রজত কান্তি রায়, ঢাকা
ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে,
আজও কিছু মানুষ, স্বপ্ন খুঁজে ফেরে…
মানুষ স্বপ্ন খুঁজে পাক বা না পাক, শিল্পী অর্ণবের গাওয়া এ গান শুনলেই টাঙ্গাইল শাড়ির কথা মনে হয়। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে মাসহ বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের মুখে শুনে আসছি টাঙ্গাইল শাড়ির কথা। তখন থেকেই ‘ঠাস বুনট’ শব্দটি মগজের মধ্যে গেঁথে গেছে।
‘টানা পোড়েন’ শব্দটি যেমন তাঁতসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, ঠাস বুনট শব্দটিও তা-ই। এর অর্থ ঘন বুনন। জামদানির মতো নকশায় নয়, টাঙ্গাইল শাড়ির মূল পরিচিতি এর ঘন বুননে।
সেই কবে, আজ থেকে প্রায় এক শ বছর আগে গত শতকের ত্রিশের দশকে টাঙ্গাইলের তাঁতিরা নকশা তোলার কাজে ডবি ও জ্যাকার্ডের ব্যবহার শুরু করেন। তখন থেকে সেই শাড়িতে হয়ে আসছে মনমাতানো সব নকশা। উল্লেখ করা দরকার, এখন অনেক ধরনের নকশা হলেও আগে টাঙ্গাইল শাড়িতে খুব একটা নকশা হতো না। সে সময় বেকী বা চোকবেকী নামে সাধারণ কিছু নকশা হতো। ডবি বা জ্যাকার্ড ব্যবহার শুরুর পর নকশার বাহার খুলতে থাকে টাঙ্গাইলের শাড়িতে। শুরুর দিকে মানে না মানা, মেট্রো কিংবা জর্জেট ইত্যাদি নামের নকশা তোলা শুরু হয়। আর এখন? নকশাটা কেমন সেটা প্রশ্ন নয়, আপনি কেমন নকশা চান, সেটাই প্রশ্ন।
টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তৈরি হওয়া সব শাড়ি কি টাঙ্গাইল শাড়ি? এক অর্থে তা-ই। কিন্তু ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বলে যে বিশেষ শাড়ির কথা আমরা বলি, তা শুধু টাঙ্গাইলের বসাক সম্প্রদায়ের মানুষেরা হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রে বুনে থাকেন। আর সেগুলো তৈরি হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাজিতপুর, যুগনী, সুরুজসহ কয়েকটি গ্রামে এবং দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল, নলশোঁধা, চণ্ডী, কৃষ্ণপুর ইত্যাদি গ্রামে। এ শাড়ির বৈশিষ্ট্য আগেই বলেছি—চিকন সুতায় ঘন বুনন। সাধারণত ৮০ থেকে ১০০ কাউন্টের সুতায় টাঙ্গাইলের বসাকেরা সূক্ষ্ম নকশার শাড়ি বোনেন। এ জন্য টাঙ্গাইল শাড়ি পরতে আরাম। টাঙ্গাইলের অন্যান্য এলাকায় যে শাড়ি তৈরি হয়, সেগুলো ৮০ কাউন্টের কম সুতায় তৈরি হয় বলে কিছুটা মোটা।
হাফসিল্ক, সিল্ক বা কটন—সব ধরনের শাড়িই তৈরি হয় টাঙ্গাইলে। এই বসন্তে আপনার যে ধরনের শাড়ি পছন্দ, তা-ই কিনতে পারবেন টাঙ্গাইল শহর, বাজিতপুর অথবা করটিয়া হাটে গিয়ে কিংবা ঢাকায় বসে। বসন্তে গরম পড়ায় সিল্ক বা হাফসিল্ক না পরে কটন বা সুতির শাড়ি পরতে পারেন। বাসন্তী রঙের পাটভাঙা শাড়ির সঙ্গে বিপরীত রঙের ব্লাউজ কিংবা একই রঙের ভিন্ন শেড আপনার লুকে আনতে পারে আভিজাত্য। শাড়ির পাইড় বা পাড়ে নকশা তো থাকবেই, চাইলে আপনি বেছে নিতে পারেন বুটিদার জমিন কিংবা নকশা ছাড়া জমিনের শাড়ি।
তবে যা-ই কিনুন না কেন, নামের ফেরে প্রতারিত হয়ে ‘টাঙ্গাইল জামদানি’ নামে প্রচলিত শাড়ি কিনবেন না। কারণ, সেটা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ কিংবা জামদানি—দুটোর কোনোটিই নয়।
ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে,
আজও কিছু মানুষ, স্বপ্ন খুঁজে ফেরে…
মানুষ স্বপ্ন খুঁজে পাক বা না পাক, শিল্পী অর্ণবের গাওয়া এ গান শুনলেই টাঙ্গাইল শাড়ির কথা মনে হয়। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে মাসহ বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের মুখে শুনে আসছি টাঙ্গাইল শাড়ির কথা। তখন থেকেই ‘ঠাস বুনট’ শব্দটি মগজের মধ্যে গেঁথে গেছে।
‘টানা পোড়েন’ শব্দটি যেমন তাঁতসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, ঠাস বুনট শব্দটিও তা-ই। এর অর্থ ঘন বুনন। জামদানির মতো নকশায় নয়, টাঙ্গাইল শাড়ির মূল পরিচিতি এর ঘন বুননে।
সেই কবে, আজ থেকে প্রায় এক শ বছর আগে গত শতকের ত্রিশের দশকে টাঙ্গাইলের তাঁতিরা নকশা তোলার কাজে ডবি ও জ্যাকার্ডের ব্যবহার শুরু করেন। তখন থেকে সেই শাড়িতে হয়ে আসছে মনমাতানো সব নকশা। উল্লেখ করা দরকার, এখন অনেক ধরনের নকশা হলেও আগে টাঙ্গাইল শাড়িতে খুব একটা নকশা হতো না। সে সময় বেকী বা চোকবেকী নামে সাধারণ কিছু নকশা হতো। ডবি বা জ্যাকার্ড ব্যবহার শুরুর পর নকশার বাহার খুলতে থাকে টাঙ্গাইলের শাড়িতে। শুরুর দিকে মানে না মানা, মেট্রো কিংবা জর্জেট ইত্যাদি নামের নকশা তোলা শুরু হয়। আর এখন? নকশাটা কেমন সেটা প্রশ্ন নয়, আপনি কেমন নকশা চান, সেটাই প্রশ্ন।
টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তৈরি হওয়া সব শাড়ি কি টাঙ্গাইল শাড়ি? এক অর্থে তা-ই। কিন্তু ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বলে যে বিশেষ শাড়ির কথা আমরা বলি, তা শুধু টাঙ্গাইলের বসাক সম্প্রদায়ের মানুষেরা হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রে বুনে থাকেন। আর সেগুলো তৈরি হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাজিতপুর, যুগনী, সুরুজসহ কয়েকটি গ্রামে এবং দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল, নলশোঁধা, চণ্ডী, কৃষ্ণপুর ইত্যাদি গ্রামে। এ শাড়ির বৈশিষ্ট্য আগেই বলেছি—চিকন সুতায় ঘন বুনন। সাধারণত ৮০ থেকে ১০০ কাউন্টের সুতায় টাঙ্গাইলের বসাকেরা সূক্ষ্ম নকশার শাড়ি বোনেন। এ জন্য টাঙ্গাইল শাড়ি পরতে আরাম। টাঙ্গাইলের অন্যান্য এলাকায় যে শাড়ি তৈরি হয়, সেগুলো ৮০ কাউন্টের কম সুতায় তৈরি হয় বলে কিছুটা মোটা।
হাফসিল্ক, সিল্ক বা কটন—সব ধরনের শাড়িই তৈরি হয় টাঙ্গাইলে। এই বসন্তে আপনার যে ধরনের শাড়ি পছন্দ, তা-ই কিনতে পারবেন টাঙ্গাইল শহর, বাজিতপুর অথবা করটিয়া হাটে গিয়ে কিংবা ঢাকায় বসে। বসন্তে গরম পড়ায় সিল্ক বা হাফসিল্ক না পরে কটন বা সুতির শাড়ি পরতে পারেন। বাসন্তী রঙের পাটভাঙা শাড়ির সঙ্গে বিপরীত রঙের ব্লাউজ কিংবা একই রঙের ভিন্ন শেড আপনার লুকে আনতে পারে আভিজাত্য। শাড়ির পাইড় বা পাড়ে নকশা তো থাকবেই, চাইলে আপনি বেছে নিতে পারেন বুটিদার জমিন কিংবা নকশা ছাড়া জমিনের শাড়ি।
তবে যা-ই কিনুন না কেন, নামের ফেরে প্রতারিত হয়ে ‘টাঙ্গাইল জামদানি’ নামে প্রচলিত শাড়ি কিনবেন না। কারণ, সেটা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ কিংবা জামদানি—দুটোর কোনোটিই নয়।
সকালের নাশতায় রোজ কি রুটির সঙ্গে আলুভাজি খেতে ভালো লাগে? কোনো একদিন সকালে বানিয়ে ফেলুন ফুলকো লুচি, আর সঙ্গে থাকতে পারে কাবলি ছোলার ঘুগনি। আপনাদের জন্য কাবলি ছোলার ঘুগনির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য গার্ল, আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ লিড: গার্লস অন দ্য ফ্রন্টলাইনস অব ক্রাইসিস’ বা ‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের...
৫ ঘণ্টা আগেবাড়িতে থাকলে সকালে উঠেই চা বা কফি পান করা অনেকের প্রধান অভ্যাস। কোথাও ছুটিতে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না তাঁরা। ভ্রমণের সময় হোটেলের যে কক্ষে থাকেন, সকালে উঠে সেখানেই সকালের চা-কফির পর্ব সেরে নিতে চান অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কেটলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? পরের বার যখন কোনো হোটেল রুমে থাকবেন..
৬ ঘণ্টা আগেরক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। সুস্থ থাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধের জন্যও এটি সমান জরুরি। আমাদের অনেকের ধারণা, ‘আমি তো বেশি মিষ্টি খাই না, তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে কেন?’ কিন্তু আসল সমস্যা হলো কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস। যেগুলো আমরা...
৮ ঘণ্টা আগে