পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
খাদ্যের অপচয় নিয়ে ইউএনইপির ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স শীর্ষক ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ।
আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। এবং ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয় বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য।
খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
এধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।
ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।
সোয়ানেল বলেন, এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ, মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
সো আরেকটি বিষয়ের কথা বলেছেন। তা হলো- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি; বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে।
পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
খাদ্যের অপচয় নিয়ে ইউএনইপির ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স শীর্ষক ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ।
আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। এবং ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয় বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য।
খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
এধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।
ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।
সোয়ানেল বলেন, এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ, মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
সো আরেকটি বিষয়ের কথা বলেছেন। তা হলো- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি; বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে।
চীনের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সব সময়ই ভ্রমণপিপাসু ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের আকর্ষণ করে এসেছে। মহাপ্রাচীর থেকে শুরু করে পোড়ামাটির সৈন্যবাহিনী মতো স্থাপনা প্রতিটি পর্যটন গন্তব্যেই আছে অনন্য অভিজ্ঞতার হাতছানি। তবে এসবের পাশাপাশি আরও একটি বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় চচিয়া
১৯ মিনিট আগেবিশ্বের যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু জিনিস কেবিন ব্যাগে বহন করা যায় না।
২ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও
২১ ঘণ্টা আগেকিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
২১ ঘণ্টা আগে