ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
ঘর সাজাতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা ফেসবুকে ‘ডেকর আপা অন আ বাজেট’ নামের পেজটি হয়তো দেখে থাকবেন। কী করে মাত্র কয়েকটি জিনিসের অদলবদল আর সংযোজনে একটি ঘরের চেহারা বদলে দেওয়া যায়, তা-ই ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেখান ডেকর আপা অন আ বাজেট নামের ফেসবুক পেজের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া সুলতানা। তাঁর পেজের ফলোয়ার সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। রয়েছে একই নামে ইউটিউব চ্যানেলও।
নাজিয়া সুলতানা পেশায় জনস্বাস্থ্য গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে কাজ করছেন। এ কাজ করলেও মূলত ঘর সাজানোই তাঁর প্যাশন। ছোটবেলা থেকে নাটক, সিনেমা দেখার সময় সবার আগে সেটের দিকে নজর পড়ত তাঁর। কোথাও বেড়াতে গেলেও দেখতেন, সেই ঘর কেমন করে সাজানো হয়েছে। করোনা লকডাউনের সময় তিনি এক রুমের একটি বাসা নেন। হাতে ছিল অনেক সময়। সে সময় মাথায় আসে এক রুমের বাসাকে কীভাবে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঘর সাজানোর কিছু কিছু উপকরণ নিজেই তৈরি করতে থাকেন। এরপর গল্পটা এগিয়ে গেছে সময়ের হাত ধরে।
হোম ডেকরের গল্প
অনেকে ভাবেন, হোম ডেকোরেশন একটা বিলাসবহুল ভাবনা। পরিপাটি ও সুন্দর করে ঘর সাজাতে বোধ হয় অনেক খরচ করতে হয়। সেই ভাবনা যে অমূলক, তা নয়। কিন্তু নাজিয়ার প্রচেষ্টা ছিল, কম খরচে কী করে ঘর সাজানোর উপায় বের করা যায়, সে বিষয়ে। তিনি ভেবেছিলেন, বিলাসবহুল পণ্য়ের একটা স্বল্পমূল্য়ের বিকল্প যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আর তা মানুষকে জানানো গেলে তা অনেকের কাজে লাগবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুকে পেজ খোলেন। ২০২১ সালের কথা। তখন ফেসবুক বা ইউটিউবে বাংলাদেশি হোম ডেকর আইটেমের কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যেত না। নাজিয়া যাঁদের ফলো করতেন, তাঁরা অন্য দেশের। তখন তাঁর মনে হয়, হোম ডেকর বিষয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভেবেই ফেসবুকে পেজ খুলে ফেলেন নাজিয়া।
কম বাজেটে ঘর সাজানো কম বাজেটে ঘর সাজাতে হলে সবার আগে ব্র্যান্ডের ঝাঁ-চকচকে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, একটি পণ্য যখন ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে বাজারে আসে, তখন স্বভাবতই এর দামটা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
কোনো একটি ডিজাইন বাছাই করে সেই আসবাব বা ডেকর আইটেম বানিয়ে নেওয়া গেলে খরচ কম হয়। আবার একটা ব্র্যান্ডের আসবাব যদি ডিজাইন দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে সাধারণ কাঁচামালে বানিয়ে নিজেই রং করে নেওয়া যায়, তাহলে জিনিস নিজের পছন্দমতোও হয়, আবার খরচটাও কম পড়ে।
নিজের তৈরি উপকরণ
বিষয়টি যেহেতু নাজিয়ার পছন্দের, তাই আলাপ দীর্ঘ হলো এই পর্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিষয়টি। জানালেন, ঘরের জন্য নিজের পছন্দমতো আসবাব ও ডেকর আইটেম বানিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
যেমন ধরুন, আপনি ঘরের জন্য বেতের ল্যাম্প খুঁজছেন। কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। এরপর মাছ ধরার পলোতে ট্যাসেল বসিয়ে প্রায় সে রকমই দেখতে পেনডেন্ড ল্যাম্প বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ভাড়া বাসায় দেয়ালে রং করা হয় না। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেটে রং করে মাসকিন টেপ দিয়ে দেয়ালে বসিয়ে দিতে পারেন। এতে টেপ তুলে ফেলা যায়, দেয়ালটাও নষ্ট হয় না। এ ছাড়া পারটেক্স বা কম দামি কাঠ
দিয়ে আসবাব বানিয়ে সেটা নিজের পছন্দমতো রং করে নেওয়া যায়। নাজিয়া জানালেন, একটু ছেঁড়া জামদানি শাড়ি দিয়ে পর্দা বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পেজে সেই কনটেন্ট খুব প্রশংসিত হয়েছে। জামদানি বেশি কাউন্টে সুতায় বোনা হয় বলে পাতলা হয়। আলো-আঁধারির খেলাটাও জমে ভালো। দেখতেও বেশ ভালো লাগে। এর বাইরে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় ক্যানভাসে জড়িয়ে সেটাকেই ওয়ালম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর পুরোনো কাপড় কেটে বানানো যায় কুশন কভার।
গৃহসজ্জায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ঘরের রংটা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ঘরে অফ হোয়াইট রং করা থাকলে দেখতে খুব ভালো লাগে। এরপর চাইলে একটা দেয়ালে অন্য রং করা যায়। সেখানে স্টেটমেন্ট ফার্নিচার রাখা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার হলো পর্দা। পর্দা যদি সাদার মধ্য়ে রঙিন ছাপার হয়, তাহলে সেটার ভেতর দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করে। ফলে ওই ঘর দেখতে ভালো লাগে। যাদের ঘরে একেবারেই আলো প্রবেশ করে না, তাদের ওয়ার্ম টোনের লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নাজিয়া। তাতে ঘর অনেক আরামদায়ক ও প্রশান্তিময় লাগবে।
গরমকালে ঘর সাজানোর জন্য
হালকা রঙের চাদর ও পর্দা নির্বাচন করতে হবে। নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘পর্দার রং হালকা হলেও কাপড় ভারী হলে ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় মাঝখানে নেটের পর্দা দিয়ে দুই পাশে ভারী পর্দা লাগিয়ে পারেন অথবা দুই স্তরের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। সুন্দর পাত্রে ঠান্ডা পানি ভরে পাথর দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। খুব কম আসবাব ঘরে রাখতে হবে। এ ছাড়া ফ্লোরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপদ দেশ হিসেবে স্বীকৃত সিঙ্গাপুর। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটি ঘুরে দেখেছে প্রায় ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক। নামবেও ডট কম প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপদ দেশ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে সিঙ্গাপুর।
২ ঘণ্টা আগেপাহাড়, সবুজ গাছপালা আর ছায়াঘেরা পথজুড়ে সাজেক যেন এক মেঘকপ্রেমিক ভূখণ্ড। এখানে ভোরের আলো ফোটার আগেই চারপাশ ঢেকে যায় নরম তুলার মতো মেঘে। পাহাড় আর মেঘের এই মিতালি দেখে যেকেউ বিমোহিত হবেন। আর পাহাড়ের সৌন্দর্য আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায় বর্ষায়। মূলত পাহাড়ে যাওয়ার আদর্শ সময় এ ঋতু।
৫ ঘণ্টা আগেফ্রিজে যত দিন কোরবানির মাংস আছে, তত দিন বাড়িতে অতিথি এলে পোলাও আর মাংসের পদ তৈরি হবেই। তবে এই গরমে ভারী খাবারের পর এক গ্লাস বোরহানি পান করলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
৬ ঘণ্টা আগেধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১ দিন আগে