Ajker Patrika

যেমন ঘরে যেমন পর্দা

যেমন ঘরে যেমন পর্দা

একটা সময় বাড়ির দরজা ও জানালায় পর্দা ব্যবহার করা হতো মূলত প্রয়োজন হিসেবে। মানে যেটুকু না রাখলেই নয়! মূলত একরঙা পর্দার ব্যবহারের প্রচলন ছিল বেশি। নব্বইয়ের দশকে ফ্লোরাল প্রিন্টের সিনথেটিক পর্দাও দেখা যেত অভিজাত বাড়িগুলোয়। কালের পরিবর্তনে পর্দার ব্যবহার প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে অনেক বেশি আধুনিকতা ও নান্দনিকতায় রূপ নিয়েছে। পরবর্তীতে দরজার মতো জানালার পর্দার দৈর্ঘ্যও বেড়েছে সমান হারে। এ ছাড়াও ঘরের আকার, আলোর মাত্রা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করেও পর্দা ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঘরের সঙ্গে মানিয়ে
পর্দা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঘরের আয়তন একটি বড় বিষয়। ঘরের আয়তন যদি ছোট হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত পাতলা ও হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে ঘরের আকার যদি একটু লম্বাটে হয় বা যদি তা লম্বাটে আকৃতির ডাইনিং কাম ড্রয়িংরুম হয়, তাহলে মেঝে অবধি লম্বা ও একটু ভারী পর্দা লাগানো যেতে পারে।

আলোর আমন্ত্রণে
শহুরে ফ্ল্যাটগুলোয় আলোর অভাব বাড়ির সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। দিনের বেলায় ঘরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ না করলে পাতলা পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। সে ক্ষেত্রে জর্জেট ও নেটের হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করা ভালো। আর ঘরে যদি স্বাভাবিকভাবেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে থাকে, তাহলে একটু ভারী পর্দা বাছাই করা যেতে পারে। পাশাপাশি রংটাও একটু গাঢ় ধাঁচের হতে পারে। শোয়ার ঘরে খাট যদি জানালার পাশে হয়, তাহলে একটু ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। এতে সূর্যের আলোয় ঘর সহজে গরম হবে না।

ঘরের দেয়ালের রং যদি গাঢ় হয় তবে হালকা রঙের পাতলা পর্দা ও দেয়ালের রং গাঢ় হলে পর্দা যেকোনো রঙের হলে ক্ষতি নেইদেয়ালের রং
অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে যেকোনো বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদির রং যেন দেয়ালের রঙের সঙ্গে মানিয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের দেয়ালের রং যদি গাঢ় হয়, তবে হালকা রঙের পাতলা পর্দা ও দেয়ালের রং গাঢ় হলে পর্দা যেকোনো রঙের হলে ক্ষতি নেই। পাশাপাশি বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য বিছানার চাদর, পাপোশ, আসবাবপত্রের রং ও পর্দার রং মিলিয়ে কেনা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় কনট্রাস্ট রংও ভালো লাগে।

বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদির রং যেন দেয়ালের রঙের সঙ্গে মানিয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবেপর্দার খোঁজখবর
এলিফ্যান্ট রোড, গুলশান-২, বসুন্ধরা সিটি, বসুন্ধরা রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, নিউমার্কেট, মৌচাকে সিনথেটিক, নেট, চায়নিজ সিলসিলা, চায়নিজ নেট, বাটারফ্লাই গজ কাপড় কিনতে পাওয়া যাবে। দেশীয় ঘরানার পর্দা কিনতে চাইলে বা দরদাম করতে না চাইলে সোজা চলে যেতে পারেন আড়ং, যাত্রাসহ অন্যান্য দেশীয় বুটিক হাউসে। আর সবচেয়ে আলাদা ঘরানার পর্দা ঘরে রাখতে চাইলে করিয়ে নিতে পারেন টাইডাই বা ব্লক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোমাঞ্চকর ভ্রমণের কেন্দ্র দুবাই

ফিচার ডেস্ক
রোমাঞ্চকর ভ্রমণের কেন্দ্র দুবাই

বিলাসবহুল গন্তব্য বলেন বা রোমাঞ্চকর—দুবাই কোনো কিছুতেই পিছিয়ে নেই। রোলার কোস্টার থেকে কৃত্রিম দ্বীপের ওপরে স্কাই ডাইভ, মারিয়ানা ট্রেঞ্চের মতো গভীর পুলে ফ্রিডাইভিং থেকে চোখ কপালে তোলার মতো সব ধরনের ওয়াটারস্পোর্ট—কী নেই দুবাই নামের শহরটিতে!

মরুভূমির বালিতে বাগি চালান

দুবাইয়ে মরুভূমি খুঁজে পাওয়া মোটেই কঠিন নয়। এত উন্নয়ন হওয়ার পরও মরুভূমির বিস্তৃতি শহরের চেয়ে অনেক বেশি। মরুভূমিতে বেলুন আর উটে চড়া থেকে শুরু করে ডিউন ব্যাশিং পর্যন্ত চলে। চালক বা যাত্রী হিসেবে চার সিটের একটি ডিউন বাগিতে উঠে পড়ুন। ২ ঘণ্টার এই অভিজ্ঞতা হবে একদম ম্যাড ম্যাক্স সিনেমার মতো। মরুভূমিতে গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট পথ তৈরি করা আছে। তবে সেখানেও চ্যালেঞ্জের কমতি নেই। হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া ও ফেরত আনার ব্যবস্থা আছে। চাইলে কোয়াড বাইকিং, স্যান্ডবোর্ডিং বা মরুভূমির ক্যাম্পেও থাকতে পারবেন।

5

দ্য পাম জুমেইরার ওপর দিয়ে স্কাই ডাইভ

মাটিতে দাঁড়িয়ে পাম জুমেইরার পুরো সৌন্দর্য বোঝা যায় না। আসল দৃশ্যটা দেখা যায় স্কাই ডাইভিংয়ের সময়। কিন্তু তখন এ দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলবে কি না, সেটা বলা কঠিন। কারণ ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ মাইল গতিতে নিচে নামার সময় উত্তেজনায় নিজের মুখের অভিব্যক্তি বদলে যাব। পামের ট্রাঙ্কের পাশ থেকে প্লেনে নিয়ে যাওয়া হয় প্রায় আড়াই মাইল উচ্চতায়। সেখানে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিটের মতো। এরপর শুরু হয় ১ মিনিটের নিশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া ফ্রি ফল। ফ্রি ফল মানে, স্কাই ডাইভে প্যারাস্যুট খোলার আগে বাতাসে ভেসে থাকার মুহূর্ত। যেটি একজন ভিডিওগ্রাফার ক্যামেরায় ধরে রাখেন। প্যারাস্যুট খুলে গেলে ঘাসের ল্যান্ডিং জোনে দায়িত্বরত একজন আপনাকে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনবেন। যদি সরাসরি স্কাই ডাইভ করতে ভয় লাগে, তাহলে আগে ইনফ্লাইট দুবাইয়ের ইনডোর স্কাই ডাইভিং সেন্টারে প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন।

২

বিশ্বের গভীরতম পুলে ডাইভ

একসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে মুক্তা আহরণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ পেশা। তেল আবিষ্কারের আগের যুগে সেটিই ছিল অঞ্চলটির প্রধান শিল্পগুলোর একটি। এই ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে শামুকের আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে ‘ডিপ ডাইভ দুবাই’। ৬০ মিটার গভীর এই মিঠাপানির পুল শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরে। ভেতরটা সাজানো ডুবে যাওয়া আধুনিক শহরের মতো। সেখানে রয়েছে মোটরবাইক, গ্র্যান্ড পিয়ানো, ফুসবল টেবিল থেকে পানির নিচের বাস্কেটবল কোর্ট পর্যন্ত। স্কুবা, ফ্রিডাইভ বা স্নরকেলিং করা যাবে সেখানে। পানির তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

4

রাইড দ্য স্টর্ম কোস্টার

থিম পার্কের দীর্ঘ লাইন অনেকে অসুবিধা মনে করেন। কিন্তু দুবাই হিলস মলে অবস্থিত ‘স্টর্ম কোস্টার’ আপনার সেই অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে। এই রাইডের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ১৯৮ ফুট। স্টর্ম কোস্টার সাধারণত রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। শুক্র ও শনিবার তা সচল থাকে রাত ১২টা পর্যন্ত। রাতে রাইড করার অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। তখন উজ্জ্বল দুবাইয়ের উঁচু দালানগুলোও দেখা যায়।

3

রক ক্লাইম্বিং

দুবাইয়ের অ্যাডভেঞ্চার পার্কে রক ক্লাইম্বিং বেশ জনপ্রিয়। শারীরিক শক্তি, ধৈর্য আর ভারসাম্যের পরীক্ষা হয়ে যায় এখানে। পার্কটিতে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম পাহাড়। এ পাহাড়গুলো বিভিন্ন উচ্চতার। সেগুলোতে উঠতে পার করতে হবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ। অনভিজ্ঞ থেকে অভিজ্ঞ সবাই এতে অংশ নিতে পারে। প্রতিটি দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের পথ রয়েছে। কিছু অংশ পাড়ি দেওয়া সহজ, আবার কিছু অংশ অত্যন্ত কঠিন। তাই দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়া যায়। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে হেলমেট ও দড়ির ব্যবস্থা। এখানে ক্লাইম্ব করানো হয় প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

দুবাই শুধু বিলাসবহুল শহরই নয়, এটি রোমাঞ্চপ্রেমীদের স্বপ্নের গন্তব্য। মরুভূমির বালিতে বাগি চালানো থেকে শুরু করে আকাশ থেকে স্কাই ডাইভ, বিশ্বের সবচেয়ে গভীর পুলে ডাইভ, উঁচু রোলার কোস্টার এবং রক ক্লাইম্বিং—প্রতিটি এর সবকিছু একজন মানুষকে দেবে রোমাঞ্চের চূড়ান্ত অভিজ্ঞতা।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তেলে ডোবানো আস্ত জলপাইয়ের আচার

ফিচার ডেস্ক
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা

জলপাই দিয়ে তৈরি মিষ্টি আচার দ্রুত শেষ হয়ে গেলেও তেলে ডোবানো আস্ত জলপাইয়ের আচার কিন্তু সারা বছর খাওয়া হয়। আপনাদের জন্য এই আচারের সহজ রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা

উপকরণ

জলপাই ১ কেজি, হলুদের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল আধা লিটার, সরিষাবাটা ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ১৫টি (আধভাঙা), পাঁচফোড়নের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আস্ত পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, আস্ত রসুন ইচ্ছেমতো, সিরকা ১ কাপের ৩ ভাগের ১ ভাগ, চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি

প্রথমে ধুয়ে প্রতিটি জলপাইয়ের গায়ে ছুরি দিয়ে দাগ কেটে সামান্য লবণ ও আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়া মাখিয়ে রোদে রাখতে হবে প্রায় দুদিন। এতে জলপাইয়ের পানি কিছুটা শুকিয়ে আসবে। এরপর ২ কাপ সরিষার তেলে প্রথমে রসুনবাটা ও আস্ত রসুন দিয়ে কিছু সময় ভেজে এতে জলপাই দিতে হবে। জলপাই দেওয়ার পর ফুটে এলে এতে সরিষাবাটা, আস্ত পাঁচফোড়ন, গুঁড়া পাঁচফোড়ন, চিনি, হলুদের গুঁড়া, আধভাঙা শুকনো মরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে বাকি সব উপকরণ জলপাইয়ের সঙ্গে সাবধানে মেশাতে হবে জলপাই অক্ষত রেখে। শেষ পর্যায়ে সিরকা দিয়ে আবারও জ্বাল দিয়ে আচারের পানি শুকিয়ে নিতে হবে।

আচার তৈরি হওয়ার পর কাচের জারে রাখার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী বাকি সরিষার তেলটুকু দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের আগেই হাতের ত্বক খসখসে হয়ে উঠছে? রোজকার যত্নেই কোমলতা ফিরবে

বিভাবরী রায়
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৪
শীতের আগেই হাতের ত্বক খসখসে হয়ে উঠছে? রোজকার যত্নেই কোমলতা ফিরবে

হাত ও হাতের আঙুলের শুষ্কতা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। প্রতিবার হাত ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলেও কিছুক্ষণ পর শুষ্ক হয়ে উঠছে। আঙুলের দুই পাশ থেকে সাদা সাদা মরা চামড়া উঠছে। শীতে ত্বকের নানা সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে হাতের ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা ও রুক্ষতা। খসখসে, সাদাটে হয়ে যাওয়া হাত নিজেরও অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর্দ্রতার অভাবে হাত এমন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। কারও কারও আঙুলের ডগাও ফেটে যায়। তাই শীত আসার আগে থেকে নিয়ম করে হাত ময়শ্চারাইজ করতে হবে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি উপায়ে যত্ন নেওয়া চাই।

শীতে হাতের ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়

আমরা দিনে যতবার মুখের যত্ন নিই, ততবার হাতের যত্ন নিই না। তাই মুখ ও হাতের ত্বকের রঙে যেমন পার্থক্য চোখে পড়ে, তেমনি হাতের ত্বকও হারায় কোমলতা। শীত আসার আগে থেকে সঠিকভাবে যত্ন না নিলে হাতের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে ওঠে। হাতের রুক্ষতা দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। যতবার হাত ধোবেন, ততবারই এ মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে হাতের কোমলতা ফিরে আসবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

বারবার হাত ধুতে মাইল্ড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন

বাড়িতে শিশু থাকলে বা সব কাজ নিজ হাতে করলে বারবার হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হয়। সে ক্ষেত্রে মাইল্ড হ্যান্ডওয়াশ বেছে নিন। জেনে রাখা ভালো, অ্যান্টিব্য়াকটেরিয়াল হ্যান্ডওয়াশ সারা দিনে প্রতিবারই হাত ধোয়ায় ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলোর মধ্যকার শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান হাতের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে খসখসে করে তোলে। চেষ্টা করুন হাত ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে।

হাত ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন

প্রতিবার হাত ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এতে করে হাতের ত্বক নরম ও কোমল থাকবে। হাতের তালু, আঙুলের ভাঁজ, নখের দুই পাশের অংশ অনেক সময় বেশি রুক্ষ থাকে। এ ছাড়া নখের দুই পাশের কোনাও অনেক সময় শক্ত হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে গ্লিসারিন ও পেট্রোলিয়াম জেলি একসঙ্গে মিশিয়ে এসব জায়গায় লাগান। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে হাতের ত্বক মসৃণ হবে।

বাসন মাজা ও কাপড় ধোয়ার আগে সুরক্ষাব্যবস্থা

যাঁরা ঘরের সব কাজ নিজে করেন, তাঁদের হাতের ত্বক বেশি খসখসে হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পানির কাজ করলে হাতে রুক্ষতা দেখা দেয়। প্রতিবার বাসন মাজা ও কাপড় কাচার আগে হাতে ভালো করে নারকেল তেল মেখে তারপর কাজ করুন। এতে ত্বক পানি, সাবান ও ডিশওয়াশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

টোনার ব্যবহার করতে হবে হাতেও

মুখের মতো, হাতেও টোনার ব্যবহার করা উচিত। ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতেই এ টোনার বানিয়ে নেওয়া যায়। শসার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কর্পূর মিশিয়ে হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। দিনে দুবার এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক দিন ব্যবহারের পরই দেখবেন হাতের দাগছোপ উঠে গেছে। ত্বকেও ঔজ্জ্বল্য ফিরে এসেছে। এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে হাতে গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে। চাইলে দুই ভাগ পানির সঙ্গে এক ভাগ গোলাপজল ও এক ভাগ লেবুর রস মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে হাতের কোমলতা ও হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না

গাড়ি বা রিকশায় থাকুন, জানালার কাচ ভেদ করে সূর্যের আলো সরাসরি কিন্তু হাতে এসে পড়ে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বক পুড়িয়ে দেয়। শীতের রোদ কম হলেও ত্বকের সংস্পর্শে এলে কালচে দাগছোপ পড়তে পারে। তাই বাসা থেকে বেরোনোর আগে মুখ, গলা ও ঘাড়ের মতো হাতেও সব সময় সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।

সপ্তাহে এক দিন প্যাক ব্যবহার করুন

হাতের ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে কয়েক ফোঁটা মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে হাতে ম্যাসাজ করে মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে হাতের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে। এ ছাড়া শসা, টমেটো ও লেবুর রসের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে হাতে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। হাতের উজ্জ্বলতা তো ফিরবেই, হবে কোমলও। প্যাক তৈরির সময় না পেলে বাড়িতে টক দই থাকলে তা-ই দুই হাতে মেখে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিলে আরও উপকার পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: শুভ ফল পেতে স্ত্রীকে সময় দিন, গোপন আনন্দযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪২
আজকের রাশিফল: শুভ ফল পেতে স্ত্রীকে সময় দিন, গোপন আনন্দযোগ

মেষ

আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এতটাই তুঙ্গে থাকবে যে আয়নাও আপনাকে ‘বস’ ডাকবে। কিন্তু এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে সাবধান! আজ রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় ফুটপাতের গর্তকে তুচ্ছজ্ঞান করবেন না। হাঁটার সময় গতি দেখে মনে হবে যেন আপনি কোনো হলিউড সিনেমার স্লো মোশন দৃশ্যে আছেন। বসের দেওয়া জটিল কাজটা এমন ভাব দেখিয়ে শেষ করবেন, যেন ওটা ছোটবেলার অঙ্কনের হোমওয়ার্ক ছিল। সঙ্গী আজ আপনার কোনো অতি সাধারণ কথা শুনেও এমনভাবে মুগ্ধ হবেন, যেন আপনি রবীন্দ্রনাথের লেখা চুরি করে শুনিয়েছেন।

বৃষ

অপ্রয়োজনীয় তর্কে সময় নষ্ট করবেন না। বিশেষ করে যদি স্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘এই জামাটা কি নতুন?’ এ ক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উত্তর হওয়া উচিত, ‘হ্যাঁ, এটা সব সময়ই নতুন!’ আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। কারণ, মানিব্যাগটা খুঁজেই পাবেন না। আজ ভুল করেও স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে যাবেন না। গ্রহরা বলছে, মন আজ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চকলেটের জন্য কাঁদছে।

মিথুন

বাইরের কার্যকলাপ আজ ক্লান্তিকর হবে, বিশেষ করে ফোন স্ক্রল করা। মনে রাখবেন, আপনার ব্রেন আজ একটা ভেড়ার পালের মতো, সবাই ঘুমিয়ে আছে। কারও কাছ থেকে ধার নেওয়া চিন্তা আজ আপনার কাজে লাগতে পারে। তাই গুগল বা উইকিপিডিয়াকে ধন্যবাদ দিন। আজ কাউকে মেসেজ পাঠানোর আগে ১০ বার চেক করুন। কারণ, ভুল ইমোজি পাঠিয়ে পুরোনো বন্ধুকেও শত্রু বানাতে পারেন। আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় মনে হবে যেন একটা যুদ্ধের পর বেঁচে ফিরেছেন।

কর্কট

সামান্য কারণে আজ মন খারাপ হতে পারে; যেমন প্রিয় বিস্কুটটা চায়ে ডুবে গেল বা রিমোটটা খুঁজে পাচ্ছেন না। মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গভীর ধ্যান করুন, কিন্তু তার আগে ফোনের নোটিফিকেশনগুলো অবশ্যই দেখে নিন। বাড়ির পুরোনো জিনিসপত্র হঠাৎ করে আপনার দিকে চেয়ে হাসতে পারে। কারণ, সেগুলোর দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছেন না। মন খারাপ হলে এক কাপ চা এবং একটি নতুন নেটফ্লিক্স সিরিজ চালু করুন। গ্রহের অশুভ প্রভাব কমে যাবে।

সিংহ

আজ এমন এনার্জি নিয়ে ঘুরবেন যে ইলেকট্রিক বিলও বেড়ে যেতে পারে। প্রিয়জন আজ আপনার প্রতি এমন মনোযোগ দেবেন, যেন আপনি সদ্য লটারি জিতেছেন। কাজের জায়গায় প্রশংসা জুটবে—সম্ভবত ঠিক সময়ে কফি বানিয়ে দেওয়ার জন্য, বড় কোনো সাফল্যের জন্য নয়। আপনার হাঁটাচলায় আজ একটি রাজকীয় ভাব থাকবে। সাবধানে, দরজার ফ্রেমটা যেন মাথায় না লাগে!

কন্যা

আপনার সূক্ষ্ম বিচারশক্তির বাড়াবাড়ি হবে। আজ টুথব্রাশের রং নিয়েও জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে পাবেন। রাতের বেলা হাঁসের ডাকে মনোযোগ দেবেন না; ওটা আপনার বস হতে পারে, যিনি ছদ্মবেশে আপনাকে অনুসরণ করছেন। যদি কেউ আপনাকে বলে যে তার কাছে একটি দারুণ বিনিয়োগ পরিকল্পনা আছে, সঙ্গে সঙ্গেই তার কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। আজ ডায়েরি লেখার দিন। শুধু নিশ্চিত করুন যে আপনার লেখাগুলো পড়ে যেন পুরোনো বন্ধুরাও না হাসে।

তুলা

আজ হালকা মেজাজে থাকবেন। কারণ, গত রাতের সমস্ত সমস্যার কথা ভুলে গেছেন। অপ্রত্যাশিত আর্থিক প্রাপ্তি? হ্যাঁ, সেটা আসলে গত মাসের ভুল করে কাটা অতিরিক্ত টাকাটা ফেরত এসেছে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে অতিরিক্ত খরচ করবেন না। আজ একটি স্যাড মিম দেখেও কেঁদে ফেলতে পারেন। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। কারণ, এতে হাসির উপকরণ তৈরি হবে। সঙ্গী আজ আপনার প্রতি খুবই সংবেদনশীল হবেন, সম্ভবত আপনার অদ্ভুত হাসি দেখে।

বৃশ্চিক

আজ একটি গোপন আনন্দ পেতে পারেন (হয়তো প্যান্টের পকেটে পুরোনো ৫০০ টাকার নোট খুঁজে পেয়েছেন)। পুরোনো ঝগড়া মিটতে পারে, তবে মিটলেই যেন আবার শুরু না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অনুসন্ধিৎসু মন আজ সারা দিন ইন্টারনেটে অপ্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজতে ব্যস্ত থাকবে। আজ এমন একটি কাজ সম্পন্ন করবেন যা গত এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন। অভিনন্দন! তবে আজ আপনার জীবনের মন্ত্র হবে: ‘থাক, পরে করব।’

ধনু

যদি সম্ভব হয়, দীর্ঘ ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। পাশের ঘর পর্যন্ত যেতেও আজ উইকেন্ডের ক্লান্তি অনুভূত হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে—সম্ভবত নিজ হাতে রান্না করতে হতে পারে। আজকের দিনটি অ্যাডভেঞ্চার নয়, বরং সোফায় শুয়ে থাকার জন্য সেরা। আজ সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য হবে, যদি আপনি বিনা বাধায় ইন্টারনেটে বাফারিং ছাড়াই ভিডিও দেখতে পারেন। কোনো গুরুজনের উপদেশ শুনুন। এরপর ভুলে গিয়ে নিজের মতো কাজ করুন।

মকর

আজ আপনার ডিসিপ্লিনের বাঁধন আলগা হবে। সকালে অ্যালার্ম বাজলে মনে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রিয়জনের সঙ্গে পরিষ্কার কথা বলুন, কিন্তু ‘তুমি এত মোটা হয়ে গেছ কেন?’—এই কথাটি বাদ দিয়ে। অফিসে কাজ করার সময় মনে হবে, একটা মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনার ছুটি হলো এক গ্লাস ঠান্ডা পানি। অতিরিক্ত চিন্তা মাথায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই সব চিন্তা বাদ দিয়ে বরং আলুর চিপস খাওয়া শুরু করুন।

কুম্ভ

মানসিক চাপ বাড়বে, বিশেষ করে যখন দেখবেন বন্ধু বিদেশ ভ্রমণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। সৃজনশীলতা আজ ফুটবে, বিশেষত কীভাবে অজুহাত তৈরি করে অফিসের কাজ বা বাড়ির কাজ এড়ানো যায়। আপনার অদ্ভুত যুক্তি আজ বন্ধুদের কাছে আপনাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে। কারণ, তারা ভাববে আপনি কী অদ্ভুত মানুষ! আজ আপনি এমন একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবেন, যা পরের দিন সকালেই ভুলে যাবেন।

মীন

আত্ম-অন্বেষণ? মানে আজ আপনি সারা দিন ছাদের দিকে তাকিয়ে ভাববেন, ‘জীবনটা কেন এমন হলো?’ সাবধানে থাকবেন, লুকিয়ে থাকা শত্রুরা আজ মশা সেজে কামড়াতে পারে। আজ কল্পনাশক্তি এতটা প্রবল হবে যে আপনি নিজেকে একটা সুপারহিরো মনে করতে পারেন। ধৈর্য আজ আপনাকে অফিসে সবার কাছে প্রশংসিত করবে। কারণ, আপনি কারও প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়েননি। শুভ ফল পেতে আজ স্ত্রীকে বেশি সময় দিন। এতে আপনারই ভালো। অন্যথায় গ্রহের কোপ আর স্ত্রীর কোপ—দুটোই সহ্য করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত