‘দুই বেণি’ বলতেই মনে পড়ে পাশের বাড়ির মেয়েটির কথা। বাসন্তীরঙা শাড়ি পরে কপালের মাঝ বরাবর সিঁথি করে যত্নে দুই বেণি করেছে সে। সকাল কি বিকেল, ঘরে কি বাইরে—ওই একই নিয়মে চুল বাঁধে সে। তবে বিশেষ কারও সঙ্গে দেখা করার বেলায় কখনো কানে গুঁজে নেয় সদ্য গাছ থেকে পড়া কাঠগোলাপ, জবা কিংবা অলকানন্দা।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেই সব দিন’-এ ‘যাচ্ছ কোথায় কিছু না বলে’ গানটিতে ঠিক এমনই এক রূপে দেখা গেছে অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতিকে। সিনেমায় তাঁর চরিত্রের নাম বিন্তি। সে সাদামাটা সুতি শাড়ি গুছিয়ে পরে। সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের ব্লাউজ। সাজের বাড়বাড়ন্ত বলে কিছু নেই। হাতে দুটো চুড়ি। কানে ছোট্ট দুল থাকত কি থাকত না। কপালে কখনো শোভা পেত ছোট্ট টিপ।
এই বিন্তিকে তাঁর প্রেমিক বলেছিল, ‘তুই দুই বেণিতেই সুন্দর।’ কিছুদিনের মধ্য়ে হালের হেয়ারস্টাইল হিসেবে আবার জায়গা করে নিতে যাচ্ছে দুই বেণি। হালে খোলা চুলের ফ্যাশনে যে তরুণীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন,
তাঁরাও সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে দুই বেণি ঝুলিয়ে দাপটে ঘুরে বেড়াবেন। এর আভাস কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে। সিনেপ্লেক্সে ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমাটি দেখতে অনেক তরুণীই এসেছিলেন বিন্তির সাজে। ওই যে সুতি শাড়ি, কনট্রাস্ট রঙের ব্লাউজ আর দুই বেণি। কারও কারও কানে গোঁজা তাজা ফুল। দুই বেণিতে চোখমুখে, সাজে যে সারল্য আর মায়া ফুটে ওঠে, তারই আবেশ যেন জড়িয়ে নিতে চাচ্ছেন অনেকে। আর এই কারণেই হয়তো বলা হয়, চলচ্চিত্র ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে প্রভাবিত করে।
দেশীয় বা পশ্চিমা—যে ঘরানারই পোশাক পরুন না কেন, দুই বেণির ধাঁচ খানিকটা বদলে নিলেই কিন্তু দারুণ মানিয়ে যাবে। অন্যরা করবে কি করবে না, এই ভাবনা না ভেবে যাঁরা ফ্যাশন ও স্টাইলের দিক থেকে রিস্ক টেকার, তাঁরা ব্লন্ড ডাই করা চুলেও সিঁথি কেটে বেণি করে ফেলবেন এখন। তাঁদের জন্যই কয়েকটি উপায় বলে দেওয়া যাক—
দেশীয় পোশাকের সঙ্গে সাধারণ দুই বেণি
শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাধারণ দুই বেণি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এরপর মাঝখানে সিঁথি কেটে চুল দুই ভাগ করে নিন। প্রতিটি বেণির জন্য চুল তিন ভাগ করে বেণি গেঁথে নিন। এরপর পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং হেয়ারব্যান্ড দিয়ে বেণির শেষাংশ বেঁধে নিলেই হলো। চাইলে কপালের দুপাশ থেকে দুই গাছি চুল বের করে রাখতে পারেন।
ফ্রেঞ্চ স্টাইল সহযোগে দুই বেণি
চুলের দুই পাশে সিঁথি করে মাঝখানের চুল দিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণি মাঝ বরাবর বেঁধে নিন। দুই পাশের ছেড়ে রাখা চুল দিয়ে দুটো বেণি করে নিন। খুব সহজে একটা স্মার্ট লুক পাওয়া যাবে। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, কুর্তি— যেকোনো পোশাকের সঙ্গেও দারুণ মানিয়ে যাবে।
পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ফিশটেইল দুই বেণি
চুলগুলোকে দুভাগ করে নিন। চাইলে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফিশটেইল বেণি একদম সেট হওয়ার চেয়ে হালকা রাখলেই সুন্দর লাগে। ঢিলেঢালা চুল দুই ভাগ করার পর এক ভাগের একদম শেষ প্রান্ত থেকে খানিকটা চুল এনে অন্য প্রান্তে মিশিয়ে দিন।
আবার অন্য প্রান্তের একদম শেষ অংশ থেকে খানিকটা চুল এনে বিপরীত প্রান্তে মিশিয়ে দিন। অর্থাৎ এক ভাগ চুলের শেষ প্রান্ত থেকে চুল নিয়ে অন্য ভাগে মিশিয়ে দিতে হবে। এভাবে পুরো চুলে বেণি কেটে নিন। সোজা চুলে এই বেণি বেশ ভালো লাগে। এতে চুলও সামলে রাখা যায়, দেখতেও ভালো লাগে।
‘দুই বেণি’ বলতেই মনে পড়ে পাশের বাড়ির মেয়েটির কথা। বাসন্তীরঙা শাড়ি পরে কপালের মাঝ বরাবর সিঁথি করে যত্নে দুই বেণি করেছে সে। সকাল কি বিকেল, ঘরে কি বাইরে—ওই একই নিয়মে চুল বাঁধে সে। তবে বিশেষ কারও সঙ্গে দেখা করার বেলায় কখনো কানে গুঁজে নেয় সদ্য গাছ থেকে পড়া কাঠগোলাপ, জবা কিংবা অলকানন্দা।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেই সব দিন’-এ ‘যাচ্ছ কোথায় কিছু না বলে’ গানটিতে ঠিক এমনই এক রূপে দেখা গেছে অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতিকে। সিনেমায় তাঁর চরিত্রের নাম বিন্তি। সে সাদামাটা সুতি শাড়ি গুছিয়ে পরে। সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের ব্লাউজ। সাজের বাড়বাড়ন্ত বলে কিছু নেই। হাতে দুটো চুড়ি। কানে ছোট্ট দুল থাকত কি থাকত না। কপালে কখনো শোভা পেত ছোট্ট টিপ।
এই বিন্তিকে তাঁর প্রেমিক বলেছিল, ‘তুই দুই বেণিতেই সুন্দর।’ কিছুদিনের মধ্য়ে হালের হেয়ারস্টাইল হিসেবে আবার জায়গা করে নিতে যাচ্ছে দুই বেণি। হালে খোলা চুলের ফ্যাশনে যে তরুণীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন,
তাঁরাও সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে দুই বেণি ঝুলিয়ে দাপটে ঘুরে বেড়াবেন। এর আভাস কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে। সিনেপ্লেক্সে ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমাটি দেখতে অনেক তরুণীই এসেছিলেন বিন্তির সাজে। ওই যে সুতি শাড়ি, কনট্রাস্ট রঙের ব্লাউজ আর দুই বেণি। কারও কারও কানে গোঁজা তাজা ফুল। দুই বেণিতে চোখমুখে, সাজে যে সারল্য আর মায়া ফুটে ওঠে, তারই আবেশ যেন জড়িয়ে নিতে চাচ্ছেন অনেকে। আর এই কারণেই হয়তো বলা হয়, চলচ্চিত্র ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে প্রভাবিত করে।
দেশীয় বা পশ্চিমা—যে ঘরানারই পোশাক পরুন না কেন, দুই বেণির ধাঁচ খানিকটা বদলে নিলেই কিন্তু দারুণ মানিয়ে যাবে। অন্যরা করবে কি করবে না, এই ভাবনা না ভেবে যাঁরা ফ্যাশন ও স্টাইলের দিক থেকে রিস্ক টেকার, তাঁরা ব্লন্ড ডাই করা চুলেও সিঁথি কেটে বেণি করে ফেলবেন এখন। তাঁদের জন্যই কয়েকটি উপায় বলে দেওয়া যাক—
দেশীয় পোশাকের সঙ্গে সাধারণ দুই বেণি
শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাধারণ দুই বেণি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এরপর মাঝখানে সিঁথি কেটে চুল দুই ভাগ করে নিন। প্রতিটি বেণির জন্য চুল তিন ভাগ করে বেণি গেঁথে নিন। এরপর পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং হেয়ারব্যান্ড দিয়ে বেণির শেষাংশ বেঁধে নিলেই হলো। চাইলে কপালের দুপাশ থেকে দুই গাছি চুল বের করে রাখতে পারেন।
ফ্রেঞ্চ স্টাইল সহযোগে দুই বেণি
চুলের দুই পাশে সিঁথি করে মাঝখানের চুল দিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণি মাঝ বরাবর বেঁধে নিন। দুই পাশের ছেড়ে রাখা চুল দিয়ে দুটো বেণি করে নিন। খুব সহজে একটা স্মার্ট লুক পাওয়া যাবে। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, কুর্তি— যেকোনো পোশাকের সঙ্গেও দারুণ মানিয়ে যাবে।
পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ফিশটেইল দুই বেণি
চুলগুলোকে দুভাগ করে নিন। চাইলে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফিশটেইল বেণি একদম সেট হওয়ার চেয়ে হালকা রাখলেই সুন্দর লাগে। ঢিলেঢালা চুল দুই ভাগ করার পর এক ভাগের একদম শেষ প্রান্ত থেকে খানিকটা চুল এনে অন্য প্রান্তে মিশিয়ে দিন।
আবার অন্য প্রান্তের একদম শেষ অংশ থেকে খানিকটা চুল এনে বিপরীত প্রান্তে মিশিয়ে দিন। অর্থাৎ এক ভাগ চুলের শেষ প্রান্ত থেকে চুল নিয়ে অন্য ভাগে মিশিয়ে দিতে হবে। এভাবে পুরো চুলে বেণি কেটে নিন। সোজা চুলে এই বেণি বেশ ভালো লাগে। এতে চুলও সামলে রাখা যায়, দেখতেও ভালো লাগে।
সিলেট মানেই যেন নিসর্গের হাতছানি! কোথাও টিলার গায়ে চা-গাছের সবুজ চাদর, কোথাও পাথরের মাঝে পানির শীতল পরশ, কোথাওবা জল-বৃক্ষের মিতালি। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের এই জনপদে নানা রূপে, নানা রঙে ধরা দিয়েছে প্রকৃতি। এমনই এক রূপের ডালি বিছানো রয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে।
১৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রুক্ষ মরুভূমি আর বিশাল পাথরের স্তূপের মধ্যে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত সব গুহা। কোটি কোটি বছর ধরে তৈরি হওয়া এই গুহাগুলো শুধু প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, এগুলো বৈজ্ঞানিক এবং পর্যটনের জন্যও অমূল্য সম্পদ। সৌদি আরব এরই মধ্যে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন শহর ও স্থানকে নতুন...
১৯ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন পাহাড়ে ঘুরে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন অনেকে। গহিন পাহাড়ে আধুনিক ব্যবস্থাপনা থাকে না বলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যদিও এর উপায় হিসেবে তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানো বেশ পরিচিত। তবে এই পাহাড়প্রেমীদের জন্য একটু ভিন্ন ধরনের ভাবনার বিষয়টি ভেবেছিল যুক্তরাজ্যের মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশন।
২০ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যা কমে যাওয়া এবং বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন পৃথিবীর অনেক দেশ। ইউরোপের কিছু দেশ বিশেষভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন। সেখানে গ্রামীণ এলাকা ও ছোট শহরগুলো ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অঞ্চলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং নতুন নাগরিক আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশ আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে