ফিচার ডেস্ক
প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও মোবাইল ফোন হয়ে ওঠে বিনোদনের মাধ্যম। সেখানে এখন আর মুখে মুখে গল্পটা ঠিক জমে না।
কাজের ফাঁকে দিনের ছোট ছোট বিরতি আমরা সঁপে দিয়েছি প্রযুক্তিপণ্যের ওপর। এর ফলে আমরা চারপাশ বা নিজের অনুভূতির দিকে মনোযোগ কম দিই। প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অপরিহার্য। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে আমরা আরও বেশি সচেতন ও বর্তমান মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারি। এ বিষয়ে সচেতন না থাকলে এটি মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ডিভাইস থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোনের স্ক্রিন টাইম ও অ্যাপ ব্যবহারের পরিসংখ্যান তৈরি করে বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ ও ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের সমষ্টিগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানা গেছে, গড়ে একজন মানুষ দৈনিক ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আসক্তির এই পরিসংখ্যান জানিয়ে দেয়, মোবাইল ফোন সব সময় সঙ্গে রাখা উচিত নয়। একদল নিউরোলজিস্ট ও চিকিৎসক একটি বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন; যাকে বলা হচ্ছে টিআইএমই (TIME) পদ্ধতি। এটি মাত্র চারটি ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। এই ধাপগুলো প্রযুক্তির প্রতি আসক্তদের আরও সচেতনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
টি-তে টাইম অর্থাৎ সময়
আমরা সহজেই মোবাইল ফোনের জগতে হারিয়ে যাই। কারণ, এটি সব সময় হাতের নাগালে থাকে। আপনি কোন কাজে কতটা সময় ব্যয় করতে চান, তা নির্ধারণ করে নিন। যেমন ই-মেইল চেক করার জন্য ২০ মিনিট বা ইনস্টাগ্রামে ১০ মিনিট নির্দ্বিধায় স্ক্রল করতে পারেন। চাইলে আপনি মোবাইল ফোনে একটি টাইমার সেট করতে পারেন, যেন নির্ধারিত সময় শেষ হলে আপনাকে সতর্ক করে। আপনি কোন অ্যাপে কত সময় কাটিয়েছেন, তার হিসাব দেওয়ার জন্য কিছু অ্যাপ আছে। সেই অ্যাপগুলোর এক সপ্তাহের ডেটা নজরে রাখুন। চেষ্টা করে দেখুন, এই মাধ্যমগুলোয় আপনি আপনার ধারণার চেয়ে বেশি না কম সময় ব্যয় করছেন।
আই-তে ইনটেনশনাল অর্থাৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ
মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে ভেবে দেখুন এর মূল উদ্দেশ্য কী। আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন আপনার বন্ধুরা কে কী করছে, তাদের জীবনে কী হচ্ছে, দেশে বা পুরো পৃথিবীতে কোন বিষয়টি ট্রেন্ড করছে। অথবা কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে চাচ্ছেন। সেসব ক্ষেত্রে কিছুটা সময় আপনি ব্যয় করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি শুধু স্ক্রল করতে থাকেন, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘আমি কেন এটা করছি? এতে আমার কী উপকার হচ্ছে?’ বিশেষ কোনো লাভ না হলে তা বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
এম-তে মাইন্ডফুলনেস বা সচেতনতা
আপনি কি মোবাইল ব্যবহার করার সময় সচেতন থাকেন? আপনি কি আসল কাজে থাকেন, নাকি বিজ্ঞাপন বা মেসেজে বিভ্রান্ত হয়ে যান? এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। আজকাল যেকোনো ভিডিও দেখতে গেলে বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হয়। পণ্যের বিজ্ঞাপন অনেক সময় এতটাই প্রভাবিত করে যে দরকার না হলেও আমরা সেটা কিনে ফেলি। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে সচেতনভাবেই। অর্থাৎ বিচার-বিবেচনা ছাড়াই হতে থাকা অনুভূতি ও শারীরিক সংবেদন সম্পর্কে সচেতন হোন। বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দিন ও নিজের চিন্তা করুন।
ই-তে এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতা
মোবাইল ফোন সত্যিই উপকারী হতে পারে, যদি আমরা তার সঠিক ব্যবহার জানি। প্রতিবার এটি ব্যবহার করার সময় একটি অভিজ্ঞতা হিসেবে ভাবুন, যেন এটি কোনো ‘অচেতন অভ্যাস’ না হয়। আমরা প্রায়ই মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি এমন অভিজ্ঞতার জন্য, যা অর্থবহ ও তৃপ্তিদায়ক হয়। যেমন মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা বা কোনো কিছু সম্পর্কে জানা। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার বা অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহারের পর ভেবে দেখুন, অভিজ্ঞতাটা কাজের নাকি অকাজের ছিল। যদি কোনো বিশেষ কাজে না আসে, তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই দিকে আর স্ক্রল করবেন না।
কীভাবে নিজেকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখবেন
সূত্র: মাইন্ড বডি গ্রিন, স্টার্স ইনসাইডার
প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও মোবাইল ফোন হয়ে ওঠে বিনোদনের মাধ্যম। সেখানে এখন আর মুখে মুখে গল্পটা ঠিক জমে না।
কাজের ফাঁকে দিনের ছোট ছোট বিরতি আমরা সঁপে দিয়েছি প্রযুক্তিপণ্যের ওপর। এর ফলে আমরা চারপাশ বা নিজের অনুভূতির দিকে মনোযোগ কম দিই। প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অপরিহার্য। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে আমরা আরও বেশি সচেতন ও বর্তমান মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারি। এ বিষয়ে সচেতন না থাকলে এটি মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ডিভাইস থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোনের স্ক্রিন টাইম ও অ্যাপ ব্যবহারের পরিসংখ্যান তৈরি করে বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ ও ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের সমষ্টিগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানা গেছে, গড়ে একজন মানুষ দৈনিক ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আসক্তির এই পরিসংখ্যান জানিয়ে দেয়, মোবাইল ফোন সব সময় সঙ্গে রাখা উচিত নয়। একদল নিউরোলজিস্ট ও চিকিৎসক একটি বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন; যাকে বলা হচ্ছে টিআইএমই (TIME) পদ্ধতি। এটি মাত্র চারটি ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। এই ধাপগুলো প্রযুক্তির প্রতি আসক্তদের আরও সচেতনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
টি-তে টাইম অর্থাৎ সময়
আমরা সহজেই মোবাইল ফোনের জগতে হারিয়ে যাই। কারণ, এটি সব সময় হাতের নাগালে থাকে। আপনি কোন কাজে কতটা সময় ব্যয় করতে চান, তা নির্ধারণ করে নিন। যেমন ই-মেইল চেক করার জন্য ২০ মিনিট বা ইনস্টাগ্রামে ১০ মিনিট নির্দ্বিধায় স্ক্রল করতে পারেন। চাইলে আপনি মোবাইল ফোনে একটি টাইমার সেট করতে পারেন, যেন নির্ধারিত সময় শেষ হলে আপনাকে সতর্ক করে। আপনি কোন অ্যাপে কত সময় কাটিয়েছেন, তার হিসাব দেওয়ার জন্য কিছু অ্যাপ আছে। সেই অ্যাপগুলোর এক সপ্তাহের ডেটা নজরে রাখুন। চেষ্টা করে দেখুন, এই মাধ্যমগুলোয় আপনি আপনার ধারণার চেয়ে বেশি না কম সময় ব্যয় করছেন।
আই-তে ইনটেনশনাল অর্থাৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ
মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে ভেবে দেখুন এর মূল উদ্দেশ্য কী। আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন আপনার বন্ধুরা কে কী করছে, তাদের জীবনে কী হচ্ছে, দেশে বা পুরো পৃথিবীতে কোন বিষয়টি ট্রেন্ড করছে। অথবা কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে চাচ্ছেন। সেসব ক্ষেত্রে কিছুটা সময় আপনি ব্যয় করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি শুধু স্ক্রল করতে থাকেন, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘আমি কেন এটা করছি? এতে আমার কী উপকার হচ্ছে?’ বিশেষ কোনো লাভ না হলে তা বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
এম-তে মাইন্ডফুলনেস বা সচেতনতা
আপনি কি মোবাইল ব্যবহার করার সময় সচেতন থাকেন? আপনি কি আসল কাজে থাকেন, নাকি বিজ্ঞাপন বা মেসেজে বিভ্রান্ত হয়ে যান? এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। আজকাল যেকোনো ভিডিও দেখতে গেলে বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হয়। পণ্যের বিজ্ঞাপন অনেক সময় এতটাই প্রভাবিত করে যে দরকার না হলেও আমরা সেটা কিনে ফেলি। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে সচেতনভাবেই। অর্থাৎ বিচার-বিবেচনা ছাড়াই হতে থাকা অনুভূতি ও শারীরিক সংবেদন সম্পর্কে সচেতন হোন। বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দিন ও নিজের চিন্তা করুন।
ই-তে এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতা
মোবাইল ফোন সত্যিই উপকারী হতে পারে, যদি আমরা তার সঠিক ব্যবহার জানি। প্রতিবার এটি ব্যবহার করার সময় একটি অভিজ্ঞতা হিসেবে ভাবুন, যেন এটি কোনো ‘অচেতন অভ্যাস’ না হয়। আমরা প্রায়ই মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি এমন অভিজ্ঞতার জন্য, যা অর্থবহ ও তৃপ্তিদায়ক হয়। যেমন মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা বা কোনো কিছু সম্পর্কে জানা। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার বা অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহারের পর ভেবে দেখুন, অভিজ্ঞতাটা কাজের নাকি অকাজের ছিল। যদি কোনো বিশেষ কাজে না আসে, তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই দিকে আর স্ক্রল করবেন না।
কীভাবে নিজেকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখবেন
সূত্র: মাইন্ড বডি গ্রিন, স্টার্স ইনসাইডার
কিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেহয়তো আপনি খেয়াল করেননি। কিন্তু আপনার সঙ্গে দিনের পর দিন এসব ঘটে গেছে বলে আপনি সম্পর্কের শেষ চান। আবার আপনি ভেবেও পাচ্ছেন না, সব দোষ কেন আপনার ঘাড়েই আসছে! সম্পর্ক শেষ করার আগে একবার সচেতনভাবে খেয়াল করুন আপনার সঙ্গীটি নার্সিসিস্ট কি না।
৪ ঘণ্টা আগে‘সাতলা’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অন্যরকম আদিমতা। আধুনিকতার আড়ালে আজ অনেক বুনো সৌন্দর্যই বিলীন। তবে নয়াকান্দী গ্রামটা এখনো তার ব্যতিক্রম। হ্যাঁ বলছি, বরিশাল জেলার উজিরপুরের নয়াকান্দী গ্রামের সাতলা বিলের কথা।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, তার জন্মরহস্য ওই দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নাসার গবেষণার সূত্রেই। কিংবা ধরুন বেবি ফর্মুলা বা তারবিহীন হেডফোন কিংবা ম্যাট্রেস! নাসার কোনো না কোনো গবেষণা থেকেই এগুলোর জন্ম হয়েছে। আর সেগুলোর সুবিধা ভোগ করছি আমরা।
৯ ঘণ্টা আগে