অনলাইন ডেস্ক
কুকুরের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অনেকেই মানসিক শান্তি পান। এবার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কুকুরের ভিডিও দেখলেও মেলে প্রশান্তি, কমে মানসিক চাপ। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি কুকুরের ভিডিও দেখে প্রায় একই মাত্রায় মানসিক চাপ কমতে পারে, যেটা একটি কুকুরের সংস্পর্শে গেলে হয়।
গবেষণাটি করেছেন ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ওকানাগানের ড. জন-টাইলার বিনফেট এবং ব্রক ইউনিভার্সিটির ড. ক্রিস্টিন টারডিফ-উইলিয়ামস। এ গবেষণায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর কুকুরের ভিডিও দেখার প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। হিউম্যান অ্যানিম্যাল ইন্টারেকশনস নামের একটি জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক ড. বিনফেট বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুরের ভিডিও দেখার পর বয়স-পেশা নির্বিশেষে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমে গিয়েছে।’
সাধারণত এই ভিডিওগুলোতে যেসব কুকুর দেখতে পাওয়া যায়, সেগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকে। দর্শকের সঙ্গে মানসিক সংযোগ তৈরির জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে ভিডিওগুলোতে। এমনই কিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজনীয় ভিডিও বানিয়ে থাকে বার্ক (B. A. R. K) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের ভিডিওগুলোতে দেখানো কুকুরকে আদর করার কল্পনা করতে বলা হয় এবং নিজেদের অনুভূতির ওপর মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করা হয়। গবেষণা বলছে, এ পদ্ধতি বাস্তবে কুকুরকে আদর করার মতোই কাজ করে। ভিডিওগুলো পাঁচ মিনিটের হলেও মানসিক চাপ কমাতে খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষণার জরিপে প্রথমে শিক্ষার্থীদের এবং পরে সাধারণ জনগণের ওপর ভিডিও সেশন চালানো হয়। দুই দলই ভিডিও সেশন শেষে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের গ্রুপে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার হার বেশি। ভিডিও দেখার আগে নারীদের মানসিক চাপ ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু দেখার পর তা পুরুষ অংশগ্রহণকারীদের স্তরে নেমে আসে। তবে বয়সের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থী, ব্যস্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে ইতস্ততবোধ করেন তারা এই সেশন নিতে পছন্দ করেন।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘আমি কুকুর ভালোবাসি। আমি আগে ক্যাম্পাসে কুকুর নিয়ে সশরীরে কোনো সেশনে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মানুষের সঙ্গে মেশার ভাবনাতেই আমি অস্বস্তি বোধ করতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে ছোট করে বলছি না। এই ভার্চুয়াল কুকুর সেশন মানুষের সঙ্গে মেশার নেতিবাচক দিকগুলো থেকে দূরে রাখে, যা অনেককে অস্থির করে তোলে।’
এ ভিডিওগুলো মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পথে একটি সহজ ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে কাজ করতে পারে। গবেষকদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ মানসিক চিকিৎসা নিতে ইতস্তত বোধ করা মানুষের জন্য ‘ফুট ইন দ্য ডোর’ বা ‘নতুন এক শুরুর প্রথম ধাপ’ হিসেবে সহায়তা করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই ভিডিওগুলো অটিজম বা মস্তিষ্কজনিত সমস্যায় ভুগছে এমন মানুষদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মানুষ-প্রাণীর আন্তঃক্রিয়া নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আরও সহযোগিতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমার প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়, সেটা এই গবেষণায় মাপা হয়নি। ভবিষ্যতের গবেষণায় এই দিকগুলো বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন গবেষকেরা।
কুকুরের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অনেকেই মানসিক শান্তি পান। এবার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কুকুরের ভিডিও দেখলেও মেলে প্রশান্তি, কমে মানসিক চাপ। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি কুকুরের ভিডিও দেখে প্রায় একই মাত্রায় মানসিক চাপ কমতে পারে, যেটা একটি কুকুরের সংস্পর্শে গেলে হয়।
গবেষণাটি করেছেন ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ওকানাগানের ড. জন-টাইলার বিনফেট এবং ব্রক ইউনিভার্সিটির ড. ক্রিস্টিন টারডিফ-উইলিয়ামস। এ গবেষণায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর কুকুরের ভিডিও দেখার প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। হিউম্যান অ্যানিম্যাল ইন্টারেকশনস নামের একটি জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক ড. বিনফেট বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুরের ভিডিও দেখার পর বয়স-পেশা নির্বিশেষে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমে গিয়েছে।’
সাধারণত এই ভিডিওগুলোতে যেসব কুকুর দেখতে পাওয়া যায়, সেগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকে। দর্শকের সঙ্গে মানসিক সংযোগ তৈরির জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে ভিডিওগুলোতে। এমনই কিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজনীয় ভিডিও বানিয়ে থাকে বার্ক (B. A. R. K) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের ভিডিওগুলোতে দেখানো কুকুরকে আদর করার কল্পনা করতে বলা হয় এবং নিজেদের অনুভূতির ওপর মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করা হয়। গবেষণা বলছে, এ পদ্ধতি বাস্তবে কুকুরকে আদর করার মতোই কাজ করে। ভিডিওগুলো পাঁচ মিনিটের হলেও মানসিক চাপ কমাতে খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষণার জরিপে প্রথমে শিক্ষার্থীদের এবং পরে সাধারণ জনগণের ওপর ভিডিও সেশন চালানো হয়। দুই দলই ভিডিও সেশন শেষে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের গ্রুপে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার হার বেশি। ভিডিও দেখার আগে নারীদের মানসিক চাপ ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু দেখার পর তা পুরুষ অংশগ্রহণকারীদের স্তরে নেমে আসে। তবে বয়সের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থী, ব্যস্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে ইতস্ততবোধ করেন তারা এই সেশন নিতে পছন্দ করেন।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘আমি কুকুর ভালোবাসি। আমি আগে ক্যাম্পাসে কুকুর নিয়ে সশরীরে কোনো সেশনে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মানুষের সঙ্গে মেশার ভাবনাতেই আমি অস্বস্তি বোধ করতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাউকে ছোট করে বলছি না। এই ভার্চুয়াল কুকুর সেশন মানুষের সঙ্গে মেশার নেতিবাচক দিকগুলো থেকে দূরে রাখে, যা অনেককে অস্থির করে তোলে।’
এ ভিডিওগুলো মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পথে একটি সহজ ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে কাজ করতে পারে। গবেষকদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ মানসিক চিকিৎসা নিতে ইতস্তত বোধ করা মানুষের জন্য ‘ফুট ইন দ্য ডোর’ বা ‘নতুন এক শুরুর প্রথম ধাপ’ হিসেবে সহায়তা করে।
গবেষকেরা বলছেন, এই ভিডিওগুলো অটিজম বা মস্তিষ্কজনিত সমস্যায় ভুগছে এমন মানুষদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মানুষ-প্রাণীর আন্তঃক্রিয়া নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আরও সহযোগিতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমার প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়, সেটা এই গবেষণায় মাপা হয়নি। ভবিষ্যতের গবেষণায় এই দিকগুলো বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন গবেষকেরা।
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৪ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৫ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
৬ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
৬ ঘণ্টা আগে