Ajker Patrika

নবীজির ভালোবাসা আখিরাতের সাফল্যের চাবিকাঠি

ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও মহব্বত ইমানের অন্যতম মৌলিক শর্ত। তাঁর প্রতি ভালোবাসা ছাড়া পূর্ণ মুমিন হওয়া সম্ভব নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের প্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (সুরা আহজাব: ৬)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তানসন্ততি ও সমস্ত মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হই।’ (সহিহ বুখারি: ১৫)

নবীজি (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা যেমন ইমান ও আমলের পূর্ণতা লাভের মাধ্যম, তেমনি তা আখিরাতে মহাসাফল্যের মূল চাবিকাঠি। মুমিনের চূড়ান্ত আকাঙ্ক্ষা হলো পরকালে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গ লাভ করা। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যাকে ভালোবাসবে, কিয়ামতের দিন তার সঙ্গেই থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম: ২৬৪০)

সাহাবায়ে কেরাম নবীজি (সা.)-কে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তাঁর একটি ইশারাতেই তাঁরা নিজেদের জান-মাল উৎসর্গ করতেন। নবীজির প্রতি ভালোবাসাই ছিল তাদের জীবনের সর্বোচ্চ সম্পদ।

একবার এক বেদুইন এসে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামত কখন হবে?’ নবীজি (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কিয়ামতের জন্য কী প্রস্তুতি নিয়েছ?’ বেদুইন বলল, ‘বিশেষ কোনো আমল করতে পারিনি; খুব বেশি নামাজ আদায় করিনি, রোজাও রাখিনি। তবে আমি অন্তরের গভীর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসি।’ এ কথা শুনে নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ যাকে ভালোবাসবে, কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে।’ সাহাবায়ে কেরাম তখন বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের ক্ষেত্রেও কি এমন হবে?’ নবীজি (সা.) উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ।’

হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘নবীজির এই উত্তরে সেদিন সাহাবায়ে কেরাম এত খুশি হয়েছিলেন যে জীবনে আর কখনো তাঁদের এমন আনন্দিত হতে দেখা যায়নি।’ (সহিহ বুখারি: ৬১৬৭)

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...