ফিচার ডেস্ক
কখনো মনে হয়েছে, কাঁটাচামচ এমন কেন? কার মাথা থেকে এই বুদ্ধি এল? কেন এল? কিংবা গ্রেটারের প্রয়োজন কেন হলো? রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে এগুলো আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করি। জানি কোন কাজে, কোন যন্ত্রটা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জানি না কেন ব্যবহার করতে হবে। খাবার ও পানীয় প্রস্তুত এবং সংরক্ষণ ও ভোগ করার ইতিহাস মানবসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সময়ের পরিক্রমায় এমন অনেক সরঞ্জাম ও পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়েছে, যা না থাকলে আজকের রন্ধনপ্রণালি কিংবা খাদ্যাভ্যাস কল্পনা করা যেত না। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে রান্না, খাওয়ার উপকরণ থেকে মাছ ধরার কৌশল প্রতিটি আবিষ্কারই মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এসব আবিষ্কার না থাকলে হয়তো আজকের বৈচিত্র্যময় রান্নাঘর বা রেস্টুরেন্ট সংস্কৃতি গড়ে উঠত না।
খাবার কাটাকুটি ও আকার দেওয়া
রান্নায় সঠিক আকারে কাটা বা গুঁড়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবজাতির প্রাচীনতম সরঞ্জামগুলোর একটি হলো ছুরি। প্রাথমিকভাবে পাথর বা অবসিডিয়ান দিয়ে তৈরি হলেও খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালে ধাতব ছুরি জনপ্রিয় হয়। অনেক সময় সবজি কিংবা পেঁয়াজ কুচি করার জন্য আমরা গ্রেটার ব্যবহার করি। ফ্রান্সে ১৫৪০-এর দশকে উদ্ভাবিত হয়েছিল এটি। ১৯৯০ সালে এর আধুনিক রূপ দেয় রিচার্ড গ্রেস। যা সবজি ও চিজ কুচো করতে অপরিহার্য। ১৫৭০ সালে ভ্যাটিকানের রাঁধুনি বার্তোলোমেও স্কাপ্পির বইয়ে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ম্যান্ডোলিন স্লাইসারের। পাতলা করে কাটার সহজ উপায় এটি। খ্রিষ্টপূর্বকাল থেকেই বিভিন্ন উপাদান সমতল করতে ব্যবহৃত হলেও ১৯শ শতকে রোলিং পিন বা রুটি বানানোর বেলনা আধুনিক রূপ দেন জুডি ডব্লিউ রিড। তিনি ছিলেন প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী, যিনি মার্কিন পেটেন্ট পান।
সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা
মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই খাবার দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেছে। খাদ্য ও পানীয়কে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে উষ্ণতা ব্যবহার করা হয়। যাকে বলা হয় পাস্তুরাইজেশন। লুই পাস্তুর ও ক্লদ বার্নার্ডের হাতে ১৯শ শতকে এই পদ্ধতি আধুনিক রূপ নেয়। আজ এটি দুধ, ক্যানজাত খাবার ও বোতলজাত পানীয়তে বহুল ব্যবহৃত। ১৯শ শতকের শুরুর দিকেই আবিষ্কৃত হয় ক্যানিং পদ্ধতি। খাবারকে বায়ুরোধী কনটেইনারে সংরক্ষণের কৌশল এটি। এর ফলে খাবার বহু বছর নিরাপদে রাখা সম্ভব হয়। খাবারকে বাইরে উপভোগ করার সংস্কৃতি মানুষের খাদ্যাভ্যাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রেস্টুরেন্ট। নবম-দশম শতকেই চীন ও ইসলামিক দুনিয়ায় রেস্টুরেন্টের প্রাথমিক রূপ দেখা যায়।
রান্না ও প্রক্রিয়াজাতকরণ
খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই নানা সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়েছে। ২৯ হাজার খ্রিষ্টপূর্বে ইউরোপে প্রাথমিক চুলার ব্যবহার দেখা যায়। আধুনিক গ্যাস ওভেন আসে ১৯শ শতকে। পাত্র হিসেবে পাথর, মাটি, এমনকি কচ্ছপের খোলসেও মানুষ রান্না করত। পরবর্তীকালে ধাতব হাঁড়ি-পাতিল রান্নায় বিপ্লব আনে। ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বে শুরু হয় গ্রাইন্ডিং বা মিলিং পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়া আটা ও ময়দা উৎপাদনে আজও অপরিহার্য। রোমান থেকে আজটেক সব সভ্যতাই মসলা, শাকপাতা কিংবা ফল ভাঙতে ব্যবহার করেছে হামান দিস্তা।
আহারের সরঞ্জাম
খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে সহজ ও আরামদায়ক করতে নানা উপকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে। কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে প্রাচীন মিসরীয়, গ্রিক ও রোমানদের অলংকৃত চামচ পর্যন্ত চামচের ইতিহাস দীর্ঘ। আধুনিক লম্বা হাতল ও বাঁকা বাটির চামচ আসে ১৮শ শতকে। কৃষি যন্ত্র থেকে শুরু করে রান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো কাঁটাচামচ। ১১শ শতকের ইতালিতে খাবার খাওয়ার জন্য ছোট ফর্ক জনপ্রিয় হয়। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে চীনে প্রচলন শুরু হয় চপস্টিকসের। আজও এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার খাওয়ার উপকরণ।
আহরণ ও সংগ্রহ
খাবার সংগ্রহের জন্য প্রাচীন মানুষ নানা উপকরণ তৈরি করেছে। ৯ হাজার বছর আগেই কাঠ ও হাড় দিয়ে তৈরি মাছ ধরার হুক ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে ধাতব হুকের ব্যবহার শুরু হয়। প্রস্তর যুগ থেকে মাছ ধরার জন্য জালের ব্যবহার মাছ ধরার জালের দেখা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৮৩০০ সালের উইলো দিয়ে তৈরি জালের প্রমাণ দেয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
কখনো মনে হয়েছে, কাঁটাচামচ এমন কেন? কার মাথা থেকে এই বুদ্ধি এল? কেন এল? কিংবা গ্রেটারের প্রয়োজন কেন হলো? রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে এগুলো আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করি। জানি কোন কাজে, কোন যন্ত্রটা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জানি না কেন ব্যবহার করতে হবে। খাবার ও পানীয় প্রস্তুত এবং সংরক্ষণ ও ভোগ করার ইতিহাস মানবসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সময়ের পরিক্রমায় এমন অনেক সরঞ্জাম ও পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়েছে, যা না থাকলে আজকের রন্ধনপ্রণালি কিংবা খাদ্যাভ্যাস কল্পনা করা যেত না। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে রান্না, খাওয়ার উপকরণ থেকে মাছ ধরার কৌশল প্রতিটি আবিষ্কারই মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এসব আবিষ্কার না থাকলে হয়তো আজকের বৈচিত্র্যময় রান্নাঘর বা রেস্টুরেন্ট সংস্কৃতি গড়ে উঠত না।
খাবার কাটাকুটি ও আকার দেওয়া
রান্নায় সঠিক আকারে কাটা বা গুঁড়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবজাতির প্রাচীনতম সরঞ্জামগুলোর একটি হলো ছুরি। প্রাথমিকভাবে পাথর বা অবসিডিয়ান দিয়ে তৈরি হলেও খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালে ধাতব ছুরি জনপ্রিয় হয়। অনেক সময় সবজি কিংবা পেঁয়াজ কুচি করার জন্য আমরা গ্রেটার ব্যবহার করি। ফ্রান্সে ১৫৪০-এর দশকে উদ্ভাবিত হয়েছিল এটি। ১৯৯০ সালে এর আধুনিক রূপ দেয় রিচার্ড গ্রেস। যা সবজি ও চিজ কুচো করতে অপরিহার্য। ১৫৭০ সালে ভ্যাটিকানের রাঁধুনি বার্তোলোমেও স্কাপ্পির বইয়ে প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ম্যান্ডোলিন স্লাইসারের। পাতলা করে কাটার সহজ উপায় এটি। খ্রিষ্টপূর্বকাল থেকেই বিভিন্ন উপাদান সমতল করতে ব্যবহৃত হলেও ১৯শ শতকে রোলিং পিন বা রুটি বানানোর বেলনা আধুনিক রূপ দেন জুডি ডব্লিউ রিড। তিনি ছিলেন প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী, যিনি মার্কিন পেটেন্ট পান।
সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা
মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই খাবার দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেছে। খাদ্য ও পানীয়কে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে উষ্ণতা ব্যবহার করা হয়। যাকে বলা হয় পাস্তুরাইজেশন। লুই পাস্তুর ও ক্লদ বার্নার্ডের হাতে ১৯শ শতকে এই পদ্ধতি আধুনিক রূপ নেয়। আজ এটি দুধ, ক্যানজাত খাবার ও বোতলজাত পানীয়তে বহুল ব্যবহৃত। ১৯শ শতকের শুরুর দিকেই আবিষ্কৃত হয় ক্যানিং পদ্ধতি। খাবারকে বায়ুরোধী কনটেইনারে সংরক্ষণের কৌশল এটি। এর ফলে খাবার বহু বছর নিরাপদে রাখা সম্ভব হয়। খাবারকে বাইরে উপভোগ করার সংস্কৃতি মানুষের খাদ্যাভ্যাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রেস্টুরেন্ট। নবম-দশম শতকেই চীন ও ইসলামিক দুনিয়ায় রেস্টুরেন্টের প্রাথমিক রূপ দেখা যায়।
রান্না ও প্রক্রিয়াজাতকরণ
খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই নানা সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়েছে। ২৯ হাজার খ্রিষ্টপূর্বে ইউরোপে প্রাথমিক চুলার ব্যবহার দেখা যায়। আধুনিক গ্যাস ওভেন আসে ১৯শ শতকে। পাত্র হিসেবে পাথর, মাটি, এমনকি কচ্ছপের খোলসেও মানুষ রান্না করত। পরবর্তীকালে ধাতব হাঁড়ি-পাতিল রান্নায় বিপ্লব আনে। ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বে শুরু হয় গ্রাইন্ডিং বা মিলিং পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়া আটা ও ময়দা উৎপাদনে আজও অপরিহার্য। রোমান থেকে আজটেক সব সভ্যতাই মসলা, শাকপাতা কিংবা ফল ভাঙতে ব্যবহার করেছে হামান দিস্তা।
আহারের সরঞ্জাম
খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে সহজ ও আরামদায়ক করতে নানা উপকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে। কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে প্রাচীন মিসরীয়, গ্রিক ও রোমানদের অলংকৃত চামচ পর্যন্ত চামচের ইতিহাস দীর্ঘ। আধুনিক লম্বা হাতল ও বাঁকা বাটির চামচ আসে ১৮শ শতকে। কৃষি যন্ত্র থেকে শুরু করে রান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো কাঁটাচামচ। ১১শ শতকের ইতালিতে খাবার খাওয়ার জন্য ছোট ফর্ক জনপ্রিয় হয়। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে চীনে প্রচলন শুরু হয় চপস্টিকসের। আজও এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার খাওয়ার উপকরণ।
আহরণ ও সংগ্রহ
খাবার সংগ্রহের জন্য প্রাচীন মানুষ নানা উপকরণ তৈরি করেছে। ৯ হাজার বছর আগেই কাঠ ও হাড় দিয়ে তৈরি মাছ ধরার হুক ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে ধাতব হুকের ব্যবহার শুরু হয়। প্রস্তর যুগ থেকে মাছ ধরার জন্য জালের ব্যবহার মাছ ধরার জালের দেখা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৮৩০০ সালের উইলো দিয়ে তৈরি জালের প্রমাণ দেয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
পূজায় বাড়িতে অতিথি তো আসবেই। ওয়েলকাম ড্রিংক বলুন বা মূল ভোজের সঙ্গে পানীয়; সবটাই হওয়া চাই স্বাস্থ্যসম্মত। কোমল পানীয়তে ভরসা না করে এই গরমে প্রাণ জুড়াতে ঘরেই তৈরি করে নিন স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু পানীয়। আপনাদের জন্য তিনটি পানীয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১১ মিনিট আগেশারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয় নানান আয়োজনে। দেবীকে আমন্ত্রণ জানাতে থাকে বিভিন্ন আয়োজন। সঙ্গে থাকে নিজেকে সাজিয়ে তোলার একটা প্রস্তুতি। পূজার কয়টা দিনে থাকে মণ্ডপ ও আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার একটা তাড়া। চারপাশে রঙিন আলো, ঝলমলে পোশাক আর আনন্দ-উৎসবের আবহ। তবে এই আনন্দের মাঝেই অনেকে ভুলে যান নিজের চুলের
৪ ঘণ্টা আগেদশমীতে খাবার টেবিলে প্রথম পাতে ধবধবে সাদা ভাতের সঙ্গে মাছের কয়েক পদ থাকবে না, তা কি হয়? চিরাচরিত সাদা ভাতে এ দিন আর মন ভরবে না। লেবুর রস সহযোগে রান্না করা চাই দশমীর ভোজের সাদা ভাত। এরপর মন দিয়ে না হয় ইলিশ পাতুরি রাঁধলেন, তবে নতুন রেসিপি ঘেঁটে মাছের অন্য পদ রাঁধার সময় না থাকলে মন খারাপের কিছু নেই। আপ
৬ ঘণ্টা আগেপুরো বিশ্বেই ফ্যাশনের ধারা যেমন বইছে, তাতে বলা যায়—ক্যাজুয়াল হোক বা পার্টিওয়্যার, যেকোনো পোশাকে আরামটাই যেন শুরু ও শেষ কথা। মানে এমন একটা পোশাক, যা পরে আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে-ফিরতে পারবেন, আবার সে পোশাকটি আপনাকে দিনভর আরামেও রাখবে। উৎসব বা অনুষ্ঠানেও আজকাল তরুণেরা এই নীতি মেনে চলছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে