ইসলাম ডেস্ক

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
আর রিজিক বলা হয় এমন বস্তুকে—যা কোনো প্রাণী আহার্য রূপে গ্রহণ করে; যা তার দৈহিক শক্তি সঞ্চার করে, প্রবৃদ্ধি সাধন করে এবং জীবন রক্ষা করে। এই প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত। এ দায়িত্ব আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আল্লাহকে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো শক্তি মহাবিশ্বে নেই। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে প্রাণীকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের রিজিকের জিম্মাদারি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা যতটুকু সময়ের জন্য যাকে সৃষ্টি করেছেন তার আয়ুষ্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে অবশ্যই রিজিক দেবেন। এটা তার ওয়াদা। পবিত্র কোরআনে এসেছে ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি তাদের স্থায়ী-অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত। সুস্পষ্ট কিতাবে সবকিছুই আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)
ইমাম কুরতুবি (রহ.) আলোচ্য আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। একবার হজরত আবু মুসা আশআরি ও আবু মালিক আশআরি (রা.)-এর নেতৃত্বে একদল মুসলমান ইয়েমেন থেকে হিজরত করে মদিনায় পৌঁছলেন। তাদের সঙ্গে পাথেয়স্বরূপ আহার্য-পানীয় যা ছিল তা নিঃশেষ হয়ে গেলে।
তারা নিজেদের পক্ষ হতে একজন মুখপাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে প্রেরণ করলেন; যেন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জন্য খাবারের সুব্যবস্থা করেন। ওই প্রতিনিধি যখন নবীজির ঘরের সামনে হাজির হলো তখন ঘর থেকে রাসুল (সা.)-এর কোরআন তিলাওয়াতের সুমধুর আওয়াজ ভেসে এল—‘পৃথিবীতে বিচরণ করে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ গ্রহণ করেননি।’
সাহাবি এ আয়াত শুনে মনে করলেন—আল্লাহ তাআলা স্বয়ং যখন যাবতীয় প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরি গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট অন্যান্য জন্তু জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই; অতএব নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। এ ধারণা করে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে চলে এলেন। এসে সঙ্গীদের বললেন, ‘শুভ সংবাদ, তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসছে।’ তারা এ কথার অর্থ বুঝলেন, তাদের মুখপাত্র নিজেদের দুরবস্থার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) -কে অবহিত করার পর তিনি তাদের আহার্য ও পানির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলেন।
তারা বসেই ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যক্তি গোশত-রুটিপূর্ণ একটি বড় পাত্র নিয়ে উপস্থিত হলো। আশআরি গোত্রের লোকেরা সানন্দে তা গ্রহণ করে আহার করার পর প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তারা অবশিষ্ট খাবার রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর সমীপে প্রেরণ করা প্রয়োজন মনে করলেন; যেন তিনি সেই খাবার অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তাই তারা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট খাবার রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন।
তারা খাবারের পাত্র নিয়ে রাসুল (সা.) -এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার প্রেরিত গোশত অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।’ এ কথা শুনে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরণ করিনি!’ তখন তারা পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, ‘আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছিলাম, তিনি ফিরে গিয়ে বলেছিলেন—আমাদের আতিথেয়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে আমরা মনে করেছি আপনি আমাদের জন্য খানা-দানা প্রেরণ করেছেন।’
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি নই বরং ওই পবিত্র সত্তা প্রেরণ করেছেন; যিনি সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এভাবে আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে প্রমাণ করেছেন—তিনিই একমাত্র রিজিকের মালিক। যে কোনো ধরনের উপকরণ ছাড়াই তিনি রিজিক দিতে পারেন।
নবী মুসা (আ.)-এর উম্মত বনি ইসরায়েলকে আল্লাহ তাআলা চল্লিশ বছর যাবৎ আসমান থেকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। তবে এটা মহান আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম নয়। পার্থিব জীবনকে তিনি কিছু নিয়ম-নীতির অধীন করে দিয়েছেন। দুনিয়াজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এবং প্রত্যেককে নিজ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রিজিক অন্বেষণের বিধান জারি করেছেন।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা জুমা: ১০)
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
আর রিজিক বলা হয় এমন বস্তুকে—যা কোনো প্রাণী আহার্য রূপে গ্রহণ করে; যা তার দৈহিক শক্তি সঞ্চার করে, প্রবৃদ্ধি সাধন করে এবং জীবন রক্ষা করে। এই প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত। এ দায়িত্ব আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আল্লাহকে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো শক্তি মহাবিশ্বে নেই। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে প্রাণীকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের রিজিকের জিম্মাদারি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা যতটুকু সময়ের জন্য যাকে সৃষ্টি করেছেন তার আয়ুষ্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে অবশ্যই রিজিক দেবেন। এটা তার ওয়াদা। পবিত্র কোরআনে এসেছে ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি তাদের স্থায়ী-অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত। সুস্পষ্ট কিতাবে সবকিছুই আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)
ইমাম কুরতুবি (রহ.) আলোচ্য আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। একবার হজরত আবু মুসা আশআরি ও আবু মালিক আশআরি (রা.)-এর নেতৃত্বে একদল মুসলমান ইয়েমেন থেকে হিজরত করে মদিনায় পৌঁছলেন। তাদের সঙ্গে পাথেয়স্বরূপ আহার্য-পানীয় যা ছিল তা নিঃশেষ হয়ে গেলে।
তারা নিজেদের পক্ষ হতে একজন মুখপাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে প্রেরণ করলেন; যেন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জন্য খাবারের সুব্যবস্থা করেন। ওই প্রতিনিধি যখন নবীজির ঘরের সামনে হাজির হলো তখন ঘর থেকে রাসুল (সা.)-এর কোরআন তিলাওয়াতের সুমধুর আওয়াজ ভেসে এল—‘পৃথিবীতে বিচরণ করে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ গ্রহণ করেননি।’
সাহাবি এ আয়াত শুনে মনে করলেন—আল্লাহ তাআলা স্বয়ং যখন যাবতীয় প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরি গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট অন্যান্য জন্তু জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই; অতএব নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। এ ধারণা করে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে চলে এলেন। এসে সঙ্গীদের বললেন, ‘শুভ সংবাদ, তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসছে।’ তারা এ কথার অর্থ বুঝলেন, তাদের মুখপাত্র নিজেদের দুরবস্থার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) -কে অবহিত করার পর তিনি তাদের আহার্য ও পানির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলেন।
তারা বসেই ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যক্তি গোশত-রুটিপূর্ণ একটি বড় পাত্র নিয়ে উপস্থিত হলো। আশআরি গোত্রের লোকেরা সানন্দে তা গ্রহণ করে আহার করার পর প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তারা অবশিষ্ট খাবার রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর সমীপে প্রেরণ করা প্রয়োজন মনে করলেন; যেন তিনি সেই খাবার অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তাই তারা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট খাবার রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন।
তারা খাবারের পাত্র নিয়ে রাসুল (সা.) -এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার প্রেরিত গোশত অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।’ এ কথা শুনে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরণ করিনি!’ তখন তারা পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, ‘আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছিলাম, তিনি ফিরে গিয়ে বলেছিলেন—আমাদের আতিথেয়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে আমরা মনে করেছি আপনি আমাদের জন্য খানা-দানা প্রেরণ করেছেন।’
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি নই বরং ওই পবিত্র সত্তা প্রেরণ করেছেন; যিনি সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এভাবে আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে প্রমাণ করেছেন—তিনিই একমাত্র রিজিকের মালিক। যে কোনো ধরনের উপকরণ ছাড়াই তিনি রিজিক দিতে পারেন।
নবী মুসা (আ.)-এর উম্মত বনি ইসরায়েলকে আল্লাহ তাআলা চল্লিশ বছর যাবৎ আসমান থেকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। তবে এটা মহান আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম নয়। পার্থিব জীবনকে তিনি কিছু নিয়ম-নীতির অধীন করে দিয়েছেন। দুনিয়াজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এবং প্রত্যেককে নিজ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রিজিক অন্বেষণের বিধান জারি করেছেন।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা জুমা: ১০)
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
আর রিজিক বলা হয় এমন বস্তুকে—যা কোনো প্রাণী আহার্য রূপে গ্রহণ করে; যা তার দৈহিক শক্তি সঞ্চার করে, প্রবৃদ্ধি সাধন করে এবং জীবন রক্ষা করে। এই প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত। এ দায়িত্ব আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আল্লাহকে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো শক্তি মহাবিশ্বে নেই। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে প্রাণীকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের রিজিকের জিম্মাদারি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা যতটুকু সময়ের জন্য যাকে সৃষ্টি করেছেন তার আয়ুষ্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে অবশ্যই রিজিক দেবেন। এটা তার ওয়াদা। পবিত্র কোরআনে এসেছে ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি তাদের স্থায়ী-অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত। সুস্পষ্ট কিতাবে সবকিছুই আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)
ইমাম কুরতুবি (রহ.) আলোচ্য আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। একবার হজরত আবু মুসা আশআরি ও আবু মালিক আশআরি (রা.)-এর নেতৃত্বে একদল মুসলমান ইয়েমেন থেকে হিজরত করে মদিনায় পৌঁছলেন। তাদের সঙ্গে পাথেয়স্বরূপ আহার্য-পানীয় যা ছিল তা নিঃশেষ হয়ে গেলে।
তারা নিজেদের পক্ষ হতে একজন মুখপাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে প্রেরণ করলেন; যেন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জন্য খাবারের সুব্যবস্থা করেন। ওই প্রতিনিধি যখন নবীজির ঘরের সামনে হাজির হলো তখন ঘর থেকে রাসুল (সা.)-এর কোরআন তিলাওয়াতের সুমধুর আওয়াজ ভেসে এল—‘পৃথিবীতে বিচরণ করে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ গ্রহণ করেননি।’
সাহাবি এ আয়াত শুনে মনে করলেন—আল্লাহ তাআলা স্বয়ং যখন যাবতীয় প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরি গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট অন্যান্য জন্তু জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই; অতএব নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। এ ধারণা করে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে চলে এলেন। এসে সঙ্গীদের বললেন, ‘শুভ সংবাদ, তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসছে।’ তারা এ কথার অর্থ বুঝলেন, তাদের মুখপাত্র নিজেদের দুরবস্থার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) -কে অবহিত করার পর তিনি তাদের আহার্য ও পানির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলেন।
তারা বসেই ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যক্তি গোশত-রুটিপূর্ণ একটি বড় পাত্র নিয়ে উপস্থিত হলো। আশআরি গোত্রের লোকেরা সানন্দে তা গ্রহণ করে আহার করার পর প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তারা অবশিষ্ট খাবার রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর সমীপে প্রেরণ করা প্রয়োজন মনে করলেন; যেন তিনি সেই খাবার অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তাই তারা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট খাবার রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন।
তারা খাবারের পাত্র নিয়ে রাসুল (সা.) -এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার প্রেরিত গোশত অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।’ এ কথা শুনে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরণ করিনি!’ তখন তারা পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, ‘আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছিলাম, তিনি ফিরে গিয়ে বলেছিলেন—আমাদের আতিথেয়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে আমরা মনে করেছি আপনি আমাদের জন্য খানা-দানা প্রেরণ করেছেন।’
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি নই বরং ওই পবিত্র সত্তা প্রেরণ করেছেন; যিনি সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এভাবে আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে প্রমাণ করেছেন—তিনিই একমাত্র রিজিকের মালিক। যে কোনো ধরনের উপকরণ ছাড়াই তিনি রিজিক দিতে পারেন।
নবী মুসা (আ.)-এর উম্মত বনি ইসরায়েলকে আল্লাহ তাআলা চল্লিশ বছর যাবৎ আসমান থেকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। তবে এটা মহান আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম নয়। পার্থিব জীবনকে তিনি কিছু নিয়ম-নীতির অধীন করে দিয়েছেন। দুনিয়াজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এবং প্রত্যেককে নিজ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রিজিক অন্বেষণের বিধান জারি করেছেন।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা জুমা: ১০)
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
আর রিজিক বলা হয় এমন বস্তুকে—যা কোনো প্রাণী আহার্য রূপে গ্রহণ করে; যা তার দৈহিক শক্তি সঞ্চার করে, প্রবৃদ্ধি সাধন করে এবং জীবন রক্ষা করে। এই প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত। এ দায়িত্ব আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আল্লাহকে কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো শক্তি মহাবিশ্বে নেই। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে প্রাণীকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের রিজিকের জিম্মাদারি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা যতটুকু সময়ের জন্য যাকে সৃষ্টি করেছেন তার আয়ুষ্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে অবশ্যই রিজিক দেবেন। এটা তার ওয়াদা। পবিত্র কোরআনে এসেছে ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি তাদের স্থায়ী-অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত। সুস্পষ্ট কিতাবে সবকিছুই আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)
ইমাম কুরতুবি (রহ.) আলোচ্য আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। একবার হজরত আবু মুসা আশআরি ও আবু মালিক আশআরি (রা.)-এর নেতৃত্বে একদল মুসলমান ইয়েমেন থেকে হিজরত করে মদিনায় পৌঁছলেন। তাদের সঙ্গে পাথেয়স্বরূপ আহার্য-পানীয় যা ছিল তা নিঃশেষ হয়ে গেলে।
তারা নিজেদের পক্ষ হতে একজন মুখপাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সমীপে প্রেরণ করলেন; যেন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের জন্য খাবারের সুব্যবস্থা করেন। ওই প্রতিনিধি যখন নবীজির ঘরের সামনে হাজির হলো তখন ঘর থেকে রাসুল (সা.)-এর কোরআন তিলাওয়াতের সুমধুর আওয়াজ ভেসে এল—‘পৃথিবীতে বিচরণ করে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ গ্রহণ করেননি।’
সাহাবি এ আয়াত শুনে মনে করলেন—আল্লাহ তাআলা স্বয়ং যখন যাবতীয় প্রাণীকুলের রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরি গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তাআলার নিকট অন্যান্য জন্তু জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই; অতএব নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। এ ধারণা করে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে চলে এলেন। এসে সঙ্গীদের বললেন, ‘শুভ সংবাদ, তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসছে।’ তারা এ কথার অর্থ বুঝলেন, তাদের মুখপাত্র নিজেদের দুরবস্থার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) -কে অবহিত করার পর তিনি তাদের আহার্য ও পানির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তারা নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলেন।
তারা বসেই ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যক্তি গোশত-রুটিপূর্ণ একটি বড় পাত্র নিয়ে উপস্থিত হলো। আশআরি গোত্রের লোকেরা সানন্দে তা গ্রহণ করে আহার করার পর প্রচুর গোশত ও রুটি রয়ে গেল। তারা অবশিষ্ট খাবার রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর সমীপে প্রেরণ করা প্রয়োজন মনে করলেন; যেন তিনি সেই খাবার অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তাই তারা দুই ব্যক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট খাবার রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন।
তারা খাবারের পাত্র নিয়ে রাসুল (সা.) -এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার প্রেরিত গোশত অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।’ এ কথা শুনে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তো কোনো খাদ্য প্রেরণ করিনি!’ তখন তারা পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, ‘আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছিলাম, তিনি ফিরে গিয়ে বলেছিলেন—আমাদের আতিথেয়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে আমরা মনে করেছি আপনি আমাদের জন্য খানা-দানা প্রেরণ করেছেন।’
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি নই বরং ওই পবিত্র সত্তা প্রেরণ করেছেন; যিনি সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এভাবে আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে প্রমাণ করেছেন—তিনিই একমাত্র রিজিকের মালিক। যে কোনো ধরনের উপকরণ ছাড়াই তিনি রিজিক দিতে পারেন।
নবী মুসা (আ.)-এর উম্মত বনি ইসরায়েলকে আল্লাহ তাআলা চল্লিশ বছর যাবৎ আসমান থেকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। তবে এটা মহান আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম নয়। পার্থিব জীবনকে তিনি কিছু নিয়ম-নীতির অধীন করে দিয়েছেন। দুনিয়াজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এবং প্রত্যেককে নিজ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রিজিক অন্বেষণের বিধান জারি করেছেন।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা জুমা: ১০)
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
১৯ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে