমিষের চাহিদা সহজে মেটাতে মাছের বিকল্প নেই। কিন্তু রান্না করা খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করছে কি না, ঋতুকালীন অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে সক্ষম কি না, সেসবও দেখার বিষয়। সপ্তাহের কোনো কোনো দিন এমন উপকরণ মিশিয়ে রান্না করুন, যা শরীরের রোগবালাই সারাতে সহায়তা করে।
৩ ঘণ্টা আগেবারান্দায় বসার জন্য চেয়ার কিনেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার আর ঘষে পরিষ্কার করতে করতে চেয়ারের রঙের বারোটা বেজে গেছে। যেহেতু ভেঙে যায়নি, তাই ফেলতেও মায়া হচ্ছে, তাই তো? চাইলে পুরোনো এই চেয়ারকে নতুন কোনো কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে?
৪ ঘণ্টা আগে