মাহবুব সিয়াম
সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছে সৌদির ফ্যাশন জগৎ। জুলাইয়ে প্যারিসের ‘ওত্ কুতুর ফ্যাশন উইক’ প্রদর্শনীতে অংশ নেন সৌদি আরবের ডিজাইনার মোহাম্মদ আশি। সেপ্টেম্বরে বহুল প্রতীক্ষিত ইতালির মিলান ফ্যাশন উইকে দেশটির প্রায় ১০০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘হোয়াইট মিলানো’ ইভেন্টে অংশ নেবে।
সম্প্রতি সৌদি আরবে ফ্যাশন ডিজাইনারদের এই উত্থান মূলত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। ফ্যাশন দুনিয়ায় পরিচিতি বাড়াতে ২০২০ সালে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ফ্যাশন কমিশন গঠন করে। এদিকে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে আসছে সৌদি আরব। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেন। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বমঞ্চে ফ্যাশন বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ফ্যাশন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ফ্যাশন সৌদি অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। ২০২৫ সালে দেশটিতে ফ্যাশন পণ্যের চাহিদা ৪৮ শতাংশ বেড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। বিলাসবহুল পণ্যে এর পরিমাণ হবে ১৯ শতাংশ। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ডিজাইনাররা যাতে দেশের ফ্যাশন খাতে এগিয়ে আসেন, এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিচ্ছে সৌদি আরবের ফ্যাশন কমিশন।
সৌদি আরবের রাজধানীতে ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে রিয়াদ ফ্যাশন উইক। বিশ্বকে সৌদি ফ্যাশন ও বিলাসবহুল পণ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জনপ্রিয় করে তুলতে এই আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের সমাজ সংস্কারের আগে ফ্যাশন প্রদর্শনীগুলো জনসমক্ষে করা হতো না। কিন্তু নারীদের হিজাব পরার বাধ্যতামূলক বিধান তুলে দেওয়ার পর চিত্র বদলে যায়। সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে পড়ে ফ্যাশন-সচেতনতা।
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় ডলশি অ্যান্ড গ্যাবানা সৌদি আরবের মরুভূমিতে ফ্যাশন শো আয়োজন করে। এ ছাড়া সৌমে, ভ্যান ক্লিফ অ্যান্ড আর্পেলসের মতো ফ্যাশন ও গয়নার অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডও সৌদি আরবে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ফ্যাশন কমিশন ২০২১ সালে ১০০ সৌদি ব্র্যান্ড তৈরির উদ্যোগ হাতে নেয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশের ডিজাইনাররা যাতে যথাযথ পরামর্শ ও সহায়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছাপ রেখে আসতে পারে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত দুই বছরে ডিজাইনাররা মিলান, নিউইয়র্ক ও প্যারিসের প্রদর্শনীগুলোতে অংশ নেন। দেশটির বিখ্যাত ডিজাইনার ইউসুফ আকবরের ডিজাইন ভোগ ম্যাগাজিনের আরব সংস্করণের জুন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। অথচ কয়েক বছর আগেও সৌদিতে ফ্যাশনশিল্প বলতে কিছুই ছিল না।
এ বছরের শেষের দিকে ফ্যাশন কমিশন রিয়াদে পণ্যের মানোন্নয়নের জন্য স্টুডিও স্থাপন করবে। প্রোটোটাইপ এবং নমুনা তৈরির মাধ্যমে পণ্য যাতে দ্রুত বাজারে ঢুকতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে স্টুডিওটি। এতে থাকবে থ্রিডির মাধ্যমে সেলাইসহ লেজার মেশিন দিয়ে পণ্য কাটার আধুনিক ব্যবস্থা।
আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য টেকসই ফ্যাশনশিল্প ও সরবরাহ প্রক্রিয়া থাকা জরুরি। পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রি, বিপণন ও প্রচার—সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের মাধ্যমে সৌদি আরবের সরকার ফ্যাশনশিল্পে বিপ্লব সৃষ্টি করছে।
সূত্র: আরব নিউজ
সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছে সৌদির ফ্যাশন জগৎ। জুলাইয়ে প্যারিসের ‘ওত্ কুতুর ফ্যাশন উইক’ প্রদর্শনীতে অংশ নেন সৌদি আরবের ডিজাইনার মোহাম্মদ আশি। সেপ্টেম্বরে বহুল প্রতীক্ষিত ইতালির মিলান ফ্যাশন উইকে দেশটির প্রায় ১০০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘হোয়াইট মিলানো’ ইভেন্টে অংশ নেবে।
সম্প্রতি সৌদি আরবে ফ্যাশন ডিজাইনারদের এই উত্থান মূলত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। ফ্যাশন দুনিয়ায় পরিচিতি বাড়াতে ২০২০ সালে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ফ্যাশন কমিশন গঠন করে। এদিকে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে আসছে সৌদি আরব। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেন। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বমঞ্চে ফ্যাশন বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ফ্যাশন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ফ্যাশন সৌদি অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। ২০২৫ সালে দেশটিতে ফ্যাশন পণ্যের চাহিদা ৪৮ শতাংশ বেড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। বিলাসবহুল পণ্যে এর পরিমাণ হবে ১৯ শতাংশ। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ডিজাইনাররা যাতে দেশের ফ্যাশন খাতে এগিয়ে আসেন, এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিচ্ছে সৌদি আরবের ফ্যাশন কমিশন।
সৌদি আরবের রাজধানীতে ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে রিয়াদ ফ্যাশন উইক। বিশ্বকে সৌদি ফ্যাশন ও বিলাসবহুল পণ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জনপ্রিয় করে তুলতে এই আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের সমাজ সংস্কারের আগে ফ্যাশন প্রদর্শনীগুলো জনসমক্ষে করা হতো না। কিন্তু নারীদের হিজাব পরার বাধ্যতামূলক বিধান তুলে দেওয়ার পর চিত্র বদলে যায়। সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে পড়ে ফ্যাশন-সচেতনতা।
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় ডলশি অ্যান্ড গ্যাবানা সৌদি আরবের মরুভূমিতে ফ্যাশন শো আয়োজন করে। এ ছাড়া সৌমে, ভ্যান ক্লিফ অ্যান্ড আর্পেলসের মতো ফ্যাশন ও গয়নার অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডও সৌদি আরবে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ফ্যাশন কমিশন ২০২১ সালে ১০০ সৌদি ব্র্যান্ড তৈরির উদ্যোগ হাতে নেয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশের ডিজাইনাররা যাতে যথাযথ পরামর্শ ও সহায়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছাপ রেখে আসতে পারে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত দুই বছরে ডিজাইনাররা মিলান, নিউইয়র্ক ও প্যারিসের প্রদর্শনীগুলোতে অংশ নেন। দেশটির বিখ্যাত ডিজাইনার ইউসুফ আকবরের ডিজাইন ভোগ ম্যাগাজিনের আরব সংস্করণের জুন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। অথচ কয়েক বছর আগেও সৌদিতে ফ্যাশনশিল্প বলতে কিছুই ছিল না।
এ বছরের শেষের দিকে ফ্যাশন কমিশন রিয়াদে পণ্যের মানোন্নয়নের জন্য স্টুডিও স্থাপন করবে। প্রোটোটাইপ এবং নমুনা তৈরির মাধ্যমে পণ্য যাতে দ্রুত বাজারে ঢুকতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে স্টুডিওটি। এতে থাকবে থ্রিডির মাধ্যমে সেলাইসহ লেজার মেশিন দিয়ে পণ্য কাটার আধুনিক ব্যবস্থা।
আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য টেকসই ফ্যাশনশিল্প ও সরবরাহ প্রক্রিয়া থাকা জরুরি। পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রি, বিপণন ও প্রচার—সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের মাধ্যমে সৌদি আরবের সরকার ফ্যাশনশিল্পে বিপ্লব সৃষ্টি করছে।
সূত্র: আরব নিউজ
সকালের নাশতায় রোজ কি রুটির সঙ্গে আলুভাজি খেতে ভালো লাগে? কোনো একদিন সকালে বানিয়ে ফেলুন ফুলকো লুচি, আর সঙ্গে থাকতে পারে কাবলি ছোলার ঘুগনি। আপনাদের জন্য কাবলি ছোলার ঘুগনির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১১ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য গার্ল, আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ লিড: গার্লস অন দ্য ফ্রন্টলাইনস অব ক্রাইসিস’ বা ‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের...
১২ ঘণ্টা আগেবাড়িতে থাকলে সকালে উঠেই চা বা কফি পান করা অনেকের প্রধান অভ্যাস। কোথাও ছুটিতে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না তাঁরা। ভ্রমণের সময় হোটেলের যে কক্ষে থাকেন, সকালে উঠে সেখানেই সকালের চা-কফির পর্ব সেরে নিতে চান অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কেটলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? পরের বার যখন কোনো হোটেল রুমে থাকবেন..
১৩ ঘণ্টা আগেরক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। সুস্থ থাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধের জন্যও এটি সমান জরুরি। আমাদের অনেকের ধারণা, ‘আমি তো বেশি মিষ্টি খাই না, তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে কেন?’ কিন্তু আসল সমস্যা হলো কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস। যেগুলো আমরা...
১৪ ঘণ্টা আগে