বায়ুদূষণের জন্য ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়, বিষয়টি কি ভেবে দেখেছেন? দূষণ আছে অনেক ধরনের। বায়ুদূষণ তার মধ্যে একটি। আছে পানিদূষণ, আলোকদূষণ, শব্দদূষণ। সব দূষণই কোনো না কোনোভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে। শহুরে জীবনে এসব দূষণ এড়ানো অসম্ভব বিষয়। যতই স্কার্ফ জড়িয়ে সানগ্লাস পরে বাইরে বের হন না কেন, রাস্তার ধুলাবালু, গাড়ির ধোঁয়া ইত্যাদির প্রভাব আমাদের ত্বক এড়াতে পারে না।
বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াও বাতাসকে দূষিত করছে। তার ওপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য বরাবরই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। না বললেই নয়, এই আধুনিক কালে আমরা সবাই কমবেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল। এসব ডিভাইস থেকে যে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয়, তা-ও ত্বকের জন্য ভালো নয়। ত্বকের রং তামাটে হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই নীল আলো বা ব্লু লাইট। আর এসবের সঙ্গে যদি যোগ হয় অনিদ্রা, মানসিক ও কাজের চাপ, তাহলে তো ষোলোকলা পূর্ণ। তাই দিন শেষে ঘরে ফিরে কোনোরকমে সাবান ও ফেসওয়াশ ঘষে ত্বক ধুলাবালুমুক্ত করাই যথেষ্ট নয়। তাতে ত্বকের উপরিভাগ পরিচ্ছন্ন থাকে মাত্র। কিন্তু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে ত্বক গভীর থেকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
দূষণ ত্বকের যেসব ক্ষতি করে
সমাধানের আগে সমস্যাটা বোঝা জরুরি। বুঝতে হবে, দূষণ ত্বকের কী কী ক্ষতি করে। ধুলাবালুর সংস্পর্শে এলে ত্বকে অতিমাত্রায় বেশি সিবাম তৈরি হয়। তা থেকে পরবর্তী সময়ে ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও র্যাশ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে ভিটামিন ই’-এর ঘাটতি হয়। এতে বলিরেখা দেখা দেয় এবং ত্বক দিনে দিনে শুষ্ক হয়ে উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহার কিংবা এলইডি লাইটের নিচে থাকার কারণে একটা সময় পরে ত্বক তামাটে রং ধারণ করতে পারে। এ জন্য ব্লু লাইট প্রতিরোধক যেসব সানব্লক পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যত্ন বিফলে যায় না
বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের টক্সিন দূর করতে মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি অ্যালকোহলযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমাতে হবে। আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ৪ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকে। অ্যালকোহল এই পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই ত্বকের যত্নে খুব নিয়ম মানা ছাড়া উপায় নেই।
ত্বকের যত্নে যা করবেন
এসবের পাশাপাশি ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে হবে। আর তা হতে হবে নিয়মমাফিক। সপ্তাহে দুবার ত্বকে ভেষজ প্যাক লাগাতে হবে। এটি প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ প্যাক পাওয়া যায়। ফুল-লতাপাতা চূর্ণ, চন্দন, মুলতানি মাটি ইত্যাদি গুঁড়া করে বয়ামজাত হয়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে। হাতে একেবারেই সময় না থাকলে যাচাই-বাছাই করে কিনে এসব প্যাক ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা একটু খেটে নিজেই বানিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ভেষজ প্যাক। উপকরণগুলো রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই।
সূত্র: হারপারস বাজার, ইন্ডিয়া টাইমস ও অন্যান্য
বায়ুদূষণের জন্য ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়, বিষয়টি কি ভেবে দেখেছেন? দূষণ আছে অনেক ধরনের। বায়ুদূষণ তার মধ্যে একটি। আছে পানিদূষণ, আলোকদূষণ, শব্দদূষণ। সব দূষণই কোনো না কোনোভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে। শহুরে জীবনে এসব দূষণ এড়ানো অসম্ভব বিষয়। যতই স্কার্ফ জড়িয়ে সানগ্লাস পরে বাইরে বের হন না কেন, রাস্তার ধুলাবালু, গাড়ির ধোঁয়া ইত্যাদির প্রভাব আমাদের ত্বক এড়াতে পারে না।
বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াও বাতাসকে দূষিত করছে। তার ওপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য বরাবরই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। না বললেই নয়, এই আধুনিক কালে আমরা সবাই কমবেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল। এসব ডিভাইস থেকে যে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয়, তা-ও ত্বকের জন্য ভালো নয়। ত্বকের রং তামাটে হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই নীল আলো বা ব্লু লাইট। আর এসবের সঙ্গে যদি যোগ হয় অনিদ্রা, মানসিক ও কাজের চাপ, তাহলে তো ষোলোকলা পূর্ণ। তাই দিন শেষে ঘরে ফিরে কোনোরকমে সাবান ও ফেসওয়াশ ঘষে ত্বক ধুলাবালুমুক্ত করাই যথেষ্ট নয়। তাতে ত্বকের উপরিভাগ পরিচ্ছন্ন থাকে মাত্র। কিন্তু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে ত্বক গভীর থেকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
দূষণ ত্বকের যেসব ক্ষতি করে
সমাধানের আগে সমস্যাটা বোঝা জরুরি। বুঝতে হবে, দূষণ ত্বকের কী কী ক্ষতি করে। ধুলাবালুর সংস্পর্শে এলে ত্বকে অতিমাত্রায় বেশি সিবাম তৈরি হয়। তা থেকে পরবর্তী সময়ে ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও র্যাশ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে ভিটামিন ই’-এর ঘাটতি হয়। এতে বলিরেখা দেখা দেয় এবং ত্বক দিনে দিনে শুষ্ক হয়ে উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহার কিংবা এলইডি লাইটের নিচে থাকার কারণে একটা সময় পরে ত্বক তামাটে রং ধারণ করতে পারে। এ জন্য ব্লু লাইট প্রতিরোধক যেসব সানব্লক পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যত্ন বিফলে যায় না
বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের টক্সিন দূর করতে মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি অ্যালকোহলযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমাতে হবে। আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ৪ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকে। অ্যালকোহল এই পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই ত্বকের যত্নে খুব নিয়ম মানা ছাড়া উপায় নেই।
ত্বকের যত্নে যা করবেন
এসবের পাশাপাশি ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে হবে। আর তা হতে হবে নিয়মমাফিক। সপ্তাহে দুবার ত্বকে ভেষজ প্যাক লাগাতে হবে। এটি প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ প্যাক পাওয়া যায়। ফুল-লতাপাতা চূর্ণ, চন্দন, মুলতানি মাটি ইত্যাদি গুঁড়া করে বয়ামজাত হয়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে। হাতে একেবারেই সময় না থাকলে যাচাই-বাছাই করে কিনে এসব প্যাক ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা একটু খেটে নিজেই বানিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ভেষজ প্যাক। উপকরণগুলো রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই।
সূত্র: হারপারস বাজার, ইন্ডিয়া টাইমস ও অন্যান্য
‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
৬ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
১৬ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১৭ ঘণ্টা আগে