সানজিদা সামরিন, ঢাকা
প্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের কাছে যেন মল্লিকাবন।
দেবী তো আসবেনই, সঙ্গে বাড়িতে ছুটি নিয়ে ফিরবেন প্রাণেশ্বরও। লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই বুঝবেন এ কথার মর্ম। দীর্ঘদিন পর কেবল ছুটি মিললেই যাঁরা প্রিয় মানুষটিকে কাছে পান, তাঁরা চাইবেনই একসঙ্গে থাকার মুহূর্তকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে। আর নিশ্চয় চাইবেন, পূজায় তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়টায় নিজেকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে—নারী বা পুরুষ, সে আপনি যা-ই হোন। প্রিয় মানুষের চোখে নিজের প্রতি মুগ্ধতা দেখতে কারও কি মন্দ লাগে?
প্রণয়িনীর সাজ
অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েই যদি এই মুগ্ধতা ছড়াতে চান, তাহলে লাল-সাদাতেই নিজেকে সাজিয়ে নিন। লাল পাড়ে একরঙা সাদা শাড়ি না-ই পরলেন। হ্যান্ডলুম বা হাফসিল্কের সাদা বা অফ হোয়াইট শাড়ির ওপর লাল বা মেরুন স্ক্রিনপ্রিন্ট করা একটা শাড়ি সুন্দর কুঁচি ফেলে পরে ফেলুন আঁচল ছেড়ে। সঙ্গে পরুন থ্রি-কোয়ার্টার হাতার লাল বা মেরুন ব্লাউজ। লাল বা মেরুনরঙা ব্লাউজের হাতায় থাকতে পারে সাদা রঙের লতানো নকশা। সেই নকশা হতে পারে ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপ্লিক কিংবা সুই-সুতায় বোনা। চাইলে কুসি-কাঁটার লেইসও লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে, এতে একটা ভিনটেজ লুক পাওয়া যাবে।
ভোরে অঞ্জলি দেওয়ার তাড়াহুড়োয় খুব বেশি তো আর সাজগোজ করার উপায় নেই, প্রয়োজনও নেই অবশ্য। ঘুম থেকে উঠেই স্নান সেরে, চুল ব্লো ড্রাই করে নিয়েছেন। চুলে সিঁথি কেটে চাইলে ছেড়েও রাখতে পারেন। কানের পাশে গুঁজে দিতে পারেন একগুচ্ছ ফুল। নিতান্তই বাঁধতে হলে সাদামাটা হাতখোঁপাই যথেষ্ট। এ ছাড়া খোঁপায় জড়িয়ে নিতে পারেন পছন্দের ফুলের মালা। তবে হ্যাঁ, ফুল হয় সাদা নয়তো লালই হওয়া চাই।
মুখে হালকা ফাউন্ডেশন দিতে পারেন, আবার না দিলেও চলবে। ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পর প্রেস পাউডার বুলিয়ে চোখের ওপর-নিচে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিলেই সাজ পূর্ণ। চাইলে গালে হালকা ব্লাশন দিতেই পারেন, তবে সেটাও সকালের স্নিগ্ধ সাজে বাধ্যতামূলক নয়।
সবশেষে কপালে পরুন গোধূলির রাঙা সূর্যের মতো লাল টিপ। টিপের ঠিক নিচ বরাবর চন্দনের ছোট্ট একটা ফোঁটা দিন। এতে অঞ্জলির সাজ পাবে পূর্ণতা।
গয়নার আড়ম্বর এ সময় না করাই ভালো। গলায় মুক্তার মালা আর হাতে একগাছি লাল কাচের চুড়ি, যার রিনিঝিনি শব্দ প্রিয় সখাকে কোনো না কোনো দিন নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনবে।
হে সখা, মম হৃদয়ে রহো
‘পুরুষের আর বাড়বাড়ন্ত সাজ কী?’—এমন কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা বোধ হয় কখনো প্রেমিক পুরুষ দেখেননি। পুরুষ প্রেমে পড়লে আরও পরিপাটি হয়ে ওঠেন। অঞ্জলিতে তাঁর পোশাকের সুবাসও যেন প্রণয়িনীর হৃদয় কাড়ে, সেদিকেও থাকে তাঁর নজর। স্নান সেরে পরে নিন শুভ্র পাঞ্জাবি। তাতে লাল রঙের নকশার ছোট ছোট প্রিন্ট থাকতে পারে। পাঞ্জাবির সঙ্গে পরতে পারেন চুড়িদার পায়জামা বা ধুতি। পাঞ্জাবি সাদা হলে লাল অথবা মেরুনরঙা ধুতি আর পাঞ্জাবি লাল বা মেরুন হলে সাদা রঙের ধুতি পরুন।
সুবাসিত শাওয়ার জেল আর শ্যাম্পু দিয়ে সকালের স্নান সেরে ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। ঠোঁটে বুলিয়ে নিতে পারেন লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি। হাত ও পায়ের নখ যেন সুন্দর করে কাটা থাকে। চাইলে আগের দিন নেইলশাইন করে নিতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ফাটা কি না, সেদিকেও নজর রাখা চাই। থাকলে সারিয়ে নিন আগেভাগে।
হাতে জড়িয়ে নিতে পারেন প্রিয় ঘড়ি। ব্রেসলেট পরার অভ্যাস না থাকলে জোর করে পরার কোনো দরকার নেই। সাবলীল থাকাটাই তো জরুরি। পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন আরামদায়ক চপ্পল বা স্যান্ডেল শু। সবশেষে চুল আঁচড়ে নিন মনের মতো করে। আর প্রিয় সুগন্ধি মাখতে কিন্তু ভুলবেন না একেবারেই। ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসি নিয়ে যখন প্রেয়সীর দিকে তাকাবেন, সে রূপে আপনাকে দেখে তখন তিনি আপন মনেই বলে উঠবেন, ‘হে সখা, মম হৃদয়ে রহো।’
প্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের কাছে যেন মল্লিকাবন।
দেবী তো আসবেনই, সঙ্গে বাড়িতে ছুটি নিয়ে ফিরবেন প্রাণেশ্বরও। লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই বুঝবেন এ কথার মর্ম। দীর্ঘদিন পর কেবল ছুটি মিললেই যাঁরা প্রিয় মানুষটিকে কাছে পান, তাঁরা চাইবেনই একসঙ্গে থাকার মুহূর্তকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে। আর নিশ্চয় চাইবেন, পূজায় তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়টায় নিজেকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে—নারী বা পুরুষ, সে আপনি যা-ই হোন। প্রিয় মানুষের চোখে নিজের প্রতি মুগ্ধতা দেখতে কারও কি মন্দ লাগে?
প্রণয়িনীর সাজ
অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েই যদি এই মুগ্ধতা ছড়াতে চান, তাহলে লাল-সাদাতেই নিজেকে সাজিয়ে নিন। লাল পাড়ে একরঙা সাদা শাড়ি না-ই পরলেন। হ্যান্ডলুম বা হাফসিল্কের সাদা বা অফ হোয়াইট শাড়ির ওপর লাল বা মেরুন স্ক্রিনপ্রিন্ট করা একটা শাড়ি সুন্দর কুঁচি ফেলে পরে ফেলুন আঁচল ছেড়ে। সঙ্গে পরুন থ্রি-কোয়ার্টার হাতার লাল বা মেরুন ব্লাউজ। লাল বা মেরুনরঙা ব্লাউজের হাতায় থাকতে পারে সাদা রঙের লতানো নকশা। সেই নকশা হতে পারে ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপ্লিক কিংবা সুই-সুতায় বোনা। চাইলে কুসি-কাঁটার লেইসও লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে, এতে একটা ভিনটেজ লুক পাওয়া যাবে।
ভোরে অঞ্জলি দেওয়ার তাড়াহুড়োয় খুব বেশি তো আর সাজগোজ করার উপায় নেই, প্রয়োজনও নেই অবশ্য। ঘুম থেকে উঠেই স্নান সেরে, চুল ব্লো ড্রাই করে নিয়েছেন। চুলে সিঁথি কেটে চাইলে ছেড়েও রাখতে পারেন। কানের পাশে গুঁজে দিতে পারেন একগুচ্ছ ফুল। নিতান্তই বাঁধতে হলে সাদামাটা হাতখোঁপাই যথেষ্ট। এ ছাড়া খোঁপায় জড়িয়ে নিতে পারেন পছন্দের ফুলের মালা। তবে হ্যাঁ, ফুল হয় সাদা নয়তো লালই হওয়া চাই।
মুখে হালকা ফাউন্ডেশন দিতে পারেন, আবার না দিলেও চলবে। ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পর প্রেস পাউডার বুলিয়ে চোখের ওপর-নিচে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিলেই সাজ পূর্ণ। চাইলে গালে হালকা ব্লাশন দিতেই পারেন, তবে সেটাও সকালের স্নিগ্ধ সাজে বাধ্যতামূলক নয়।
সবশেষে কপালে পরুন গোধূলির রাঙা সূর্যের মতো লাল টিপ। টিপের ঠিক নিচ বরাবর চন্দনের ছোট্ট একটা ফোঁটা দিন। এতে অঞ্জলির সাজ পাবে পূর্ণতা।
গয়নার আড়ম্বর এ সময় না করাই ভালো। গলায় মুক্তার মালা আর হাতে একগাছি লাল কাচের চুড়ি, যার রিনিঝিনি শব্দ প্রিয় সখাকে কোনো না কোনো দিন নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনবে।
হে সখা, মম হৃদয়ে রহো
‘পুরুষের আর বাড়বাড়ন্ত সাজ কী?’—এমন কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা বোধ হয় কখনো প্রেমিক পুরুষ দেখেননি। পুরুষ প্রেমে পড়লে আরও পরিপাটি হয়ে ওঠেন। অঞ্জলিতে তাঁর পোশাকের সুবাসও যেন প্রণয়িনীর হৃদয় কাড়ে, সেদিকেও থাকে তাঁর নজর। স্নান সেরে পরে নিন শুভ্র পাঞ্জাবি। তাতে লাল রঙের নকশার ছোট ছোট প্রিন্ট থাকতে পারে। পাঞ্জাবির সঙ্গে পরতে পারেন চুড়িদার পায়জামা বা ধুতি। পাঞ্জাবি সাদা হলে লাল অথবা মেরুনরঙা ধুতি আর পাঞ্জাবি লাল বা মেরুন হলে সাদা রঙের ধুতি পরুন।
সুবাসিত শাওয়ার জেল আর শ্যাম্পু দিয়ে সকালের স্নান সেরে ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। ঠোঁটে বুলিয়ে নিতে পারেন লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি। হাত ও পায়ের নখ যেন সুন্দর করে কাটা থাকে। চাইলে আগের দিন নেইলশাইন করে নিতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ফাটা কি না, সেদিকেও নজর রাখা চাই। থাকলে সারিয়ে নিন আগেভাগে।
হাতে জড়িয়ে নিতে পারেন প্রিয় ঘড়ি। ব্রেসলেট পরার অভ্যাস না থাকলে জোর করে পরার কোনো দরকার নেই। সাবলীল থাকাটাই তো জরুরি। পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন আরামদায়ক চপ্পল বা স্যান্ডেল শু। সবশেষে চুল আঁচড়ে নিন মনের মতো করে। আর প্রিয় সুগন্ধি মাখতে কিন্তু ভুলবেন না একেবারেই। ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসি নিয়ে যখন প্রেয়সীর দিকে তাকাবেন, সে রূপে আপনাকে দেখে তখন তিনি আপন মনেই বলে উঠবেন, ‘হে সখা, মম হৃদয়ে রহো।’
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
৪ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিমা দেখতে সময়মতো মণ্ডপে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু যে বন্ধুর আসার কথা ছিল, তাঁর তো কোনো খবরই নেই। ফোনে রিং বেজেই যাচ্ছে, কিন্তু রিসিভ করছেন না। একা দাঁড়িয়েই প্রতিমা দেখছেন। হঠাৎ পেছন থেকে দুই হাতে চোখ ধরল কেউ।
৫ ঘণ্টা আগে