ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, অনিয়ন্ত্রিত ওজনের অধিকারীরা ত্বকের কোনো না কোনো সমস্যায় ভোগেন। ওজন বাড়ার সঙ্গে হাঁটুব্যথা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। তেমনি ত্বকেও দেখা দেয় সোরিয়াসিস, ব্রণ এমনকি ক্যানসারসহ নানান সমস্যা ও রোগ। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে—
ত্বকের ভাঁজে ছত্রাকের সংক্রমণ
যাঁদের ওজন তুলনামূলক বেশি, তাঁদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে ত্বকের অনেক জায়গায় গভীর ভাঁজ তৈরি হয়। গলা, তলপেটের নিচে, কোমর, কনুই, হাঁটু—এসব ভাঁজে ঘাম জমে। বারবার ঘষা লেগে এসব জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। যাঁরা অতিরিক্ত ঘামেন, তাঁদের শরীরের এসব জায়গায় ছত্রাকের সংক্রমণ, লালচে ভাব ও চুলকানি দেখা দেয়।
ওজন কমানো একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। এটি করার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। অনলাইনে পাওয়া কোনো ডায়েট চার্ট অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না।
রোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণের উদ্রেক ঘটায়
অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে স্বাভাবিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদিত হয়। এই তেল নিঃসরণের কারণে রোমকূপে ময়লা জমে এবং সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
একজিমায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে
মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে একজিমায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। মেদবহুলদের শরীরে যদি পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তাহলে ত্বকের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। এ ধরনের ত্বকে একজিমার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে দেখা যায়। একজিমা একবার হলে সহজে সারে না। সারলেও বারবার হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়।
স্থূল ব্যক্তিদের সোরিয়াসিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি
এটি দীর্ঘস্থায়ী অটো ইমিউন রোগ। যেখানে ত্বকে লালচে ও মোটা স্কেলি প্যাচ তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতা এই রোগ শুরু বা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। সোরিয়াসিসের চিকিৎসাও দীর্ঘমেয়াদি। খুব ভালো চিকিৎসা হলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে একেবারে নির্মূল প্রায় অসম্ভব।
স্থায়ী স্ট্রেচমার্ক
হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া এবং ওজন কমাতে না পারলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায়; যেমন আন্ডারআর্ম, ঊরু ও পেটে স্থায়ী স্ট্রেচমার্ক পড়তে পারে। ত্বকের উপরিভাগের এই স্ট্রেচমার্ক এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে নিজের ইচ্ছেমতো উপায়ে ওজন কমানোর বিপত্তিও রয়েছে। স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতিও হতে পারে। প্রথমে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, কেন মুটিয়ে যাচ্ছেন। হরমোনজনিত কারণ, বিষণ্নতা বা যেকোনো অসুখের কারণেও মুটিয়ে যেতে পারে মানুষ। ফলে প্রথমে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে মুটিয়ে যাওয়ার কারণ জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য ওজন কমালেও ত্বকের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়। সোরিয়াসিস, ব্রণ ইত্যাদি ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। তবে সেই ওজন কমাতে জিমে যাবেন, জগিং করবেন, নাকি ইয়োগাতে অভ্যস্ত হবেন, তা আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে জিমে গিয়ে ভারী ব্যায়াম করবেন না।
ব্যায়ামের সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে অন্তত নেবেন না। সাধারণভাবে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটাহাঁটি করুন। এটি একটি সাধারণ ও কার্যকর ব্যায়াম। এসব ব্যায়াম যেকোনো জায়গায় করতে পারেন। এ ছাড়া সাঁতার একটি চমৎকার ব্যায়াম, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য উপকারী। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমায়।
শুধু ব্যায়াম করলেই যে সব হয়ে যাবে, তেমন নয়। ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, এ কথা সবাই জানি। এ ছাড়া পানি শরীর থেকে যাবতীয় বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে গেলে ত্বক এমনিতেই ভালো দেখায়। পানি পানের পাশাপাশি পানিবহুল মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। এর বাইরে ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনিকেও কড়াভাবে ‘না’ বলতে শিখতে হবে।
সূত্র: স্কিনসাইট, হেলথলাইন ও অন্যান্য
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, অনিয়ন্ত্রিত ওজনের অধিকারীরা ত্বকের কোনো না কোনো সমস্যায় ভোগেন। ওজন বাড়ার সঙ্গে হাঁটুব্যথা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। তেমনি ত্বকেও দেখা দেয় সোরিয়াসিস, ব্রণ এমনকি ক্যানসারসহ নানান সমস্যা ও রোগ। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে—
ত্বকের ভাঁজে ছত্রাকের সংক্রমণ
যাঁদের ওজন তুলনামূলক বেশি, তাঁদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে ত্বকের অনেক জায়গায় গভীর ভাঁজ তৈরি হয়। গলা, তলপেটের নিচে, কোমর, কনুই, হাঁটু—এসব ভাঁজে ঘাম জমে। বারবার ঘষা লেগে এসব জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। যাঁরা অতিরিক্ত ঘামেন, তাঁদের শরীরের এসব জায়গায় ছত্রাকের সংক্রমণ, লালচে ভাব ও চুলকানি দেখা দেয়।
ওজন কমানো একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। এটি করার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। অনলাইনে পাওয়া কোনো ডায়েট চার্ট অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না।
রোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণের উদ্রেক ঘটায়
অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে স্বাভাবিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদিত হয়। এই তেল নিঃসরণের কারণে রোমকূপে ময়লা জমে এবং সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
একজিমায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে
মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে একজিমায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। মেদবহুলদের শরীরে যদি পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তাহলে ত্বকের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। এ ধরনের ত্বকে একজিমার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে দেখা যায়। একজিমা একবার হলে সহজে সারে না। সারলেও বারবার হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়।
স্থূল ব্যক্তিদের সোরিয়াসিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি
এটি দীর্ঘস্থায়ী অটো ইমিউন রোগ। যেখানে ত্বকে লালচে ও মোটা স্কেলি প্যাচ তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতা এই রোগ শুরু বা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। সোরিয়াসিসের চিকিৎসাও দীর্ঘমেয়াদি। খুব ভালো চিকিৎসা হলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে একেবারে নির্মূল প্রায় অসম্ভব।
স্থায়ী স্ট্রেচমার্ক
হঠাৎ মুটিয়ে যাওয়া এবং ওজন কমাতে না পারলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায়; যেমন আন্ডারআর্ম, ঊরু ও পেটে স্থায়ী স্ট্রেচমার্ক পড়তে পারে। ত্বকের উপরিভাগের এই স্ট্রেচমার্ক এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে নিজের ইচ্ছেমতো উপায়ে ওজন কমানোর বিপত্তিও রয়েছে। স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতিও হতে পারে। প্রথমে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, কেন মুটিয়ে যাচ্ছেন। হরমোনজনিত কারণ, বিষণ্নতা বা যেকোনো অসুখের কারণেও মুটিয়ে যেতে পারে মানুষ। ফলে প্রথমে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে মুটিয়ে যাওয়ার কারণ জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য ওজন কমালেও ত্বকের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়। সোরিয়াসিস, ব্রণ ইত্যাদি ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। তবে সেই ওজন কমাতে জিমে যাবেন, জগিং করবেন, নাকি ইয়োগাতে অভ্যস্ত হবেন, তা আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে জিমে গিয়ে ভারী ব্যায়াম করবেন না।
ব্যায়ামের সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে অন্তত নেবেন না। সাধারণভাবে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটাহাঁটি করুন। এটি একটি সাধারণ ও কার্যকর ব্যায়াম। এসব ব্যায়াম যেকোনো জায়গায় করতে পারেন। এ ছাড়া সাঁতার একটি চমৎকার ব্যায়াম, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গের জন্য উপকারী। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমায়।
শুধু ব্যায়াম করলেই যে সব হয়ে যাবে, তেমন নয়। ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, এ কথা সবাই জানি। এ ছাড়া পানি শরীর থেকে যাবতীয় বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে গেলে ত্বক এমনিতেই ভালো দেখায়। পানি পানের পাশাপাশি পানিবহুল মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। এর বাইরে ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনিকেও কড়াভাবে ‘না’ বলতে শিখতে হবে।
সূত্র: স্কিনসাইট, হেলথলাইন ও অন্যান্য
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১১ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
১৪ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে