ফিচার ডেস্ক
শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয় নানান আয়োজনে। দেবীকে আমন্ত্রণ জানাতে থাকে বিভিন্ন আয়োজন। সঙ্গে থাকে নিজেকে সাজিয়ে তোলার একটা প্রস্তুতি। পূজার কয়টা দিনে থাকে মণ্ডপ ও আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার একটা তাড়া। চারপাশে রঙিন আলো, ঝলমলে পোশাক আর আনন্দ-উৎসবের আবহ। তবে এই আনন্দের মাঝেই অনেকে ভুলে যান নিজের চুলের যত্ন নিতে। অতিরিক্ত সাজগোজ, হেয়ারস্টাইলিং বা পরিবেশগত প্রভাব চুলকে শুষ্ক, ভঙ্গুর ও ঝরে পড়ার দিকে ঠেলে দেয়। তা ছাড়া ঋতু পরিবর্তনের কারণে চুল পড়া অনেক সময় অনিবার্য হলেও সঠিক যত্নে এর প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্যাপ্ত পানি পান, হিট টুল ব্যবহারে সতর্কতা, স্ক্যাল্পের যত্ন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হলে উৎসবের মৌসুমেও চুল থাকবে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত।
পানিশূন্যতা
উৎসবের সময় ঘন ঘন স্টাইলিংয়ের কারণে চুলে আর্দ্রতার ঘাটতি তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশন চুলকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে তোলে। এর প্রতিকারের জন্য দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং সপ্তাহে অন্তত একবার হাইড্রেটিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং
ব্লো-ড্রায়ার, কার্লার বা স্ট্রেইটনার বারবার ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ভেঙে পড়া ও চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। হিট টুল ব্যবহারের আগে অবশ্যই হিট প্রোটেক্ট্যান্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে ব্রেইড, বান বা টুইস্টের মতো হিট-ফ্রি স্টাইল বেছে নিন।
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যহানি
হার্শ শ্যাম্পু মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, ফলে খুশকি, জ্বালা ও চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। এর জন্য সালফেটমুক্ত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন।
পরিবেশগত চাপ
ধুলো, আর্দ্রতা আর দূষণ উৎসবের সময়ে চুলের বড় শত্রু। এগুলো চুলকে ফ্রিজি করে, ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ফলস্বরূপ চুল ঝরে যায়। তাই পারলে প্রতিদিন হালকা হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। বাইরে বের হলে স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন।
টানটান হেয়ারস্টাইল
স্লিক পনিটেল বা জটিল আপডো চুলকে দারুণ দেখালেও শিকড়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। এর ফলে চুল ভেঙে পড়তে শুরু করে। তাই ঢিলেঢালা হেয়ারস্টাইল বেছে নিন এবং মাঝে মাঝে চুল খোলা রাখুন, যেন স্ক্যাল্পে চাপ কম পড়ে।
রাতে যত্নের অভাব
ঘুমের সময় চুলের প্রতি অবহেলা করলে ঘর্ষণের কারণে জট ও ভাঙন তৈরি হয়। সারা দিন ঘুরেফিরে রাতে বাসায় এসে চুলটা ভালো করে খুলে আঁচড়াতে ইচ্ছে নাও করতে পারে। কিন্তু তবুও চুলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কষ্ট করে চুলটা সুন্দর করে খুলে মেলে নিতে হবে। পারলে সাটিন বা সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এগুলো ঘর্ষণ কমায় এবং চুলকে রক্ষা করে।
প্রফেশনাল ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে যাওয়া
যদি চুল পড়া দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি।
চুল পাতলা হওয়া রোধে
চুল ঘন করার সবচেয়ে সস্তা উপায় হতে পারে মাথায় হালকা ম্যাসাজ। এতে কোনো খরচ নেই এবং সঠিকভাবে করলে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে না। চুল ধোয়ার সময় আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার তালুতে হালকা চাপ দিন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়তে পারে। চাইলে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যাল্প ম্যাসাজার ব্যবহার করে মৃত কোষও দূর করা যায়। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটি চুল পড়া বা পাতলা হওয়া রোধ করে, এমন প্রমাণ তেমন নেই।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক সমাধান তুলসী
তুলসী শুধু আধ্যাত্মিক গুণেই নয়, সৌন্দর্যচর্চাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়ক। তুলসী খুশকি কমাতে, রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে চুল পড়া রোধে সহায়তা করতে পারে।
চুলের যত্নে তুলসী ব্যবহারের কিছু ঘরোয়া উপায় হলো:
সূত্র: হেলথ শর্টস, হেলথ লাইন
শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয় নানান আয়োজনে। দেবীকে আমন্ত্রণ জানাতে থাকে বিভিন্ন আয়োজন। সঙ্গে থাকে নিজেকে সাজিয়ে তোলার একটা প্রস্তুতি। পূজার কয়টা দিনে থাকে মণ্ডপ ও আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার একটা তাড়া। চারপাশে রঙিন আলো, ঝলমলে পোশাক আর আনন্দ-উৎসবের আবহ। তবে এই আনন্দের মাঝেই অনেকে ভুলে যান নিজের চুলের যত্ন নিতে। অতিরিক্ত সাজগোজ, হেয়ারস্টাইলিং বা পরিবেশগত প্রভাব চুলকে শুষ্ক, ভঙ্গুর ও ঝরে পড়ার দিকে ঠেলে দেয়। তা ছাড়া ঋতু পরিবর্তনের কারণে চুল পড়া অনেক সময় অনিবার্য হলেও সঠিক যত্নে এর প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্যাপ্ত পানি পান, হিট টুল ব্যবহারে সতর্কতা, স্ক্যাল্পের যত্ন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হলে উৎসবের মৌসুমেও চুল থাকবে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত।
পানিশূন্যতা
উৎসবের সময় ঘন ঘন স্টাইলিংয়ের কারণে চুলে আর্দ্রতার ঘাটতি তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশন চুলকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে তোলে। এর প্রতিকারের জন্য দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং সপ্তাহে অন্তত একবার হাইড্রেটিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং
ব্লো-ড্রায়ার, কার্লার বা স্ট্রেইটনার বারবার ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ভেঙে পড়া ও চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। হিট টুল ব্যবহারের আগে অবশ্যই হিট প্রোটেক্ট্যান্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে ব্রেইড, বান বা টুইস্টের মতো হিট-ফ্রি স্টাইল বেছে নিন।
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যহানি
হার্শ শ্যাম্পু মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, ফলে খুশকি, জ্বালা ও চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। এর জন্য সালফেটমুক্ত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন।
পরিবেশগত চাপ
ধুলো, আর্দ্রতা আর দূষণ উৎসবের সময়ে চুলের বড় শত্রু। এগুলো চুলকে ফ্রিজি করে, ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ফলস্বরূপ চুল ঝরে যায়। তাই পারলে প্রতিদিন হালকা হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। বাইরে বের হলে স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন।
টানটান হেয়ারস্টাইল
স্লিক পনিটেল বা জটিল আপডো চুলকে দারুণ দেখালেও শিকড়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। এর ফলে চুল ভেঙে পড়তে শুরু করে। তাই ঢিলেঢালা হেয়ারস্টাইল বেছে নিন এবং মাঝে মাঝে চুল খোলা রাখুন, যেন স্ক্যাল্পে চাপ কম পড়ে।
রাতে যত্নের অভাব
ঘুমের সময় চুলের প্রতি অবহেলা করলে ঘর্ষণের কারণে জট ও ভাঙন তৈরি হয়। সারা দিন ঘুরেফিরে রাতে বাসায় এসে চুলটা ভালো করে খুলে আঁচড়াতে ইচ্ছে নাও করতে পারে। কিন্তু তবুও চুলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কষ্ট করে চুলটা সুন্দর করে খুলে মেলে নিতে হবে। পারলে সাটিন বা সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এগুলো ঘর্ষণ কমায় এবং চুলকে রক্ষা করে।
প্রফেশনাল ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে যাওয়া
যদি চুল পড়া দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি।
চুল পাতলা হওয়া রোধে
চুল ঘন করার সবচেয়ে সস্তা উপায় হতে পারে মাথায় হালকা ম্যাসাজ। এতে কোনো খরচ নেই এবং সঠিকভাবে করলে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে না। চুল ধোয়ার সময় আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার তালুতে হালকা চাপ দিন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়তে পারে। চাইলে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যাল্প ম্যাসাজার ব্যবহার করে মৃত কোষও দূর করা যায়। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটি চুল পড়া বা পাতলা হওয়া রোধ করে, এমন প্রমাণ তেমন নেই।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক সমাধান তুলসী
তুলসী শুধু আধ্যাত্মিক গুণেই নয়, সৌন্দর্যচর্চাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়ক। তুলসী খুশকি কমাতে, রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে চুল পড়া রোধে সহায়তা করতে পারে।
চুলের যত্নে তুলসী ব্যবহারের কিছু ঘরোয়া উপায় হলো:
সূত্র: হেলথ শর্টস, হেলথ লাইন
পূজায় বাড়িতে অতিথি তো আসবেই। ওয়েলকাম ড্রিংক বলুন বা মূল ভোজের সঙ্গে পানীয়; সবটাই হওয়া চাই স্বাস্থ্যসম্মত। কোমল পানীয়তে ভরসা না করে এই গরমে প্রাণ জুড়াতে ঘরেই তৈরি করে নিন স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু পানীয়। আপনাদের জন্য তিনটি পানীয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১১ মিনিট আগেকখনো মনে হয়েছে, কাঁটাচামচ এমন কেন? কার মাথা থেকে এই বুদ্ধি এল? কেন এল? কিংবা গ্রেটারের প্রয়োজন কেন হলো? রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে এগুলো আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করি। জানি কোন কাজে, কোন যন্ত্রটা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জানি না কেন ব্যবহার করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেদশমীতে খাবার টেবিলে প্রথম পাতে ধবধবে সাদা ভাতের সঙ্গে মাছের কয়েক পদ থাকবে না, তা কি হয়? চিরাচরিত সাদা ভাতে এ দিন আর মন ভরবে না। লেবুর রস সহযোগে রান্না করা চাই দশমীর ভোজের সাদা ভাত। এরপর মন দিয়ে না হয় ইলিশ পাতুরি রাঁধলেন, তবে নতুন রেসিপি ঘেঁটে মাছের অন্য পদ রাঁধার সময় না থাকলে মন খারাপের কিছু নেই। আপ
৬ ঘণ্টা আগেপুরো বিশ্বেই ফ্যাশনের ধারা যেমন বইছে, তাতে বলা যায়—ক্যাজুয়াল হোক বা পার্টিওয়্যার, যেকোনো পোশাকে আরামটাই যেন শুরু ও শেষ কথা। মানে এমন একটা পোশাক, যা পরে আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে-ফিরতে পারবেন, আবার সে পোশাকটি আপনাকে দিনভর আরামেও রাখবে। উৎসব বা অনুষ্ঠানেও আজকাল তরুণেরা এই নীতি মেনে চলছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে