ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
আমাদের রান্নাঘরে যে কৌটোয় বাদাম রাখা থাকে, তার গুরুত্ব অনেকেই জানেন না। বাদাম শুধু মুখরোচক নাশতা কিংবা শাহি খাবার তৈরির উপকরণই নয়। এটি প্রাকৃতিক পুষ্টিতে ভরপুর। বাদামে এমন কিছু উপাদান আছে, যা হৃদ্রোগ থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, রক্তচাপ এমনকি বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যবিষয়ক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘হেলথ’ তাদের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু বাদাম শরীরের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে উপযোগী।
চিনাবাদাম
পিনাট বা চিনাবাদামকে অনেকে বাদামের তালিকায় ফেলতে চান না। কারণ এটি টেকনিক্যালি ‘লেগিউম’ বা ডালজাতীয় শস্য। কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে বাদামের কাতারেই পড়ে। এতে আছে প্রচুর প্রোটিন, যা শরীরের গঠন ও শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক। পাশাপাশি এতে থাকে ফোলেট ও রেসভারাট্রল, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
পেস্তা বাদাম
এই বাদাম ছোট হলেও কাজ বড়। এতে রয়েছে পূর্ণ প্রোটিন। মানে যেসব অ্যামিনো অ্যাসিড শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না, সেগুলোর সবই এতে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
আমন্ড বা কাঠবাদাম
এই বাদাম ভিটামিন ই-র দারুণ উৎস। ভিটামিন ই আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, কোষের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে। প্রতিদিন মাত্র ২৩টা আমন্ড খেলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন শরীরের দৈনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চাহিদার বড় অংশ। এ ছাড়া এতে আছে আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং টাইপ–২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কাজু বাদাম
এই বাদাম আমাদের দেশে বেশ পরিচিত। সেটি কেবল খেতেই ভালো নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, কপার আর জিংক। এগুলো হাড়ের গঠন মজবুত করে, স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখে এবং রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোজ এক মুঠো কাজু বাদাম খেতে পারেন, তবে ক্লান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা যায়।
আখরোট
সবশেষে আসা যাক আখরোটের কথায়। এটি দেখতে মস্তিষ্কের আকৃতির মতো। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটি আসলেই মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে মানসিক চাপ কমে আবার ঘুমও ভালো হয়।
ব্রাজিল নাট
ব্রাজিল নাট দেখতে বড়, খেতে মাখনের মতো নরম আর ভেতরে ঠাসা সেলেনিয়াম। একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং থাইরয়েডের কাজ ঠিক রাখে। তবে ব্রাজিল নাট খেতে হবে অল্প করে। কারণ অতিরিক্ত সেলেনিয়াম শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রতিদিন এক বা দুটো খাওয়াই যথেষ্ট।
হেজেলনাট
হেজেলনাট আমাদের দেশে ততটা প্রচলিত না হলেও পশ্চিমা দেশগুলোয় বেশ জনপ্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। ফলে কমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। যাঁরা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চান, তাঁদের জন্য এই বাদাম খুব উপকারী।
ম্যাকাডেমিয়া
ম্যাকাডেমিয়া বাদাম হয়তো দামের কারণে অনেকের নাগালের বাইরে। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল কমায় এবং দেহে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আবার পেকান হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কাজ করে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
তবে যে বাদামই খান না কেন, মনে রাখতে হবে, পরিমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম, অর্থাৎ এক মুঠো বাদাম খাওয়া উপকারী হলেও তার চেয়ে বেশি খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার ভাজা, লবণ বা চিনি মেশানো বাদাম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
শেষ কথা হলো, বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে শরীর বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হয়। তাই শুধু একটা নয়, বরং প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন বাদামের মিশ্রণ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। স্বাস্থ্যরক্ষার সহজ, সুস্বাদু আর প্রাকৃতিক এক সমাধান বাদাম। নিয়ম করে খেতে শুরু করুন আজ থেকেই।
সূত্র: হেলথ
আমাদের রান্নাঘরে যে কৌটোয় বাদাম রাখা থাকে, তার গুরুত্ব অনেকেই জানেন না। বাদাম শুধু মুখরোচক নাশতা কিংবা শাহি খাবার তৈরির উপকরণই নয়। এটি প্রাকৃতিক পুষ্টিতে ভরপুর। বাদামে এমন কিছু উপাদান আছে, যা হৃদ্রোগ থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, রক্তচাপ এমনকি বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যবিষয়ক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘হেলথ’ তাদের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু বাদাম শরীরের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে উপযোগী।
চিনাবাদাম
পিনাট বা চিনাবাদামকে অনেকে বাদামের তালিকায় ফেলতে চান না। কারণ এটি টেকনিক্যালি ‘লেগিউম’ বা ডালজাতীয় শস্য। কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে বাদামের কাতারেই পড়ে। এতে আছে প্রচুর প্রোটিন, যা শরীরের গঠন ও শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক। পাশাপাশি এতে থাকে ফোলেট ও রেসভারাট্রল, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
পেস্তা বাদাম
এই বাদাম ছোট হলেও কাজ বড়। এতে রয়েছে পূর্ণ প্রোটিন। মানে যেসব অ্যামিনো অ্যাসিড শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না, সেগুলোর সবই এতে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
আমন্ড বা কাঠবাদাম
এই বাদাম ভিটামিন ই-র দারুণ উৎস। ভিটামিন ই আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, কোষের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে। প্রতিদিন মাত্র ২৩টা আমন্ড খেলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন শরীরের দৈনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চাহিদার বড় অংশ। এ ছাড়া এতে আছে আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং টাইপ–২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কাজু বাদাম
এই বাদাম আমাদের দেশে বেশ পরিচিত। সেটি কেবল খেতেই ভালো নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, কপার আর জিংক। এগুলো হাড়ের গঠন মজবুত করে, স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখে এবং রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোজ এক মুঠো কাজু বাদাম খেতে পারেন, তবে ক্লান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা যায়।
আখরোট
সবশেষে আসা যাক আখরোটের কথায়। এটি দেখতে মস্তিষ্কের আকৃতির মতো। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটি আসলেই মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে মানসিক চাপ কমে আবার ঘুমও ভালো হয়।
ব্রাজিল নাট
ব্রাজিল নাট দেখতে বড়, খেতে মাখনের মতো নরম আর ভেতরে ঠাসা সেলেনিয়াম। একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং থাইরয়েডের কাজ ঠিক রাখে। তবে ব্রাজিল নাট খেতে হবে অল্প করে। কারণ অতিরিক্ত সেলেনিয়াম শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রতিদিন এক বা দুটো খাওয়াই যথেষ্ট।
হেজেলনাট
হেজেলনাট আমাদের দেশে ততটা প্রচলিত না হলেও পশ্চিমা দেশগুলোয় বেশ জনপ্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। ফলে কমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। যাঁরা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চান, তাঁদের জন্য এই বাদাম খুব উপকারী।
ম্যাকাডেমিয়া
ম্যাকাডেমিয়া বাদাম হয়তো দামের কারণে অনেকের নাগালের বাইরে। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল কমায় এবং দেহে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আবার পেকান হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কাজ করে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
তবে যে বাদামই খান না কেন, মনে রাখতে হবে, পরিমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম, অর্থাৎ এক মুঠো বাদাম খাওয়া উপকারী হলেও তার চেয়ে বেশি খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার ভাজা, লবণ বা চিনি মেশানো বাদাম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
শেষ কথা হলো, বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে শরীর বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হয়। তাই শুধু একটা নয়, বরং প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন বাদামের মিশ্রণ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। স্বাস্থ্যরক্ষার সহজ, সুস্বাদু আর প্রাকৃতিক এক সমাধান বাদাম। নিয়ম করে খেতে শুরু করুন আজ থেকেই।
সূত্র: হেলথ
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
৯ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
১৯ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
২০ ঘণ্টা আগে