ইসলাম ডেস্ক
মানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও সহানুভূতির চর্চা করা যায়।
কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে আজকাল একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ লোপ পাচ্ছে। অহংকার-গরিমা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যকে ছোট করে দেখা যেন এখন একরকম ফ্যাশন। আর কখনো যদি কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতা পাই, তাহলে তো কথাই নেই। আমরা ভুলেই যাই‚ সকল ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ।
পবিত্র কোরআনে এসেছে—বলুন, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছা হীন করেন। কল্যাণ তো আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
অন্যের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা, সম্মান দিয়ে কথা বলা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ। এই আদর্শ থেকে আমরা দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি। কাউকে সম্মান দেওয়াটা যেন আমাদের জন্য অনেক কঠিন কাজ হয়ে গিয়েছে! অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান করে না—সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৬)
এই হাদিসের আলোকে জীবন গড়ার চেষ্টা করা প্রত্যেক মোমিনের কর্তব্য। কেননা, অন্যকে সম্মান দিয়ে কেউ ছোট হয় না—বরং কাউকে সম্মান দিলে নিজেও সম্মান পাওয়া যায়।
লেখক: মোবাশ্বিরা হাবিবা
মানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও সহানুভূতির চর্চা করা যায়।
কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে আজকাল একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ লোপ পাচ্ছে। অহংকার-গরিমা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যকে ছোট করে দেখা যেন এখন একরকম ফ্যাশন। আর কখনো যদি কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতা পাই, তাহলে তো কথাই নেই। আমরা ভুলেই যাই‚ সকল ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ।
পবিত্র কোরআনে এসেছে—বলুন, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছা হীন করেন। কল্যাণ তো আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
অন্যের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা, সম্মান দিয়ে কথা বলা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর আদর্শ। এই আদর্শ থেকে আমরা দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি। কাউকে সম্মান দেওয়াটা যেন আমাদের জন্য অনেক কঠিন কাজ হয়ে গিয়েছে! অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান করে না—সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৬)
এই হাদিসের আলোকে জীবন গড়ার চেষ্টা করা প্রত্যেক মোমিনের কর্তব্য। কেননা, অন্যকে সম্মান দিয়ে কেউ ছোট হয় না—বরং কাউকে সম্মান দিলে নিজেও সম্মান পাওয়া যায়।
লেখক: মোবাশ্বিরা হাবিবা
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২১ ঘণ্টা আগে