ফিচার ডেস্ক
প্রিয় শালুক
আজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে। অনেকভাবেই তো পাশে থাকা হয়। কথাটা একদিন তুমিই আমাকে বলেছিলে। সেভাবেই তোমার পাশে ছিলাম। আমরা দেখা করব ঠিক করেছিলাম। সেই উৎসাহে তড়িঘড়ি পাসপোর্টও করিয়েছি। একবার তোমার দেশে যাব, তারপর তুমি আসবে আমাদের এখানে...এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু নানা ডামাডোলে সাময়িকভাবে ভেস্তে গেল আমাদের সব পরিকল্পনা।
তবু ভালো, প্রকৃতি কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। এপারের শরৎ মেঘ দিব্যি ভেসে গেল ওপারে। দুই দেশের খালবিলে শাপলাও ফুটে উঠল যথাসময়ে। দুই বাংলার উঠানজুড়ে শিউলি আপন খেয়ালে আলপনা আঁকল। কাশবনে পুজোর চিঠি পৌঁছে দিল সুগন্ধি মল্লিকা! পুজো আসছে। এ এক অদ্ভুত উৎসব! একে ঘিরে মেলা, আর সেই মেলায় সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরবেন অনেকে। মায়ের সঙ্গে সন্তানের দেখা হবে। ভাইয়ের সঙ্গে বোনের। বছরে হয়তো এই একটিবার। দুর্গাপূজা মানেই একগাদা উপলক্ষ। এই যে তোমাকে চিঠি লিখছি, সেটাও তো তোমাকে পুজো উপলক্ষে লেখা।
তোমাদের বাড়িতে পূজায় দারুণ সব পদ রান্না হবে জানি। তোমাকে কটা রেসিপি দিলাম। পছন্দ হলে বানিয়ো এবং কেমন লাগল, তা জানাতে ভুলো না কিন্তু।
ইতি
তোমার সাবিনা ইয়াসমিন
বাদাম ফিরনি
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, চালবাটা ২৫ গ্রাম, চিনি, আমন্ড-বাটা, আমন্ড-কুচি, জাফরান, গোলাপজল দুই ফোঁটা, গোলাপের পাপড়ি।
প্রণালি
দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিন। তারপর সেই দুধে চালবাটা ও চিনি দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে যেতে হবে। জাফরান ও আমন্ড-বাটা দিয়ে আরেকবার ভালো করে নেড়ে নিন। এবার চুলা বন্ধ করে গোলাপজল দিতে হবে। শেষে গোলাপের পাপড়ি, আমন্ড-কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নবাবি ছানার কোপ্তা কারি
উপকরণ
২ কাপ ছানা; ২ চামচ ময়দা; লবণ, চিনি, মরিচ, জিরা ও ধনেগুঁড়া পরিমাণমতো; এক চিমটি হলুদগুঁড়া, পেঁয়াজ-রসুন-আদাবাটা, কাজু-পেস্তা-চারমগজ-বাটা ২ টেবিল চামচ; টক দই ২ চামচ; গরমমসলার গুঁড়া এবং সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি
ময়দা, লবণ ও মরিচগুঁড়া দিয়ে ছানা মসৃণ করে মেখে নিন। ওই মিশ্রণ থেকে ছোট গোল গোল বলের আকারে গড়ে নিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করে বাটা মসলাগুলো একে একে দিয়ে কষিয়ে নেওয়ার পর টক দই ফেটিয়ে দিন। গুঁড়া মসলা, লবণ ও চিনি মিশিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। অল্প পানি যুক্ত করে ঝোল ফুটিয়ে নেওয়ার পরে ছানার বলগুলো দিয়ে গরমমসলার গুঁড়া ছড়িয়ে ঢেকে রেখে চুলা বন্ধ করে দিন।
লেবু নারকেল মাংস
উপকরণ
৫০০ গ্রাম চিকেন; আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচ বাটা পরিমাণমতো; পেঁয়াজকুচি ১ কাপ; ধনে ও জিরাগুঁড়া স্বাদমতো; নারকেলের দুধ ২ কাপ; আধা কাপ কোরানো নারকেল; গন্ধরাজ লেবুর পাতা, লেবুর রস, তেল, লবণ ও চিনি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি
মাংসে লবণ ও তেল মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। তার মধ্যে মাংসগুলো ঢেলে দিয়ে কষাতে হবে। এবার বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে হালকা আঁচে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে কোরানো নারকেল এবং কিছুটা নারকেল দুধ দিয়ে হালকা আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে বাকি নারকেল দুধটুকু দিন। লেবুর রস ও লেবুপাতা দিয়ে কড়াইয়ের ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট দশেক পর নামিয়ে ফেলুন।
প্রিয় শালুক
আজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে। অনেকভাবেই তো পাশে থাকা হয়। কথাটা একদিন তুমিই আমাকে বলেছিলে। সেভাবেই তোমার পাশে ছিলাম। আমরা দেখা করব ঠিক করেছিলাম। সেই উৎসাহে তড়িঘড়ি পাসপোর্টও করিয়েছি। একবার তোমার দেশে যাব, তারপর তুমি আসবে আমাদের এখানে...এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু নানা ডামাডোলে সাময়িকভাবে ভেস্তে গেল আমাদের সব পরিকল্পনা।
তবু ভালো, প্রকৃতি কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। এপারের শরৎ মেঘ দিব্যি ভেসে গেল ওপারে। দুই দেশের খালবিলে শাপলাও ফুটে উঠল যথাসময়ে। দুই বাংলার উঠানজুড়ে শিউলি আপন খেয়ালে আলপনা আঁকল। কাশবনে পুজোর চিঠি পৌঁছে দিল সুগন্ধি মল্লিকা! পুজো আসছে। এ এক অদ্ভুত উৎসব! একে ঘিরে মেলা, আর সেই মেলায় সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরবেন অনেকে। মায়ের সঙ্গে সন্তানের দেখা হবে। ভাইয়ের সঙ্গে বোনের। বছরে হয়তো এই একটিবার। দুর্গাপূজা মানেই একগাদা উপলক্ষ। এই যে তোমাকে চিঠি লিখছি, সেটাও তো তোমাকে পুজো উপলক্ষে লেখা।
তোমাদের বাড়িতে পূজায় দারুণ সব পদ রান্না হবে জানি। তোমাকে কটা রেসিপি দিলাম। পছন্দ হলে বানিয়ো এবং কেমন লাগল, তা জানাতে ভুলো না কিন্তু।
ইতি
তোমার সাবিনা ইয়াসমিন
বাদাম ফিরনি
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, চালবাটা ২৫ গ্রাম, চিনি, আমন্ড-বাটা, আমন্ড-কুচি, জাফরান, গোলাপজল দুই ফোঁটা, গোলাপের পাপড়ি।
প্রণালি
দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিন। তারপর সেই দুধে চালবাটা ও চিনি দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে যেতে হবে। জাফরান ও আমন্ড-বাটা দিয়ে আরেকবার ভালো করে নেড়ে নিন। এবার চুলা বন্ধ করে গোলাপজল দিতে হবে। শেষে গোলাপের পাপড়ি, আমন্ড-কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নবাবি ছানার কোপ্তা কারি
উপকরণ
২ কাপ ছানা; ২ চামচ ময়দা; লবণ, চিনি, মরিচ, জিরা ও ধনেগুঁড়া পরিমাণমতো; এক চিমটি হলুদগুঁড়া, পেঁয়াজ-রসুন-আদাবাটা, কাজু-পেস্তা-চারমগজ-বাটা ২ টেবিল চামচ; টক দই ২ চামচ; গরমমসলার গুঁড়া এবং সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি
ময়দা, লবণ ও মরিচগুঁড়া দিয়ে ছানা মসৃণ করে মেখে নিন। ওই মিশ্রণ থেকে ছোট গোল গোল বলের আকারে গড়ে নিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করে বাটা মসলাগুলো একে একে দিয়ে কষিয়ে নেওয়ার পর টক দই ফেটিয়ে দিন। গুঁড়া মসলা, লবণ ও চিনি মিশিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। অল্প পানি যুক্ত করে ঝোল ফুটিয়ে নেওয়ার পরে ছানার বলগুলো দিয়ে গরমমসলার গুঁড়া ছড়িয়ে ঢেকে রেখে চুলা বন্ধ করে দিন।
লেবু নারকেল মাংস
উপকরণ
৫০০ গ্রাম চিকেন; আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচ বাটা পরিমাণমতো; পেঁয়াজকুচি ১ কাপ; ধনে ও জিরাগুঁড়া স্বাদমতো; নারকেলের দুধ ২ কাপ; আধা কাপ কোরানো নারকেল; গন্ধরাজ লেবুর পাতা, লেবুর রস, তেল, লবণ ও চিনি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি
মাংসে লবণ ও তেল মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। তার মধ্যে মাংসগুলো ঢেলে দিয়ে কষাতে হবে। এবার বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে হালকা আঁচে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে কোরানো নারকেল এবং কিছুটা নারকেল দুধ দিয়ে হালকা আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে বাকি নারকেল দুধটুকু দিন। লেবুর রস ও লেবুপাতা দিয়ে কড়াইয়ের ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট দশেক পর নামিয়ে ফেলুন।
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিমা দেখতে সময়মতো মণ্ডপে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু যে বন্ধুর আসার কথা ছিল, তাঁর তো কোনো খবরই নেই। ফোনে রিং বেজেই যাচ্ছে, কিন্তু রিসিভ করছেন না। একা দাঁড়িয়েই প্রতিমা দেখছেন। হঠাৎ পেছন থেকে দুই হাতে চোখ ধরল কেউ।
৫ ঘণ্টা আগে