মুফতি হাসান আরিফ
ঈদ, উৎসব, ছুটির দিন কিংবা প্রয়োজনে মানুষ ভ্রমণ করে। ভ্রমণে অনেকেরই সেরা পছন্দ ট্রেনযাত্রা। সড়ক পথের কষ্ট অনেকের সহ্য হয় না। তাই বেছে নেন রেলওয়ে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের এই প্রয়োজন পুঁজি করে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে ব্রাউজ করে টিকিট না পেয়ে হতাশায় ভোগেন অনেকে। কেউবা বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকে টিকিট কিনে গন্তব্যে যান। ঈদের সময় বাসযাত্রায়ও এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় কখনো। কাউন্টারে টিকিট নেই, কিন্তু ব্ল্যাকে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট মেলে যখন-তখন।
অনেকের মনেই প্রশ্ন—মানুষকে জিম্মি করে এভাবে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করা অথবা বাধ্য হয়ে তাদের কাছ থেকে টিকিট ক্রয় করার বিধান কী?
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না এবং এই উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা করো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনে-শুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কারও ক্ষতিসাধন করে, আল্লাহ তাআলা তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৪০)
এভাবে সিন্ডিকেট করে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির ফলে একদিকে যেমন জনগণ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, অন্যদিকে সরকারি আইনকেও অশ্রদ্ধা করা হয়।
তাই জনগণকে জিম্মি করে এসব অবৈধ পন্থায় টিকিট বিক্রি করা ইসলাম সমর্থন করে না। বাস বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা জায়েজ নয়।
কেউ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে ক্রেতার ঠিকানা জানা থাকলে তাকে অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। আর মালিক জানা না থাকলে কোনো গরিবকে সদকা করে দিতে হবে। সে টাকা বিক্রেতার ব্যবহার করা কোনো অবস্থায়ই বৈধ নয়।
এ ছাড়া অন্যের কাছে বেশি দামে বিক্রির নিয়তে কাউন্টার থেকে আগেভাগে টিকিট কিনে নেওয়া চরম অনৈতিকতা। জেনেশুনে এমন ব্যক্তিদের নিকট টিকিট বিক্রি করা কর্তৃপক্ষের জন্যও নজায়েজ নয়।
তবে কেউ যদি নিজে যাওয়ার জন্য টিকিট কেনেন, পরে কোনো কারণবশত যাত্রা বাতিল করতে হয়—সে ক্ষেত্রে সমপরিমাণ মূল্যে অন্যের কাছে টিকিটটি বিক্রি করার অবকাশ আছে।
আর স্বাভাবিক অবস্থায় ব্ল্যাকে টিকিট কেনা ঠিক নয়। তবে নিরুপায় হয়ে কেনা যাবে।
তথ্যসূত্র: বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ৭৬, বাহরুর রায়েক: ৭ / ৩০, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১৫ / ৫০, আদ্দুররুল মুখতার: ৬ / ৯১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১০ / ৩৯৩
ঈদ, উৎসব, ছুটির দিন কিংবা প্রয়োজনে মানুষ ভ্রমণ করে। ভ্রমণে অনেকেরই সেরা পছন্দ ট্রেনযাত্রা। সড়ক পথের কষ্ট অনেকের সহ্য হয় না। তাই বেছে নেন রেলওয়ে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের এই প্রয়োজন পুঁজি করে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অথবা অনলাইনে ব্রাউজ করে টিকিট না পেয়ে হতাশায় ভোগেন অনেকে। কেউবা বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকে টিকিট কিনে গন্তব্যে যান। ঈদের সময় বাসযাত্রায়ও এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় কখনো। কাউন্টারে টিকিট নেই, কিন্তু ব্ল্যাকে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট মেলে যখন-তখন।
অনেকের মনেই প্রশ্ন—মানুষকে জিম্মি করে এভাবে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করা অথবা বাধ্য হয়ে তাদের কাছ থেকে টিকিট ক্রয় করার বিধান কী?
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না এবং এই উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা করো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনে-শুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কারও ক্ষতিসাধন করে, আল্লাহ তাআলা তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৪০)
এভাবে সিন্ডিকেট করে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির ফলে একদিকে যেমন জনগণ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, অন্যদিকে সরকারি আইনকেও অশ্রদ্ধা করা হয়।
তাই জনগণকে জিম্মি করে এসব অবৈধ পন্থায় টিকিট বিক্রি করা ইসলাম সমর্থন করে না। বাস বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা জায়েজ নয়।
কেউ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে ক্রেতার ঠিকানা জানা থাকলে তাকে অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। আর মালিক জানা না থাকলে কোনো গরিবকে সদকা করে দিতে হবে। সে টাকা বিক্রেতার ব্যবহার করা কোনো অবস্থায়ই বৈধ নয়।
এ ছাড়া অন্যের কাছে বেশি দামে বিক্রির নিয়তে কাউন্টার থেকে আগেভাগে টিকিট কিনে নেওয়া চরম অনৈতিকতা। জেনেশুনে এমন ব্যক্তিদের নিকট টিকিট বিক্রি করা কর্তৃপক্ষের জন্যও নজায়েজ নয়।
তবে কেউ যদি নিজে যাওয়ার জন্য টিকিট কেনেন, পরে কোনো কারণবশত যাত্রা বাতিল করতে হয়—সে ক্ষেত্রে সমপরিমাণ মূল্যে অন্যের কাছে টিকিটটি বিক্রি করার অবকাশ আছে।
আর স্বাভাবিক অবস্থায় ব্ল্যাকে টিকিট কেনা ঠিক নয়। তবে নিরুপায় হয়ে কেনা যাবে।
তথ্যসূত্র: বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ৭৬, বাহরুর রায়েক: ৭ / ৩০, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১৫ / ৫০, আদ্দুররুল মুখতার: ৬ / ৯১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১০ / ৩৯৩
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে