আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘আমি আমার টাকাপয়সা আলমারিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে চাই।’—জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটিতে বিখ্যাত এই কথা বলেছিলেন ক্যারি ব্র্যাডশো। যার অর্থ, তিনি টাকা জমাতে চান না। প্রচুর জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ কিনে আলমারি ভরে ফেলতে চান। বর্তমান সময়ে এসে এই উদ্ধৃতির আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, দিন দিন ক্রমবর্ধমানসংখ্যক সংগ্রাহকই ফ্যাশনকে বিনিয়োগযোগ্য শিল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন, এবং আর্কাইভাল বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন পণ্য এখন নিলামে বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড মূল্যে।
গত মাসেই, প্যারিসে নিলামঘর সোথবির একটি নিলামে ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের ব্যবহৃত একটি পুরোনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া হারমেস ব্যাগ বিক্রি হয়েছে ৭০ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ৯২ লাখ মার্কিন ডলার)। এই প্রতিবেদন লেখার সময় লন্ডনে চলছে সোথবির আরও একটি নিলাম। বিলাসবহুল পপ-আপ নিলামঘরে তোলা হয়েছে হারমেস, রোলেক্স এবং কার্টিয়েরের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের পণ্য। এ নিলাম চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
তবে এমন চিত্র আগে ছিল না। ঐতিহ্যগতভাবে অধিকাংশ নিলামঘর ফ্যাশন বিভাগকে মূল নিলাম কাঠামোর বাইরে বা পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করত। তাদের মূল লক্ষ্য থাকত উচ্চমূল্যের চিত্রকর্ম বা ভাস্কর্যের দিকে ক্রেতাদের মনোযোগ ফেরানো।
প্রথাগতভাবে তারকাদের ব্যবহৃত পোশাক; যেমন প্রিন্সেস ডায়ানা বা মেরিলিন মনরোর পোশাক বেশি দামে বিক্রি হলেও জেন বারকিনের ব্যাগের মতো নজির অতীতে দেখা যায়নি। মনরোর বিখ্যাত ‘হ্যাপি বার্থডে মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ গাউনটি ১৯৯৯ সালে ১৩ লাখ ডলারে এবং ২০১৬ সালে ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট!’ মিউজিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। বর্তমানে এই পোশাক মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকলেও ২০২২ সালে এটি পরে মেট গালায় অংশ নেন কিম কার্দাশিয়ান।
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ ও লেখক কোরা হ্যারিংটনের মতে, যদিও ব্যবহারে পোশাকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, তবু কিম কার্দাশিয়ান এই পোশাক পরায় এর ভবিষ্যৎ নিলামমূল্য আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘যদিও এটি মেরিলিন মনরোর পোশাক হওয়ায় এর দাম এমনিতেই বেশি থাকত, তবু কিম কার্দাশিয়ানের অসংখ্য অনুসারী হয়তো এর দাম আরও বাড়িয়ে তুলবেন। সাধারণত পোশাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির মূল্য কমে যায়, তবে এই ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটা।’ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কোনো পণ্যের বিষয়ে আলোচনাও (তা প্রশংসামূলক হোক বা সমালোচনামূলক যা-ই হোক) নিলামে তার দামের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন রায়ান মারফির আসন্ন টিভি সিরিজ ‘আমেরিকান লাভ স্টোরি’-তে ক্যারোলিন বেসেট কেনেডির পোশাক পুনরায় আলোচনায় আসায়, পরবর্তী নিলামে তাঁর পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হ্যারিংটন বলেন, আধুনিক যুগের অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সাররা বিলাসবহুল ফ্যাশনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছেন। ‘ডিউপ’ (কপি) সংস্করণ খোঁজার জন্য গড়ে ওঠা অনলাইন কমিউনিটিগুলোও মূল পণ্যের প্রতি চাহিদা বাড়িয়েছে। ম্যাক্স পন লাক্সারির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্যাক বলেন, ‘ডিউপ সংস্করণ জনপ্রিয় হলেও তা আরও মানুষকে আসল জিনিস কিনতে আগ্রহী করছে। এখন শুধু গুচি, হারমেস বা শ্যানেল নয়, আমরা কোচ, মাইকেল কোরস, কেট স্পেডের ব্যাগও বিক্রি করি, যার মূল্য ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার।’ তিনি যোগ করেন, শুধু উচ্চমূল্যের হিমালয়ান কুমিরের চামড়ার হীরকখচিত ব্যাগ নয়, মাঝারি দামের ব্যাগের চাহিদাও যথেষ্ট এবং সেটিই মূলধারার ব্যবসা।
তবে ফ্যাশন পণ্য কেনাবেচার বর্তমান প্রবণতা নিয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি। তাঁর মতে, পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় যদি বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে বিলাসবস্তু ক্রয় কিনে থাকেন, তাহলে তা গোটা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং বাজারমূল্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটিকে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রকাশ বা শিল্প হিসেবে না দেখে কেবলই বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা মূলত অভিজাত শ্রেণির হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে, যদিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছুটা গণপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে—বহুমূল্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন ফ্যাশন পণ্যগুলোর স্থান কি ব্যক্তিগত সংগ্রহে হওয়া উচিত, নাকি সেগুলোর সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়িত্ব থাকা উচিত জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে?
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন এ বিষয়ে বলেন, ‘আজকাল অনেক ব্যক্তিগত সংগ্রহ এমন পেশাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়, যাদের সংরক্ষণ নীতিমালা অনেক ক্ষেত্রে জাদুঘরের চেয়ে উন্নত।’ তিনি নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা ইয়োভোর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের।
তবে হ্যারিংটনের মতে, পোশাকের মৌলিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরিধান। তা শুধুই প্রদর্শনের বস্তু হয়ে উঠলে প্রাণ হারিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জেন বারকিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যিনি তাঁর হ্যান্ডব্যাগটি ভালোমতোই ব্যবহার করেছেন। ব্যবহারের স্পষ্ট চিহ্নও ব্যাগটির গায়ে রয়েছে। হ্যারিংটন বলেন, ‘এটাই তাঁর সত্যিকারের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। পোশাক সংগ্রহ করা যেতে পারে, কিন্তু পোশাক তো মূলত পরিধানের জন্য বানানো। এটিকে পরুন, ব্যবহার করুন, উপভোগ করুন।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্যাশন নিছক পোশাক নয়; এটি একধরনের পরিধেয় শিল্প। তবে অনেকে এখনো ফ্যাশনকে প্রচলিত অর্থে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অনাগ্রহী। তাঁদের মতে, ফ্যাশনের কোনো পণ্য কখনো চিত্রশিল্পী পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্মের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
তবে এই ধারণাকে কাঠামোগত পক্ষপাতের ফল বলে মনে করেন ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন। তিনি বলেন, ‘এমন বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পক্ষপাত। নারীদের কাজ, নারীদের আগ্রহ বা রুচিকে ঐতিহ্যগতভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম মূল্যবান হিসেবে দেখা হয় বলেই ফ্যাশনকে অনেকে শিল্পের মর্যাদা দিতে চান না।’
একই সঙ্গে, ফ্যাশনের মূল উদ্দেশ্যকে বিলাসবস্তু বা বিনিয়োগের সামগ্রীতে রূপান্তর করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন আন্তর্জাতিক ব্যবসা চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন যখন কেবল বাজারমূল্য বা মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন সেটির ভেতরের সৃজনশীলতা, কারিগরি উৎকর্ষ, শ্রমজীবীদের অধিকার বা নারীদের অবদান—সবকিছুই আড়ালে চলে যায়। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ফ্যাশনকে একটি জটিল সাংস্কৃতিক শিল্প না ভেবে কেবল দামি পণ্যে পরিণত করছে।’
তবে এটিও অনস্বীকার্য, বহু ফ্যাশন পণ্যের পেছনে রয়েছে অসাধারণ কারিগরি দক্ষতা, দশকের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন হাউসগুলোর শতাব্দীব্যাপী কর্মযজ্ঞ। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জ্যঁ পল গতিয়েরের ডিজাইন করা ডেনিম ও উটপাখির পালক দিয়ে তৈরি একটি গাউন ৭১ হাজার ৫০০ ইউরোতে (প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ পাউন্ড) বিক্রি হয়েছে, যা এই শিল্পে সময়, মেধা ও পরিশ্রমের মূল্য নির্দেশ করে।
এই প্রেক্ষাপটে হ্যারিংটন বলেন, ‘নিলামের মূল দর্শনই হচ্ছে, যে বস্তুর জন্য যতটুকু মূল্য কেউ দিতে রাজি, সেটির প্রকৃত মূল্য ততটাই। যদি কোনো পোশাক ৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, তাহলে সেটিই তার বাজারমূল্য।’

‘আমি আমার টাকাপয়সা আলমারিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে চাই।’—জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটিতে বিখ্যাত এই কথা বলেছিলেন ক্যারি ব্র্যাডশো। যার অর্থ, তিনি টাকা জমাতে চান না। প্রচুর জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ কিনে আলমারি ভরে ফেলতে চান। বর্তমান সময়ে এসে এই উদ্ধৃতির আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, দিন দিন ক্রমবর্ধমানসংখ্যক সংগ্রাহকই ফ্যাশনকে বিনিয়োগযোগ্য শিল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন, এবং আর্কাইভাল বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন পণ্য এখন নিলামে বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড মূল্যে।
গত মাসেই, প্যারিসে নিলামঘর সোথবির একটি নিলামে ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের ব্যবহৃত একটি পুরোনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া হারমেস ব্যাগ বিক্রি হয়েছে ৭০ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ৯২ লাখ মার্কিন ডলার)। এই প্রতিবেদন লেখার সময় লন্ডনে চলছে সোথবির আরও একটি নিলাম। বিলাসবহুল পপ-আপ নিলামঘরে তোলা হয়েছে হারমেস, রোলেক্স এবং কার্টিয়েরের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের পণ্য। এ নিলাম চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
তবে এমন চিত্র আগে ছিল না। ঐতিহ্যগতভাবে অধিকাংশ নিলামঘর ফ্যাশন বিভাগকে মূল নিলাম কাঠামোর বাইরে বা পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করত। তাদের মূল লক্ষ্য থাকত উচ্চমূল্যের চিত্রকর্ম বা ভাস্কর্যের দিকে ক্রেতাদের মনোযোগ ফেরানো।
প্রথাগতভাবে তারকাদের ব্যবহৃত পোশাক; যেমন প্রিন্সেস ডায়ানা বা মেরিলিন মনরোর পোশাক বেশি দামে বিক্রি হলেও জেন বারকিনের ব্যাগের মতো নজির অতীতে দেখা যায়নি। মনরোর বিখ্যাত ‘হ্যাপি বার্থডে মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ গাউনটি ১৯৯৯ সালে ১৩ লাখ ডলারে এবং ২০১৬ সালে ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট!’ মিউজিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। বর্তমানে এই পোশাক মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকলেও ২০২২ সালে এটি পরে মেট গালায় অংশ নেন কিম কার্দাশিয়ান।
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ ও লেখক কোরা হ্যারিংটনের মতে, যদিও ব্যবহারে পোশাকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, তবু কিম কার্দাশিয়ান এই পোশাক পরায় এর ভবিষ্যৎ নিলামমূল্য আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘যদিও এটি মেরিলিন মনরোর পোশাক হওয়ায় এর দাম এমনিতেই বেশি থাকত, তবু কিম কার্দাশিয়ানের অসংখ্য অনুসারী হয়তো এর দাম আরও বাড়িয়ে তুলবেন। সাধারণত পোশাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির মূল্য কমে যায়, তবে এই ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটা।’ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কোনো পণ্যের বিষয়ে আলোচনাও (তা প্রশংসামূলক হোক বা সমালোচনামূলক যা-ই হোক) নিলামে তার দামের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন রায়ান মারফির আসন্ন টিভি সিরিজ ‘আমেরিকান লাভ স্টোরি’-তে ক্যারোলিন বেসেট কেনেডির পোশাক পুনরায় আলোচনায় আসায়, পরবর্তী নিলামে তাঁর পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হ্যারিংটন বলেন, আধুনিক যুগের অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সাররা বিলাসবহুল ফ্যাশনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছেন। ‘ডিউপ’ (কপি) সংস্করণ খোঁজার জন্য গড়ে ওঠা অনলাইন কমিউনিটিগুলোও মূল পণ্যের প্রতি চাহিদা বাড়িয়েছে। ম্যাক্স পন লাক্সারির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্যাক বলেন, ‘ডিউপ সংস্করণ জনপ্রিয় হলেও তা আরও মানুষকে আসল জিনিস কিনতে আগ্রহী করছে। এখন শুধু গুচি, হারমেস বা শ্যানেল নয়, আমরা কোচ, মাইকেল কোরস, কেট স্পেডের ব্যাগও বিক্রি করি, যার মূল্য ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার।’ তিনি যোগ করেন, শুধু উচ্চমূল্যের হিমালয়ান কুমিরের চামড়ার হীরকখচিত ব্যাগ নয়, মাঝারি দামের ব্যাগের চাহিদাও যথেষ্ট এবং সেটিই মূলধারার ব্যবসা।
তবে ফ্যাশন পণ্য কেনাবেচার বর্তমান প্রবণতা নিয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি। তাঁর মতে, পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় যদি বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে বিলাসবস্তু ক্রয় কিনে থাকেন, তাহলে তা গোটা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং বাজারমূল্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটিকে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রকাশ বা শিল্প হিসেবে না দেখে কেবলই বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা মূলত অভিজাত শ্রেণির হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে, যদিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছুটা গণপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে—বহুমূল্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন ফ্যাশন পণ্যগুলোর স্থান কি ব্যক্তিগত সংগ্রহে হওয়া উচিত, নাকি সেগুলোর সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়িত্ব থাকা উচিত জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে?
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন এ বিষয়ে বলেন, ‘আজকাল অনেক ব্যক্তিগত সংগ্রহ এমন পেশাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়, যাদের সংরক্ষণ নীতিমালা অনেক ক্ষেত্রে জাদুঘরের চেয়ে উন্নত।’ তিনি নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা ইয়োভোর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের।
তবে হ্যারিংটনের মতে, পোশাকের মৌলিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরিধান। তা শুধুই প্রদর্শনের বস্তু হয়ে উঠলে প্রাণ হারিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জেন বারকিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যিনি তাঁর হ্যান্ডব্যাগটি ভালোমতোই ব্যবহার করেছেন। ব্যবহারের স্পষ্ট চিহ্নও ব্যাগটির গায়ে রয়েছে। হ্যারিংটন বলেন, ‘এটাই তাঁর সত্যিকারের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। পোশাক সংগ্রহ করা যেতে পারে, কিন্তু পোশাক তো মূলত পরিধানের জন্য বানানো। এটিকে পরুন, ব্যবহার করুন, উপভোগ করুন।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্যাশন নিছক পোশাক নয়; এটি একধরনের পরিধেয় শিল্প। তবে অনেকে এখনো ফ্যাশনকে প্রচলিত অর্থে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অনাগ্রহী। তাঁদের মতে, ফ্যাশনের কোনো পণ্য কখনো চিত্রশিল্পী পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্মের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
তবে এই ধারণাকে কাঠামোগত পক্ষপাতের ফল বলে মনে করেন ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন। তিনি বলেন, ‘এমন বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পক্ষপাত। নারীদের কাজ, নারীদের আগ্রহ বা রুচিকে ঐতিহ্যগতভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম মূল্যবান হিসেবে দেখা হয় বলেই ফ্যাশনকে অনেকে শিল্পের মর্যাদা দিতে চান না।’
একই সঙ্গে, ফ্যাশনের মূল উদ্দেশ্যকে বিলাসবস্তু বা বিনিয়োগের সামগ্রীতে রূপান্তর করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন আন্তর্জাতিক ব্যবসা চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন যখন কেবল বাজারমূল্য বা মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন সেটির ভেতরের সৃজনশীলতা, কারিগরি উৎকর্ষ, শ্রমজীবীদের অধিকার বা নারীদের অবদান—সবকিছুই আড়ালে চলে যায়। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ফ্যাশনকে একটি জটিল সাংস্কৃতিক শিল্প না ভেবে কেবল দামি পণ্যে পরিণত করছে।’
তবে এটিও অনস্বীকার্য, বহু ফ্যাশন পণ্যের পেছনে রয়েছে অসাধারণ কারিগরি দক্ষতা, দশকের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন হাউসগুলোর শতাব্দীব্যাপী কর্মযজ্ঞ। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জ্যঁ পল গতিয়েরের ডিজাইন করা ডেনিম ও উটপাখির পালক দিয়ে তৈরি একটি গাউন ৭১ হাজার ৫০০ ইউরোতে (প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ পাউন্ড) বিক্রি হয়েছে, যা এই শিল্পে সময়, মেধা ও পরিশ্রমের মূল্য নির্দেশ করে।
এই প্রেক্ষাপটে হ্যারিংটন বলেন, ‘নিলামের মূল দর্শনই হচ্ছে, যে বস্তুর জন্য যতটুকু মূল্য কেউ দিতে রাজি, সেটির প্রকৃত মূল্য ততটাই। যদি কোনো পোশাক ৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, তাহলে সেটিই তার বাজারমূল্য।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘আমি আমার টাকাপয়সা আলমারিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে চাই।’—জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটিতে বিখ্যাত এই কথা বলেছিলেন ক্যারি ব্র্যাডশো। যার অর্থ, তিনি টাকা জমাতে চান না। প্রচুর জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ কিনে আলমারি ভরে ফেলতে চান। বর্তমান সময়ে এসে এই উদ্ধৃতির আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, দিন দিন ক্রমবর্ধমানসংখ্যক সংগ্রাহকই ফ্যাশনকে বিনিয়োগযোগ্য শিল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন, এবং আর্কাইভাল বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন পণ্য এখন নিলামে বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড মূল্যে।
গত মাসেই, প্যারিসে নিলামঘর সোথবির একটি নিলামে ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের ব্যবহৃত একটি পুরোনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া হারমেস ব্যাগ বিক্রি হয়েছে ৭০ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ৯২ লাখ মার্কিন ডলার)। এই প্রতিবেদন লেখার সময় লন্ডনে চলছে সোথবির আরও একটি নিলাম। বিলাসবহুল পপ-আপ নিলামঘরে তোলা হয়েছে হারমেস, রোলেক্স এবং কার্টিয়েরের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের পণ্য। এ নিলাম চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
তবে এমন চিত্র আগে ছিল না। ঐতিহ্যগতভাবে অধিকাংশ নিলামঘর ফ্যাশন বিভাগকে মূল নিলাম কাঠামোর বাইরে বা পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করত। তাদের মূল লক্ষ্য থাকত উচ্চমূল্যের চিত্রকর্ম বা ভাস্কর্যের দিকে ক্রেতাদের মনোযোগ ফেরানো।
প্রথাগতভাবে তারকাদের ব্যবহৃত পোশাক; যেমন প্রিন্সেস ডায়ানা বা মেরিলিন মনরোর পোশাক বেশি দামে বিক্রি হলেও জেন বারকিনের ব্যাগের মতো নজির অতীতে দেখা যায়নি। মনরোর বিখ্যাত ‘হ্যাপি বার্থডে মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ গাউনটি ১৯৯৯ সালে ১৩ লাখ ডলারে এবং ২০১৬ সালে ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট!’ মিউজিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। বর্তমানে এই পোশাক মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকলেও ২০২২ সালে এটি পরে মেট গালায় অংশ নেন কিম কার্দাশিয়ান।
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ ও লেখক কোরা হ্যারিংটনের মতে, যদিও ব্যবহারে পোশাকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, তবু কিম কার্দাশিয়ান এই পোশাক পরায় এর ভবিষ্যৎ নিলামমূল্য আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘যদিও এটি মেরিলিন মনরোর পোশাক হওয়ায় এর দাম এমনিতেই বেশি থাকত, তবু কিম কার্দাশিয়ানের অসংখ্য অনুসারী হয়তো এর দাম আরও বাড়িয়ে তুলবেন। সাধারণত পোশাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির মূল্য কমে যায়, তবে এই ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটা।’ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কোনো পণ্যের বিষয়ে আলোচনাও (তা প্রশংসামূলক হোক বা সমালোচনামূলক যা-ই হোক) নিলামে তার দামের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন রায়ান মারফির আসন্ন টিভি সিরিজ ‘আমেরিকান লাভ স্টোরি’-তে ক্যারোলিন বেসেট কেনেডির পোশাক পুনরায় আলোচনায় আসায়, পরবর্তী নিলামে তাঁর পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হ্যারিংটন বলেন, আধুনিক যুগের অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সাররা বিলাসবহুল ফ্যাশনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছেন। ‘ডিউপ’ (কপি) সংস্করণ খোঁজার জন্য গড়ে ওঠা অনলাইন কমিউনিটিগুলোও মূল পণ্যের প্রতি চাহিদা বাড়িয়েছে। ম্যাক্স পন লাক্সারির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্যাক বলেন, ‘ডিউপ সংস্করণ জনপ্রিয় হলেও তা আরও মানুষকে আসল জিনিস কিনতে আগ্রহী করছে। এখন শুধু গুচি, হারমেস বা শ্যানেল নয়, আমরা কোচ, মাইকেল কোরস, কেট স্পেডের ব্যাগও বিক্রি করি, যার মূল্য ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার।’ তিনি যোগ করেন, শুধু উচ্চমূল্যের হিমালয়ান কুমিরের চামড়ার হীরকখচিত ব্যাগ নয়, মাঝারি দামের ব্যাগের চাহিদাও যথেষ্ট এবং সেটিই মূলধারার ব্যবসা।
তবে ফ্যাশন পণ্য কেনাবেচার বর্তমান প্রবণতা নিয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি। তাঁর মতে, পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় যদি বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে বিলাসবস্তু ক্রয় কিনে থাকেন, তাহলে তা গোটা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং বাজারমূল্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটিকে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রকাশ বা শিল্প হিসেবে না দেখে কেবলই বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা মূলত অভিজাত শ্রেণির হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে, যদিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছুটা গণপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে—বহুমূল্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন ফ্যাশন পণ্যগুলোর স্থান কি ব্যক্তিগত সংগ্রহে হওয়া উচিত, নাকি সেগুলোর সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়িত্ব থাকা উচিত জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে?
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন এ বিষয়ে বলেন, ‘আজকাল অনেক ব্যক্তিগত সংগ্রহ এমন পেশাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়, যাদের সংরক্ষণ নীতিমালা অনেক ক্ষেত্রে জাদুঘরের চেয়ে উন্নত।’ তিনি নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা ইয়োভোর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের।
তবে হ্যারিংটনের মতে, পোশাকের মৌলিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরিধান। তা শুধুই প্রদর্শনের বস্তু হয়ে উঠলে প্রাণ হারিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জেন বারকিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যিনি তাঁর হ্যান্ডব্যাগটি ভালোমতোই ব্যবহার করেছেন। ব্যবহারের স্পষ্ট চিহ্নও ব্যাগটির গায়ে রয়েছে। হ্যারিংটন বলেন, ‘এটাই তাঁর সত্যিকারের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। পোশাক সংগ্রহ করা যেতে পারে, কিন্তু পোশাক তো মূলত পরিধানের জন্য বানানো। এটিকে পরুন, ব্যবহার করুন, উপভোগ করুন।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্যাশন নিছক পোশাক নয়; এটি একধরনের পরিধেয় শিল্প। তবে অনেকে এখনো ফ্যাশনকে প্রচলিত অর্থে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অনাগ্রহী। তাঁদের মতে, ফ্যাশনের কোনো পণ্য কখনো চিত্রশিল্পী পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্মের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
তবে এই ধারণাকে কাঠামোগত পক্ষপাতের ফল বলে মনে করেন ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন। তিনি বলেন, ‘এমন বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পক্ষপাত। নারীদের কাজ, নারীদের আগ্রহ বা রুচিকে ঐতিহ্যগতভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম মূল্যবান হিসেবে দেখা হয় বলেই ফ্যাশনকে অনেকে শিল্পের মর্যাদা দিতে চান না।’
একই সঙ্গে, ফ্যাশনের মূল উদ্দেশ্যকে বিলাসবস্তু বা বিনিয়োগের সামগ্রীতে রূপান্তর করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন আন্তর্জাতিক ব্যবসা চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন যখন কেবল বাজারমূল্য বা মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন সেটির ভেতরের সৃজনশীলতা, কারিগরি উৎকর্ষ, শ্রমজীবীদের অধিকার বা নারীদের অবদান—সবকিছুই আড়ালে চলে যায়। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ফ্যাশনকে একটি জটিল সাংস্কৃতিক শিল্প না ভেবে কেবল দামি পণ্যে পরিণত করছে।’
তবে এটিও অনস্বীকার্য, বহু ফ্যাশন পণ্যের পেছনে রয়েছে অসাধারণ কারিগরি দক্ষতা, দশকের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন হাউসগুলোর শতাব্দীব্যাপী কর্মযজ্ঞ। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জ্যঁ পল গতিয়েরের ডিজাইন করা ডেনিম ও উটপাখির পালক দিয়ে তৈরি একটি গাউন ৭১ হাজার ৫০০ ইউরোতে (প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ পাউন্ড) বিক্রি হয়েছে, যা এই শিল্পে সময়, মেধা ও পরিশ্রমের মূল্য নির্দেশ করে।
এই প্রেক্ষাপটে হ্যারিংটন বলেন, ‘নিলামের মূল দর্শনই হচ্ছে, যে বস্তুর জন্য যতটুকু মূল্য কেউ দিতে রাজি, সেটির প্রকৃত মূল্য ততটাই। যদি কোনো পোশাক ৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, তাহলে সেটিই তার বাজারমূল্য।’

‘আমি আমার টাকাপয়সা আলমারিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে চাই।’—জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটিতে বিখ্যাত এই কথা বলেছিলেন ক্যারি ব্র্যাডশো। যার অর্থ, তিনি টাকা জমাতে চান না। প্রচুর জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ কিনে আলমারি ভরে ফেলতে চান। বর্তমান সময়ে এসে এই উদ্ধৃতির আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, দিন দিন ক্রমবর্ধমানসংখ্যক সংগ্রাহকই ফ্যাশনকে বিনিয়োগযোগ্য শিল্প হিসেবে বিবেচনা করছেন, এবং আর্কাইভাল বা সংগ্রহযোগ্য ফ্যাশন পণ্য এখন নিলামে বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড মূল্যে।
গত মাসেই, প্যারিসে নিলামঘর সোথবির একটি নিলামে ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের ব্যবহৃত একটি পুরোনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া হারমেস ব্যাগ বিক্রি হয়েছে ৭০ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ৯২ লাখ মার্কিন ডলার)। এই প্রতিবেদন লেখার সময় লন্ডনে চলছে সোথবির আরও একটি নিলাম। বিলাসবহুল পপ-আপ নিলামঘরে তোলা হয়েছে হারমেস, রোলেক্স এবং কার্টিয়েরের মতো অভিজাত ব্র্যান্ডের পণ্য। এ নিলাম চলবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
তবে এমন চিত্র আগে ছিল না। ঐতিহ্যগতভাবে অধিকাংশ নিলামঘর ফ্যাশন বিভাগকে মূল নিলাম কাঠামোর বাইরে বা পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করত। তাদের মূল লক্ষ্য থাকত উচ্চমূল্যের চিত্রকর্ম বা ভাস্কর্যের দিকে ক্রেতাদের মনোযোগ ফেরানো।
প্রথাগতভাবে তারকাদের ব্যবহৃত পোশাক; যেমন প্রিন্সেস ডায়ানা বা মেরিলিন মনরোর পোশাক বেশি দামে বিক্রি হলেও জেন বারকিনের ব্যাগের মতো নজির অতীতে দেখা যায়নি। মনরোর বিখ্যাত ‘হ্যাপি বার্থডে মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ গাউনটি ১৯৯৯ সালে ১৩ লাখ ডলারে এবং ২০১৬ সালে ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট!’ মিউজিয়ামের কাছে ৪৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। বর্তমানে এই পোশাক মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকলেও ২০২২ সালে এটি পরে মেট গালায় অংশ নেন কিম কার্দাশিয়ান।
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ ও লেখক কোরা হ্যারিংটনের মতে, যদিও ব্যবহারে পোশাকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, তবু কিম কার্দাশিয়ান এই পোশাক পরায় এর ভবিষ্যৎ নিলামমূল্য আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘যদিও এটি মেরিলিন মনরোর পোশাক হওয়ায় এর দাম এমনিতেই বেশি থাকত, তবু কিম কার্দাশিয়ানের অসংখ্য অনুসারী হয়তো এর দাম আরও বাড়িয়ে তুলবেন। সাধারণত পোশাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির মূল্য কমে যায়, তবে এই ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটা।’ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কোনো পণ্যের বিষয়ে আলোচনাও (তা প্রশংসামূলক হোক বা সমালোচনামূলক যা-ই হোক) নিলামে তার দামের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন রায়ান মারফির আসন্ন টিভি সিরিজ ‘আমেরিকান লাভ স্টোরি’-তে ক্যারোলিন বেসেট কেনেডির পোশাক পুনরায় আলোচনায় আসায়, পরবর্তী নিলামে তাঁর পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হ্যারিংটন বলেন, আধুনিক যুগের অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সাররা বিলাসবহুল ফ্যাশনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছেন। ‘ডিউপ’ (কপি) সংস্করণ খোঁজার জন্য গড়ে ওঠা অনলাইন কমিউনিটিগুলোও মূল পণ্যের প্রতি চাহিদা বাড়িয়েছে। ম্যাক্স পন লাক্সারির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্যাক বলেন, ‘ডিউপ সংস্করণ জনপ্রিয় হলেও তা আরও মানুষকে আসল জিনিস কিনতে আগ্রহী করছে। এখন শুধু গুচি, হারমেস বা শ্যানেল নয়, আমরা কোচ, মাইকেল কোরস, কেট স্পেডের ব্যাগও বিক্রি করি, যার মূল্য ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার।’ তিনি যোগ করেন, শুধু উচ্চমূল্যের হিমালয়ান কুমিরের চামড়ার হীরকখচিত ব্যাগ নয়, মাঝারি দামের ব্যাগের চাহিদাও যথেষ্ট এবং সেটিই মূলধারার ব্যবসা।
তবে ফ্যাশন পণ্য কেনাবেচার বর্তমান প্রবণতা নিয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি। তাঁর মতে, পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় যদি বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে বিলাসবস্তু ক্রয় কিনে থাকেন, তাহলে তা গোটা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং বাজারমূল্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটিকে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রকাশ বা শিল্প হিসেবে না দেখে কেবলই বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা মূলত অভিজাত শ্রেণির হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে, যদিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছুটা গণপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে—বহুমূল্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন ফ্যাশন পণ্যগুলোর স্থান কি ব্যক্তিগত সংগ্রহে হওয়া উচিত, নাকি সেগুলোর সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়িত্ব থাকা উচিত জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে?
ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন এ বিষয়ে বলেন, ‘আজকাল অনেক ব্যক্তিগত সংগ্রহ এমন পেশাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়, যাদের সংরক্ষণ নীতিমালা অনেক ক্ষেত্রে জাদুঘরের চেয়ে উন্নত।’ তিনি নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা ইয়োভোর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের।
তবে হ্যারিংটনের মতে, পোশাকের মৌলিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরিধান। তা শুধুই প্রদর্শনের বস্তু হয়ে উঠলে প্রাণ হারিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জেন বারকিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যিনি তাঁর হ্যান্ডব্যাগটি ভালোমতোই ব্যবহার করেছেন। ব্যবহারের স্পষ্ট চিহ্নও ব্যাগটির গায়ে রয়েছে। হ্যারিংটন বলেন, ‘এটাই তাঁর সত্যিকারের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। পোশাক সংগ্রহ করা যেতে পারে, কিন্তু পোশাক তো মূলত পরিধানের জন্য বানানো। এটিকে পরুন, ব্যবহার করুন, উপভোগ করুন।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্যাশন নিছক পোশাক নয়; এটি একধরনের পরিধেয় শিল্প। তবে অনেকে এখনো ফ্যাশনকে প্রচলিত অর্থে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অনাগ্রহী। তাঁদের মতে, ফ্যাশনের কোনো পণ্য কখনো চিত্রশিল্পী পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্মের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
তবে এই ধারণাকে কাঠামোগত পক্ষপাতের ফল বলে মনে করেন ফ্যাশন ইতিহাসবিদ কোরা হ্যারিংটন। তিনি বলেন, ‘এমন বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পক্ষপাত। নারীদের কাজ, নারীদের আগ্রহ বা রুচিকে ঐতিহ্যগতভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম মূল্যবান হিসেবে দেখা হয় বলেই ফ্যাশনকে অনেকে শিল্পের মর্যাদা দিতে চান না।’
একই সঙ্গে, ফ্যাশনের মূল উদ্দেশ্যকে বিলাসবস্তু বা বিনিয়োগের সামগ্রীতে রূপান্তর করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ডব্লিউ ফ্র্যাঙ্ক বার্টন আন্তর্জাতিক ব্যবসা চেয়ার অধ্যাপক উষা হ্যালি বলেন, ‘ফ্যাশন যখন কেবল বাজারমূল্য বা মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন সেটির ভেতরের সৃজনশীলতা, কারিগরি উৎকর্ষ, শ্রমজীবীদের অধিকার বা নারীদের অবদান—সবকিছুই আড়ালে চলে যায়। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ফ্যাশনকে একটি জটিল সাংস্কৃতিক শিল্প না ভেবে কেবল দামি পণ্যে পরিণত করছে।’
তবে এটিও অনস্বীকার্য, বহু ফ্যাশন পণ্যের পেছনে রয়েছে অসাধারণ কারিগরি দক্ষতা, দশকের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন হাউসগুলোর শতাব্দীব্যাপী কর্মযজ্ঞ। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জ্যঁ পল গতিয়েরের ডিজাইন করা ডেনিম ও উটপাখির পালক দিয়ে তৈরি একটি গাউন ৭১ হাজার ৫০০ ইউরোতে (প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ পাউন্ড) বিক্রি হয়েছে, যা এই শিল্পে সময়, মেধা ও পরিশ্রমের মূল্য নির্দেশ করে।
এই প্রেক্ষাপটে হ্যারিংটন বলেন, ‘নিলামের মূল দর্শনই হচ্ছে, যে বস্তুর জন্য যতটুকু মূল্য কেউ দিতে রাজি, সেটির প্রকৃত মূল্য ততটাই। যদি কোনো পোশাক ৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, তাহলে সেটিই তার বাজারমূল্য।’

বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৭ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৮ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রখ্যাত ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কার্ল লাউডনজোর দিয়ে বলেন যে সুটকেসের পরিবর্তে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ। আর এটি তিনি নিজের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলছে। কারণ তিনি কাজের সূত্রে মাসে অন্তত দুবার বিমানে ভ্রমণ করেন। সব মিলিয়ে, যদি আপনি হালকা, ঝামেলামুক্ত এবং দ্রুত ভ্রমণ করতে চান, তাহলে সুটকেস ছেড়ে একটি মানসম্মত ভ্রমণ ব্যাকপ্যাক বেছে নেওয়াই হবে আজকের দিনে বুদ্ধিমানের কাজ।
সুটকেস কেন নয়, বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন
কার্ল লাউডনের মতে, চাকাযুক্ত ট্রলি সুটকেস বা হুইলি ট্রলি কেস প্রথম দিকে বেশ ভালো সার্ভিস দেবে বলে মনে হতে পারে। তবে ভ্রমণের সময় শহরের মধ্যে চলাফেরার সময়ও এগুলো বিরাট ঝামেলার কারণ হইয়ে উঠে। ভিড়ের মধ্যে বা অসমান রাস্তায় সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। অন্যদিকে, একটি ব্যাকপ্যাকেও আপনি যথেষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারবেন। আর এটি বহন করা অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারিক। এ ক্ষেত্রে কার্ল লাউডন সর্বোচ্চ বৈধ বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাকগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের ৫টি সুবিধা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারপোর্টে এবং ভ্রমণে সুটকেসের চেয়ে ব্যাকপ্যাক অনেক বেশি সুবিধাজনক। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো:
গুছিয়ে রাখা সহজ
আজকাল ফ্লাইটে আসন পূর্ণ থাকে। তাই কেবিনের ওপরের বিনে জায়গার জন্য প্রায়ই কাড়াকাড়ির মতন অবস্থার সৃষ্টি হয়। হার্ড-সাইডেড রোলার সুটকেসগুলো বেশি জায়গা নেয়। কিন্তু একটি ব্যাকপ্যাক সহজেই লাগেজগুলোর ফাঁকে বা সামনের সিটের নিচে চেপে গুছিয়ে রাখা যায়।

চলাফেরা করা সহজ
ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিলে তা আপনার শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। এর ফলে আপনি সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে কম জায়গা ব্যবহার করেন। এটি আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীদেরও বাধা দেয় না। জ্যাম হওয়া চাকা বা হাতল নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না।
হাত থাকে সম্পূর্ণ মুক্ত
এটি ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। কাঁধে ব্যাগ থাকলে আপনার দু’টি হাতই মুক্ত থাকে। ফলে বিমানবন্দরে কফি বা নাশতা নেওয়া, টিকিট হাতে রাখা, বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বহুমুখী ব্যবহার
ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত ব্যাকপ্যাকগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত অ্যাটাচমেন্ট পয়েন্ট বা পকেটসহ তৈরি হয়। এই বিষয়টি এর বহন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর এই ব্যাকপ্যাকটি আপনি দৈনন্দিন কাজ বা অ্যাডভেঞ্চারেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন: হাইকিং বা শপিং করার সময় সুটকেস ব্যবহার করা যায় না।

শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
কিছুটা ভারী ব্যাকপ্যাক বহন করা এক ধরনের ব্যায়ামের মতো। এটি হাঁটতে গিয়ে সামরিক কায়দায় ভার বহনের মতো না হলেও, সাধারণ হাঁটার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ভ্রমণের কারণে ওয়ার্কআউটের সময় কম পেলে, এই পদ্ধতিতে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা যায়।
ভ্রমণের জন্য কিছু জরুরি টিপস
কার্ল লাউডন ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
অতিরিক্ত হালকা পোশাকঃ গন্তব্যে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পোশাক পরিবর্তনের জন্য একটি অতিরিক্ত টি-শার্ট বা হালকা কোন কাপড় ব্যাগে রাখুন।
ক্যাবল গুছিয়ে নিনঃ ফ্লাই করার আগেই আপনার সমস্ত চার্জিং ক্যাবল এবং সরঞ্জাম গুছিয়ে নিন।
ল্যাপটপই পাওয়ার ব্যাংকঃ মনে রাখবেন, আপনার ল্যাপটপটি একটি বিশাল পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই আলাদা পাওয়ার ব্যাংক সব সময় প্রয়োজন নাও হতে পারে।
নেমে হাঁটাঃ দীর্ঘ ফ্লাইট বা ভ্রমণের পর ক্লান্তি ও জেট-ল্যাগ কাটাতে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এটি গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল, গিয়ার পেট্রল, ওয়ার্ল্ড অব ফ্রিল্যান্সের

বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রখ্যাত ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কার্ল লাউডনজোর দিয়ে বলেন যে সুটকেসের পরিবর্তে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ। আর এটি তিনি নিজের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলছে। কারণ তিনি কাজের সূত্রে মাসে অন্তত দুবার বিমানে ভ্রমণ করেন। সব মিলিয়ে, যদি আপনি হালকা, ঝামেলামুক্ত এবং দ্রুত ভ্রমণ করতে চান, তাহলে সুটকেস ছেড়ে একটি মানসম্মত ভ্রমণ ব্যাকপ্যাক বেছে নেওয়াই হবে আজকের দিনে বুদ্ধিমানের কাজ।
সুটকেস কেন নয়, বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন
কার্ল লাউডনের মতে, চাকাযুক্ত ট্রলি সুটকেস বা হুইলি ট্রলি কেস প্রথম দিকে বেশ ভালো সার্ভিস দেবে বলে মনে হতে পারে। তবে ভ্রমণের সময় শহরের মধ্যে চলাফেরার সময়ও এগুলো বিরাট ঝামেলার কারণ হইয়ে উঠে। ভিড়ের মধ্যে বা অসমান রাস্তায় সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। অন্যদিকে, একটি ব্যাকপ্যাকেও আপনি যথেষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারবেন। আর এটি বহন করা অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারিক। এ ক্ষেত্রে কার্ল লাউডন সর্বোচ্চ বৈধ বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাকগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের ৫টি সুবিধা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারপোর্টে এবং ভ্রমণে সুটকেসের চেয়ে ব্যাকপ্যাক অনেক বেশি সুবিধাজনক। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো:
গুছিয়ে রাখা সহজ
আজকাল ফ্লাইটে আসন পূর্ণ থাকে। তাই কেবিনের ওপরের বিনে জায়গার জন্য প্রায়ই কাড়াকাড়ির মতন অবস্থার সৃষ্টি হয়। হার্ড-সাইডেড রোলার সুটকেসগুলো বেশি জায়গা নেয়। কিন্তু একটি ব্যাকপ্যাক সহজেই লাগেজগুলোর ফাঁকে বা সামনের সিটের নিচে চেপে গুছিয়ে রাখা যায়।

চলাফেরা করা সহজ
ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিলে তা আপনার শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। এর ফলে আপনি সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে কম জায়গা ব্যবহার করেন। এটি আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীদেরও বাধা দেয় না। জ্যাম হওয়া চাকা বা হাতল নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না।
হাত থাকে সম্পূর্ণ মুক্ত
এটি ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। কাঁধে ব্যাগ থাকলে আপনার দু’টি হাতই মুক্ত থাকে। ফলে বিমানবন্দরে কফি বা নাশতা নেওয়া, টিকিট হাতে রাখা, বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বহুমুখী ব্যবহার
ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত ব্যাকপ্যাকগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত অ্যাটাচমেন্ট পয়েন্ট বা পকেটসহ তৈরি হয়। এই বিষয়টি এর বহন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর এই ব্যাকপ্যাকটি আপনি দৈনন্দিন কাজ বা অ্যাডভেঞ্চারেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন: হাইকিং বা শপিং করার সময় সুটকেস ব্যবহার করা যায় না।

শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
কিছুটা ভারী ব্যাকপ্যাক বহন করা এক ধরনের ব্যায়ামের মতো। এটি হাঁটতে গিয়ে সামরিক কায়দায় ভার বহনের মতো না হলেও, সাধারণ হাঁটার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ভ্রমণের কারণে ওয়ার্কআউটের সময় কম পেলে, এই পদ্ধতিতে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা যায়।
ভ্রমণের জন্য কিছু জরুরি টিপস
কার্ল লাউডন ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
অতিরিক্ত হালকা পোশাকঃ গন্তব্যে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পোশাক পরিবর্তনের জন্য একটি অতিরিক্ত টি-শার্ট বা হালকা কোন কাপড় ব্যাগে রাখুন।
ক্যাবল গুছিয়ে নিনঃ ফ্লাই করার আগেই আপনার সমস্ত চার্জিং ক্যাবল এবং সরঞ্জাম গুছিয়ে নিন।
ল্যাপটপই পাওয়ার ব্যাংকঃ মনে রাখবেন, আপনার ল্যাপটপটি একটি বিশাল পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই আলাদা পাওয়ার ব্যাংক সব সময় প্রয়োজন নাও হতে পারে।
নেমে হাঁটাঃ দীর্ঘ ফ্লাইট বা ভ্রমণের পর ক্লান্তি ও জেট-ল্যাগ কাটাতে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এটি গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল, গিয়ার পেট্রল, ওয়ার্ল্ড অব ফ্রিল্যান্সের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
০৪ আগস্ট ২০২৫
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৭ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৮ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৮ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৭ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে। একটা পুরোনো প্যান্টের পকেটে ১০-২০ টাকা খুঁজে পেতে পারেন। ব্যস, আজকের আর্থিক সফলতা এতটুকুই। কাউকে ফোন করে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে গিয়ে ভুলে যাবেন কী বলতে চেয়েছিলেন। এটা আপনার উইট নয়, গ্রহের ষড়যন্ত্র। গরম কফি মুখে দেওয়ার আগে একবার ফুঁ দিয়ে নিন। নয়তো আপনার সমস্ত এনার্জি এক মিনিটেই বরফ হয়ে যাবে।
বৃষ
শুক্র গ্রহ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আজ আপনার প্রধান কাজ হবে সোফায় এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করা, যেখানে মহারাজাধিরাজের মতো বসতে পারেন। একবার বসলে, নড়বেন না। গ্রহ বলছে, আপনার স্থূলতা আজ চরম! আলস্যের জন্য সবচেয়ে ভালো প্ল্যানটি হাতছাড়া হতে পারে—হয়তো বিরিয়ানি অর্ডার দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। দিনের বেলায় বারবার ওয়ালেট চেক করবেন, কোনো কারণ ছাড়াই। হ্যাঁ, আপনি জানেন যে টাকা বাড়েনি, তবু। প্রিয়জনেরা আপনার জন্য আজ বিশেষ কিছু রান্না করতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন, সমালোচনা করলে গ্রহদের অভিশাপ পেতে পারেন। নিজেকে বোঝান যে রি-রান করা সিরিয়াল দেখতে দেখতে বিস্কুট খাওয়া কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নয়।
মিথুন
মন আজ ফুটবলের মাঠ। দুই দলই আপনাকে চাচ্ছে: এক মন বলছে, ‘সিরিয়াস কাজ করো।’, আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে কার কী হচ্ছে, দেখে নাও।’ কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন না। শিঙাড়া না সমুচা, ডাল না মাছের ঝোল—এসব দ্বন্দ্বে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আজ একাধিক জিনিসের দাম জানতে ফোন করবেন, কিন্তু কিনবেন না কিছুই। বিক্রেতারা আপনাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেবে। কথা বলার সময় এত দ্রুত বলবেন যে পার্টনার আপনার কথা টুকে রাখার জন্য কাগজ-কলম নিয়ে বসতে বাধ্য হবেন। একটি মাত্র ফোন হাতে রাখুন। দুটি ফোন একসঙ্গে চালালে নিজের কথাই নিজে ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ বিনা কারণে ইমোশনাল হয়ে পড়বেন। পুরোনো একটি জামা বা ছেঁড়া বই দেখে মনে হবে, জীবনের সমস্ত দুঃখ যেন সেখানেই লুকিয়ে আছে। দিনের অধিকাংশ সময় কাটবে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে এবং নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভুল বোঝা মানুষ হিসেবে ভেবে। শপিং করতে গিয়ে এমন একটি জিনিস কিনে ফেলবেন, যেটা কোনো দিনও দরকার ছিল না। পরে মনে হবে, কেন কিনলাম? গ্রহ বলছে, এটাই ছিল আজকের ‘আবেগের বিনিয়োগ’। পার্টনার বা বন্ধু আপনার সামান্যতম নীরবতাকে ভুল বুঝে দুশ্চিন্তা করবে। আপনার উচিত, ‘আমি শুধু ফ্রিজে কী আছে, সেটা ভাবছি’—এইটা বলে দেওয়া। আলুর চিপস আর কোমল পানীয়র চেয়ে পানি বেশি খান। এতে আবেগের বাঁধ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সুপারস্টার’! মনে হবে সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আপনার প্রশংসা করছে। যদি কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। অফিস বা বাড়িতে একটুখানি নাটকীয়তা তৈরি করে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজ এমন একটি জিনিস কিনবেন, যেটা দেখতে খুবই দামি, কিন্তু আদতে তার কোনো দরকার নেই। আপনার রাজকীয় রুচির দাম তো দিতেই হবে, তাই না? ভালোবাসার মানুষের কাছে বারবার জানতে চাইবেন, ‘আমাকে কেমন লাগছে?’ উত্তর যত ভালোই হোক, সন্তুষ্ট হবেন না। সেলফি তোলার আগে ভালো করে দেখে নিন ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন বাড়ির ঝুল না থাকে। আপনার স্টারডমের সঙ্গে এটা মানায় না!
কন্যা
আজ ভেতরের গোয়েন্দা জেগে উঠবে। ঘরের প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন—কোথায় একটুও ধুলো আছে, কোন ফাইলটি ঠিক জায়গায় নেই। এমনকি নিজের হাঁচি-কাশির শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখবেন, কোনো বড় রোগের লক্ষণ কি না। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা আপনার মনকে ক্লান্ত করে দেবে। আজ কোনো বিল বা হিসাব মেলাতে গিয়ে এক টাকার গরমিল হবে। সেই এক টাকার হিসাব না মেলা পর্যন্ত আপনার ঘুম হবে না। পার্টনারের কোনো ভুল উচ্চারণ বা ব্যাকরণগত ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মুহূর্তের রোমান্স নষ্ট করতে পারেন। প্লিজ, পার্টনারের দাঁত মাজার স্টাইল বা ঘরের গাছগুলোর পাতা গোনা বন্ধ করুন। জীবনটা একটু এলোমেলো হোক!
তুলা
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি ভারসাম্যহীনতার খেলা। একসঙ্গে চারজনের মন রাখতে গিয়ে শেষমেশ সবার কাছেই খারাপ হবেন। আজ টি-শার্টের সঙ্গে কোন প্যান্ট মানাবে, তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেবেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। গ্রহ বলছে, কোনো একটি দিকে ঝুঁকুন, ক্ষতি নেই! কোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত বেশি অপশন নিয়ে ভাববেন যে শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। পার্টনারের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হলে সেটা মিটিয়ে ফেলার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করবেন। ফলে ঝগড়ার মূল কারণ ভুলে গিয়ে মীমাংসার টেকনিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। দুটি অপশনের মধ্যে যেটি সহজ মনে হচ্ছে, চোখ বন্ধ করে সেটি বেছে নিন। পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
বৃশ্চিক
আজ মুখে যতই গম্ভীর বা রহস্যময় ভাব নিয়ে থাকুন না কেন, মন সারা দিন ভাববে—রাতে কী ডিনার হবে। গভীর দৃষ্টি, যেটা দিয়ে আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য ভেদ করার ভান করেন, সেটা আসলে ডিনারে মাংসের টুকরার সংখ্যা গুনছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা একটি প্রাচীন কচ্ছপের মতো পার্স আজ খুঁজে পেতে পারেন, যেখানে কিছু খুচরা পয়সা থাকতে পারে। এটা আপনার গোপন সম্পদের অংশ। কেউ সামান্য কোনো প্রশ্ন করলেও আপনি এমন একটি কঠিন উত্তর দেবেন, যেন আপনি কোনো স্পাই থ্রিলারের হিরো। প্লিজ, আজ অন্তত একটা রহস্য ফাঁস করে দিন। বলুন, ‘আমি কাল রাতেও ঘুমাইনি, পায়ের নখ কাটতে কাটতেই ভোর হয়ে গেছে!’
ধনু
আপনার মন আজ সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে চাইবে। হয়তো ভাববেন, ‘আজই চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে যাব!’ কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাবে, পাড়ার মোড়ের দোকানে চপ খেতে গিয়ে লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে আছেন। এইটাই আপনার আজকের অ্যাডভেঞ্চার। কিছু টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান করতে পারেন, কিন্তু প্ল্যানটা এতটাই জটিল হবে যে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে টাকা দেবে না। ভাগ্য ভালো! আজ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে এমন গভীর কোনো দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা শুনতে শুনতে প্রিয়জনেরা মাঝপথেই ঘুমিয়ে পড়বে। অ্যাডভেঞ্চার করার আগে অন্তত টয়লেট টিস্যু পকেটে নিয়েছেন কি না, দেখে নিন। দার্শনিকতা টয়লেটে কাজে আসে না।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে ‘ওয়ার্কহোলিক’ করে তুলবে। এমন সব কাজের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন, যা আপনার করার দরকারই নেই। মনে রাখবেন, পৃথিবী আপনার সাহায্য ছাড়াই ঘুরছে। আপনি দাঁত ব্রাশ করার সময়ও অফিসের ই-মেল চেক করে নিজেকে একজন ‘শহীদ কর্মী’ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় করার প্ল্যান করবেন, কিন্তু দিনের শেষে একটি ছোট জিনিসের জন্য সেই প্ল্যান ভেস্তে যাবে; যেমন একটি নতুন হেডফোন। পার্টনার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে, আর আপনি তাকে একটি প্রেজেন্টেশনের ডেডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান দেবেন। প্রেম আজ কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। আজ অন্তত ২০ মিনিট বই পড়ে বা ছাদে হেঁটে ‘অলস’ থাকুন। কাজ না করেও যে বাঁচা যায়, গ্রহকে তা দেখিয়ে দিন।
কুম্ভ
আজ সমাজের জন্য কোনো অদ্ভুত বা নতুন কিছু করার কথা ভাববেন; যেমন বিড়ালদের জন্য যোগ ক্লাব বা পিঁপড়াদের জন্য সিগন্যাল লাইট। আপনার বন্ধুরা আপনার এই আইডিয়াতে হাসি চাপতে না পেরে সাপোর্ট করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট করবেন, যা নিয়ে পরিচিতরা ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দেবে। আজ এমন একটি অ্যাপে সাবস্ক্রাইব করবেন, যা কেউ ব্যবহার করে না। শুধু এই ভেবে এটা করবেন, যেন আপনি একজন ট্রেন্ডসেটার। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক আজ বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে। তবে প্রেমের চেয়ে আলোচনা বেশি হবে, তা-ও এমন সব বিষয় নিয়ে, যা সচরাচর কেউ আলোচনা করে না। আপনার উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো একটি ডায়েরিতে টুকে রাখুন। সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পাগলা গারদে চলে যেতে পারেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকার আজ সারা দিন ঘোরের মধ্যে কাটবে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যেকার সূক্ষ্ম পার্থক্যটি ভুলে যাবেন। হয়তো ভাববেন, বস সত্যিই একটা ক্লাউন ড্রেস পরে অফিসে এসেছিল, অথবা পোষা মাছটি আপনার প্রেমে পড়েছে। পানি বেশি খান, নয়তো এই ঘোর আরও বাড়বে। আজ কেউ টাকা ধার চাইতে পারে, আর আপনি ইমোশনাল হয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেবেন। পরে মনে হবে, লোকটা টাকা শোধ করবে তো? এই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটবে। ভালোবাসার মানুষকে একটি রূপকথার গল্প শোনাবেন, যেটা শোনার পর সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারে। হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় ফোনটি পকেটে রাখুন। গ্রহ বলছে, আপনার মনোযোগ আজ রাস্তায় নয়, বরং মেঘের দিকে।

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজ! কিন্তু গ্রহের চাল বলছে, এই বিপুল শক্তি কোনো মহৎ কাজে লাগাতে পারবেন না। বরং সমস্ত মনোযোগ থাকবে ঘরে লুকিয়ে থাকা মশাটিকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ফাইট করার দিকে। এই যুদ্ধে জয় না এলে আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়বে। একটা পুরোনো প্যান্টের পকেটে ১০-২০ টাকা খুঁজে পেতে পারেন। ব্যস, আজকের আর্থিক সফলতা এতটুকুই। কাউকে ফোন করে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে গিয়ে ভুলে যাবেন কী বলতে চেয়েছিলেন। এটা আপনার উইট নয়, গ্রহের ষড়যন্ত্র। গরম কফি মুখে দেওয়ার আগে একবার ফুঁ দিয়ে নিন। নয়তো আপনার সমস্ত এনার্জি এক মিনিটেই বরফ হয়ে যাবে।
বৃষ
শুক্র গ্রহ আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আজ আপনার প্রধান কাজ হবে সোফায় এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করা, যেখানে মহারাজাধিরাজের মতো বসতে পারেন। একবার বসলে, নড়বেন না। গ্রহ বলছে, আপনার স্থূলতা আজ চরম! আলস্যের জন্য সবচেয়ে ভালো প্ল্যানটি হাতছাড়া হতে পারে—হয়তো বিরিয়ানি অর্ডার দিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। দিনের বেলায় বারবার ওয়ালেট চেক করবেন, কোনো কারণ ছাড়াই। হ্যাঁ, আপনি জানেন যে টাকা বাড়েনি, তবু। প্রিয়জনেরা আপনার জন্য আজ বিশেষ কিছু রান্না করতে পারে। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিন, সমালোচনা করলে গ্রহদের অভিশাপ পেতে পারেন। নিজেকে বোঝান যে রি-রান করা সিরিয়াল দেখতে দেখতে বিস্কুট খাওয়া কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নয়।
মিথুন
মন আজ ফুটবলের মাঠ। দুই দলই আপনাকে চাচ্ছে: এক মন বলছে, ‘সিরিয়াস কাজ করো।’, আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে কার কী হচ্ছে, দেখে নাও।’ কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন না। শিঙাড়া না সমুচা, ডাল না মাছের ঝোল—এসব দ্বন্দ্বে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আজ একাধিক জিনিসের দাম জানতে ফোন করবেন, কিন্তু কিনবেন না কিছুই। বিক্রেতারা আপনাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেবে। কথা বলার সময় এত দ্রুত বলবেন যে পার্টনার আপনার কথা টুকে রাখার জন্য কাগজ-কলম নিয়ে বসতে বাধ্য হবেন। একটি মাত্র ফোন হাতে রাখুন। দুটি ফোন একসঙ্গে চালালে নিজের কথাই নিজে ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ বিনা কারণে ইমোশনাল হয়ে পড়বেন। পুরোনো একটি জামা বা ছেঁড়া বই দেখে মনে হবে, জীবনের সমস্ত দুঃখ যেন সেখানেই লুকিয়ে আছে। দিনের অধিকাংশ সময় কাটবে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে এবং নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভুল বোঝা মানুষ হিসেবে ভেবে। শপিং করতে গিয়ে এমন একটি জিনিস কিনে ফেলবেন, যেটা কোনো দিনও দরকার ছিল না। পরে মনে হবে, কেন কিনলাম? গ্রহ বলছে, এটাই ছিল আজকের ‘আবেগের বিনিয়োগ’। পার্টনার বা বন্ধু আপনার সামান্যতম নীরবতাকে ভুল বুঝে দুশ্চিন্তা করবে। আপনার উচিত, ‘আমি শুধু ফ্রিজে কী আছে, সেটা ভাবছি’—এইটা বলে দেওয়া। আলুর চিপস আর কোমল পানীয়র চেয়ে পানি বেশি খান। এতে আবেগের বাঁধ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিংহ
আপনি হলেন আজকের দিনের ‘সুপারস্টার’! মনে হবে সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আপনার প্রশংসা করছে। যদি কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। অফিস বা বাড়িতে একটুখানি নাটকীয়তা তৈরি করে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজ এমন একটি জিনিস কিনবেন, যেটা দেখতে খুবই দামি, কিন্তু আদতে তার কোনো দরকার নেই। আপনার রাজকীয় রুচির দাম তো দিতেই হবে, তাই না? ভালোবাসার মানুষের কাছে বারবার জানতে চাইবেন, ‘আমাকে কেমন লাগছে?’ উত্তর যত ভালোই হোক, সন্তুষ্ট হবেন না। সেলফি তোলার আগে ভালো করে দেখে নিন ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন বাড়ির ঝুল না থাকে। আপনার স্টারডমের সঙ্গে এটা মানায় না!
কন্যা
আজ ভেতরের গোয়েন্দা জেগে উঠবে। ঘরের প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন—কোথায় একটুও ধুলো আছে, কোন ফাইলটি ঠিক জায়গায় নেই। এমনকি নিজের হাঁচি-কাশির শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখবেন, কোনো বড় রোগের লক্ষণ কি না। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা আপনার মনকে ক্লান্ত করে দেবে। আজ কোনো বিল বা হিসাব মেলাতে গিয়ে এক টাকার গরমিল হবে। সেই এক টাকার হিসাব না মেলা পর্যন্ত আপনার ঘুম হবে না। পার্টনারের কোনো ভুল উচ্চারণ বা ব্যাকরণগত ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মুহূর্তের রোমান্স নষ্ট করতে পারেন। প্লিজ, পার্টনারের দাঁত মাজার স্টাইল বা ঘরের গাছগুলোর পাতা গোনা বন্ধ করুন। জীবনটা একটু এলোমেলো হোক!
তুলা
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি ভারসাম্যহীনতার খেলা। একসঙ্গে চারজনের মন রাখতে গিয়ে শেষমেশ সবার কাছেই খারাপ হবেন। আজ টি-শার্টের সঙ্গে কোন প্যান্ট মানাবে, তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেবেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। গ্রহ বলছে, কোনো একটি দিকে ঝুঁকুন, ক্ষতি নেই! কোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত বেশি অপশন নিয়ে ভাববেন যে শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। পার্টনারের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হলে সেটা মিটিয়ে ফেলার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করবেন। ফলে ঝগড়ার মূল কারণ ভুলে গিয়ে মীমাংসার টেকনিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। দুটি অপশনের মধ্যে যেটি সহজ মনে হচ্ছে, চোখ বন্ধ করে সেটি বেছে নিন। পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
বৃশ্চিক
আজ মুখে যতই গম্ভীর বা রহস্যময় ভাব নিয়ে থাকুন না কেন, মন সারা দিন ভাববে—রাতে কী ডিনার হবে। গভীর দৃষ্টি, যেটা দিয়ে আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য ভেদ করার ভান করেন, সেটা আসলে ডিনারে মাংসের টুকরার সংখ্যা গুনছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা একটি প্রাচীন কচ্ছপের মতো পার্স আজ খুঁজে পেতে পারেন, যেখানে কিছু খুচরা পয়সা থাকতে পারে। এটা আপনার গোপন সম্পদের অংশ। কেউ সামান্য কোনো প্রশ্ন করলেও আপনি এমন একটি কঠিন উত্তর দেবেন, যেন আপনি কোনো স্পাই থ্রিলারের হিরো। প্লিজ, আজ অন্তত একটা রহস্য ফাঁস করে দিন। বলুন, ‘আমি কাল রাতেও ঘুমাইনি, পায়ের নখ কাটতে কাটতেই ভোর হয়ে গেছে!’
ধনু
আপনার মন আজ সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে চাইবে। হয়তো ভাববেন, ‘আজই চাকরি ছেড়ে হিমালয়ে যাব!’ কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাবে, পাড়ার মোড়ের দোকানে চপ খেতে গিয়ে লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে আছেন। এইটাই আপনার আজকের অ্যাডভেঞ্চার। কিছু টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান করতে পারেন, কিন্তু প্ল্যানটা এতটাই জটিল হবে যে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে টাকা দেবে না। ভাগ্য ভালো! আজ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে এমন গভীর কোনো দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন, যা শুনতে শুনতে প্রিয়জনেরা মাঝপথেই ঘুমিয়ে পড়বে। অ্যাডভেঞ্চার করার আগে অন্তত টয়লেট টিস্যু পকেটে নিয়েছেন কি না, দেখে নিন। দার্শনিকতা টয়লেটে কাজে আসে না।
মকর
গ্রহ আজ আপনাকে ‘ওয়ার্কহোলিক’ করে তুলবে। এমন সব কাজের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন, যা আপনার করার দরকারই নেই। মনে রাখবেন, পৃথিবী আপনার সাহায্য ছাড়াই ঘুরছে। আপনি দাঁত ব্রাশ করার সময়ও অফিসের ই-মেল চেক করে নিজেকে একজন ‘শহীদ কর্মী’ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় করার প্ল্যান করবেন, কিন্তু দিনের শেষে একটি ছোট জিনিসের জন্য সেই প্ল্যান ভেস্তে যাবে; যেমন একটি নতুন হেডফোন। পার্টনার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে, আর আপনি তাকে একটি প্রেজেন্টেশনের ডেডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান দেবেন। প্রেম আজ কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। আজ অন্তত ২০ মিনিট বই পড়ে বা ছাদে হেঁটে ‘অলস’ থাকুন। কাজ না করেও যে বাঁচা যায়, গ্রহকে তা দেখিয়ে দিন।
কুম্ভ
আজ সমাজের জন্য কোনো অদ্ভুত বা নতুন কিছু করার কথা ভাববেন; যেমন বিড়ালদের জন্য যোগ ক্লাব বা পিঁপড়াদের জন্য সিগন্যাল লাইট। আপনার বন্ধুরা আপনার এই আইডিয়াতে হাসি চাপতে না পেরে সাপোর্ট করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট করবেন, যা নিয়ে পরিচিতরা ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দেবে। আজ এমন একটি অ্যাপে সাবস্ক্রাইব করবেন, যা কেউ ব্যবহার করে না। শুধু এই ভেবে এটা করবেন, যেন আপনি একজন ট্রেন্ডসেটার। প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক আজ বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে। তবে প্রেমের চেয়ে আলোচনা বেশি হবে, তা-ও এমন সব বিষয় নিয়ে, যা সচরাচর কেউ আলোচনা করে না। আপনার উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো একটি ডায়েরিতে টুকে রাখুন। সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পাগলা গারদে চলে যেতে পারেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকার আজ সারা দিন ঘোরের মধ্যে কাটবে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যেকার সূক্ষ্ম পার্থক্যটি ভুলে যাবেন। হয়তো ভাববেন, বস সত্যিই একটা ক্লাউন ড্রেস পরে অফিসে এসেছিল, অথবা পোষা মাছটি আপনার প্রেমে পড়েছে। পানি বেশি খান, নয়তো এই ঘোর আরও বাড়বে। আজ কেউ টাকা ধার চাইতে পারে, আর আপনি ইমোশনাল হয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেবেন। পরে মনে হবে, লোকটা টাকা শোধ করবে তো? এই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটবে। ভালোবাসার মানুষকে একটি রূপকথার গল্প শোনাবেন, যেটা শোনার পর সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারে। হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় ফোনটি পকেটে রাখুন। গ্রহ বলছে, আপনার মনোযোগ আজ রাস্তায় নয়, বরং মেঘের দিকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
৭ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
৮ ঘণ্টা আগে